নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"আমি সেই অবহেলা, আমি সেই নতমুখ, নিরবে ফিরে যাওয়া অভিমান-ভেজা চোখ, আমাকে গ্রহণ কর\"- রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ

রাকিব আর পি এম সি

একজন মহাকাশপ্রেমী

রাকিব আর পি এম সি › বিস্তারিত পোস্টঃ

কারবালার ইতিহাস (শেষ পর্ব)

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:২৭


এরপর হযরত হুসায়ন (রা) একাকী অবস্থায় দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করলেন, যে-ই তার দিকে অগ্রসর হয় সে-ই ফিরে যায়। তার হত্যার দায় বহন করতে চায় না। অবশেষে মালিক ইবন বশীর নামে এক ব্যক্তি অগ্রসর হয়ে হযরত হুসায়ন (রা) এর মাথায় তরবারি দ্বারা আঘাত করে তার মাথা রক্তাক্ত করে দিল। হযরত হুসায়ন (রা)-এর মাথায় মােটা ধরনের টুপি ছিল। লােকটির আঘাত তা ভেদ করে তার মাথায় আঘাত করল। ফলে তার মাথার সেই টুপি রক্তে ভরে উঠল। তখন হুসায়ন (রা) তাকে বললেন, তা দ্বারা যেন তােমার পানাহার না হয় । তােমার হাশর যেন জালিমদের সাথে হয়। হযরত হুসায়ন (রা) ভীষণ ক্লান্ত হয়ে তাঁর তাঁবুর সামনে বসে পড়লেন। এ সময় আবদুল্লাহ নামে তার এক ছােট শিশুকে তার কাছে আনা হল। তখন তিনি তাঁকে কোলে বসালেন, তারপর তাঁকে চুমু খেতে লাগলেন, তার ঘ্রাণ শুকতে লাগলেন এবং তাকে বিদায় জানিয়ে তার স্বজনদের ওসীয়ত করতে লাগলেন। তখন এক ব্যক্তি তীর নিক্ষেপ করে শিশুটিকে হত্যা করল। তখন হযরত হুসায়ন তার রক্ত হাতে নিয়ে আকাশের দিকে নিক্ষেপ করে বললেন, হে আমার রব! আপনি যদি আমাদের থেকে আসমানী মদদ আটকে রেখে থাকেন তাহলে যা আরাে উত্তম তার জন্য তাকে নির্ধারণ করুন এবং আমাদেরকে জালিমদের থেকে প্রতিশােধ গ্রহণ করুন। এরপর আবু বকর ইবন হুসায়নকেও তীর নিক্ষেপ করে হত্যা করলো।

তারপর হযরত হুসায়নের (রা) ভাই আবদুল্লাহ, আব্বাস, উসমান, জাফর ও মুহাম্মদ নিহত হন। এদিকে হযরত হুসায়ন (রা) তীব্র পিপাসায় অস্থির হয়ে পড়েন এবং ফোরাতের পানি পান করার জন্য সেদিকে পৌছার চেষ্টা করেন কিন্তু শত্রুরা তাঁকে বাধা প্রদান করায় তিনি তা করতে সক্ষম হলেন না। অবশেষে যখন এক ঢােক পানি পান করলেন, তখন হাসীন ইবন তামীম নামক এক ব্যক্তি তার চোয়ালে তীর বিদ্ধ করল। হযরত হুসায়ন (রা) তাঁর চোয়াল থেকে যখন তা টেনে বের করলেন, তখন ফিনকি দিয়ে রক্ত প্রবাহিত হল। তিনি তখন দু'হাতে তা নিলেন এবং রক্তে রঞ্জিত দুই হাত আসমানের দিকে উঠিয়ে সেই রক্ত সেদিকে নিক্ষেপ করে বললেন, "হে আল্লাহ! আপনি তাদেরকে সংখ্যা গুণে বেষ্টন করে রাখুন এবং তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করে হত্যা করুন। আর পৃথিবীর বুকে তাদের কাউকে ছেড়ে দিবেন না।" এরপর শাম্মার সাহসী লােকদের একটি দল নিয়ে এসে হযরত হুসায়ন (রা) কে ঘিরে ফেলল। এ সময় তিনি তার তাঁবুর কাছে ছিলেন, আর তার ও তাদের মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়াবার মত কেউ ছিল না। হঠাৎ তখন তাঁবু থেকে পূর্ণচন্দ্রের ন্যায় সুদর্শন এক বালক দৌড়ে বের হল, তার কানে ছিল মােতির দুল। তখন তাকে বাধা দেয়ার জন্য যায়নাব বিন্‌ত আলী (রা) বের হয়ে আসলেন। কিন্তু বালক তাঁর বাধা উপেক্ষা করে চাচার থেকে আক্রমণ প্রতিহত করতে লাগল। তখন তাদের এক ব্যক্তি তরবারি দ্বারা তাকে আঘাত করলে সে তার হাত দিয়ে সে আঘাত ঠেকাল, ফলে তার সে হাত কর্তিত হয়ে চামড়ায় ঝুলে রইল। তখন সে আর্তনাদ করে বলল, চাচাজান! তখন হযরত হুসায়ন (রা) তাকে বললেন, বৎস! তােমার শাহাদাতের বিনিময় আমি আল্লাহর কাছে প্রত্যাশা করছি। আর তুমি তাে এখনই তােমার নেককার পিতৃপুরুষদের সাথে মিলিত হচ্ছো।

