নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"আমি সেই অবহেলা, আমি সেই নতমুখ, নিরবে ফিরে যাওয়া অভিমান-ভেজা চোখ, আমাকে গ্রহণ কর\"- রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ

রাকিব আর পি এম সি

একজন মহাকাশপ্রেমী

রাকিব আর পি এম সি › বিস্তারিত পোস্টঃ

কারবালার ইতিহাস (পর্বঃ ০২)

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:০৯


উবায়দুল্লাহ ইবন যিয়াদ এসময় হানির ব্যাপারে লােকদেরকে খুৎবা দিচ্ছিল এবং তাদেরকে বিচ্ছিন্ন ও বিরােধিতা থেকে সাবধান করছিল। তার মিম্বরের নীচে কূফার আমীর ও সম্রান্ত লােকেরা উপস্থিত ছিল। ইবন যিয়াদ যখন এ অবস্থায় তখন তার লােকেরা এসে বলল, মুসলিম বিন আকীল এসে পড়েছে। তখন উবায়দুল্লাহ্ এবং তার সাথে যারা ছিল সকলে দ্রুত প্রাসাদে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দিল। মুসলিম বিন আকীল যখন তার বাহিনী নিয়ে প্রাসাদের প্রবেশ দ্বারে উপনীত হলেন, তখন সেখানে থেমে অবস্থান গ্রহণ করলেন। বিভিন্ন গােত্রের উমারা যারা উবায়দুল্লাহর সাথে ছিল তারা প্রাসাদ থেকে উঁকি দিল এবং তাদের গােত্রের যে সকল সদস্য মুসলিমের সাথে ছিল তাদেরকে ফিরে যাওয়ার ইঙ্গিত করল, ভয় দেখালাে এবং হুমকি-ধামকি দিল। এসময় উবায়দুল্লাহ কয়েকজন উমারাকে আদেশ করল এবং তাদেরকে বের হয়ে কূফার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে লােকদেরকে মুসলিম বিন আকীল থেকে সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিল। তারা তা করলো এবং তখন লােকেরা মুসলিম বিন আকীলকে অসহায় অবস্থায় রেখে একে একে তার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সরে পড়ল এবং দেখা গেল তার সাথে পাঁচশ যােদ্ধা রয়েছে। এরপর তাদের সংখ্যা হ্রাস পেয়ে তিনশ তারপর ত্রিশে দাঁড়াল। তিনি তাদেরকে নিয়ে মাগরিবের নামাজ পড়লেন এবং আবওয়াবে কিনদা অভিমুখী হলেন। আর সেখান থেকে দশজন নিয়ে বের হলেন, তারপর এরাও সটকে পড়ল। তিনি সম্পূর্ণ একাকী হয়ে পড়লেন, তার সাথে না থাকল পথ দেখানাের মত কেউ, কিংবা অন্তরঙ্গতা দান করার মত কেউ, কিংবা নিজ গৃহে আশ্রয় দান করার মত কেউ।

