নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুরগীর ডিম হোক আর ঘোড়ার ডিম, কোন একটা উপলক্ষ পেলেই হল। এই শহরের মানুষ সেখানে হুমড়ি খেয়ে পড়ে! কেনাবেচাটা মূখ্য নয়; আসল কথা হল উপলক্ষ, কোথাও যাওয়ার একটা সুযোগ
দুই কোটি মানুষের এই শহর। প্রকৃত অর্থে এই শহরের জনসংখ্যা আরও বেশি। এই বিশাল সংখ্যক জনসংখ্যার বিনোদনের দিকটি কখনোই বিবেচনা করা হয় নি। ফলে একটা অদ্ভুত শহর গড়ে উঠেছে, যেখানে বিনোদনের কোন ব্যবস্থা নেই, উন্মুক্ত স্থান নেই; যেখানে সময়ে অসময়ে, ছুটির দিনে মানুষ একত্রিত হবে অথবা সময় কাটাবে। বিচিত্র এক নগরী, যেখানে হাঁটার জন্য অধিকাংশ রাস্তায় কোন ফুটপাত নেই। যতটুকু আছে, তার বেশিরভাগ অংশ দখলে চলে গেছে। অথবা সারাদিন হকারদের দখলে থাকে।
গোটা রাজধানী জুড়ে একমাত্র উন্মুক্ত স্থান হল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, যেখানে আবার সব ধরনের সভা সমাবেশ, মেলা, মিছিল মিটিংয়ের জন্য দখলে থাকে প্রায় গোটা বছর! এর মধ্যে অর্ধেক উদ্যান দখল করে জাদুঘর বানানো হয়েছে। বিকেলের পরে, বা একটু সন্ধ্যা হলে বাকি অর্ধেক জুড়ে মাদক, ছিনতাইকারী অথবা নারী ব্যবসা শুরু হয়। ফলে সাধারণ মানুষের জন্য সেটা এক ভুতুড়ে জায়গায় পরিণত হয়।
নতুন করে হাতিরঝিলে একটা উন্মুক্ত জায়গা তৈরি করা হয়েছে, যা আবার এই শহরের নাগরিকদের বিনোদনের কথা চিন্তা করে বানানো হয় নি। এটা মূলত রোড নেটওয়ার্ক। তবুও রাস্তার ধারে যতটুকু পারা যায়, মানুষজন হাঁটা-চলা করে। অথচ একটু ভেবে-চিন্তে বানালে এটা হতে পারতো এই শহরের মানুষের জন্য চমৎকার এক বিনোদনের কেন্দ্র!
এর বাইরে আছে কিছু হাউজিং সোসাইটির মাঠ, ঢাকা ইউনিভার্সিটি, চন্দ্রিমা উদ্যান, উত্তরার দিয়াবাড়ি।
হাউজিং সোসাইটিগুলো মনে করে এসব মাঠ তাদের নিজস্ব সম্পত্তি। ফলে খেলাধুলা হাঁটাচলার সুযোগ সেখানে কম; বরং নানা ধরনের অনুষ্ঠানে ভাড়া খাটানো, বিভিন্ন মেলার আয়োজন নিয়ে তারা অনেক বেশি ব্যস্ত। কারণ এসব থেকে নগদ টাকা মেলে।
ঢাকা বিম্ববিদ্যালয় এই শহরের মানুষের জন্য এক স্বস্তির জায়গা। বড় করে নি:শ্বাস ফেলা এবং পাবলিক টয়লেটের সংকটের শহরে লোকজনের হাগা-মুতার চমৎকার জন্য এক চমৎকার স্থান ঢাকা ইউনিভারসিটি। ফলে ছুটির দিনে অতিরিক্ত মানুষের চাপে গোটা ইউনিভারসিটির নিরাপত্তা এখন হুমকির মুখে।
চন্দ্রিমা উদ্যান এবং আশেপাশের এলাকা নানা রকমের ভিআইপি কর্মকান্ডের জন্য ব্যস্ত থাকে। ফলে সাধারণ মানুষের জন্য এই নিয়ম, সেই বিপত্তির অন্ত নাই। একদিন এই গেইট বন্ধতো, আরেক দিন অন্য গেইট!
সিনেমা চলে গেছে সাধারণ মানুষের হাতের বাইরে। কম খরচের হলগুলো প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। ব্লকবাস্টার হয়ে গেছে বড় বড় শপিংমল কেন্দ্রিক; যা সাধারণ মানুষের ক্ষমতার বাইরে। অতএব সিনেমাকেন্দ্রীক বিনোদনও বন্ধ!
মোট কথা, পৃথিবীর এক অনন্য শহর ঢাকা, যেখানে মানুষের নি:শ্বাস ফেলার সুযোগ, বিনোদনের প্রয়োজনীয়তাকে সরাসরি অস্বীকার করা হয়েছে! ফলে মানুষ যখনই কোন মেলা, অনুষ্ঠানের খবর পাচ্ছে, দলবেঁধে ছুটে যাচ্ছে। সে হোক বাণিজ্য, বই, ডিম, অথবা বৈশাখ!
ফলে আপনি যদি মনে করেন, আজকের ডিম মেলায় হাজারে হাজারে মানুষ ডিম কিনতে গেছে, আমার ধারণা সেটা ভুল হবে। মানুষ এই ছুটির দিনে একটু বিনোদনের আশায় একত্রিত হয়েছে।
আপনি আগামীকাল মুরগী মেলা করেন, দেখবেন অবস্থা একই হবে।
২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: বিশ্ব আলকাতরা দিবস বলতে যদি কিছু থাকে। আর দিনটি যদি পালন হয় এদেশে। তাহলে সেদিন নিশ্চয়ই মাগনা আলকাতরা নিতে জড়ো হবে গোটা শহর।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৬
আবু তালেব শেখ বলেছেন: সব সম্ভাবনার বাংলাদেশ। আর মুভি কথা? বর্তমান বাংলা সিনেমা কেউ টাকা দিয়ে দেখবে? আবার শুনছি চাকিপ নাকি আর একটা ছবির শুটিং করছে।কি যেন নাম? মনে পড়েছে,,,,, চিটাগাংয়া পোয়া বরিহাইলা মাইয়া,,,,,,,