এরপর সকলে মিলে চতুর্দিক থেকে হযরত হুসায়ন (রা) এর উপর আক্রমণ করল আর তিনি তাদেরকে লক্ষ্য করে তরবারি চালনা করছিলেন। তখন তারা এমনভাবে তার থেকে সরে যাচ্ছিল যেমনভাবে হিংস্র প্রাণী থেকে মেষপাল ছুটে পালায়। এ সময় তার বােন যায়নাব বিনত ফাতিমা (রা) তাঁর দিকে বেরিয়ে এসে বলতে লাগলেন, "হায়! আসমান যদি জমিনের উপর ভেঙে পড়ত!" এরপর অরি কেউই তাকে হত্যা করতে অগ্রসর হচ্ছিল না। অবশেষে যখন শাম্মার ইবন যুল জাওশান ঘােষণা করে বলল, "হতভাগারা! তাঁকে নিয়ে তােমরা কিসের অপেক্ষা করছ ? তােমাদের মায়েরা সন্তান হারা হােক। (এখনই) তাকে শেষ করে দাও।" তখন শত্রুরা চারদিক থেকে হযরত হুসায়ন (রা) এর উপর আক্রমণ করল আর যুর'আ ইবন শারীক আত তামীমী তাঁর বাম কাঁধের মূল অস্থিতে এবং কাঁধ ও ঘাড়ের মধ্যবর্তী স্থানে আঘাত করল। এরপর তারা তাঁকে ছেড়ে চলে গেল আর তিনি অতি কষ্টে উঠে দাঁড়াচ্ছিলেন আর উপুড় হয়ে পড়ে যাচ্ছিলেন। কিছুক্ষণ পর, সিনান ইবন আবু আমর ইবন আনাস আনাখয়ী তাঁর কাছে এসে তাঁকে বর্শা দিয়ে আঘাত করল, তখন তিনি মাটিতে পড়ে গেলেন। এরপর সে নেমে তাঁকে জবাই করে তার মাথা বিচ্ছিন্ন করে দিলো। নিহত হওয়ার পর হযরত হুসায়ন (রা)-এর দেহে তেত্রিশটি বর্শাঘাত এবং চৌত্রিশটি তরবারির আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। আর এ সময় শাম্মার হযরত যায়নুল আবিদীন (রা)-কে হত্যা করতে উদ্যত হয়, আর তখন তিনি ছােট ও অসুস্থ। কিন্তু তার এক সঙ্গী হুমায়দ ইবন মুসলিম তাকে তা থেকে নিবৃত্ত করে। এরপর উমর ইবন সা'দ এসে বলল, সবাই শুনে রাখ! কেউ যেন এই মেয়েদের তাঁবুতে প্রবেশ না করে এবং এই বালককে হত্যা না করে। আর যে তাদের কোন সামানপত্র নিয়েছে, সে যেন তা ফিরিয়ে দেয়। কিন্তু মেয়েদের থেকে লুটকৃত সামানপত্র কেউ আর ফেরত দেয়নি। এরপর উমর ইবন সা'দের নির্দেশে দশজন অশ্বারােহী তাদের অশ্বখুর দ্বারা হযরত হুসায়ন (রা)-এর মৃতদেহকে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়, আর তার নির্দেশে সেদিনই হযরত হুসায়ন (রা)-এর মাথা খাওলা ইবুন ইয়াযীদ আসবাহির মাধ্যমে ইবন যিয়াদের কাছে পাঠানো হয়।

