নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পড়ছি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিজ্ঞান কর্মী। যুক্ত আছি \"বিজ্ঞানের জন্য ভালোবাসা\" নামক বিজ্ঞান সংগঠনের সাথে। যারা বিজ্ঞান জনপ্রিয় করনে কাজ করে যাচ্ছে।

রঞ্জিত বিশ্বাস

(

রঞ্জিত বিশ্বাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ম ও বিজ্ঞান পার্ট-১

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৪৩



আমার ছাত্র জিজ্ঞাসা করলো "স্যার কি গরুর মাংস খান?" আমি বললাম খাবো না কেন? গরুর মাংসতে তো পটাসিয়াম সায়ানাইড নাই! কিন্তু হঠাৎ এই প্রশ্ন?

ছাত্র আমার দ্বিগুন অবাক হয়ে বললো "আপনাদের ধর্মে না মানা করা আছে?"

আমি বললাম "দেখো, ডালন্টনের পরমানুবাদ আসছে ধর্ম গ্রন্থ লেখার অনেক পরে। তখন ইশ্বর জানতো না যে সব কিছু ইলেকট্রন, প্রোটন, নিউটন দিয়ে তৈরী। এই তত্ত্ব আবিস্কার হওয়ার পরে ইশ্বর আর ধর্মটাকে আপডেট করেননি। তাই এই সমস্যা। তোমার ধর্মেও কোন কিছু মানা থাকলে ইচ্ছে মত খাইতে পারো।"

ছাত্র আমার হাসে। যেনো একটা মুক্তির সন্ধান পেলো। তাই দেখে আরো একটু বললাম
"ইশ্বর যদি ধর্ম গ্রন্থ আপডেন্ট দেয় তাহলে দেখবা গরু, শুকর, কুত্তা খাইতে মানা করার বদলে পটাসিয়াম সায়ানাইড, সোডিয়াম ক্ষার, কার্বন মনোক্সাইড খাইতে মানা করছে। তখন বুঝবে এইটাই আসল ধর্ম!"

আসলে যত হাস্যরস নিয়ে কথাগুলো বলি না কেনো আমার মনে হয় কথা গুলো সত্য। খুবই সত্য। আমাদের ইশ্বররা আসলে কেমন? উনাদের চিন্তাধারা আসলে কতটুকু বিজ্ঞান ভিত্তিক! শুধু দর্শন হলেও এইগুলো কেমন দর্শন যেখানে মানুষে মানুষে বিভাজনের কথা বলা হয়।

মানুষ কি খাবে না খাবে এইগুলো কি মানুষ নিজে নির্নয় করতে পারতো না। ধর্ম গ্রন্থে এসব মানা করার আগে কি মানুষ এসব খেয়ে পৃথিবী সব জীব শেষ করে ফেলছে। বরং এসব হারাম/হালাল, বাধা নিষেধের জন্য মানুষে মানুষে বিভাজন, ঝগড়াই হচ্ছে বেশী।

মাঝে মাঝে খুব অবাক হই। কষ্ট পাই। মনে হয় কোন কিছু আমাদের পিছু ধরে রেখেছে অনেক বলে। সভ্যতাকে এগুতে হচ্ছে যুদ্ধ করে। বার বার হোচট খাওয়া সভ্যতা তবুও এগিয়ে চলছে বিজ্ঞান শকটে।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:১৮

আদরের সন্তান বলেছেন: চিন্তা ভাবনা টা সঠিক নয় । যে ধর্মে শুকর, কুত্তা খাইতে মানা করা হয়ছে সেটি আপডেট না ব্যাকডেটেট তা বুজানোর জন্যই লিখছি----------
----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
শুকরে মাংস মারাত্মক রোগের কারণ

অন্যান্য অমুসলিম ও নাস্তিকরা হয়তো উপযুক্ত কারণ ও বিজ্ঞানের যুক্তি প্রমাণে মেনে নিতে পারে- শুকরের মাংস ভক্ষণ কমপক্ষে সত্তরটি রোগের উদ্ভব ঘটাতে পারে। প্রথমত, আক্রান্ত হতে পারে বিভিন্ন প্রকার ক্রিমির দ্বারা। যেমন বৃত্তাকার ক্রিমি, ক্ষুদ্র কাঁটাযুক্ত ক্রিমি এবং বক্র ক্রিমি। এর মধ্যে সবচাইতে ভয়ঙ্কর ও মারাত্মক হলো ‘টাইনিয়া সোলিয়াম’। সাধারণভাবে যেটাকে ফিতা ক্রিমি’ বলা হয়। এটা পেটের মধ্যে বেড়ে ওঠে এবং অনেক লম্বা হয়। এর ডিম রক্ত প্রবাহে প্রবেশ করে এবং দেহের প্রায় সকল অঙ্গ প্রত্যঙ্গে ঢুকে পড়তে পারে, যদি এটা মস্তিস্কে ঢোকে, তাহলে কারণ ঘটাতে পারে স্মৃতি ভ্রষ্ট হয়ে যাবার। হৃদ-যন্ত্রের মধ্যে ঢুকলে বন্ধ করে দিতে পারে হৃদযন্ত্রক্রিয়া। চোখে ঢুকলে অন্ধত্বের কারণ হয়, কলিজায় ঢুকলে সেখানে মারাত্মক ক্ষতের সৃষ্টি করে অর্থাৎ এটা শরীরের যে কোনো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কর্মক্ষমতাকে ধ্বংস করে দিতে পারে।

