![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন মহাকাশপ্রেমী
মাতারা এক্সপ্রেস, যাকে "কুইন অফ দ্যা সী" বা সাগরের রাণী নামেও ডাকা হতো। এটি রাজধানী কলম্বো থেকে যাত্রা শুরু করে সমুদ্র উপকূল ঘেষে বন্দরনগরী গল হয়ে উপকূলীয় জেলা মাতারা পর্যন্ত নিয়মিত যাতায়াত করতো। ট্রেনের এই রুটটি ছিল শ্রীলংকার দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে। ২৬ ডিসেম্বর ২০০৪, বড়দিন এবং বুদ্ধপূর্ণিমার ছুটি থাকায় সেদিন ট্রেনে ছিল উপচে পড়া ভীড়। কলম্বোর ফোর্ট স্টেশন থেকে সেদিন প্রায় ১৫০০ যাত্রী টিকিট কেটে ট্রেনে উঠেছিল, এছাড়াও আরো অসংখ্য যাত্রী টিকিট ছাড়াই ট্রেনে উঠেছিল, যাদের অনেকেই বন্দরনগরী গলে পরিবারের সাথে ছুটি কাটাতে যাচ্ছিলেন। কেউ হয়ত স্বপ্নেও ভাবেনি কত ভয়াবহ এক বিপদ সেদিন তাদের অপেক্ষায় ছিল। এদিন স্থানীয় সময় সাড়ে ৬টার দিকে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রায় এক ভয়াবহ ভূমিকম্প সংঘটিত হয়। ভূমিকম্পের মাত্র ৫-১৫ মিনিটের মধ্যেই ইন্দোনেশিয়ায় সুনামি আঘাত হানে। শ্রীলংকার সিসমিক মনিটরিং স্টেশনও ভূমিকম্পটি রেকর্ড করে। তারা ভেবেছিল শ্রীলংকার উপকূলীয় অঞ্চলে সুনামি আসার সম্ভাবনা নেই। আনুমানিক সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে, অর্থাৎ সুমাত্রার ভূমিকম্পের প্রায় ২০ মিনিট পর ট্রেনটি বন্দরনগরী গলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
এদিকে ভূমিকম্পের প্রায় ১ ঘন্টা ৪৫ মিনিট পর স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে সুনামি প্রথমে শ্রীলংকার পূর্ব উপকূলে আঘাত হানে। কলম্বোর ম্যারাডানার রেল স্টেশনের অফিসে যখন সুনামির রিপোর্ট পৌছলো, তখন কর্মকর্তারা উপকূলীয় লাইনে চলমান ৮টি ট্রেন থামাতে সক্ষম হয়েছিল, কিন্তু মাতারা এক্সপ্রেসের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তারা অম্বালংগোডা স্টেশনে ট্রেনটি থামানোর উদ্দেশ্যে সেখানে ফোন করেন, কিন্তু তখন স্টেশনের কর্মীরা ব্যস্ত থাকায় ফোনের জবাব দেয়ার জন্য কাউকে পাওয়া যায়নি। এদিকে পূর্ব উপকূলে আঘাত হানার প্রায় ৩০ মিনিট পর ৯টা ১৫ মিনিটের দিকে সুনামি শ্রীলংকার দক্ষিণ উপকূলে আঘাত হানা শুরু করে। মাতারা এক্সপ্রেস তখনও দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের রুট ধরে গলের উদ্দেশ্যে এগিয়ে চলেছে। সুনামির বিষয়ে তাদের কাছে কোন তথ্যই ছিল না। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ট্রেনটি তেলওয়াতার নিকটবর্তী পেরালিয়া নামক স্থানে পৌছায়। তেলওয়াতার রেলপথটি সমুদ্র থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরত্বে ছিল।
মাতারা এক্সপ্রেস পেরালিয়ায় পৌছানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে সুনামি আঘাত হানে। সুনামির প্রথম ঢেউটি যখন পেরালিয়ার উপকূলকে প্লাবিত করলো, তখন চালক ট্রেনটি থামিয়ে দিলেন এবং যাত্রীদের সতর্ক করতে একটি অ্যালার্ম বাজালেন। তখন যাত্রীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লো। অনেকে ট্রেন থেকে নিচে নেমে সমুদ্রের বিপরীত দিকে ট্রেনের পাশে আশ্রয় নিলো সমুদ্রের ঢেউ থেকে বাঁচার আশায়। অনেকে আবার ট্রেনের ভেতরে থাকাটায় অধিক নিরাপদ মনে করলো। ১০ মিনিটের মধ্যেই একটি বিশাল ঢেউ ট্রেনটিতে আচড়ে পড়লো। ফলে ট্রেনটি লাইন থেকে ছিটকে পড়ে এবং এর বগিগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ট্রেনের পাশে