এদিকে ইবন যিয়াদের পক্ষ থেকে লােকজনকে মসজিদে সমবেত হওয়ার নির্দেশ ঘােষিত হল। লােকজন সমবেত হওয়ার পর সে এসে মিম্বরে আরােহণ করল। এরপর সে হুসায়ন (রা) কে হত্যার মাধ্যমে আল্লাহ তাকে যে বিজয় দান করেছেন তার উল্লেখ করল। যিনি তাদের শাসন কর্তৃত্ব ছিনিয়ে নিতে এবং তাদের ঐক্য বিনষ্ট করতে চেয়েছিলেন। তখন আবদুল্লাহ্ ইন আফীফ আদী দাঁড়িয়ে তার দিকে অগ্রসর হয়ে বললেন, "দুর্ভাগ্য তােমাদের, হে ইবন যিয়াদ। তােমরা নবী রাসূলদের সন্তানদের হত্যা করছো, আর কথা বলছো সিদ্দীকগণের ভাষায়!" তখন এ কারণে ইবন যিয়াদের নির্দেশে তাকে হত্যা করে শূলবিদ্ধ করা হল। এরপর তার নির্দেশে হযরত হুসায়ন (রা)-এর মাথা কূফায় জনসমক্ষে রেখে দেয়া হল এবং তা নিয়ে কুফার অলিতে গলিতে প্রদক্ষিণ করানাে হল। তারপর সে যুহার ইবনু কায়সের মাধ্যমে তাঁর ও তাঁর সঙ্গীদের মাথাসমূহ শামে ইয়াযীদ ইবন মু'আবিয়ার কাছে পাঠিয়ে দিল। হযরত হুসায়ন (রা) এর মাথা যখন ইয়াযীদ ইবন মু'আবিয়ার সামনে রাখা হল, তখন সে তার হাতের ছড়ি দিয়ে তার মুখে খোঁচা দিতে লাগল। তখন আবু বারযাহ আল-আসলামী তাকে বললেন, শুনে রাখ! তােমার এই ছড়ি এমন স্থানে পতিত হচ্ছে যেখানে আমি আল্লাহর রাসূলকে (সা) চুমু দিতে দেখেছি। তারপর বললেন, শুনে রাখ! এ কিয়ামতের দিন উপস্থিত হবে আর তার শাফায়াতকারী থাকবেন, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আর তুমি উপস্থিত হবে ইবন যিয়াদকে শাফায়াতকারী রূপে নিয়ে। এরপর তিনি উঠে চলে গেলেন। ইবন যিয়াদের নির্দেশে হযরত হুসায়নের স্ত্রী ও স্বজনদেরকেও ইয়াযীদের কাছে পাঠানো হয়েছিল। হুসায়ন-পরিবারের মেয়েরা যখন ইয়াযীদের সাক্ষাতে প্রবেশ করলেন তখন হুসায়ন কন্যা ফাতিমা বললেন, "হে ইয়াযীদ! রাসূল কন্যারা যুদ্ধ বন্দিনী।" তখন ইয়াযীদ বলল, "ভাতিজী! একারণেই আমি এসব অপছন্দ করতাম।" তিনি বলেন, "আল্লাহর শপথ! লােকেরা আমাদের কানের একটি দুল পর্যন্ত বাঁকী রাখে নি।" তখন সে বলল, "ভাতিজী তােমার কাছে যা আসবে তা তােমার যা খােয়া গিয়েছে তার থেকে উত্তম।"

অতঃপর তাদেরকে তার নিজ বাসগৃহে নিয়ে গেল এবং তাদের প্রত্যেকজনের কাছে তার কি খােয়া গেছে তা জানতে চাইল। এরপর তাদের প্রত্যেকে যা-ই দাবী করল, পরিমাণ যা-ই হােক, সে তাদেরকে তার দ্বিগুণ দিলো। অতঃপর ইয়াযীদ নুমান ইবন বশীরকে নির্দেশ দিলেন, একজন বিশ্বস্ত লােকের তত্ত্বাবধানে একদল অশ্বারােহীর প্রহরায় তাদেরকে পবিত্র মদীনায় পাঠিয়ে দিতে। আর এ সময় আলী ইবন হুসায়নকে তাদের সাথে রাখতে। এরপর সে হুসায়ন (রা) এর পরিবারের এই মেয়েদেরকে খলীফার শাহী মহলের অন্তঃপুরে নিয়ে গেল সেখানে মুআবিয়া পরিবারের মেয়েরা হুসায়ন (রা) এর শােকে কান্না ও বিলাপরত অবস্থায় তাঁদেরকে অভ্যর্থনা জানাল। এরপর তারা তিন দিন আয়ােজন করে শােক-বিলাপ করলো। এরপর মদীনার পথে ইয়াযীদ যখন তাদেরকে বিদায় জানাল, তখন তাদের সাথে সফরের সকল উপায়-উপকরণ, এবং বহু অর্থ-সম্পদ প্রদান করল এবং তাদের সকলকে মূল্যবান পরিধেয় উপহার দিল। আর তাদের সাথে প্রেরিত তার দূতকে তাদের দিকে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে নির্দেশ দিয়ে বলল, তােমার প্রতিটি প্রয়ােজন আমাকে লিখে জানাবে। হুসায়ন (রা) এর পরিবারের মেয়েদের সাথে প্রেরিত সে তত্ত্বাবধায়ক দূত পথে তাদের থেকে পৃথক হয়ে পথ চলত এবং তাদের দৃষ্টিসীমার নাগালের মাঝে সর্বোচ্চ অবস্থান করে তাদেরকে প্রয়ােজনীয় সহযােগিতা করত। এভাবে তারা মদীনায় পৌছে যান।