তখন তিনি অজানা গন্তব্যের পথে বেরিয়ে পড়লেন, আর এদিকে অন্ধকার ঘনীভূত হয়ে এসেছিল। তিনি এক গৃহদ্বারে উপস্থিত হয়ে করাঘাত করলেন, তখন ত্বওয়া নামক এক স্ত্রীলােক বের হল, আর সে ছিল আল আশাছ বিন কায়সের ঔরসে সন্তান জন্মদানকারিণী বাদী। বিলাল বিন উসয়াদ নামে অন্য স্বামীর ঔরসজাত তার একটি ছেলে ছিল। সে লােকদের সাথে বেরিয়ে যাওয়ায় তার মা দরজায় দাঁড়িয়ে তার জন্য অপেক্ষায় ছিল। মুসলিম বিন আকীল তার কাছে পানি খেতে চাইলেন। অতঃপর তিনি দাঁড়িয়ে বললেন, "হে আল্লাহর দাসী ! এই শহরে আমার কোন বাড়ি ঘর কিংবা স্বজন পরিজন কিছুই নাই । তােমার কি আমার প্রতি একটু সদাচার ও অনুগ্রহের সুযােগ আছে? যার পুরস্কার আমি পরে তােমাকে দিব।" তখন সে বলল, তা কি? তিনি বললেন, "আমি মুসলিম বিন আকীল। এই লােকেরা আমার সাথে মিথ্যা বলেছে এবং আমাকে ধােকা দিয়েছে।" সে বলল, আপনি মুসলিম বিন আকীল? তিনি বললেন, হ্যা। সে বলল, আপনি ভেতরে প্রবেশ করুন। এরপর সে তাকে তার বাড়ির অপেক্ষাকৃত একটি নিরাপদ ঘরে নিয়ে গেল এবং সেখানে তাঁর শয্যা প্রস্তুত করে আহারের ব্যবস্থা করল। কিন্তু তিনি আহার গ্রহণ করলেন না। কিছুক্ষণ যেতে না যেতেই সেই ছেলেটি এসে পৌঁছল এবং তার মাকে বারবার বের হতে এবং প্রবেশ করতে দেখে তাকে সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করল। তখন সে বলল, বাছা ! এটা নিয়ে মাথা ঘামিও না। কিন্তু ছেলেটি পীড়াপীড়ি করায় কাউকে অবহিত না করার শর্তে তার মা তাকে মুসলিম বিন আকীলের কথা বলল। এরপর সে সকাল পর্যন্ত চুপচাপ শুয়ে থাকল।

এদিকে পরদিন সকালে সেই স্ত্রীলােকের ছেলে আবদুর রহমান নামক জনৈক লোকের কাছে গিয়ে তাকে জানালাে যে, মুসলিম বিন আকীল তাদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন । তখন আবদুর রহমান এসে তার পিতার কানে কানে তা বলল, আর সে সময় তার পিতা ইবন যিয়াদের কাছে ছিল। তখন ইবন যিয়াদ প্রশ্ন করল, সে তােমার কানে কানে কী বলল? তখন সে তাকে বিষয়টি অবহিত করল। তখন ই যিয়াদ একটি দণ্ড নিয়ে তার পার্শ্বদেশে খোঁচা মেরে বলল, যাও ! এখনি তাকে আমার কাছে নিয়ে এসাে। এ সময় যিয়াদ তার সিপাহী প্রধান আমর বিন হুরায়স আল মাখযুমীকে এবং তার সাথে আবদুর রহমান ও মুহাম্মদ ইবনুল আশ'আছকে সত্তর বা আশিজন অশ্বারােহীসহ পাঠাল। এরপর মুসলিম বিন আকীল এ বিষয়ে কিছু অনুভব করার পূর্বেই সেই বাড়ি ঘিরে নেওয়া হল। এরপর তারা ভিতরে প্রবেশ করে তাঁকে কাবু করার চেষ্টা করল। কিন্তু তিনি তরবারি দিয়ে তাদেরকে প্রতিহত করলেন এবং তিনবার তাদেরকে বাড়ির ভিতর থেকে পিছু হটিয়ে দিলেন। এসময় তার উপরের ও নীচের ঠোট ক্ষত-বিক্ষত হল। এভাবে উদ্দেশ্য লাভে ব্যর্থ হয়ে তারা তাঁকে পাথর নিক্ষেপ করতে লাগল এবং বাঁশের রশিতে আগুন ধরিয়ে দিতে লাগল। এবার তিনি নিরুপায় হয়ে বেরিয়ে আসলেন এবং তাঁর তরবারি দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে লড়তে লাগলেন, তখন আবদুর রহমান তাকে ‘অমান' (জীবনের নিরাপত্তা) প্রদান করলেন। তখন তিনি তার হাতে আত্মসমর্পণ করলেন। তখন একটি খচ্চর এনে তাঁকে তাতে আরােহণ করান হল এবং তাঁর তরবারি ছিনিয়ে নেওয়া হল। এ সময় তিনি আর নিজেকে সংবরণ করতে না পেরে কেঁদে ফেললেন এবং এও বুঝতে পারলেন তাঁকে হত্যা করা হবে। তাই তিনি বাঁচার আশা ছেড়ে দিলেন এবং বললেন, ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তখন তাঁর পাশ থেকে কেউ বলে উঠল, আপনি যে বিষয়ে প্রত্যাশী এই বিপদে পতিত হয়ে কাঁদা তাঁর জন্য শােভনীয় নয়। তখন তিনি বললেন, আল্লাহর কসম ! আমি নিজের বিপদে কাঁদছি না, আমি কাঁদছি হুসায়ন (রা) ও তাঁর পরিবারের কথা ভেবে। আজ কিংবা গতকাল তােমাদের উদ্দেশ্যে সে মক্কা ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছে। তারপর তিনি মুহাম্মদ ইবনুল আশআছের দিকে ফিরে বললেন, যদি তুমি হুসায়নের (রা) নিকট একজন দূত পাঠিয়ে আমার বরাত দিয়ে তাকে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিতে পার তাহলে তা কর। তখন মুহাম্মদ ইবনুল আশআছ ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে, হযরত হুসায়নের (রা) কাছে দূত পাঠিয়েছিল । কিন্তু তিনি সে ব্যাপারে দূতের কথা বিশ্বাস করেন নি। তিনি এসময় বললেন, আল্লাহর যা ফয়সালা তা হবেই।

