নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে একা রাখতেই বেশি পছন্দ করি, তারপরও মাঝে মাঝে এক অদৃশ্য অস্তিতকে উপলদ্ধি করি।

বিজ্ঞান আমাদের দিয়েছে বেগ, হারিয়েছি আবেগ।

বিবর্ন সভ্যতা

বিজ্ঞান আমাদের দিয়েছে বেগ, কেড়ে নিয়েছে আবেগ, আমরা প্রতিনিয়ত প্রবেশ করছি এক বিবর্ন সভ্যতায় ।

বিবর্ন সভ্যতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

কথা দিলাম আপনাদের অন্দরমহলে ডিস্টার্ব করা হবে না।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:৫৩

প্রাইমারিতে পড়ার সময় ক্লাসে দেখতাম প্রত্যেকেরই আলাদা রোল নং ছিল। যাদের রোল প্রথম ছিল তারা সামনের সারিতে বাকিরা ধারাবাহিক ভাবে পিছনের দিকে অবস্থান করত। মূলত তখন থেকেই আমাদের শিশুমনে সামাজিক শ্রেনিভেদটা আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়া হয়। তারা পিছনে বসে বসে সাইকোলজির পজেটিভ গঠনতন্ত্রে আর তেমন ভূমিকা রাখতে পারে না।
তারপর একে একে সব বোর্ড পরিক্ষায় গ্রেডিং করার সাথে সাথে সামাজ থেকে তাদেরকে আলাদা গ্রেডিং (শ্রেনিভেদ) করা হয়। চোখে আঙ্গুল দিয়ে বুঝিয়ে দেয়া হয় তুমি বা তোমার সামাজিক অবস্থান ঐ পর্যন্তই। আমরাও নিজেদেরকে তাই ভাবতে পছন্দ করি যেহেতু গ্রেডিং এর টিকা আমাদের মগজে প্রাইমারিতেই দেয়া হয়েছিল।
এবার অন্য প্রসঙ্গে আসি, গত দুইদিন আগেই ঈদ পালন করলাম মহা সমারোহে। সবাই তখন কোলাকুলি করি, হাতে হাত মিলাই বুকে বুক মিলাই কিন্তু মনের সাথে মনটা আর মেলানো হয় না। টিভিতে প্রতি ঈদেই প্রোগ্রাম দেখি দেশের বড় বড় আমলারা, রাজনৈতিক ব্যক্তিরা সংবোর্ধনা দেন। সবাইকে লাইনে দাড়িয়ে হ্যান্ডশেক করেন দৃশ্যটা দেখতে ভাল লাগলেও তিনি যে একজন সেলিব্রেটি সেটা মিডিয়ার কল্যানে বুঝা যায় উনাদের অঙ্গিভঙ্গি দেখে। অথচ ঈদে সেলিব্রেটি বলতে মুসলমানদের মধ্যে কিছুর অস্তিত্ব থাকার কথা না। এখানেও ঐ গ্রেডিং প্রথা। রহিম করিমের সাথে মিশতে পারবে না, করিম জহিরের সাথে মিশতে পারবে না এভাবে পুরোটা সমাজে হাজারো বিভক্তি তৈরি করছে এই গ্রেডিং প্রথা।
এটা শুধু আমাদের সমাজেই হয় তা নয়, ইসলামের মাতৃভূমি নামে খ্যাত সৌদিআরবে ও এই ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে আছে যুগ যুগ ধরে। কোন যুবরাজকে নাকি শত শত গাড়ি বহর পাহারা দিয়ে নেয়া লাগে। তাদের জন্য লক্ষ লক্ষ হাজীদের পথ বন্ধ করে রাখা হয়। অথচ নবিজী (সাঃ) স্বয়ং ধুলামাখা পথে হেটে যেতেন এবং পথের বিছানো কাটা নিজের হাতেই পরিস্কার করতেন। যদিও তিনি তখন আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করলেই শত সাহাবীরা (রাঃ) তার জন্য জিবন দিতে প্রস্তুত ছিল। তিনি ব্যক্তি স্বার্থে সেই সুযোগ কখনোই নেন নি। দুঃখজনক ভাবে সেই সৌদির কোথাকার কোন যুবরাজ যে কিনা সাহাবিদের পায়ের ধুলার সমান মর্যাদাও রাখে না সেও ৩০০ গাড়ি বহর নিয়ে রাস্তায় বের হয়। আজব পৃথিবীর এই মানুষজন, ইসলামের মূল জায়গাতে কোন গ্রেডিং না থাকলেও তারা সেখানে নিজেদের জন্য আলাদা প্রটোকল ঠিকই করে নিয়েছেন। এত এত হাজীদের মৃত্যুর দায় তারা কিভাবে এড়াবেন। সব মৃত হাজিদের রক্তপন শোধ করলে তো তাদের বংশের কারো অবশিষ্ট থাকার কথা না। কিন্তুু উনাদের জন্য তো প্রটোকল আবার আলাদা!!
আমরা অনুরোধ করব, যদি আপনারা হাজীদের নিরাপত্তা দিতে না পারেন তবে সেটার ভার আমাদের উপর ছেড়ে দেন। আমরা আমাদের সেনাবাহিনী দিয়ে হাজীদের সামগ্রিকভাবে নিরাপত্তা দেব। আপনারা থাকেন আপনাদের বিবিদের নিয়ে, কথা দিলাম আপনাদের অন্দরমহলে কোন ডিষ্টার্ব করা হবে না।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৭

বাবুল হোসাইন বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন। হাজার ধন্যবাদ।
কেউ যখন অনাচার দিয়ে ভরে তোলে তার রাজ্য সে নিরাপত্তা খোজে তার নিরাপত্তা বেষ্টনিতে।
তবে ভাইজান তাদের অন্দর মহল মাটি চাপা দিলে হয় না?

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:০৫

বিবর্ন সভ্যতা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.