যারা আশ্রয় নিয়েছিল তারা ট্রেনের নিচে চাপা পড়ে যায়, অনেকে স্রোতের মাঝে তলিয়ে যায়। এ ঘটনায় কমপক্ষে ১৭০০ জন, মতান্তরে ২ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটে। দুর্ঘটনার প্রায় ৭ ঘন্টা পর বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটের দিকে সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার প্রথম মাতারা এক্সপ্রেসের অবস্থান জানতে পারে। শ্রীলংকা কর্তৃপক্ষের মতে ট্রেনটির প্রায় দেড় শতাধিক যাত্রী এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা থেকে প্রাণে বেঁচে ফিরেছিল।
তথ্যসূত্র ও ছবি কৃতজ্ঞতাঃ Wikipedia, news first, the national
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৪২
রাকিব আর পি এম সি বলেছেন: হুমম, ঠিক বলেছেন। প্রকৃতপক্ষে কি হয়েছিল এটা তারাই ভাল জানেন।
২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: পৃথিবীর কোনো দেশে যেন আর এরকম না হয়।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:২৬
রাকিব আর পি এম সি বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ রাজীব ভাই। এমন দুর্ঘটনা কখনোই কাম্য নয়।
৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৪৬
রোহান খান বলেছেন: ভয়াবহ অবস্থ্যা ।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:১৪
রাকিব আর পি এম সি বলেছেন: জি, অত্যন্ত ভয়াবহ। মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৫০
নতুন নকিব বলেছেন:
এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা যেন আর কোথাও না ঘটে।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:১৬
রাকিব আর পি এম সি বলেছেন: আল্লাহ সবাইকে হেদায়েত দান করুক। আমিন। মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন।
৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:১৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কী ভয়ানক। সবই আল্লাহ তাআলার ইচ্ছে।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:০১
রাকিব আর পি এম সি বলেছেন: জি, আল্লাহ তাআলা যেন আর কাউকে এমন ভয়াবহ মৃত্যুর মুখোমুখি না করেন। আমিন। মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
৬| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:০২
রাকিব আর পি এম সি বলেছেন: প্রতিমন্তব্যের জন্য আপনাকেও আবারো ধন্যবাদ
৭| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩১
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: খুবই মর্মান্তিক ঘটনা।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৪
রাকিব আর পি এম সি বলেছেন: সত্যিই তাই। ছুটির আনন্দ মূহূর্ত্বেই সেদিন মৃত্যুর কাছে ম্লান হয়ে গিয়েছিল। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
৮| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:২৬
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৭
রাকিব আর পি এম সি বলেছেন: নিউজটি পড়লাম।
৯| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: অসচেতনতা ও গতি - মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৫৩
রাকিব আর পি এম সি বলেছেন: ঠিক বলেছেন। সুন্দর মন্তব্যের জন্য অাপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
ট্রেনটিকে থামানোর জন্য অম্বালংগডা ষ্টেশনে ফোন করে কোন রেল কর্মচারীকে পাওয়া যায়নি; মুরগীর বাচ্চাদের চিলে খায়।