নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে একা রাখতেই বেশি পছন্দ করি, তারপরও মাঝে মাঝে এক অদৃশ্য অস্তিতকে উপলদ্ধি করি।

বিজ্ঞান আমাদের দিয়েছে বেগ, হারিয়েছি আবেগ।

বিবর্ন সভ্যতা

বিজ্ঞান আমাদের দিয়েছে বেগ, কেড়ে নিয়েছে আবেগ, আমরা প্রতিনিয়ত প্রবেশ করছি এক বিবর্ন সভ্যতায় ।

বিবর্ন সভ্যতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের পিতাদের যত ইতিহাস B-) B-)

২৩ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:৪৭

**আদি পিতা
প্রথমেই আমাদের আদি পিতা আদম (আঃ) এর কথা দিয়ে শুরু করা যাক। আল্লাহ তায়ালা যখন তাকে সৃস্টি করে সকল ফেরেশতাদের উদ্দেশ্যে বলল, তোমরা আদমকে সেজদা দাও। সকলেই বিনা বাক্য ব্যয়ে হুকুম পালন করল। শুধুমাত্র ইবলিশ বলল, আমারে আগুন দিয়া বানাইস, আর আদমেরে বানাইস মাটি দিয়া সুতরাং এটা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হয় নাই আমি খেলুম না। কি এত বড় সাহস আমার হুকুম পালনে অস্বিকার তুই এখান থেকে বাহির হয়ে যা। আমি যে এত এত বছর তোমার গোলামী করছি তার জন্য আমার কিছু দাবি ছিল। বল তোর কি কি দাবি? আমার তিন দফা দাবি-
১. আদমের বংশদর যেহেতু কিয়ামত পর্যন্ত দুনিয়াতে থাকবে সুতরাং আমারেও কিয়ামত পর্যন্ত হায়াত দিতে হবে।
২. আমারে অদৃশ্য হওয়ার ক্ষমতা দিতে হবে যেন মানুষের অন্তরে আমার প্রভাব বিস্তার করতে পারি, তা না হলে তো মানুষ আমারে দেখলেই সাইজ করব।
৩. তুমি যেহেতু সব কিছুর মালিক, সুতরাং আমার ও আমার চেলাগুলোর রিজিকের ব্যবস্থা তুমারই করে দিতে হবে।
ও কে তোর সব দাবি গ্রহন করা হল। ইবলিশ বলল ঠিক আছে, তাহলে এবার তুমি তুমার জাহান্নামের সংখ্যা বাড়াইতে থাক !!
আল্লাহ বললেন, আমার বান্দাগুলোরে তোর থেকে বেচে থাকার জন্য আমি যুগে যুগে নবি-রাসূল প্রেরন করব। যারা তাদের অনুসরন করবে তারাই আখেরাতে ও দুনিয়াতে সফলকাম হবে। যাই হোক আদি পিতার (আদম আঃ) মাধ্যমে আমরা এখন দুনিয়াতে আর আমাদের যাবতিয় নিয়মকানুন শিখানোর জন্য সর্বকালের সেরা নবি হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এখন দেখার বিষয় আমরা কতটুকু পারর্ফম করতে পারি।

** মুসলমানদের জাতির পিতা
ইব্রাহিম (আঃ) আমাদের পিতা হইলেও উনার কাজ কাম কিন্তু এতটা মুরুব্বি টাইপের ভাবার কোন কারন নাই। একটা ঘটনা বললে হয়ত ক্লিয়ার হয়ে যাবে, তার সময়ে সবাই মাটির পুতুলের কাছে দাবি দাওয়া পেশ করত সকল কিছুর জন্য সবাই পুতুলের কাছেই সাহায্য চাইত। তখন উনি দেখলেন যে, এইসব পুতুলের তো কিছু করার ক্ষমতা নাই হুদাই ভাব নিয়া বইসা থাকে। তো বাপজান চিন্তা করলেন, এদেরকে একটা সাইজ করা লাগব। যেই কথা সেই কাজ, একবার এক উপাস্যনালয়ে ঢুকে কূড়াল দিয়ে সব পুতলের মাথা আলগা করে ফেললেন শুধুমাত্র সবথেকে বড় পুতুলের কিছু করলেন না। তিনি সবগুলারে সাইজ করার পর ঐ বড় পুতুলের গলায় কুড়াল ঝুলিয়ে চলে গেলেন। পরে যখন লোকজন জড়ো হল তারা এই অবস্থা দেখে বুঝতে পারল এইটা ইব্রাহিম ছাড়া আর কারো কাজ হতে পারে না। সো, ইব্রাহিম (আঃ) কে তলব করা হলে তাকে বলা হল তুমিই তো এইটা করছ তাই না ? বাপজান ও কম যান না, উনি বলল এইটা আমি করি নাই এইটা ঐ যে বড় পুতুলটা আছে ওর কাম দেখ কেমন কুড়াল নিয়া দাড়াইয়া আছে!! আমি ওরে অনেক থামাইতে চাইলাম কিন্তু সে কোন কথাই শুনল না। পাবলিক কিছুটা ভিমড়ি খাইয়া কইল, এইটা সে কেমনে করব সে তো নড়াচড়া করতে পারে না, মারামারি করব কেমনে? যদি সে নড়াচড়া করতে না পারে, মারামারি করতে না পারে, কিছু করার কোন ক্ষমতা না থাকে তাইলে ওরে তোমরা প্রভু বানাইছ কেন?
এই কথা শুইনা, পাবলিক শকড্ আমাগো জাতির পিতা রকড্। এমন বাপের পোলাপান হইলাম আমরা তো আমাদের কেমন হওয়া উচিত আপনেরাই বুইঝা লন।

