নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরিতে চাহিনা আমি এ সুন্দর ভূবনে সকলেরই মাঝে উড়িবার চাই

উড়াল পক্ষী

উড়াল পক্ষী › বিস্তারিত পোস্টঃ

নেপথ্য কথা : যেভাবে ইসরাইল পরমাণু অস্ত্রে সমৃদ্ধ হয়েছে ।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৯

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আমেরিকা প্রথমবারের মতো জাপানের ওপর পরমাণু অস্ত্রের আঘাত হানে। পরমাণু বোমার সেই ভয়াল ধ্বংসযজ্ঞ পৃথিবীর শান্তিপ্রিয় মানুষকে এ অস্ত্র থেকে দূরে থাকার নির্দেশনা দিলেও ক্ষমতাসীনরা কখনোই এর সঙ্গ ছাড়েনি। উপরন্তু ধীরে ধীরে দীর্ঘ হয়েছে পরমাণু অস্ত্রসমৃদ্ধ দেশের তালিকা। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি স্থায়ী সদস্য (আমেরিকা, রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও চীন) ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, উত্তর কোরিয়া এবং ইসরাইলের রয়েছে পরমাণু অস্ত্রের মালিকানা। তবে পরমাণু শক্তিধর এসব দেশের মধ্যে ইসরাইলের কার্যক্রম সবচেয়ে গোপনভাবে পরিচালনা করা হয়েছে। দেশটির পরমাণু কার্যক্রম এতটাই গোপনীয়ভাবে চালানো হয়েছে যে, অনেক সময় তার সবচেয়ে আন্তরিক মিত্র দেশ আমেরিকাকে পর্যন্ত না জানিয়ে এগিয়েছে ইসরাইল। পৃথিবীর সবচেয়ে গোপনীয় ও সবচেয়ে অস্বচ্ছ পরমাণু কার্যক্রম চালাতে ইসরাইল কোথা থেকে এবং কীভাবে অস্ত্র তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় বিপুল পরিমাণ ইউরেনিয়াম সংগ্রহ করতে সমর্থ হলো, তা নিয়ে সব সময়ই ছিল রহস্য। কারণ, নিজ দেশের পরমাণু অস্ত্রের উপস্থিতির বিষয়ে ইসরাইল 'হ্যাঁ' বা 'না' কোনোটাই স্বীকার করে না।





১৯৬৪ সালে আমেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ গোপন গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ইসরাইল এবং আর্জেন্টিনার মধ্যে ইউরেনিয়াম আদান-প্রদানের ওপর তদন্ত করে। তারা ওই দেশে অবস্থিত আমেরিকান দূতাবাসের কাছে আর্জেন্টিনা এবং ইসরাইলের মধ্যে ইউরেনিয়ামের উপাদান ইউরেনিয়াম অক্সাইড বা 'ইয়োলোকেক' আদান-প্রদান বা এ সম্পর্কিত কোনো চুক্তি হয়েছে কিনা, তা জানতে চায়। উল্লেখ্য, 'ইয়োলোকেক' হচ্ছে পারমাণবিক চুলি্লর অত্যাবশ্যকীয় জ্বালানি এবং পারমাণবিক অস্ত্রের উপাদান প্লুটোনিয়ামের কাঁচামাল।

পরমাণু অস্ত্রের মালিক হতে ইসরাইল প্রথমে ইউরেনিয়ামের জোগানদাতা দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা চালায়। তবে আর্জেন্টিনার কাছ থেকে ইউরেনিয়াম কেনার ব্যাপারটি গোপন রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়েছে ইসরাইল। সে সময় আমেরিকা এবং তার অন্যান্য মিত্র দেশ আর্জেন্টিনার কাছ থেকে ৮০ টন ইয়োলোকেক কেনার সত্যিটা জানলেও এক্ষেত্রে নিশ্চুপ থাকে। কারণ সত্যিটা প্রকাশ হলে ইসরাইলের প্রতিবেশী আরব দেশ এবং তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে গভীর সঙ্কট তৈরির সম্ভাবনা ছিল। এ ঘটনা সমানভাবে আমেরিকার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও প্রতিকূলতা সৃষ্টির আশঙ্কা ছিল।

তথ্য আছে, ফ্রান্সের সহযোগিতায় ইসরাইলের নেগেভ মরুভূমির ডিমোনা শহরে পরমাণু স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। ফ্রান্সের তত্ত্বাবধানে ইসরাইলকে পরমাণু চুলি্লর জ্বালানির জোগান দেয়া শুরু করা হয়। তবে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট চালর্স ডি গলের সময় নীতি বদলায়। এতে ইসরাইলে ইউরেনিয়াম প্রেরণে উল্লেখযোগ্য বিধিনিষেধ আরোপ করলেও চুলি্লর কাজ তখন প্রায় শেষ হয়ে যায়।

