নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে একা রাখতেই বেশি পছন্দ করি, তারপরও মাঝে মাঝে এক অদৃশ্য অস্তিতকে উপলদ্ধি করি।

বিজ্ঞান আমাদের দিয়েছে বেগ, হারিয়েছি আবেগ।

বিবর্ন সভ্যতা

বিজ্ঞান আমাদের দিয়েছে বেগ, কেড়ে নিয়েছে আবেগ, আমরা প্রতিনিয়ত প্রবেশ করছি এক বিবর্ন সভ্যতায় ।

বিবর্ন সভ্যতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

অন্য ধমের হলেই কি তাদের উপর অত্যাচার জায়েজ হয়ে যাবে ?

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৩

বুঝলাম যে উনারা হিন্দু/ সনাতন ধর্মী । অন্য ধমের হলেই কি তাদের উপর অত্যাচার জায়েজ হয়ে যাবে ? তবে আপনাদের এই অযৌক্তিক লজিক যদি পৃথিবীময় সব দেশে প্রয়োগ করা হয় তবে কি মুসলমানরা পারবে নিজেদের রক্ষা করতে ? কোথায় থেকে আপনাদের এইসব আবেগ সৃষ্টি হয় ?

ইসলাম নিয়ে খুব আবেগপ্রবন আমরা, বুকে হাত দিয়ে একবার নিজেকে প্রশ্নকরুন তো ইসলাম এর কয়টা নিয়ম নিজের ব্যক্তি জিবনে প্রয়োগ করতে পেরেছেন ? দিনে নামাজ কি পাচ বার মসজিদে গিয়ে জামাতে পরতে পারি? গত কুরবানির সময় গোস্ত কি ঠিকমত বন্টন করেতে পেরেছেন, অল্প কিছুদিন আগেও কি জমিয়ে রাখা গোস্ত ডিপ ফ্রিজ খুলে মাঝে মাঝে রান্না করেননি । ইসলামের কোন বিশেষ স্থান/প্রতিককে কেউ অপমান করলে আমার বুকে যদি জ্বালা না ধরায় তবে আমি কিসের মুসলমান।

আমারও কষ্ট হয় যখন কোন কুলঙ্গার আমার ইসলাম নিয়ে হাবিজাবি পোষ্ট করে। তাই বলে কি নিরিহদের ঘর বাড়ি জ্বালিয়ে দিতে হবে? বলুন তো কোন হাদিস/কোরানে পেয়েছেন এসব আইন-কানুন আমরাও একটু শিখে নেই। মোহাম্মদ (সাঃ) যখন ইসলামের পতাকা প্রায় সারা আরবে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন তখনও বেশকিছু গোত্র ইসলাম গ্রহন করে নি। তাই বলে কি সাহাবিরা তাদের ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছিল? হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) জিবিত অবস্থায় তার উপর কতই না অত্যাচার হয়েছে, মক্কার কাফেররা উনাকে গালাগাল করত, পাগল বলে সম্মোধন করত, উনি যদি তাদের উপর প্রতিশোধ নিতেন তবে উনার এক ইশারায় জান কোরবান করার মত শতশত সাহাবি তখনও জিবিত ছিলেন। কই উনারাতো কখনো এমনটা করেননি। আপনি কি উনাদের থেকে বেশি ইসলাম সম্পকে ভালবাসা রাখেন।

ইসলামে উনারাও যুদ্ধ করেছেন কাফেরদের বিরুদ্ধে সেটা ছিল রাজনৈতিক, আত্মরক্ষামুলক, এবং কোন গোত্র যখন প্রকাশ্য ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করত তখন তাদেরকে প্রতিরোধ করার জন্য জিহাদ করতেন। বুঝলাম যে, কেউ একজন ইসলামের অবমাননাকর কিছু পোষ্ট করেছে তবে তাকে ধরে পুলিশে দেন। গনতান্ত্রিক অধিকার হিসেবে মিছিল, মিটিং, সমাবেশ করে সরকারের কাছে এর উপযোক্ত বিচার চাইতে পারেন। তাই বলে কোনখানের কোন যদু/মধু ফেইসবুকে কি পোষ্ট করল আর অমনি আপনারা নিরিহ কিছু মানুষের ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দিবেন। কেন ভাই এত আবেগ কেন? আমরাও মুসলমান হিসেবে কাবা ঘরকে শ্রদ্ধা করি তবে সেটা যেন অন্য কারো ক্ষতির কারন হয়ে না দাড়ায় সেটাও মাথায় রাখা উচিত।

যেই মানুষটা আজকে ফেইসবুক কি সেটাই জানে না, একবেলা পান্তা জোগার করতে হিমশিম খায় আপনাদের এইসব অতি আবেগি কিছু মানুষের জন্য তারা সারা জিবনভর ইসলামের বিরুদ্ধে একটা বিরুপ মনোভাব নিয়ে বেচে থাকবে। তারপর আপনি তাদের বংশধরদের কাছে যতই বলেন ইসলাম শান্তির ধর্ম তারা কি আপনাকে বিশ্বাস করবে? আপনি তাদের জায়গাতে থাকলে কি করতেন? অন্যের মতামতের ফটোকপি হওয়ার জন্য আল্লাহ আপনাকে সৃষ্টি করেননি। আপনাকে বুদ্ধি দিয়েছেন, বিবেক দিয়েছেন, চিন্তা করার জন্য একটা দামী ব্রেন দিয়েছেন। সুতরাং হুজুগে কিছু করার আগে নিজেকে প্রশ্ন করুন তারপর সিদ্ধান্ত নিন।

** এটা যদি নিতান্তই রাজনৈতিক ফায়দা লুটার জন্য কোন বিশেষ রাজনৈতিক দল কতৃক হয়ে থাকে তবে আমার অবাক হওয়ার কিছুই নেই। কারন আমার দেশের রাজনীতিতে এমন কিছু যে অসম্ভব নয় সেটা বুঝার জন্য রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র হওয়ার দরকার হয় না।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



ইসলাম ও ইহুদী ধর্ম অন্য ধর্মের লোকদের আসলে সহ্য করে না; কারণ, এই ২টি ধর্মের লোকেরা আরবী ছিলেন। খৃস্টান ধর্মও একই স্হানে শুরু হয়েছিল, কিন্তু ইউরোপে গিয়ে উহার উন্নতি হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.