এরপরও আছে আরো ভয়ঙ্কর ‘ত্রীচুরা টিচুরাসীস্থ।’ এ সম্পর্কে একটা সাধারণ ধারণা হলো ভালো করে রান্না করলে এর ডিম্ব মারা যায়। এর ওপরে আমেরিকায় গবেষণা চালানো হয়েছে। ফলাফল, ভালো করে রান্না করার পরও প্রতি ২৪ জনের ২২ জন এই ‘ত্রীচুরাসীস্থ’ দ্বারা আক্রান্ত। প্রমাণ হলো সাধারণ রান্নায় এ ডিম্ব ধ্বংস হয় না।

কুকুর নিষিদ্ধ হওয়ার কারন
-------------------------
আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ড. ইউসুফ কারজাভি তাঁর ‘আল-হালালু ওয়াল হারামু ফিল ইসলাম’ নামের বইয়ে কুকুর নিয়ে জার্মান ও লন্ডনের বিভিন্ন গবেষকের গবেষণা উল্লেখ করেছেন। তাঁরা কুকুরের সঙ্গ মানুষের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর বলে অভিমত দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন : স্বাস্থ্যবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে বিচার করলে কুকুর পালা ও তার সঙ্গে হাস্যরসকরণে যে বিপদ মানুষের স্বাস্থ্য ও জীবনের ওপর ঘনীভূত হয়ে আসতে পারে, তাকে সামান্য ও নগণ্য মনে করা কিছুতেই উচিত হতে পারে না। অনেক লোক নিজের অজ্ঞতার কারণে ভারি মাসুল দিতে বাধ্য হয়। তার কারণ এই যে কুকুরের দেহে এমন এমন জীবাণু রয়েছে, যা এমন রোগ সৃষ্টি করতে পারে, যা স্থায়ী এবং যা চিকিৎসা করে সারানো যায় না। কত লোক যে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে জীবন দিতে বাধ্য হয় তা গুনে শেষ করা যায় না। এসব জীবাণু মানুষের কলিজায় প্রবেশ করে। আর সেখানে নানাভাবে আত্মপ্রকাশ করে। তা অনেক সময় ফুসফুসে, ডিম্ব, তিল্লি, গুর্দা ও মস্তকের ভেতরে প্রবেশ করে। তখন এগুলোর আকৃতি অনেকটা পরিবর্তিত হয়ে যায়। এমন অবস্থা দেখা দেয় যে বিশেষজ্ঞরাও তা ধরতে ও চিনতে অক্ষম হয়ে পড়েন।

যা-ই হোক, এ জীবাণুর দরুন যে ক্ষতের সৃষ্টি হয়, তা দেহের যে অংশেই হোক না কেন, স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর ও মারাত্মক। এসব জীবাণুর কোনো চিকিৎসা আজ পর্যন্ত জানা যায়নি। এ করণে চিকিৎসা-অযোগ্য রোগের মোকাবিলা করার জন্য আমাদের পূর্ণশক্তিতে চেষ্টা করতে হবে। এ বিপদ থেকে মানুষকে বাঁচাতে হবে।

জার্মান চিকিৎসাবিদ নুললর বলেছেন, কুকুরের জীবাণুর দরুন মানবদেহে যে ক্ষতের সৃষ্টি হয়, তার সংখ্যা শতকরা ১-এর কম নয় কিছুতেই। আর কোনো কোনো দেশে শতকরা ১২ পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। এ রোগ প্রতিরোধের সর্বোত্তম পন্থা হচ্ছে, এর জীবাণুগুলোকে কুকুরের দেহ পর্যন্তই সীমাবদ্ধ করে রাখা, তাকে ছড়িয়ে পড়তে না দেওয়া।

