নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাঙতে নয়, গড়তে চাই। গড়তে চাই সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের একটি বিশ্ব সৌধ। আগামী প্রজন্মকে হানাহানিমুক্ত একটি শান্তিময় সুন্দর পৃথিবী উপহার দিতে চাই। সুন্দরকে আরো সুন্দর করে সাজানো এবং পরিশীলিত ব্লগিং চর্চার মাধ্যমে পরিশুদ্ধ ও ঐক্যবদ্ধ জাতি গঠনই আমার সাধনা।

সালেহ মতীন

সালেহ মতীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডেঙ্গু রোধে মশাকেই টিকা !

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:১৬

সহিংস রাজনৈতিক আচরণের আলাপনের মাধ্যমে ব্লগার ভাই-বোনদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি না করে আসুন প্রসঙ্গ বদলাই। খবর কিছু শুনেছেন ? ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশাকেই এবার টিকা দেয়া হবে।



আমরা জানি ডেঙ্গু জ্বরের মতো মারাত্মক কিছু রোগের মূল কারণ মশা। এ জ্বর প্রতিরোধে সত্যিকারের কোনো প্রতিষেধক এখনো আবিষ্কৃত হয়নি । এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা বেশ কিছুদিন অসুখে ভোগে, চোখ হয়ে যায় রক্তবর্ণের, রক্তের প্লাটিলেট নিয়ে হিসাব-নিকাশ করেন প্যাথলজিস্ট ও ডাক্তাররা, প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধেই চলে প্রাথমিক চিকিৎসা। রোগীর মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে অনেক সময়। বাংলাদেশে আক্রান্তের পরিসংখ্যান জানা না গেলেও গত বছর শুধু ভারতেই ডেঙ্গু হয়েছিল ৩৭ হাজার মানুষের।



ভীতিজাগানিয়া রোগটিকে নির্মূলে তাই নানামাত্রিক গবেষণা চালাচ্ছেন চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা। তবে শুধু ডেঙ্গুর প্রতিষেধকই আবিষ্কার নয়, আরো গোড়ায় গিয়ে একেবারে ডেঙ্গু ঠেকাতেই সম্প্রতি উঠে-পড়ে লেগেছেন অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু গবেষক। মানুষকে ভ্যাকসিন বা টিকা না দিয়ে রোগ ছড়ানোর আগে মশাকেই ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন তাঁরা। শুনতে খুব উদ্ভট মনে হলেও গবেষকদের দাবি অনুযায়ী এটা সম্ভব।



ওই বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখতে পান, ফলের পোকা বা ফলের মাছির শরীরে আটকে থাকে ওলব্যাখিয়া নামের একধরনের ভাইরাস। এই ভাইরাসকে ওই পোকার শরীর থেকে আলাদা করে মশার শরীরে ঢুকিয়ে দিলে মশারা আর ডেঙ্গুর ভাইরাস তেমন একটা ছড়াতে পারে না। অস্ট্রেলিয়ার ডেঙ্গুপ্রবণ এলাকা কেয়ার্নের এক হাজার বাসায় পদ্ধতিটি প্রয়োগ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে এবং ৮০ শতাংশ সাফল্য পাওয়া গেছে বলেও জানিয়েছেন গবেষক দলটির প্রকল্প পরিচালক পিটার রায়ান। তিনি দাবি করেন, এই ওলব্যাখিয়া ভাইরাস মশার শরীরে ঢুকিয়ে দিলে চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভারের ভাইরাসসহ ম্যালেরিয়ার পোষককেও নির্মূল বা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। সম্প্রতি ডেঙ্গু নির্মূল গবেষণা প্রকল্পের আওতায় ভারতের নয়াদিলি্লতে এসেছে অস্ট্রেলিয়ার গবেষক দলটি। দলটি ভারতে সফল হলে এই পদ্ধতি স্বীকৃতি পাবে বিশ্বজুড়ে। আমরাও আছি ডেঙ্গুমুক্ত বিশ্বের অপেক্ষায়।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:২৭

বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: ব্যাপারটা যদি এরকম হয় যে, একটা মশাকে টিকা দিলে তা বংশানুক্রমে তারা বহন করবে, তাহলে এটা মন্দ ব্যবস্থা নয়।

অন্যথায় টিকা দেওয়ার জন্য মশা ধরে টিকা না দিয়ে চিপা দিলেই চলে।



২৭ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৯

সালেহ মতীন বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। তবে আমার মনে হয় তাদের টিকা দেয়ার ধরন আমাদের মতো নাও হতে পারে। তেমন হলে তো এত আয়োজন করে টিকা না দিয়ে টিপ দিলেই তো সব সারে (আপনার বক্তব্য মতো)। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.