নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রানা ইশতিয়াক

আমি জয়বাংলার বাঙালি

মো. রহমত উল্লাহ্‌ (রানা ইশতিয়াক)

আমি জয়বাংলার বাঙালি

মো. রহমত উল্লাহ্‌ (রানা ইশতিয়াক) › বিস্তারিত পোস্টঃ

গণজাগরণ মঞ্চের ভবিষ্যৎ

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৫:৪৮

যায়যায়দিন



সোমবার, জানুয়ারী, ১৩, ২০১৪ : পৌষ ৩০, ১৪২০ বঙ্গাব্দ: ১১ রবিউল আউয়াল, ১৪৩৫ হিজরি, ০৮ বছর, সংখ্যা ২১৪



Click This Link



গণজাগরণ মঞ্চের ভবিষ্যৎ



যেহেতু গণজাগরণ মঞ্চের আবির্ভাব এবং বহিঃপ্রকাশ হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক, বাহক ও সম্প্রসারক হিসেবে; সেহেতু তাদের টিকে থাকা না থাকা এখন একটি অগি্নপরীক্ষা। কেননা এখন পর্যন্ত গণজাগরণ মঞ্চই একমাত্র অরাজনৈতিক গণসম্পৃক্ত মঞ্চ, যারা প্রকাশ্যে অবস্থান নিয়েছে জামায়াত-শিবিরসহ সব মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধীদের বিপক্ষে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে। তাদের হেরে যাওয়া আর রাজনীতিকদের হেরে যাওয়া এক কথা নয়। রাজনীতিকরা হেরে গেলে হেরে যাবে এক বা একাধিক রাজনৈতিক দল; কিন্তু গণজাগরণ মঞ্চ হেরে গেলে হেরে যাবে বাংলাদেশের সাধারণ মুক্তিকামী মানুষ, হেরে যাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।



মো. রহমত উল্লাহ্



বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাবিরোধীরা যখন সেই ১৯৭১ সালের মতো নারকীয় ক্রিয়াকলাপে আবার প্রকাশ্যে সক্রিয়, তখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত একটি অরাজনৈতিক প্লাটফর্ম হিসেবে গণজাগরণ মঞ্চের আবির্ভাব অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই এর বর্তমান কার্যক্রম, সাংগঠনিক ভিত্তি এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে আমার এই আলোচনার সূত্রপাত।

আমাদের জানা মতে কিছু অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট এই গণজাগরণ মঞ্চের স্রষ্টা। তারাই এর নেতাকর্মী। অবাধ তথ্যপ্রবাহের সামান্য সুবিধাপ্রাপ্ত কিছু তরুণ ও যুবক নিজেদের মধ্যে তথ্যের আদান-প্রদানের মাধ্যমে খুঁজে নিয়েছে সমমনাদের। অন্যরা যখন অন্যমনস্ক তখন তারা বিনিময় করেছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস। ভালোভাবে লেখাপড়া করার পাশাপাশি তারা নিজেদের শানিত করেছে সত্য ও সুন্দরের আলোতে। উদ্বুদ্ধ হয়েছে মানবতা বোধে। জাগ্রত হয়েছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে উন্নত, প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে। রাস্তায় নেমে এসেছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে। সেই সঙ্গে নামাতে সক্ষম হয়েছে হাজারো সাধারণ মানুষ। এক সঙ্গে আন্দোলিত করতে পেরেছে সারাবাংলা। দেশে বিদ্যমান বড়, ছোট, ডান, বাম, ইসলামী, মডারেট, প্রগতিশীল কোনো রাজনৈতিক দল/জোট এবং তথাকথিত সুশীল সমাজের কেউ যা পারেনি; চার দশক পর তারা তা পেরেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের জন্য এটি যেমন একটি কাঙ্ক্ষিত আনন্দের বিষয়, তেমনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধীদের জন্য এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত পীড়াদায়ক ব্যাপার। তাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী উভয় শক্তির জন্যই এ গণজাগরণ মঞ্চের অস্তিত্ব থাকা না থাকা, কার্যক্রম সম্প্রসারিত হওয়া না হওয়া একটি ধারাবাহিক চেলেঞ্জ। অর্থাৎ তাদের শত্রু, মিত্র দুটোই এখন বিদ্যমান। প্রশ্ন হচ্ছে_ কোনটি অধিক সক্রিয়, শত্রু না মিত্র?

