নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাঙতে নয়, গড়তে চাই। গড়তে চাই সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের একটি বিশ্ব সৌধ। আগামী প্রজন্মকে হানাহানিমুক্ত একটি শান্তিময় সুন্দর পৃথিবী উপহার দিতে চাই। সুন্দরকে আরো সুন্দর করে সাজানো এবং পরিশীলিত ব্লগিং চর্চার মাধ্যমে পরিশুদ্ধ ও ঐক্যবদ্ধ জাতি গঠনই আমার সাধনা।

সালেহ মতীন

সালেহ মতীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনুভূতির দায়বদ্ধতা

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৮

মহান সৃষ্টিকর্তা মানবজাতিকে ইহজাগতিক কু-প্রবৃত্তির স্বাধীনতা প্রদানের পাশাপাশি বিবেকও প্রদান করেছেন। এ স্বভাব দুটো একই সাথে আর কোন প্রাণীকে প্রদান করা হয়নি। ফেরেশতাকে বিবেক দেয়া হয়েছে কিন্তু কু-প্রবৃত্তি দেয়া হয়নি। আবার পশুকে বিবেক দেয়া হয়নি, শুধু কু-প্রবৃত্তি দেয়া হয়েছে। মানবজাতির সামনে এ দুটি দৃষ্টান্তের বিপরীতে নিজের বিবেক যা অনুভূতির আকারে বিরাজ করে সঙ্গত কারণে কিছু দায়বদ্ধতা ধারণ করে। বলা বাহুল্য যে, এ অনুভূতি দায় পাশ কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে মনুষ্যত্বের কাতার থেকে সরে আসা বাঞ্ছনীয় হয়ে পড়ে।

উপরের বক্তব্যের আলোকে আসুন আমরা আমাদের দৈনন্দিন যাপিত জীবনের একটি বিষয়কে পোস্ট মর্টেম করি। প্রায়শই দেখা যায় আমরা ব্যবহারে বা ইশারা-ইঙ্গিতে অন্যকে উপহাস/তাচ্ছিল্য করি। এটা করার কারণ তখন উপস্থিত হয় যখন তার চেয়ে কোন কোন বিষয়ে আমি একটু এগিয়ে থাকি। যেমন- চেহারা-ছবিতে, সম্পদে, পদমর্যাদায়, ডিগ্রিতে, বংশ কিংবা সামাজিক মর্যাদায়, প্রভাব-প্রতিপত্তিতে, বিত্ত-বৈভবে প্রভৃতি। অথচ অন্যের থেকে নিজেকে বিভাজনকারী প্রকৃত ও কার্যকর কোন মানদ- কিন্তু আমাদের সামনে নেই। ইতিহাসে কুৎসিত চেহারার অনেক ব্যক্তিকেই বিত্তশালী অথবা মর্যাদাবান হতে দেখা গেছে। সম্পদশালী ও ক্ষমতাধর অনেক সুদর্শনকে অপমানের গ্লানি মাখতেও আমরা দেখেছি। তবে একটি উপলব্ধি, একটি ঈমানী চেতনা বা অনুভূতি নিজের মধ্যে স্থায়ীভাবে সেট করে নিতে পারলে অন্যকে উপহাস/তাচ্ছিল্য করার অভ্যাস তথা অহমিকাবোধকে প্রতিহত করা সম্ভব হতে পারে। আর সে অনুভূতিই হলো ন্যায়সঙ্গত, বাস্তব ও চূড়ান্ত। মনে করতে হবে আমি যতই সফল, মর্যাদাবান ও ক্ষমতাধর ব্যক্তি হই না কেন চূড়ান্ত বিচােরর দিনে আমি মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভ করে জাহান্নামের কঠিন আযাব থেকে বাঁচতে পারব কিনা!

বিশিষ্ট বুজূর্গ হযরত যুনূন মিশরী(র.) নিজকে কুকুরের চেয়েও অধম বিবেচনা করতেন। তার মতে কিয়ামতের দিন কোন কুকুরকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে না, কিন্তু তিনি তো জীবনের প্রতিটি সেকে-ের হিসাব না দিয়ে সামনে বাড়ানোর সুযোগ পাবেন না। হিসাব প্রদান সাপেক্ষে মুক্তি মিলবে কিনা সে নিশ্চয়তা কেউ পাচ্ছে না। অতএব মনে রাখতে হবে, আপাতত দৃষ্টিতে আমি রানে এগিয়ে থাকলেও শেষ বলে আমার পরাজয় নেমে আসতে পারে।

মুমিনগণকে হতাশ হতে নিষেধ করা হয়েছে। সুতরাং হতাশাবাদী হওয়া যাবে না। কিন্তু যেহেতু শেষ বিচারের দিন নাযাতের নিশ্চিত গ্যারান্টি আমরা পাইনি তাই বেপরোয়াও হওয়া যাবে না। খোদাভীতি সর্বাবস্থায় বজায় রাখতে হবে। খোদাভীতি ও আশা এ দুটির ভারসাম্যপূর্ণ উপস্থিতি নিশ্চিত করে নিরহঙ্কারী মনোভাব নিয়ে ¯্রষ্টার দিকে এগিয়ে গেলে আশা করা যায় সাফল্য পাওয়া যেতে পারে।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২২

বিপরীত বাক বলেছেন: আবার
পশুকে বিবেক দেয়া হয়নি, শুধু কু-
প্রবৃত্তি দেয়া হয়েছে।


পশুকে কু-প্রবৃত্তি দেয়া হয়নি, শুধু প্রবৃত্তি দেয়া হয়েছে।
কুপ্রবৃত্তি টা শুধু মানুষেরই বৈশিষ্ট্য।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৫

সালেহ মতীন বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন, কেননা যেহেতু তার বিবেক নেই তাই সেটি কু বা সু এধরনের বিচার সেখানে নেই, কিন্তু আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে সেটাকে কু হিসেবে বিবেচনা করার জন্যই মূলত উল্লেখ করা হয়েছে। মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৩

আবু শাকিল বলেছেন: কথাগুলো ভাল লাগল মতিন ভাই।
"খোদাভীতি সর্বাবস্থায় বজায় রাখতে হবে। খোদাভীতি ও আশা এ দুটির ভারসাম্যপূর্ণ উপস্থিতি নিশ্চিত করে নিরহঙ্কারী মনোভাব নিয়ে স্রষ্টার দিকে এগিয়ে গেলে আশা করা যায় সাফল্য পাওয়া যেতে পারে।"
ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.