এরপর ইসরাইল ফসফেট থেকে ইউরেনিয়াম আহরণের চেষ্টা করলেও এ পদ্ধতিটি ছিল বেশ ব্যয়বহুল। সে সময় তারা অন্য জায়গায় ইউরেনিয়ামের উৎস সন্ধান করতে থাকে। অন্যদিকে, ইসরাইলের পরমাণু কর্মসূচির শুরু থেকেই কানাডা সরকার আগ্রহ প্রকাশ করে। ১৯৬১ সালে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড বেন গুরিয়ন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জন ডাইফেনবেকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ১৯৬৪ সালে কানাডার গোয়েন্দা বিশ্লেষক জ্যাকব কূপ মন্তব্য করেন, 'এখন পরমাণু অস্ত্র তৈরির পূর্বাবস্থায় আছে ইসরাইল।' এরপর ১৯৬৪ সালে আমেরিকান বিজ্ঞানীদের ইসরাইলের পরমাণু কর্মসূচি পর্যবেক্ষণের জন্য পাঠানো হয়। কিন্তু ইসরাইল কৌশলে তাদের প্রকল্পের আসল চিত্র এড়িয়ে যায়।

এরপর ১৯৬৮ সালে ইসরাইল বেলজিয়াম থেকে ২০০ টন ইয়োলোকেক সংগ্রহ করে। তখন ইসরাইলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের সঙ্গে জড়িত ইতালির একটি কোম্পানি সমুদ্রপথে ইউরেনিয়ামগুলো বহন করে আনে। এরপর ইসরাইল ডিমোনা চুলি্লকে পরমাণু অস্ত্র তৈরিতে সক্ষম প্লুটোনিয়াম তৈরির চুলি্লতে পরিণত করে। ফ্রান্সের তৈরি করা ডিজাইনে ডিমোনার একটি ভূগর্ভস্থ প্রক্রিয়াকরণ অংশ ছিল। এটাই ছিল ইসরাইলের গোপন পরমাণু কার্যক্রমের ক্ষেত্র। এছাড়া বিভিন্ন সময় ইসরাইল বিভিন্ন ইউরোপীয় দেশ থেকে পরমাণু কর্মসূচিতে সহযোগিতা পেয়েছে। এরমধ্যে ১৯৫০ থেকে ১৯৬০ সালের মধ্যে ব্রিটেন ইসরাইলে কয়েকশ' জাহাজে করে ১৯৫৯ সালে ইউরেনিয়াম এবং ১৯৬৬ সালে প্লুটোনিয়াম সরবরাহ করে। ডিমোনা চুলি্ল চালু করার জন্য ব্রিটেন ১৯৫৯-৬০ সালে ইসরাইলে সরাসরি ২০ টন 'হেভি হাইড্রোজেন' সরবরাহ করে। জার্মানি ইসরাইলের কাছে ২০০৫ সালে পরমাণু ওয়্যারহেডযুক্ত মিসাইলবাহী সাবমেরিন বিক্রি করে। এভাবেই ধীরে ধীরে পরমাণু অস্ত্রসমৃদ্ধ দেশে পরিণত হয় ইসরাইল। অনুমান করা হয়, বর্তমানে ৭৫ থেকে ৪০০টি পরমাণু ওয়্যারহেড রয়েছে ইসরাইলের হাতে। তথ্যসূত্র : ফরেন পলিসি

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৪

নিজাম বলেছেন: এতে পশ্চিমা দেশগুলোর কোন মাথাব্যাথা নেই। অথচ ইরানের ব্যাপারে তাদের উদ্বেগের শেষ নেই।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৬

উড়াল পক্ষী বলেছেন: পশ্চিমারা চায়না মুসলমানরা শক্তিশালী হোক ।

২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৫

এস এম কায়েস বলেছেন: ইসরাইল তাহলে ভাল শক্তি সন্ঞয় করেছে।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৪

উড়াল পক্ষী বলেছেন: আলবৎ

৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩২

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: @িনজ+আম বলেছেন: এতে পশ্চিমা দেশগুলোর কোন মাথাব্যাথা নেই। অথচ ইরানের ব্যাপারে তাদের উদ্বেগের শেষ নেই।

৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩১

গান পাগলা বলেছেন: ওওওওওওওওওওওওওও
রসুন কোয়া কোয়া পুটকি এক জায়গায়...


দেকসেন কারবারটা,,,,,,,অথছ ইরানরে লইয়া দুনিয়ার টানাটানি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.