গণজাগরণ মঞ্চকে এখনো কোনো সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করার সুযোগ নেই। রাজনৈতিক না হোক অরাজনৈতিক সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন হিসেবেও তারা সংগঠিত হতে পারেনি এখনো। তাদের দাবি বাস্তবায়নে প্রধান প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে রাজনৈতিক। তাদের দাবি পূরণের পথে মোকাবেলা করতে হবে জামায়াত-শিবিরসহ বেশ কয়েকটি প্রকাশ্য রাজনৈতিক দল এবং একটি রাজনৈতিক জোটকে। যারা অত্যন্ত হিংস্র, সশস্ত্র ও সংগঠিত। আর্থিকভাবেও অনেক শক্তিশালী। অপ্রকাশ্য কালো হাত তো আছেই। তদুপরি বিএনপি ক্ষমতায় এলে জামায়াত-শিবিরের স্বর্গ রাজ্যে পরিণত হবে বাংলাদেশ এটি তো এখন আর অস্পষ্ট নয় কারোর কাছেই। তখন তো আওয়ামী লীগ নিজেদের রক্ষার লড়াই করেই নিস্তার পাবে না; আবার এই গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের কথা ভাববে কখন? দেশব্যাপী প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ছড়িয়ে থাকা হেফাজতে ইসলামের মতো বড় একটি শক্তিও নাস্তিকতা বিস্তারের অভিযোগ এনে এখন গণজাগরণ মঞ্চের প্রকাশ্য প্রতিপক্ষ। এতগুলো প্রতিপক্ষ মোকাবেলা করে টিকে থেকে আন্দোলনে সক্রিয় থাকার সাহস থাকলেও শক্তি কৌশল আছে বলে মনে হচ্ছে না এখনো। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে জামায়াত-শিবিরের নির্বাচন করার সুযোগ বাতিল করলেও তাদের অস্তিত্ব বিলিন করার কাজটি অনেক কঠিন ও সময়ের ব্যাপার। মাঠপর্যায়ে বিশেষ করে নগদ অর্থ ও আধুনিক শিক্ষার অভাব যেসব এলাকায় প্রকট সেসব এলাকায় এক একটি পরিবারের সব সদস্য বিভিন্ন স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি সুযোগ-সুবিধার বিনিময়ে মগজ ধোলাই হয়ে যেভাবে জামায়ত-শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েছে তাদের এর বাইরে বের করে আনা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত একটি নতুন জেনারেশন তৈরি করার কাজটি কেবল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার জোরে সম্পাদন করা সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে গণজাগরণ মঞ্চের কার্যক্রমকে যদি আওয়ামী লীগ সহায়ক মনে করে সহায়তা দেয় তো সচল থাকতে পারবে তারা। আর যদি আওয়ামী লীগ মনে করে, গণজাগরণ মঞ্চের সঙ্গে প্রত্যক্ষ সম্পৃক্ত হলে নাস্তিকতা বিস্তারের অভিযোগের দায়ভার বেড়ে যাবে এবং এর ফলে এ দেশের লাখো মুসলমানের সমর্থন কমে যাবে তো তাদের পৃষ্ঠপোষকতা থেকেও বঞ্চিত হতে পারে গণজাগরণ মঞ্চ। সে ক্ষেত্রেও তাদের মোকাবেলা করতে হবে অনেক কঠিন প্রতিকূলতা।