অন্যদিকে গরু স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী আর তাই বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, যে ধর্মে গরু খাওয়া নিষেধ করছে তা কোন ভাবেই ঈশ্বরের ধর্ম বলা যাবে না কারণ ঈশ্বর অবশ্য তার সৃষ্ট জীবের জন্য ভালোটাই চায় খারাপটা নয় ।

এপর্যন্ত এসে আপনি আমার সাথে একমত হবেন যে, এগুলো কোন অংশে ছায়া নাইডের চাইতে কম নয় । সুতরাং ধর্মকে বিশোধগার না করে ধর্মের ভিতরে প্রবেশ করে তার সৌন্দর্যটা দেখার চেষ্টা করুন আগে তারপর খারাপটা ।

আশা করি এরপর থেকে শিক্ষক হিসেবে ছাত্রদের সঠিক শিক্ষাটা দিবেন ।

২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৪০

রঞ্জিত বিশ্বাস বলেছেন: ভালো কথা। মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ। এসব আমি জানতাম বা পড়েছি আগেও। শুকর আর কুকুর খাওয়াই কি শুধু রোগের কারন হয়। পৃথিবীতে এমন হাজারো উপকরন/জীব আছে যেটা বিভিন্ন রোগ সৃষ্টির কারন হতে পারে। আমিতো গরু খাওয়ার ৫০ টা অপকারিতা দেখাতে পারি। এমন কি মুরগী খাওয়ারো ৩০ টা। কেনো পটাসিয়াম সায়ানাইড কি খাবার হিসেবে খুব ভালো কিছু? দেখুন বিজ্ঞান দিয়েইতো ব্যাখাটা দিয়েছেন! তাহলে কি মানুষ বিজ্ঞান দিয়েই বুঝতো না যে এসব খাওয়া ভালো না? কিংবা খারাপ জেনেও কেউ কেউ খেতে পারতো যেমন সিগারেট খায়, মদ খায়। অনেক দেশের মানুষই শুকর খায়। তারা নিশ্চই বাংগালির থেকে অর্ধের আয়ু পায়নি!

আমি ধর্মের বিশোধগার করতে যাচ্ছি না কিন্তু এসবতো অস্বীকার করবেন না যে এই ইস্যুগুল বারবার বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক জটিলতার বিষয় হচ্ছে। এ যুগে এসে এসবের কি মানে হয়! আমি আমার ছাত্রদেরকে সঠিক শিক্ষাই দিচ্ছি মনে করি। এসব বিষয়েও মানুষের এত অনূভুতি দেখে অবাক হই। আপনি মুরগীর প্রোটিন ব্যাতিত কিছু উপকারী দিক বলেনতো। মুরগী খেলা কি কি রোগ সেরে যায় কিংবা গরু!

৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৫৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: মানুষ নির্দিষ্ট সীমা রেখা অতিক্রম করতে চায়, এটা তার সহজাত প্রবৃত্তি।
নিষিদ্ধ জিনিষের প্রতি সে সব সময় আকৃষ্ট। তার সব কিছুটা এ্যাডভেঞ্জার চাই। না হলে চলে না।

ইশ্বর ধর্ম কে বিভিন্ন সময় আপডেট দিয়েছে। যুগে যুগে ধর্ম সংস্কারগণ পাঠিয়েছেন যাতে প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ জীবন যাপন করতে পারেন। কিন্তু সংস্কারগণ মৃত্যুর পরে তারা সে বিধান ‍ভুলে আবার ভুলভাল পথে চলা শুরু করে দেয়। আবার নতুন করে পাঠিয়েছেন আবার ভুলে গেছে .. এভাবে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পর এক জায়গায় এসে থেমেছে। ইশ্বর আর আপডেট দিতে নারাজ। তার কথা হল এটাই ফাইনাল এডিশন। এখন পালন কর আর না কর তোমার ব্যাপার। যদি কর তাহলে তার বিণিময়ে পরকালে পুরুস্কার পাবে, না কর তার বিণিময়ে শাস্তি পাবে।

শারীরিক সমস্যা না থাকলে মানুষ যে কোন খাবার গ্রহন করতে পারে। সমস্যা থাকলে এড়িয়ে চলা উচিত। আর, যে খাবারের প্রতি মানুষের রুচিবোধ নেই সেটা ধর্মীয় কারণে হউক বা পরিবেশের কারণে হউক মানুষ এড়িয়ে যায়। আপনার গরুতে রুচি বোধ করলে খাবেন রাষ্ট্র আপনাকে বাধা দিবে না, আর রুচিবোধ না থাকলে খাবেন না তাতেও রাষ্ট্র বাধা দিবে না।