মুসলিম বিন আকীল যখন কূফা প্রশাসকের প্রাসাদ দ্বারে পৌছল, তখন সাহাবার ছেলেগণের মধ্য থেকে তার পরিচিত একদল আমীর উমারা ছিলেন। ইবন যিয়াদের সাক্ষাতের জন্য তারা অনুমতির অপেক্ষায় ছিলেন। এদিকে মুসলিম বিন অাকীল গুরুতর আহত তার মুখমণ্ডল ও কাপড় চোপড় রক্তে রঞ্জিত তিনি ভীষণ পিপাসার্ত। এরপর তাকে ইবন যিয়াদের সাক্ষাতে প্রবেশ করানাে হল। ইবন যিয়াদ মুসলিমকে লক্ষ্য করে বলল, আমি তােমাকে হত্যা করব। তিনি বললেন, সত্যিই নাকি? সে বলল, হ্যা। তিনি বললেন, তাহলে আমার গােত্রের কারাে কাছে আমাকে ওসীয়ত করার সুযােগ দাও। সে বলল, ঠিক আছে। তুমি তোমার অসিয়ত কর। তখন তিনি সেখানে উপবেশনকারীদের মাঝে উমর বিন সাদ বিন আবু ওয়াক্কাসকে দেখতে পেয়ে তাকে বললেন, হে উমর! আমার ও তােমার মাঝে আত্মীয়তা রয়েছে। এখন তােমার কাছে আমার একটি প্রয়ােজন দেখা দিয়েছে যা গােপনীয়, তাই তুমি উঠে আমার সাথে প্রাসাদের এক কোণে আসো, যাতে আমি তা তােমাকে বলতে পারি । কিন্তু সে তার সাথে উঠে যেতে অস্বীকৃতি জানাল। অবশেষে ইবন যিয়াদ তাকে অনুমতি দিল। তখন সে ইবন যিয়াদের কাছেই এক কোণে সরে দাঁড়াল। তখন মুসলিম তাকে বলল, কূফায় আমার সাতশ দিরহাম ঋণ রয়েছে আমার পক্ষ থেকে তুমি তা আদায় করে দিও। আর ইবন যিয়াদ থেকে আমার মৃত দেহ চেয়ে নিয়ে, দাফনের ব্যবস্থা করাে, আর হুসায়নের কাছে একজন দূত পাঠিয়ে (তাকে সব জানিয়ে) দিও। কেননা, আমি তাকে লিখেছিলাম যে, কূফাবাসীরা তার সাথে আছে। আর আমার মনে হয় সে এসে পড়বে। যখন উমর গিয়ে ইবন যিয়াদের কাছে তার আবেদনগুলাে পেশ করল। তখন সে সবগুলাের অনুমতি প্রদান করল এবং বলল, হুসায়ন (রা) যদি আমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে না চায় তাহলে আমরাও তাঁর বিরুদ্ধে লড়ব না। কিন্তু যদি সে চায় তাহলে আমরাও বিরত থাকব না।