বর্তমানে কেবল ইস্যুভিত্তিক কিছু কর্মসূচি নিয়ে গণজাগরণ মঞ্চের মুভমেন্ট লক্ষণীয়। অথচ এই অল্পদিনের আন্দোলনেই তারা অনেক বেশি সমালোচিত তাদের অতি ইমোশনাল ও অপরিপক্ব কয়েকটি কর্মসূচির কারণে। কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে প্রথম যখন তারা শাহবাগে সমবেত হয়েছিল তখন তাদের সঙ্গে যে পরিমাণ সাধারণ মানুষের উপস্থিতি তা তারা ধরে রাখতে পারেনি। এর প্রধান কারণ হচ্ছে তাদের লাগামহীন দাবি ও অবস্থান। যোদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে যখন তাদের আন্দোলন তুঙ্গে তখন যদি তারা একটা যুক্তিযুক্ত সময়ের আল্টিমেটাম দিয়ে শাহবাগ ত্যাগ করত তা হলে নাস্তিকতা বিস্তারের অভিযোগ তুলে হেফাজতিরা এত তাড়াতাড়ি সংগঠিত হয়ে মাঠে নামার তাগিদ হয়তো অনুভব করত না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও তাদের অনুরোধ করেছিলেন ঘরে গিয়ে লেখাপড়ায় মনোযোগ দেয়ার জন্য। কিন্তু তারা তা মানেননি। ফলে এই সরকারের সমমনা একটি সহায়ক শক্তির অতি উৎসাহের কারণেই সরকারকে পড়তে হয়েছে অনেক বেকায়দায়। তাছাড়া তাদের দাবি-দাওয়ার তালিকাটি তাদের চেয়ে অনেক বেশি লম্বা। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সীমাবদ্ধ থাকাই উত্তম ছিল। এতদিন পরে এটিই তো অনেক বড় এবং কঠিন কাজ। সারাদেশে বহাল তবিয়তে বসবাস করছে অনেক যুদ্ধাপরাধী। তাদের চিহ্নিত করা, সঠিক তালিকা তৈরি করা, তাদের অপকর্মের সাক্ষীদের (বয়োবৃদ্ধ) সাক্ষাৎকার ভিডিও করে রাখা, আদালতে সেসব ভিডিও ফুটেজ উপস্থাপন করা, সাক্ষীদের সাক্ষ্য প্রদানের হাজারো সাক্ষী রেডি রাখা, সাক্ষীদের নিরাপত্তা এবং মনের জোর বৃদ্ধির চেষ্টা করা, নতুন প্রজন্মকে জাগ্রত করা ইত্যাদি কাজ তো তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য জরুরি। তা না করে তারা যখন বলতে লাগল, জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে, জামায়াতের সব আর্থিক সোর্স বন্ধ করতে হবে, জামায়াতিদের প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলো বাজেয়াপ্ত করতে হবে, তারপর আমরা ঘরে ফিরে যাব। তখনই জীবন বাজি রেখে মাঠে নেমে এলো জামায়াত-শিবিরের সাধারণ কর্মী-সমর্থকসহ জামায়াতি সহায়তা প্রাপ্তরা এবং জামায়াতি প্রতিষ্ঠানগুলোয় কর্মরতদের পরিবার-পরিজন। দেশের সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক প্রদত্ত কাদের মোল্লার ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদ এবং সংবিধান বহির্ভূত নির্দলীয় সরকারে দাবির নামে সারাদেশে চলছে তাদের নারকীয় তা-ব। এ তা-ব সামাল দিতে সরকার যখন বেসামাল তখন পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থগিত করার দাবিতে (বর্তমান পরিস্থিতিতে যা অসম্ভব) গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা ঘেরাও করতে গেল পাকিস্তানি দূতাবাস। সরকারকে দিয়ে দিল ২০ ঘণ্টার আল্টিমেটাম। যে সরকার টিকে থাকতে না পারলে কঠিন হবে নিজের টিকে থাকা, সেই সরকারকেই প্রকাশ্যে আল্টিমেটাম দিয়ে পরিচয় দিল আরো এক বোকামির। নাস্তিকতা বিস্তারের অভিযোগে সারাদেশে সমালোচিত একটি মঞ্চের প্রকাশ্যে এরূপ একটি আল্টিমেটাম ঘোষণার পর বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতায় সরকারের জন্য আরো কঠিন হয়ে গেল পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থগিত করা। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের অঙ্গীকার ঘোষণা করে ক্ষমতায় এসে নিজেদের জীবন বাজি রেখে দেশি-বিদেশি কোটি প্রতিকূলতায় এগিয়ে যাচ্ছে যে সরকার সেই সরকারকে বারবার বেকায়দায় না ফেলে বরং এই সুযোগে নিজেদের সুসংগঠিত করা এবং নিজেদের মতাদর্শের পক্ষে জনসমর্থন আরো বৃদ্ধি করা ছিল বুদ্ধিমানের কাজ। এতে আরো বেশি উজ্জ্বল ও নিশ্চিত হতো এ গণজাগরণ মঞ্চের ভবিষ্যৎ। অথচ তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত অতি বাম দলের ও তাদের অঙ্গসংগঠনের কিছু প্রবীণ ও নবীন অাঁতেল গণজাগরণ মঞ্চের নেতাকর্মী হিসেবে টিভি টক-শোতে আসার সুযোগ কাজে লাগিয়ে অতীতের মতো এ ক্রান্তিকালেও করে যাচ্ছে আওয়ামী বিরোধী রাজনীতি। যা এখন আত্মঘাতীর সামিল। এদিকে শত মতপার্থক্য থাকা সত্যেও কৌশলগত কারণে এখন বিএনপির পক্ষে পরিষ্কার অবস্থান নিয়েছে সব ডানপন্থী দল, প্রতিষ্ঠান ও তথাকথিত বুদ্ধিজীবী।