ধর্মীয় বিধানগুলো স্ব-স্ব অনুসারীদের জন্য। যারা ধর্ম পালন করে তাদের যা নিষেধ করা হয়েছে তা তারা খাবে না এটাই স্বাভাবিক, এতে অন্যের সমস্যা হওয়ার কথা। কিন্তু নিজে খাইনা বলে অন্য খেতে নিষেধ করা যুক্তিগত কোন কারণ হতে পারে না। আবার, নিজে খাই বলে অন্যকে খেতে বাধ্য করতে পারি না।

আমার মনে হয়, ধর্মে যে সমস্ত জিনিষ নিষিদ্ধ করা হয়েছে তাতে স্বাস্থ্যগত উপকারিতার চেয়ে অপকারিতাই বেশী।

এখন খাবেন আর না খাবেন আপনার ব্যাপার। অন্যের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ বা সমালোচনা করবেন না।

শুভ কামনা জানবেন।

৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৫০

রক বেনন বলেছেন: জাপান, চীন, হংকং এ কুকুর, শূকর খুবই জনপ্রিয় খাবার। কিন্তু এইসব খাবারে যদি এতই অপকারিতা থাকে তাহলে তাদের দেশের লোকদের গড় আয়ু এত বেশি কেন?? :|| :||

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:২০

রঞ্জিত বিশ্বাস বলেছেন: জাপানিজদের গড় আয়ু এক সময় বাংগালীর দ্বিগুন ছিলো!

৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৪

পলাশমিঞা বলেছেন: আসলে যত হাস্যরস নিয়ে কথাগুলো বলি না কেনো আমার মনে হয় কথা গুলো সত্য। খুবই সত্য। আমাদের ইশ্বররা আসলে কেমন? উনাদের চিন্তাধারা আসলে কতটুকু বিজ্ঞান ভিত্তিক! শুধু দর্শন হলেও এইগুলো কেমন দর্শন যেখানে মানুষে মানুষে বিভাজনের কথা বলা হয়।

আপনিতো অনেক অনেক বড় বিজ্ঞানি। মারাত্মক বিষয়।

কোরআনে যা লেখা আছে তা এক আনাও বিজ্ঞানিরা এখনো বুঝতে পারে নি।
কিছু বলার আগে একটু খেয়াল করলে সব খুলাসা হবে।

৬| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৩০

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: "ইশ্বর যদি ধর্ম গ্রন্থ আপডেন্ট দেয় তাহলে দেখবা গরু, শুকর, কুত্তা খাইতে মানা করার বদলে পটাসিয়াম সায়ানাইড, সোডিয়াম ক্ষার, কার্বন মনোক্সাইড খাইতে মানা করছে। তখন বুঝবে এইটাই আসল ধর্ম!"[/sb - এগুলো একক কোন খাদ্য নয়। পটাসিয়াম সায়ানাইড মানুষ জীবন ধারণের জন্য খায় না। যারা খায় তারা বিভিন্ন খাদ্যের উপাদানে সাথে না জেনে বা ভুল করে খায়। অন্যকে মারতে এ রাসায়নিক উপাদান ব্যবহৃত হয়। গুলিতেও ব্যবহার আছে। আমাদের ইংরেজ বিরোধী বিপ্লবীরা এটা সব সময় সাথে রাখতেন। সাধারণনের পক্ষে এটা আলাদা করে খাওয়া অসম্ভব।

বাকীসব রাসায়নিক উপাদানগুলো সাধারণের পক্ষে চেনা জানা সহজ নয়। এগুলো উচ্চমার্গীয় বিজ্ঞানীরা গবেষণাগারে মানুষের জন্য মারানাস্ত্র তৈরীতে ব্যবহার করছেন। কেউ কেউ চিকিৎসা শাস্ত্রে ব্যবহার করলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। সুতরাং এগুলো সাধারণের হাতের নাগালে পাওয়া সম্ভব না। যেহেতু সাধারণের নাগাল পাওয়া সম্ভব না সেহেতেু ইহাকে সহজলভ্য খাদ্য হিসেধে ধরা যায় না। তাই এর ব্যাপারে একক বিধান নাযিল হওয়ার প্রশ্নই আসে না।

আবার যেহেতু এগুলো বিষ এবং বিজ্ঞান যেহেতু নিজ দায়িত্বে ইহাকে মানুষ মারার জন্য আবিস্কার করেছে সেহেতু বিজ্ঞান নিজের দায়িত্ব রয়েছে ইহাকে কল্যাণকর কাজে ব্যবহার করার জন্য।

ধর্মে যেটা বলা হয়েছে, সেটা হলো মানুষ হত্যা মহাপাপ। এখন ইহা দ্বারা কেউ যদি মানুষ হত্যার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে সে মহাপাপের আওতায় এসে যাবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.