তারপর ইবন যিয়াদের নির্দেশে মুসলিম বিন আকীলকে প্রাসাদের সর্বোচ্চস্থানে আরােহণ করানাে হল, আর এসময় তিনি তাকবীর, তাহলীল, তাসবীহ ও ইসতিগফার পড়ছিলেন। এরপর বুকায়র বিন হুমরান নামে এক ব্যক্তি তার শিরচ্ছেদ করল এবং প্রথমে মাথা অতঃপর ধড় প্রাসাদের নীচে নিক্ষেপ করা হল। তারপর তার নির্দেশে সেখানকার ভেড়া ছাগল বিক্রির স্থানে হানি বিন উরওয়া আল মাজহিযীর শিরচ্ছেদ করা হয় এবং তার মরদেহ কুনাসাহ নামে কুফার একস্থানে শূলবিদ্ধ করে রাখা হয়। কূফাতে মুসলিম বিন আকীলের বিদ্রোহ শুরু হয়েছিল যুল মাসের হজ্জ আট তারিখ মঙ্গলবার, আর তিনি নিহত হন যুল হজ্জের নয় তারিখ বুধবার, আর তা ছিল ষাট হিজরীর আরাফার দিন। আর তা ছিল ইরাকের উদ্দেশ্যে হযরত হুসায়ন (রা)-এর মক্কা থেকে বের হওয়ার একদিন পরের ঘটনা। আর হযরত হুসায়ন (রা) মদীনা থেকে মক্কা অভিমুখে বের হয়েছিলেন, যাট হিজরীর রজব মাসের আটাশ তারিখ রবিবার, আর মক্কায় প্রবেশ করেছিলেন, শা'বানের তিন তারিখ শুক্রবার রাত্রে । এরপর তিনি মক্কায় অবস্থান করেন, শা'বানের অবশিষ্ট দিনগুলাে এবং পূর্ণ রমযান, শাওয়াল ও যুল হাজ্জ। তারপর যুল হাজ্জের আট তারিখে ‘তালবিয়ার দিন' মঙ্গলবার মক্কা থেকে বের হলেন। হযরত হুসায়ন (রা) যখন (ইরাকের উদ্দেশ্যে) মক্কা থেকে বের হলেন তখন মক্কার নায়েব প্রশাসক আমর বিন সায়ীদের দূতগণ তার গতিরােধ করে দাঁড়াল। আর এদের নেতৃত্বে ছিল আমরের ভাই ইয়াহইয়া বিন সায়ীদ। তারা তাকে বলল, "আপনি কোথায় চলেছেন? ফিরে চলুন।" কিন্তু তিনি তাদের কথায় কর্ণপাত না করে অগ্রসর হলেন। এসময় উভয় দল পরস্পর ধাক্কাধাকি এবং চাবুক ও লাঠি দ্বারা মারামারি শুরু করল, এরপর হযরত হুসায়ন (রা) ও তার সঙ্গীরা তাদের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরােধ গড়ে তুললেন এবং তারা তাদের লক্ষ্যে অগ্রসর হলেন। হযরত হুসায়নের অনুসারীরা যখন মুসলিম বিন আকীলের নিহত হওয়ার কথা শুনল, তখন বনূ আকীল বিন আবূ তালিবের লােকজন ঝাপিয়ে পড়ে বলল, "আল্লাহর কসম ! আমরা আমাদের প্রতিশােধ গ্রহণ করার কিংবা আমাদের ভাইয়ের পরিণতি বরণ করার পূর্বে আপনি ফিরবেন না।" হযরত হুসায়ন (রা) তার স্বজন-পরিজন ও অনুসারীদের নিয়ে কূফার অভিমুখে অগ্রসর হচ্ছিলেন। তখন ইবন যিয়াদ তার লােকদের নির্দেশ দিল, ওয়াকিসাহ থেকে একদিকে শামের পথ অন্যদিকে বসরার পথ পর্যন্ত পাহারা দিয়ে সংরক্ষিত করে রাখতে। এই এলাকার মাঝে তারা কাউকে প্রবেশ করতে দিবে না এবং এখান থেকে কাউকে বেরও হতে দেবে না। এদিকে হযরত হুসায়ন (রা) এসবের কিছু অনুভব করার পূর্বেই মরুবাসীদের বসতিতে উপনীত হলেন। তখন তিনি তাদেরকে ইবন যিয়াদের লােকদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তারা বলল, "আল্লাহর কসম! আমরা কিছু জানি না, তবে এতটুকু বলতে পারি আপনি বাইরে থেকে ভেতরে প্রবেশ করতে পারবেন না, আর ভেতর থেকে বের হতে পারবেন না।" (চলবে...)



