নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাঙতে নয়, গড়তে চাই। গড়তে চাই সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের একটি বিশ্ব সৌধ। আগামী প্রজন্মকে হানাহানিমুক্ত একটি শান্তিময় সুন্দর পৃথিবী উপহার দিতে চাই। সুন্দরকে আরো সুন্দর করে সাজানো এবং পরিশীলিত ব্লগিং চর্চার মাধ্যমে পরিশুদ্ধ ও ঐক্যবদ্ধ জাতি গঠনই আমার সাধনা।

সালেহ মতীন

সালেহ মতীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

তুই আমারে চেনোছ ?

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৩২

ভদ্রলোকের বয়স ৬০ থেকে ৬৫এর মধ্যে হবে বলে ধারণা করা যায়। মাথার চুল প্রায় সব সাদা বর্ণের রূপ নিয়েছে। চেহারা সুস্পষ্ট এই বার্তা প্রকাশ করছে যে, তিনি ভালো মানের কোন সরকারি/বেসরকারি কর্মকর্তা ছিলেন, বর্তমানে অবসর জীবন যাপন করছেন।

কয়েকদিন আগে অফিস টাইমে ফার্মগেট এলাকার ঘটনা। ভদ্রলোক কোন্ স্টপেজ থেকে বাসে উঠেছেন তা না দেখলেও তার হাতে বাজারের ২টি মাঝারি সাইজের ব্যাগ যার একটির মধ্যে এক আঁটি কচুর লতিও রয়েছে দেখে অনুমান করা যায় তিনি কারওয়ান বাজার থেকে বাসে উঠে থাকতে পারেন। বলে রাখা ভালো যে, আমিও ছিলাম ঐ পাবলিক বাসের একজন যাত্রী।

ফার্মগেট এলাকায় লোকটির নামার সময় বাসের গেটে দায়িত্বরত ব্যক্তির সাথে অতি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামান্য বচসা লক্ষ্য করলে সেদিকে অনেকের মতো আমারও দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়। ভদ্রলোক গাড়ি থেকে নেমে হাঁটছেন, কিন্তু যানজটের কারণে গাড়ি ধীরে ধীরে চলাতে লোকটির সাথে একই তালে বাসের গেটম্যানেরও কথা কাটাকাটি চলছে। একটুখানি কথা কাটাকাটির পরই ভদ্রলোক হেলপারকে লক্ষ্য করে প্রশ্ন ছুঁড়লেন, ‘তুই আমারে চেনোছ ?’ যেহেতু ঘটনার দৃশ্যপট কিংবা বিবৃতি তুলে ধরা আমার এ লেখার উদ্দেশ্য নয় সেহেতু ভদ্রলোকের ঐ প্রশ্নের উত্তরে হেলপার কী জবাব দিয়েছিল তা উল্লেখ করা থেকে বিরত থাকছি। তবে সম্মানিত পাঠকবৃন্দ নিশ্চয়ই অনুমান করতে পারছেন জবাবটা মোটেও সম্মানজনক ছিল না।

‘তুই আমারে চেনোছ ?’- এ ধরনের অর্থহীন জিজ্ঞাসা মহানগরীতে প্রায়ই শোনা যায়। এ সব ক্ষেত্রে প্রেক্ষাপট যাই থাক প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়া ভদ্রলোক নিজেই নিজের অসম্মান করে থাকেন নিঃসন্দেহে বলতে পারি। কিছু সময়ের জন্য বাসে চড়ে যাত্রী মর্যাদা ধারণ করার ক্ষেত্রে আমার আর অন্য পরিচয় কি বাসের হেলপারের কাছে কোন গুরুত্ব বহন করে ? আমি উঁচু বংশের কিংবা বিশাল ক্ষমতাধর কোন ব্যক্তি যেই হইনা কেন যাত্রী পরিচয়ের বাইরে আমার সেসব পরিচয় জানা হেলপারের জন্য কি খুব জরুরি ? অথচ অযাচিত পরিচয় প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আত্মম্ভরিতা মিশিয়ে কথা বলতে গিয়ে অবশেষে আমরা এমন কিছু ব্যবহার পেয়ে থাকি যা ভয়ঙ্কর মাত্রায় ব্যক্তিমর্যাদা হানিকর। আত্মমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তি মাত্রই অনাকাঙ্ক্ষিত এই ব্যাপারটি থেকে দূরে থাকলেই বোধ করি কল্যাণ হবে।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: রেগে গেলে কি অার মানুষের হিতাহিত জ্ঞান থাকে? মান-সম্মানের কথাও ভুলে যায় ।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৫

