| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রায়হানা তনয় দা ফাইটার
আমি। কেউ না। তবে মাঝে মাঝে আমার দুষ্ট মনটা কানে কানে এসে বলে, তুমি মহাকালের উচ্ছল সমুদ্রে ভেসে বেড়ানো এক কচুরিপনা । কালের ঊর্মিমালার সাথে সাথে নাচা ছাড়া তোমার আর কোন কাজই নেই.....
আর কোন কবিতা লিখবো না আমি;
যতদিন এইসব দালানের চাপে পড়া কুঠিরে আহাজারি শুনবো।
যতদিন রাস্তায় দেখবো পুড়ে খাক হওয়া মানুষের তৈলচিত্র।
যতদিন শুনবো মসনদের লোভে মাতৃকা তুর বুকে বুটের ধমধমানি।
যতদিন ছেলে-হারা-মার আর্তচিৎকার পাতালে কাঁপন ধরাবে।
এই চিৎকারের উপর যায় এমন কবিতা আছে তুর থলেতে?
পদ্য তুর পদচুম্বন আর করবো না আমি;
যতদিন দেখবো পাশের বাড়ির ছকিনাদের গলায় দড়ি বাঁধতে
বাবার পণ দেয়ার অক্ষমতার দায়ভার বুকে চেপে।
যতদিন প্রেমিকার অশ্রু ঝরতে দেখবো ছ্যাছড়া প্রেমিকের ধুকার
শিকার হয়ে আর সুপুরুষের মাতাল হয়ে যাওয়া দেখবো অস্পৃশ্য
রমনীর নষ্ট প্রেমের ধুকপুকানি দেখে আর দেখবো আত্মহুতি দিতে।
যেদিন দেখবো
এদেশে সব দালান উঠেছে নয়তো কুঠিরে কুঠিরে সেজেছে মা আমার;
যেদিন দেখবো,
এদেশের ক্রন্দন থেমে গেছে আর শুনবো হাসির ফোয়ারার সুর;
যেদিন দেখবো,
মজলুমের অশ্রুনীরে ধুয়ে মুছে নতুন ভাবে সবুজ জেগেছে এক
ফোটা রক্তের চারিধার ঘেষে;
হ্যাঁ, আমি সেদিন লিখবো শেষ কবিতা আমার।
একটি অনবদ্য, অক্ষয় আর অবিনাশী বাক্যে ভালবাসার সবটুকু ঢেলে;
জয় বাংলা। জয়লার বাংলার জনগণ।
নচেৎ?
কসম তোর সেইসব বীর পুরুষের যাদের রক্ত গঙ্গায় স্নান করে
তুই মাথা তুলেছিস মা। কসম তাদের বীরত্বের। আমি আরেকবার
এই পুরো ভুখন্ডে রক্তের গালিচা বিচিয়ে খোদার আরস নামাবো তোর
মানচিত্র বদলাতে। তখন আর সবুজের বুকে রুধির-বিন্দু নয়; এক
রক্ত-বাহারের মাঝে থাকবে শুধু কচুরিপনার একটি সবুজ পাতা।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাঁচালেন