নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে একা রাখতেই বেশি পছন্দ করি, তারপরও মাঝে মাঝে এক অদৃশ্য অস্তিতকে উপলদ্ধি করি।

বিজ্ঞান আমাদের দিয়েছে বেগ, হারিয়েছি আবেগ।

বিবর্ন সভ্যতা

বিজ্ঞান আমাদের দিয়েছে বেগ, কেড়ে নিয়েছে আবেগ, আমরা প্রতিনিয়ত প্রবেশ করছি এক বিবর্ন সভ্যতায় ।

বিবর্ন সভ্যতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

জেন্টেলম্যান চরিত্র বনাম আমার চরিত্র!

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:৫৫

পড়ালেখার পাঠ চুকিয়ে সবে মাত্র চাকরি নিয়েছি। বনানি ১১ নম্বরে অফিস, বাসা নাখালপাড়া। প্রথম কয়দিন অফিসে যেতাম আর সবকিছুতেই একটা ভাবের মধ্যে ছিলাম। শার্ট ইন করে, শো কালি করে, চুল সিথি করে আচরিয়ে, এমনকি কথা বলতেও চেষ্টা করতাম শুদ্ধ বাংলায়। নিজেকে ভিতরে ভিতরে কেমন জানি জ্যান্টেলম্যান মনে হতে লাগলো। অফিসে যতক্ষন থাকতাম ভালই পরিপাটি অনুভুতি কাজ করতো। সমস্যা হতো বাসায় ফেরার পর। সেই চিরচেনা লুঙ্গি, উল্টাপাল্টা হয়ে বিছানায় গড়াগড়ি, বিকৃত চলিত রীতিতে কথা বলা সবকিছুই বাসায় ফেরার দুই মিনিটের মধ্যে শুরু হয়ে যেত।
অনেক সময় মনে হত যেন একই দেহে দুটি সত্ত্বার বসবাস। একদিন প্লান করলাম আমি এই দ্বৈত চরিত্র বাদ দিয়ে যেকোন একটিকে বেছে নেব। প্রথম ট্রাই করলাম "জেন্টেলম্যান" চরিত্র দিয়ে।

অফিসে সময়ে তেমন সমস্যা হতো না। সবার সাথেই ভদ্রভাবে কথা বলা, পরিপাটিভাবে খাওয়া, কাজ সবকিছুই ভালভাবে চলতো। সমস্যা হতো বাসায় ফিরে রুমমেটের সাথে প্রথম যেদিন শুদ্ধ ভাষায় কথা বলছিলাম উনি আমার দিকে এমনভাবে তাকিয়েছিল যেন আমি কোন ভিন গ্রহের বাসিন্দা। আমি উনার লুকিংএ ইতস্তত বোধ করলেও আরো কিছুক্ষন চালিয়ে গেলাম। এক পর্যায়ে উনি আমার হাবভাব দেখে বলল, আমার সাথে ফাজলামো করবি না। আমি নিজেও কিছুক্ষন ভেবেচিন্তে দেখলাম এই জ্যান্টলম্যানগিরি আমাকে দিয়ে হবে না। নিজেকে কেমন কেমন জানি রোবটিক মনে হতে লাগলো।
চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলাম জ্যান্টেলম্যান বাদ এখন থেকে শুধুই আমার আমি হয়ে থাকবো। এখন সমস্যা হলো উল্টো, বাসায় সবকিছু ঠিকঠাক চললেও অফিসে গিয়ে পুরাই ধরা খাওয়ার অবস্থা। প্রথমদিনই জিন্স, টি শার্ট পরে অফিসের মিটিং এ যখন বললাম " যত কতাই কন না কেরে এই মাসের রিপোর্ট দিতে অইলে আমার আরো সময় লাগবো"। অফিসে মিটিংএ ভাষার এমন ডি জে ভার্সনে সবাই আমার দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছে যেন আমি তাদেরকে হা ডু ডু খেলায় আমন্ত্রন দিয়েছি।

মিটিং শেষে এমডি স্যার উনার চেম্বারে ডেকে পাঠালেন। আমি মনে মনে ভয় নিয়ে উনার রুমে প্রবেশ করি।
আপনি অফিসে এভাবে কথা বলতে পারেন না, মিনিমাম কার্টেসি নিশ্চয় জানা উচিত।
স্যার আপনি যত কথাই কন না কেরে আমি এমনই থাকুম, আমার কার্টেসি ভাল্ লাগে না।

এমন স্ট্রেটকাট কথায় স্যার একটু ঘাবড়ে গিয়ে কিছুক্ষন চুপ থাকার পর বললেন, আচ্ছা আমরা আমরাই তো। রিপোর্টটা একটু দ্রুত দিয়ে দিয়েন।
আচ্ছা চেস্টা করুম ।।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৫০

সঞ্জয় নিপু বলেছেন: মোশারফ করিম ভাব ! :) মজা করলাম, হা হা

২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৪১

লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: আমার অফিসে এই ঝামেলা নাই। উলটা শুদ্ধ বলতে গেলেই ব্রাঞ্চ ম্যানেজার বলেন, "ধুর মিয়া। বাবুগো মতো টান দিয়া কতা কন ক্যান?"

৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৫০

ইফতি সৌরভ বলেছেন: কেরে!কার্টেসি ভাল্ লাগে না কেরে :P :D B-)) +++++

৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৫৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: নাটকের মত না হোক, মিনিমাম শহুরে শুদ্ধ ভাষা তো চর্চা করা যেতেই পারে...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.