নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ চেহেরায় থাকে না, থাকে বুকের ভিতর। এর কোন বিবর্তন নেই। এ সৃষ্টির সেরা।

রাহাত চৌধুরী(দুঃখ বিলাসী কবি)

লেখক

রাহাত চৌধুরী(দুঃখ বিলাসী কবি) › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারী এবং ওড়না ফ্যাশন

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৮

কিছুদিন আগের কথা,আমি আর আমার ফ্রেন্ড সন্ধ্যার দিকে গেট থেকে এক কিলো রাস্তা দিয়ে হাটতে হাটতে গোল চত্বর এ আসছিলাম।রাস্তার ঠিক মধ্য দিয়ে সারি করে এক কি.মি জুড়েই গাছ লাগানো আছে।এর মানে এই রাস্তার এক পাশ দিয়ে গাড়ি যায়,আর অন্য পাশ দিয়ে গাড়ি আসে।।আমরা দুজন রাস্তার যে পাশ দিয়ে হেটে হেটে ক্যাম্পাসের দিকে যাচ্ছিলাম অন্য পাশ দিয়ে রিক্সায় এক ভাইয়া আর এক আপু ক্যাম্পাস থেকে গেটের দিকে আসতেছিল।।সাস্টের এটা সাধারন ঘটনা।।একটু পর শুনি আপু চিত্তকার করছে,ও মা বলে।।আসলে আপুর ওড়নাটা রিক্সার চাকার সাথে পেচিয়ে গেছিল।ওরনা পেচতে পেচতে অনেকটা পেচিয়ে গেছিল,আপু মাথা একদম নিচে নেমে গেছিল।আপুর অনেক লেগেছিল। মাত্র কয়েক সেকেন্ড এর ঘটনা এটি।রিক্সাটা যদি ব্যাটারি চালিত হত তবে আপুর কপালে সত্যিই অনেক খারাপ কিছু থাকত।কারন ব্যাটারি চালিত রিক্সা গুলো অনেক দ্রুত চলে।মানুষ চালিত আই মীন নিজের শক্তি দিয়ে চালাইতে হয় বলে রিক্সাওয়ালা পিছনের দিকে একটা টান অনুভব করেছে যখন ওরনা পেচিয়ে গেছে,এবং তার রিক্সার স্প্রিডও কমে গেছেছিল।।

এখন থেকে এক বছর আগের কথা,আমার বাসায় এ দিকে এরকম একটা ঘটনা ঘটে।ছোট্ট একটা মেয়ে,যে এস.এস.সি পরিক্ষা দিচ্ছিল।সব পরিক্ষা দেওয়া শেষ,বাসায় আসছিল ভ্যানে মজা করতে করতে।ভ্যান ছিল ব্যাটারি চালিত।।মেয়েটা অনেক অনেক প্ল্যান করেছিল পরিক্ষা শেষে কি কি করবে,
কোথায় কোথায় যাবে,কত কত মজা করবে।সে তার বন্ধুকে তার প্লানের কথা গুলো ভ্যানে বলছিল।কিন্তু বাসায় আসার আগেই এক হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘটে।মেয়েটার ওড়না লেগে যায় ভ্যানের চাকার সাথে,এবং কিছু সময়ের মধ্যেই সব শেষ,মেয়েটা সবাইকে ছেড়ে চলে যায়।সেই পরিক্ষার রেজাল্ট দেয় প্রায় ৩ মাস পর,
শুনেছিলাম সে নাকি A+ পেয়েছিল।।একবার ভেবে দেখেছেন এটা কত বড় কষ্টের ব্যাপার তার পরিবারের জন্যে।।

আসলে এখনকার মেয়ে গুলো বড্ড আজব প্রকৃতির।ওড়না যে জন্যে ব্যবহার করতে দেওয়া হয় বাংলাদেশের ১০০% মেয়ের মধ্যে মাত্র ৩-৫% ওড়নার যথাযথ ব্যবহার করে, বাকি ৯৫-৯৭% ই ওড়নাকে ব্যবহার করে ফ্যাশন হিসাবে। এরা দেখি ওড়নাকে গলায় পেঁচিয়ে রাখে।।কারো ওড়না আবার রাস্তা পরিষ্কার করে।
আর এরা যখন রিক্সায় বয় ফ্রেন্ডের সাথে ওঠে তখন তো ভূলেই যায় তিনি কোন জগতে আছেন।এদের একটু সচেতনার অভাবেই অনেক বড় দূর্ঘটনা ঘটে যায়।এরা শুধু নিজে মরে না,সাথে মেরে ফেলে তাদের পরিবারের সবার সুখ,তাকে নিয়ে দেখা স্বপ্ন গুলো।আপু প্লিজ প্লিজ একটু সচেতন হোন,রিক্সায় যখন ওঠবেন একটু সচেতন হোন,
নিজের ওড়নার যথাযথ ব্যবহার করুন,
এই "দুঃখ বিলাসী কবি" র পক্ষ থেকে সব আপুদের নিরাপদ,সুস্থ্য, সুখি জীবনের জন্যে অনেক অনেক শুভ কামনা রইল।।আমার এই পোষ্টটি পড়ার পর কেউ একজনও যদি সচেতন হয় তবে আমার লিখাটা স্বার্থক।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.