নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে একা রাখতেই বেশি পছন্দ করি, তারপরও মাঝে মাঝে এক অদৃশ্য অস্তিতকে উপলদ্ধি করি।

বিজ্ঞান আমাদের দিয়েছে বেগ, হারিয়েছি আবেগ।

বিবর্ন সভ্যতা

বিজ্ঞান আমাদের দিয়েছে বেগ, কেড়ে নিয়েছে আবেগ, আমরা প্রতিনিয়ত প্রবেশ করছি এক বিবর্ন সভ্যতায় ।

বিবর্ন সভ্যতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

সবকিছুতেই একটা বিষয় কমন সেটা হল আমরা প্রত্যেকেই ভাবি "শুধু আমার সাথে কেন এমনটা হয়"?

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩৪

কি ভাবতেছেন জিবনে সব হারিয়ে ফেলেছেন, অথবা আপনার জিবনে কিছুই করতে পারেননি বা আপনাকে দিয়ে জিবনের মাঝপথ থেকে আর কিছুই করা সম্ভব না।
আমরা জিবনে বিচরন করতে গিয়ে অনেকেই বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হই। কেউবা পরিক্ষার রেজাল্ট খারাপ করি, কেউবা ভাল চাকুরি পাই না, আবার কারো প্রমিকার বিয়ে হয়ে যায় , শশুর বাড়িতে অশান্তি, স্বামীর অত্যাচার, আর্থিক অসংগতি আরো নানান কিছু। সবকিছুতেই একটা বিষয় কমন, সেটা হল এই সমস্যা গুলো সমাধান করতে না পারলে আমরা প্রত্যেকেই ভাবি "শুধু আমার সাথে কেন এমনটা হয়"? আমি তো এত ঝামেলায় পড়তে চাইনি তবে কেন আল্লাহ শুধু আমাকেই এমনভাবে কষ্ট দেন?
এখানে একটা বিষয় বুঝা উচিত, আপনি যেহেতু নিজের কষ্টগুলো নিজেই অনুভব করছেন সুতরাং অাপনার কাছে এটাকেই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট কষ্ট বলে মনে হবে বা হওয়াটাই স্বাভাবিক। অথচ আপনার বাইরের দুনিয়াতে এর থেকেও মর্মান্তিক ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটে চলছে। আমরা সেগুলো অনুভবে নিতে পারি না বলেই নিজের কষ্টটাকেই বড় মনে করি এবং সমস্ত অভিযোগ চুড়ান্তভাবে আল্লাহর দিকে ছুড়ে দেই।
অথচ আল্লাহ বলেছেন, উনি কাউকেই তার সাধ্যাতিরিক্ত কষ্ট দেন না। যার যতটুকু সহ্যক্ষমতা রয়েছে তাকে তার ভিতরই তাকে পরিক্ষা করা হয়। কিন্তুু আমরা মানবজাতি বড়ই অসহিঞ্চু, আমরাদের সব কিছুই নগদে দরকার শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করার ধ্যর্য আমাদের নেই। সেখানেই বড় ভূলটা করি, মাঝপথেই ভেবে বসি এইতো জিবনের সব শেষ হয়ে গেল। ব্যস্ তাতেই অনেকে হাল ছেড়ে দেই, কেউ কেউবা আত্মহত্যা করার মাষ্টারপ্লান তৈরি করতে থাকি। কেউ ভাবতে থাকে এমন কিছু জিবনে হারিয়েছি যার ক্ষতিপূরণ কোনভাবেই সম্ভব নয়। কিন্তু একবারও ভাবি না যে আমরা তো ভবিষ্যৎ জানি না যিনি ভবিষ্যৎ জানেন ঐ মহান আল্লাহ আমাদের জন্য নিশ্চয় এর থেকে ভাল কিছু রেখেছেন। কারন প্রত্যেকের জিবনের মাষ্টারপ্লান তিনিই করে থাকেন, আমাদের উচিত শুধু আল্লাহর উপর ভরসা করে এর শেষপ্রান্ত পর্যন্ত পৌছানো।
সমস্যা চলাকালিন সময়ে অনেকেই এতটা হতাশ হয়ে পরে যে তার কাছে পৃথিবীর প্রত্যেকটা বিষয়ই সংকোচিত হয়ে সমস্যার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হয়। তখন অন্যসব কিছুই তার কাছে মূল্যহীন হয়ে পরে, এমনকি নিজের জিবনটাকেও সে তুচ্ছ ভাবতে থাকে। ঐ সময়ে কারো সান্নিধ্য থাকাটা অতি জরুরি এবং নিজের সাহায্যর জন্য নিজেকেই মানসিকভাবে শক্ত রাখতে হবে। যদি নিজেকে শক্ত রাখতে পারেন শুধুমাত্র কয়েকটা দিন পরেই দেখবেন সবকিছু স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। জিবনের অন্যান্য টপিকস্ গুলোকে আপনার কাছে আস্তে আস্তে গুরুত্বপূর্ন মনে হতে থাকবে।
একটা স্থায়ী বিষয় হল জিবনের কোনকিছুই চিরস্থায়ী নয়। সবকিছুই আপেক্ষিকতার আবরনে মোড়ানো। আপনার চাহিদার সাথে আপনার হতাশাও সমানুপাতিক হারে বাড়তে থাকে। আরেকজন দামি প্রাডো কিনছে তাই আমাকেও কিনতে হবে, ও বুয়েটে পরে কিন্তুু আমি চান্স পাইনি তাই আমাকে দিয়ে কিছু হবে না, অমুকের সুন্দরি গার্লফ্রেন্ড আমারটা অতটা সুন্দরি নয় এমনটা চিন্তা করেছেন তো মরেছেন। আপনার অবস্থান নিয়ে সন্তুষ্ট থাকবেন তো জিবনের অর্থেকই সমস্যাই কেটে যাবে। স্বপ্ন আপনি দেখতেই পারেন সেটাকে বাস্তবায়ন করার জন্য আপ্রান চেষ্টা ও করতে পারেন। তবে অন্যের সাথে নিজেকে তুলনা করতে যাবেন না কারন তখনই নিজের উপর ব্যালেন্স হারিয়ে ফেলবেন। মনে রাখতে হবে, শর্টকাট বড়লোক হওয়া, বা একা একশত জনের সাথে মারামারি করে নায়িকাকে প্রাপ্তি এমনটা শুধুমাত্র সিনেমাতেই সম্ভব বাস্তবে নয়।

যার জিবনে কোন কষ্ট নাই তার জিবটা পুরাটাই পানসে, কোন মজা নাই। আপনি যদি পরিপূর্ণভাবে জিবনটাকে উপলদ্ধি করতে চান তবে জিবনের সংকটময় সময়টাকে মোকাবেলা করতে মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিন। নয়ত পানিতে ভিজিয়ে সারাজিবন পানসে মুড়ি খেতে পারবেন কিন্তুু মুড়ির মচমচে শব্দ কখনোই শুনতে পারবেন না।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৫১

আজমান আন্দালিব বলেছেন: অনুধাবন আবশ্যক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.