নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাঙতে নয়, গড়তে চাই। গড়তে চাই সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের একটি বিশ্ব সৌধ। আগামী প্রজন্মকে হানাহানিমুক্ত একটি শান্তিময় সুন্দর পৃথিবী উপহার দিতে চাই। সুন্দরকে আরো সুন্দর করে সাজানো এবং পরিশীলিত ব্লগিং চর্চার মাধ্যমে পরিশুদ্ধ ও ঐক্যবদ্ধ জাতি গঠনই আমার সাধনা।

সালেহ মতীন

সালেহ মতীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঘরে বাইরে যানজট : শিশুও মারাত্মক প্রভাবিত

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৫


প্রতিদিনের মত গতকালও তীব্র যানজটের যন্ত্রণা মোকাবিলা করে সন্ধ্যার কিছু পরে ঘরে ঢুকতেই দেখি অভিনব আরেক যানজটের চিত্র মেলে ধরেছে আমাদের পুত্র রাতিব রিদওয়ান। তার খেলনা ভাণ্ডারের ছোট-বড় গাড়িগুলো নাকি তার ভাষায় জ্যামে আটকে গেছে। আমাকে সে এটি দেখানোর জন্য অপেক্ষা করছে আমি কখন ঘরে ফিরি।

ছেলেটি প্রতিদিন স্কুলে আসতে-যেতে অসহনীয় যানজট মোকাবিলা করে। বিকেল থেকেই সে তার বাবার ঘরে ফেরার অপেক্ষায় সময় গুণতে থাকে। বাবাকে ফোন দিলে বাবা বলে এই তো আমি মগবাজার। আধ ঘণ্টা পরে আবার ফোন দিলে বাবা বলে আমি এখনো মগবাজার। ছেলে অবাক হয়- “এখনো মগবাজার !” তাকে শুনতে হয়- ‘বাবা ! অনেক জ্যাম, গাড়ী একেবারেই এগুচ্ছে না। এ সবই তার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে বুঝা গেল। ১৫ মিনিটের স্কুলের পথ পাড়ি দেয়ার জন্য তাকে প্রতিদিনই ন্যূনতম দেড় ঘণ্টা আগে ঘর থেকে বের হতে হয়। অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় সে তার সেকশনে ফার্স্ট (শ্রেণীতে দ্বিতীয়) হয়েছে। তার ক্লাস টিচার তাকে আগে আগে আসতে পরামর্শ দিয়েছে যাতে সে সামনের বেঞ্চে বসতে পারে। কিন্তু সেটি সম্ভব হচ্ছেনা পথের এই চিরচেনা জটের কারণে। সে জন্যও সে ভয়ে থাকে যে, মিস তাকে বকা দিবে কিনা। এরই মধ্যে বার্ষিক পরীক্ষাও সে সমাপ্ত করেছে। নতুন বছরে নতুন ক্লাসে যেতেও তাকে এই যানজট মোকাবেলা করতে হবে কিনা সেটাই তার জিজ্ঞাস্য।

নিজের ক্যামেরায় ছেলের তৈরি করা ঘরোয়া যানজটের ছবি তুলেছি বটে কিন্তু ‘শিশুর মনস্তাত্ত্বিক নিরাপত্তা’ নিয়ে গবেষণারত একজন বাবা হিসাবে আড়ালে আমি কী বেদনা অনুভব করেছি তা আমি অন্যকে বুঝাতে অক্ষম। আমি গত রাত থেকে মারাত্মক দহন অনুভব করছি। এই এখন কথাগুলো লেখার সময় আমার চোখ ভিজে আসছে আমাদের সামাজিক অক্ষমতার জন্য। মনে মনে ছেলেকে উদ্দেশ্য করে বার বার বলছি, ‘বাবারে! তোকে একটি পরিপাটি, উন্নত ও নির্ঝঞ্জাট মহানগরী উপহার দিতে না পারার জন্য আমাদের ক্ষমা করিস।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার মানসিক অবস্থাটা বুঝার চেষ্টা করছি। আসলে এই নগরকে নিয়ে আমাদের কর্তাব্যক্তিদের কোন দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা নেই কারন এই দেশে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ভোটের বাজারে সরাসরি প্রভাব ফেলে না বিধায় এর মূল্য কম। ফলে নানা ধরনের আজগুবি টাইপের স্বল্প মেয়াদী পরিকল্পনার খেসারত দিচ্ছি আমরা নগরবাসী।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৭