যেহেতু গণজাগরণ মঞ্চের আবির্ভাব এবং বহিঃপ্রকাশ হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক, বাহক ও সম্প্রসারক হিসেবে; সেহেতু তাদের টিকে থাকা না থাকা এখন একটি অগি্নপরীক্ষা। কেননা এখন পর্যন্ত গণজাগরণ মঞ্চই একমাত্র অরাজনৈতিক গণসম্পৃক্ত মঞ্চ, যারা প্রকাশ্যে অবস্থান নিয়েছে জামায়াত-শিবিরসহ সব মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধীদের বিপক্ষে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে। তাদের হেরে যাওয়া আর রাজনীতিকদের হেরে যাওয়া এক কথা নয়। রাজনীতিকরা হেরে গেলে হেরে যাবে এক বা একাধিক রাজনৈতিক দল; কিন্তু গণজাগরণ মঞ্চ হেরে গেলে হেরে যাবে বাংলাদেশের সাধারণ মুক্তিকামী মানুষ, হেরে যাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।

আর সেই সঙ্গে জিতে যাবে বাঙালি জাতির চির শত্রুর দল! তাই কোনোভাবেই হালকা করে দেখার উপায় নেই গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনকে। যাদের নেতৃত্বে শুরু হয়েছে এই মঞ্চের যাত্রা তাদের প্রতি জানাচ্ছি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা। এখন প্রয়োজন এ মঞ্চকে আরো সুসংগঠিত করা। এটি এখনো কোনো সংগঠন হিসেবে দাঁড়াতে পারেনি। অনলাইন সুবিধার বাইরে অবস্থিত দেশের অগণিত স্কুল/কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা জানেই না কী এই গণজাগরণ মঞ্চ এবং কী তাদের কর্মসূচি। অথচ দেশের প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় অবস্থিত মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা জানে গণজাগরণ মঞ্চ ইসলামবিরোধী নাস্তিকদের একটি দল! এমন অবস্থায় গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের উচিত তাদের কার্যক্রম কেবল টিভি ক্যামেরার কাছাকাছি (ঢাকাসহ কয়েকটি বড় শহরকেন্দ্রিক) না রেখে গ্রাম পর্যায়ে বিস্তৃত করা। প্রয়োজনে নেতৃত্বে পরিবর্তন এনে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সুসংগঠিত করতে হবে প্রতিটি এলাকা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভিত্তিক ইউনিট। সেই সঙ্গে সংগঠিত করতে হবে আন্দোলনের কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের জোগান দেয়ার মতো তহবিল। সম্পৃক্ত করতে হবে ৭১-এর ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির মতো সমমনা সংগঠনগুলোকে। ইমোশনকে প্রধান্য দিয়ে বা বাদ দিয়ে নয়; বরং সংযত রেখে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে যেতে হবে চূড়ান্ত বিজয়ের লক্ষ্যে।

মনে রাখতে হবে এ দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ নাস্তিকতা এবং ধর্মান্ধতা এ দুটোর কোনোটিই কোনো দিন মেনে নেয়নি, মেনে নেবে না। দ্রুত না হোক, দেরিতে হলেও আগামী প্রজন্মের প্রতিটি নাগরিককে তৈরি করতে হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শানিত সুখীসমৃদ্ধ, আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে উজ্জীবিত সৎ ও কর্মঠ মানুষে। তবেই নিশ্চিত হবে বীর বাঙালির চূড়ান্ত বিজয়।



[মো. রহমত উল্লাহ্: অধ্যক্ষ ও লেখক]

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.