★★★পরবর্তী যুগের উলামার অনেকের প্রসিদ্ধ মত এই যে, ইমাম হুসায়ন (রা)-এর কবর হযরত আলী (রা)-এর কবরের পাশের কারবালা নদীর তীরে উঁচুভূমিতে অবস্থিত। কথিত আছে যে, তাঁর কবরের উপরেই বর্তমান স্মৃতিসৌধটি অবস্থিত। আল্লাহ্ তা'আলাই অধিক পরিজ্ঞাত।

★★★ইতিহাসবিদগণ শির মুবারক যেখানে দাফন করা হয়েছে সে জায়গাটি নিয়েও মতভেদ করেছেন। মুহাম্মদ ইবন সা'দ (র) বর্ণনা করেন, ইয়াযীদ হযরত হুসায়ন (রা)-এর শির মুবারক মদীনার গভর্নর আমর ইবুন সাঈদের কাছে প্রেরণ করেছিল। তিনি জান্নাতুল বাকী নামক কবরস্থানে হযরত ইমাম হুসায়ন (রা)-এর মাতার কবরের পাশে শির মুবারক দাফন করেছিলেন। ইবনে কাসীর এর মতে,"শির মুবারকের দাফনের জায়গাটি দ্বিতীয় ফারাদীসের দরজার অভ্যন্তরে অবস্থিত যা আজকাল ‘মসজিদুর-রাস' নামে পরিচিত।” এটি বর্তমানে সিরিয়ার অন্তর্ভুক্ত। অনেক ইতিহাসবিদ দাবী করেন, শির মুবারকটি মিশরে দাফন করা হয়েছে। এ বিষয়ে আল্লাহই ভাল জানেন।


তথ্যসূত্রঃ আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া- ইবনে কাসীর (অষ্টম খন্ড)
ছবি কৃতজ্ঞতাঃ গুগল থেকে সংগৃহীত

পর্বঃ ০১ Click This Link
পর্বঃ ০২ Click This Link
পর্বঃ ০৩ Click This Link
পর্বঃ ০৪ Click This Link

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:০০

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো একটি বিষয় নিয়ে ধারাবাহিক ভাবে লিখেছেন।
বেশ পরিশ্রমের কাজ করেছেন।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৫৭

রাকিব আর পি এম সি বলেছেন: ধন্যবাদ রাজিব ভাই, আপনারা সাথে ছিলেন বলেই লেখা চালিয়ে যাওয়ার উৎসাহ পেয়েছি। কৃতজ্ঞতা জানবেন।

২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৯

অগ্নিবেশ বলেছেন: আল্লাহ সর্বজ্ঞানী, তিনিই এই সব করায়েছেন।
এতে কোনো সন্দেহ নাই।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০১

রাকিব আর পি এম সি বলেছেন: মানুষ তার কর্ম নির্ধারনে স্বাধীন, কিন্তু কর্মফল কর্ম ভেদে বিভিন্ন হতে পারে। আল্লাহ নিঃসন্দেহে সর্বজ্ঞানী। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৫

ইসিয়াক বলেছেন: অনেক আজানা তথ্য জানার মধ্য দিয়ে শেষ হলো এই পথচলা।
শুভকামনা রইলো।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৮

রাকিব আর পি এম সি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ইসিয়াক ভাই, ধৈর্য্য নিয়ে সিরিজটি পড়ার জন্য। ভাল থাকবেন।

৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ইরাকে কখনো যেতে পারিনি, দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে মনে হয়না্ এ জীবনে আর ইরাক যাওয়া সম্ভব। আপনার কারবালা প্রতিটি লেখা মনোযোগ দিয়ে পড়ি - ভালো লাগে। ধন্যবাদ।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪০

রাকিব আর পি এম সি বলেছেন: ইরাকের যে অবস্থা, তাতে মন হয় না কখনো যাওয়া সম্ভব হবে! মন্তব্যের জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৫| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


তখন বিশ্বে চলছিলো রাজতন্ত্র, আরবেরা কি এত শিক্ষিত ছিলো যে, অণয় কোন রাষ্ট্র ব্যবস্হা তারা চালু করতে পারতো?

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩৫

রাকিব আর পি এম সি বলেছেন: আরবদের পক্ষে সেসময় খিলাফত আর রাজতন্ত্রের বাহিরে অন্য কোন রাষ্ট্র ব্যবস্থা চালু করার সম্ভাবনা ছিল না।

৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০০

মাহের ইসলাম বলেছেন: আমরা যে ছোটবেলা থেকে 'সীমার' এর গল্প শুনেছি, সেটা কিভাবে এলো ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.