সালেহ মতীন বলেছেন: প্রজন্মকে নিরাপদ নগরী উপহার দিতে না পারার ব্যর্থতার বেদনায় যে কথা বলতে পারিনি প্রিয় মহোদয় সে কথাই আপনি বলে দিলেন, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। এটাই আমাদের মূল বাস্তবতা। কিন্তু এ থেকে তো উত্তরণ হওয়া খুবই জরুরি! অামার ব্লগ কুটিরে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৬

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: পরিকল্পনা ছাড়া কিছুই হয় না, সামান্য একটা পোস্ট লিখতেও আমরা কত না পরিকল্পনা করছি আর এত বড় একটা নগর যা কিনা দেড় কোটি লোকের আবাসস্থল, চলছে পরিকল্পনাহীন ভাবে| এর থেকে বড় হতাশার কথা আর কী হতে পারে

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৯

সালেহ মতীন বলেছেন: হতাশার মধ্যে হাবুডুবু খেয়ে বেঁচে থাকায় অভ্যস্ত হয়ে গেছি আমরা। এক সময় এই হতাশাই হয়ত ধুসর হয়ে কালের পাতায় মিলিয়ে যাবে। আমার ব্লগ কুটিরে বেড়াতে আসার এবং মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩১

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:

সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন । আগামী প্রজন্মের কাছে আমরা সত্যিই খুব অপরাধী ।

এ নিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্তদের কিছু আসে যায় না । তাদের সন্তান তো এ সব সমস্যার স্বীকার হয় না । উন্নত দেশ, উন্নত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তো তাদের জন্যই । আর এইসব শিক্ষা অর্জন করে তাদের সন্তান হয় অশিক্ষিত ।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫০

সালেহ মতীন বলেছেন: আপনি যথার্থই বলেছেন। মন্তব্যের জন্য আপনাকে সাধুবাদ। ভালো থাকবেন।

৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০১

গোধুলী রঙ বলেছেন: আপনার ছেলের অব্জারভেশন চমৎকার। আসলেই আমরা আগামী প্রজন্মের কাছে খুবই অপরাধী। তাদের না দিতে পারছি নিরাপত্তার আশ্বাস, না পারছি একটা উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, না পারছি একটা সুন্দর ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৯

সালেহ মতীন বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন, আগামী প্রজন্মের কাছে আমরা প্রকৃতপক্ষেই অসহায় অপরাধী সাব্যস্ত হচ্ছি। মহাকাল আমাদের এ অপরাধের জন্য ক্ষমা করবে কি ? ছেলের জন্য দোয়া করবেন। অঅমার ব্লগ কুটিরে বেড়াতে অঅসার এবং চমৎকার অনুভূতি প্রকাশের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ফ্লাইওভার ঢাকায় কমতো তৈরি করা হয়নি, কম হয়নি বিকল্প সড়ক তৈরি কিন্তু তারপরেও কি যানজট কমেছে ? এখন আবার মেট্রো রেল তৈরির পরিকল্পনা চলছে। এটা আসলে কতটা ফলপ্রসূ হবে সেটাই ভাবনার বিষয়। যাদের প্রাইভেট কার আছে তারা নিশ্চয় তাদের গাড়ি ছাড়া চলবে না। আর ঢাকার রাস্তায় এই প্রাইভেট কারের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। ঢাকাকে যানজট মুক্ত করার একটাই উপায় বিকেন্দ্রীকরণ।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩১

সালেহ মতীন বলেছেন: অবশ্যই বিকেন্দ্রীকরণ সফল হলে ঢাকার ওপর চাপ অনেকটা কমবে। অামার ব্লগ কুটিরে বেড়াতে অঅার এবং চমৎকার অনুভূতি প্রকাশের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: সমসাময়িক বিষয়ে চমৎকার পোস্ট!!
তবে টনক নড়েনা কর্তা ব্যক্তিদের।
হয়তো তারা এটা ফেস করেনা বলেই।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩১

সালেহ মতীন বলেছেন: সুপ্রিয় নূরু ভাই আপনাকে মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১২

রাতুল_শাহ বলেছেন: জ্যামের সাথে আরেকটা মারাত্নক জিনিস আছে। সেটা হলো রাস্তার ধুলা। অসহনীয় অবস্থা।


০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৫

সালেহ মতীন বলেছেন: প্রিয় রাতুল, জী আপনি ঠিকই বলেছেন, রাস্তার এই ধূলাবালিই তো আমাদের নিত্য অসুস্থ করে তুলছে। অামার ব্লগ কুটিরে বেড়াতে অাসার এবং মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৩

নিমগ্ন বলেছেন: আমাদের রাজনীতিকদের টনক নড়বে কি কখনো?? এতো অসহণীয় অবস্থা থেকে কিভাবে মুক্তি পাবো? তার জন্য কি কোনও কনসার্ন নেই, হবে না?