তথ্যসূত্রঃ আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া- ইবনে কাসীর (অষ্টম খন্ড)
ছবি কৃতজ্ঞতাঃ গুগল থেকে সংগৃহীত

পর্বঃ ০১ Click This Link

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: ঈশ্বরের হাতে সময় অসীম । তাই ঠিক সময়ে সূর্য ওঠে, ঠিক সময়ে অস্ত যায় ।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৬

রাকিব আর পি এম সি বলেছেন: এগুলো সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়ম বা হুকুম দ্বারা পরিচালিত। মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন।

২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০১

ইসিয়াক বলেছেন: ইসলামের ইতিহাসে বড় বেশী সহনশীলতার অভাব দেখা যায়।
আল্লাহ ধৈর্যশীলকে পছন্দ করেন।ইসলাম হলো শান্তির ধর্ম এটাই তারা বারবার ভুলে যায়।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:০০

রাকিব আর পি এম সি বলেছেন: ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে সেটিই পরিলক্ষিত হয়। অামরা একটি শান্তিপূর্ণ বিশ্ব চাই যেখানে হিন্দু-মুসলিম-খ্রিস্টান-বৌদ্ধ-ইহুদী-শিখ-নাস্তিক সবাই শান্তিপূর্ণভাবে মিলেমিশে বসবাস করবে। কিন্তু রাষ্ট্রীয় নেতারা কি অাদৌ তা চান!!! সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

৩| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:০৮

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ইবনে কাসীর খুব প্রিয় একজন ইসলাম বিশারদ। তার ইতিহাস রচনা নির্মোহ ভাবে লেখা, যা অন্য ইসলামিক ইতিহাসবিদের মাঝে খুব বেশি দেখা যায় না।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৩

রাকিব আর পি এম সি বলেছেন: জি, ঠিক বলেছেন। ইবনে কাসীর অত্যন্ত প্রসিদ্ধ ইসলামী ইতিহাসবিদ। উনি ইসলামের ছোট-বড় প্রায় সব ঘটনায় তার বিখ্যাত "আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া" নামক সুবিশাল গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করেছেন। কারবালার ঘটনাটিও উনি অত্যন্ত বিশদভাবে বর্ণনা করেছেন। সেই ঘটনাটিই সংক্ষেপে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। পাশে থাকার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৪| ২৯ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি কি "আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া" এর বাংলা অনুবাদ পড়ে এ সিরিজটি লিখছেন?
মুসলমানদের জন্য এক বিরাট শোকাবহ ঘটনার বর্ণনা পড়তে পড়তে গা শিউরে উঠছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.