সালেহ মতীন বলেছেন: জী ভাই, সেজন্যই তো বলা হয় ‘রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন’। সুতরাং যারা হারতে নারাজ তাদের বোধ হয় রাগ পরিহার করা উচিত। মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৯

সুলতানা রহমান বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৮

সালেহ মতীন বলেছেন: আমার ব্লগ কুটিরে বেড়াতে এসেছেন, আতিথেয়তা গ্রহণ করুন দয়া করে। মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪২

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: আপনি আমারে চিনেন?!?

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৯

সালেহ মতীন বলেছেন: আমার ব্লগ কুটের বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৭

তুষার কাব্য বলেছেন: খুব সত্যি কথা ।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৯

সালেহ মতীন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৫| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৭

আবু শাকিল বলেছেন: সহমত ভাই
" অযাচিত পরিচয় প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আত্মম্ভরিতা মিশিয়ে কথা বলতে গিয়ে অবশেষে আমরা এমন কিছু ব্যবহার পেয়ে থাকি যা ভয়ঙ্কর মাত্রায় ব্যক্তিমর্যাদা হানিকর। আত্মমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তি মাত্রই অনাকাঙ্ক্ষিত এই ব্যাপারটি থেকে দূরে থাকলেই বোধ করি কল্যাণ হবে " তবে কি ভাই
হেল্পার চেংড়া পুলার সাথে বয়স্ক চাচার বাক-বিতন্ডা কতটা যৌক্তিক ছিল লেখায় স্পষ্ট বোঝি নাই।
বাসের হেল্পার গুলা খুব বদ।ভাষায় কোন শিষ্টতা নাই।আমার নিজেরই মাঝে মাঝে ইচ্ছা হয় কানের নীচে বসিয়ে দেই।তাদের কথার আক্রমনের ভয়ে সহ্য করে নেই।
ধন্যবাদ।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৩

সালেহ মতীন বলেছেন: ধন্যবাদ আবু শাকিল ভাই মন্তব্যের জন্য। যে ভয়ে আপনি সহ্য করে নেন ঠিক একই ভয়েই আমি ভদ্রতা রক্ষার্থে সংযত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।

৬| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৯

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: ভাল বলেছেন । ওদের সাথে তর্কে যাওয়াটাও সুখকর নয় । শুধুই মানসিক অশান্তি ।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৩

সালেহ মতীন বলেছেন: আপনি যথার্থই বলেছেন, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

৭| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫০

কেউ নেই বলে নয় বলেছেন: বাসের ড্রাইভার হেল্পার গোত্র মনে হয় এই শহরের সবচেয়ে অভদ্র শ্রেনী। পেশার কারনেই নানা রকমের যাত্রী সামলানোর জন্য আর অল্প কিছু বেশি ইনকামের জন্য তাদের মুখের ভাষা, অঙ্গভঙ্গী হয় সেই লেভেলের উন্নত। আপনাকে তাদের সাথে লাগতে গেলে তাদের লেভেলে নামতে হবে। সেটা কেউ পারবে নাকি সেটা সম্পর্কে নিজের অবগত থাকা দরকার। কারন নামা সবসময় সহজ, ওঠাটা সবসময়ই কঠিন। সেটা পাহাড়ের বেলাতেই হোক অথবা চরিত্রের দিক থেকেই হোক।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৫

সালেহ মতীন বলেছেন: বাস্তব এবং বিশ্লেষণধর্মী মন্তব্যের জন্য আপনাকে আন্তরিক সাধুবাদ। এ কথাই ঠিক যে, ‘নামা সব সময় সহজ, ওঠাটা সব সময়ই কঠিন। সেটা পাহাড়ের বেলাতেই হোক অথবা চরিত্রের দিক থেকেই হোক।’ ভালো থাকবেন ভাইয়া।

৮| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৮

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: সত্যি কথা।

অনেকেই দেখি কিছু হলেই বলে 'তুই আমারে চিনস'।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২৩

সালেহ মতীন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৯| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২৬

বীনা বলেছেন: .............. এই দুনিয়ায় কে কাকে চেনে ................ লেখাটি ভাল লাগল...............

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৭

সালেহ মতীন বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন বীণা, আপনাকে ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.