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৬

সালেহ মতীন বলেছেন: হন্যে হয়ে সেই প্রশ্নের উত্তরই খুঁজে ফিরছি অসহায় এই আপনি-আমি আমরা। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।

৯| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৯

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: বাবারে! তোকে একটি পরিপাটি, উন্নত ও নির্ঝঞ্জাট মহানগরী উপহার দিতে না পারার জন্য আমাদের ক্ষমা করিস।

এই কথাটা যদি আমাদের প্রধানমন্ত্রী আর নগরকর্তাদের কাছে একটু পৌছে দেয়া যেত... :|

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:১৯

সালেহ মতীন বলেছেন: সুপ্রিয় জহিরুল ভাই, অামার ব্লগ কুটিরে বেড়াতে আসার ও মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

১০| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১০

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: বাচ্চারা যা দেখে তাই শেখে।

যানজটে আমাদের ঢাকাবাসিদের অবস্থা খুবই খারাপ। আমার ছেলের ১৫ মিনিটের স্কুল থেকে বাসায় ফিরতাম ২ ঘন্টা দেরিতে।

কোন কিছু করা যায়না সময় ধরে। এত এত ফ্লাইওভার তারপরও শুধুমাত্র সঠিক পরিকল্পনার জন্য আমাদের পড়ে থাকতে হয় বিশাল যানজটে ।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:২১

সালেহ মতীন বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন, ঢাকাবাসীদের অবস্থা আসলেই খুব খারাপ। প্রতিদিন নগরবাসীর কত লক্ষ কর্মঘণ্টা যে অপচয় হচ্ছে তার হিসাব কে কষবে ? আমার ব্লগ কুটিরে বেড়াতে আসার এবং মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সাথে থাকবেন আশা করি।

১১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৬

উল্টা দূরবীন বলেছেন: কথাকথিকেথিকথন ভাইয়ের সাথে সহমত। গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় উপস্থাপন করার জন্য লেখককে ধন্যবাদ এবং সেই সাথে আমার ব্লগ থেকে ঘুরে আসার আমন্ত্রণ।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:২৩

সালেহ মতীন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই, সাথে থাকবেন আশা করি। ভালো থাকবেন।

১২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: একটা ছোট বাচ্চাও বুঝতে পারে জ্যামের কারণে তার বাবার ঘরে ফিরতে দেরী হয় বা সম মতো স্কুলে পৌঁছাবার আতংকে থাকে সে।
এই যে নগর পিতামাতারা আছেন তাদের মাথা ব্যথা নাই কারণ ভি আই পি হিসাবে বাস্তা ব্লক করে বা বিপরীত রাস্তা দিয়ে ঠিকই পার হয়ে তারা তাদের গন্তব্যে পৌঁছে যাচ্ছেন। আমাদের কি হলো সেটা খেয়াল করার সময় কোথায়!

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪২

সালেহ মতীন বলেছেন: সেই দুঃখেই তাড়িত হয়েই একেকটি দিন পার করছি আমরা। আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম এবং সুন্দর অভিব্যক্তির জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সাথেই থাকবেন আশা করি।

১৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৫

একুশে২১ বলেছেন: আমরা সাধারণ জনগণ এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় অপরাধ। তার প্রমাণ মেলে যখন ভি আই পি দের জন্য আমাদের ঘন্টা ধরে জ্যামে বসে থাকতে হয়। ভাই সোজা বাংলায় বলতে গেলে আম জনতার প্রতি কারোর ভালোবাসা নাই। আর আমরা আম জনতাও শালা নির্লজ্জ বেহায়া ভোটের সময় সবার আগে ভোট দেয়ার জন্য লাফাই। যে কোনও রাজনৈতিক দল সবচেয়ে বেশি অনিরাপদ থাকে ভোটের আগে। আর এর পর তাদের ৫ বছরের জন্য নাগালেই যে পাওয়া যায়না তা আমাদের মাথা মোটা আম পাবলিক জীবনেও বুঝবেনা। মনের মধ্যে শুধু হতাশা যেটাকে খুব একটা পাত্তা দেইনা না হলে যে আমার দৈনন্দিন কাজটাও করতে পারবনা।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:২৬

সালেহ মতীন বলেছেন: ভাই আপনার বাস্তব অনুভূতিমিশ্রিত মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন ভাইয়া।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.