** বাঙ্গালী জাতির পিতা
আ হা রে এই পিতার শরিরের সাইজ দেইখা ইন্ডিয়ার পাবলিক মনে মনে চিন্তা করতাছে আমাগো পিতার সাইজ আর বাংলার পিতার সাইজ দেখলে কেমন জানি মাথা ঘুরায়। এই পিতা সাইজে যেমন আল্লাহ কন্ঠও দিছে একখান (রুচি চানাচারের “জম্মের” মতন) তেমনই ভাবটাও দিছে (অসম্ভবকে সম্ভব করা খ্যাত জলিলের মতন)। পিতা বুঝতে পারছিলেন এই বাংলার হুজুগে চলা পোলাপানরে একবার যদি ক্ষেপায় দেওয়া যায়, তাইলে শুধু পাকিস্তান কেন সাথে আফগানিস্তানরে ও সাইজ করা কোন ব্যাপার না। তিনি করছিলেনও তাই, পুলাপানের মাথায় ঢুকাই দিছিলেন দেশের জন্য বাচার, দেশের জন্য মরার জোশ আর আমরাও পুরাই পাগলা (!!) হয়ে গেলাম । পাকিদের মাঠে, ঘাটে, জলে, জঙ্গলে ”যেখানেই পাই কোন রেহাই নাই” নীতিতে দেশ মুক্ত করতে বেশী দেরি লাগল না। যেমন বাপের স্টাইল তেমনই পুলাপানের স্টাইল।
দুর্ভাগ্যবশত, হুজুগ যেই কেটে গেল আমাদেরও জোশ শেষ আর সেই বাপেরেই আমরা……………থাক আর কইতে ইচ্ছা করতেছে না।

** তথাকথিত পীর বাবা ওরফে পাগলা বাবা
এই বাবা যে কেমনে ”বাবা” উপাধি পাইল এইটা রিতিমত গবেষনার বিষয়। যাই হোক বেশি গবেষনা করলে বাবার মুরিদরা আবার আমারে নিয়াই গবেষনা শুরু করে কিনা !! তো কিছু কথা না কইলে আবার “বাবা” নিজেই রাগ হইব । এই বাবারা কিন্তু একজন না একাধিক সুতরাং উনাদের ছাওয়াল পাওয়াল ও স্বাভাবিক ভাবেই অনেক । তাদের আবার নিজেদের আলাদা আলাদা স্টাইল আছে। যেমন- কেউ লাল কাপড়ে মোড়ানো, কেউ অর্ধনগ্ন, কারো চুল-দাড়ি দেখলে নাপিত সম্প্রদায়ের আফসোস বাইড়া যায়, কেউ অনেক আগেই কবরে ঘুমাই আছে (যদিও মুরিদরা মনে করে তারা কবরে বসে বসে লুডু খেলতাছে, মরে নাই) । তাদের পুলাপান (মুরিদরা) মনে করে পীর বাবা (!) নিজের পাওয়ার দিয়া অনেক অসম্ভব কাজ করে থাকে যেটা দেখলে অসম্ভবকে সম্ভব করা জলিলও টাশকি খাইয়া যায়তে পারে। তারপরও যে কেন কোন মোবাইল কোম্পানি তাদের এ্যাড করতে ডাকে না সেটা তাদের মুরুদদের কাছে বড়ই আফসোসের বিষয় হইতে পারে। অথচ এ্যাড কইরা আর কত টাকা পাইব? এমনিতেই মুরিদরা যেই টাকা পয়সার পাহাড় বানাই দিতাছে তা দেইখা মোবাইল কোম্পানিও ধান্ধায় পইরা গেছে।
আর বেশি কইলে, উনাদের লাল পুলাপান আবার আমারে রক্তিম শুভেচ্ছা জানানোর জন্য খুজাখুজি শুরু কইরা দিতে পারে।


।।। উপরের সবটাই আমার নিজস্ব থিউরি, কোন পিতার সন্তানদের মনে আঘাত লাগলে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাইতেছি ।।।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৪২

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: আপনে অনেক দুষ্টু! =p~

২৩ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:০৭

বিবর্ন সভ্যতা বলেছেন: :-< :((

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.