![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সংযুক্ত সম্পাদক, ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতি
এক মুক্তমনা(!) বন্ধুর সাথে যুক্তিবাদ বিষয়ে কথা হচ্ছিল।
তিনি বললেন, 'নাস্তিক' কথার অর্থ ঈশ্বর বিশ্বাসহীন। তাই নাস্তিকদের ঈশ্বরে বিশ্বাস করা চলবেনা।
কিন্তু ভূত, প্রেতে বিশ্বাস রেখেও নাস্তিক হওয়া যায়।
তিনি আরো জানালেন, এমন অনেককেই তিনি চেনেন যারা ভূতে বিশ্বাস করলেও কট্টর নাস্তিক।
আসুন যুক্তির আলোকে তার কথা বিশ্লেষণ করি।
ভূত, প্রেত, জীন ইত্যাদি বলতে বিদেহী দুষ্ট আত্মা বোঝান হয়।
আত্মা কী?
---বিভিন্ন ধর্ম গ্রন্থানুসারে 'আত্মা' বলতে চিন্তা, চৈতন্য বা মন বোঝান হয়েছে।
আমরা জানি এগুলি হল স্নায়ুকোষের ক্রিয়ার ফলাফল। মৃত্যুর পর চিতায় পুড়ে বা মাটির নিচে পচে গলে সমগ্র শরীর নষ্ট হয়।
তাই নিউরোনও শেষ হয়।
তারই সাথে শেষ হয় ঐসব 'ভয়ঙ্কর' দুষ্টু আত্মা।
অথচ এই বৈজ্ঞানিক সত্যকে অস্বীকার করেই শুরু হয় পারলৌকিক জগতের গুল্প (গুল+গল্প)।
মৃত্যুর পর আত্মা স্বর্গে বা বেহেস্তে যায়। সেখানে তাদের কৃতকর্মের জন্য পুরস্কার বা শাস্তি পায়।
হিন্দুরা ভালো কাজ করলে ইন্দ্রের অমরাবতীতে সুরাপান আর অনন্তযৌবনা উর্বশী, মেনকা, রম্ভাদের নুপুর নিক্কন ঊপভোগের সুযোগ পায়।
মুসলিমদেরও হতাশ হওয়ার কিছু নেই। তাদের জন্য ৭২ জন আয়তনয়না হূর অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আছে।
পুরো মজাই মজা !!!
কিন্তু, খারাপ কাজ করলেই অপেক্ষা করছে রৌরব নরকের গরম তেলের কড়াই অথবা দোজখের আগুন। পুরো ফ্রাই করে ছেড়ে দেবে।
যদিও এই ভালো বা খারাপ কাজের সংজ্ঞা মানবিক মূল্যবোধ ঠিক করেনা, করে ধর্মশাস্ত্র।
অর্থাৎ, এই আত্মার রূপবর্ণনা, কার্যকারিতার উপর দাঁড়িয়ে আছে ঈশ্বর সংক্রান্ত মতবাদ 'অধ্যাত্মবাদ'।
আত্মাকে ধরে টান দিলেই হূড়মুড় করে ভেঙে পড়বে ঈশ্বর, আল্লাহ, গডের অন্ধবিশ্বাসের সাম্রাজ্য যা মানবসমাজে শোষণকাঠামো অক্ষত রাখার মূল হাতিয়ার।
তাই যারা দেহাতীত আত্মার অস্তিত্বে বিশ্বাস রেখে নাস্তিক বা যুক্তিবাদী সাজতে চাইছেন, তারা বিষগাছের গোড়াকেই সুরক্ষিত রাখার সুপরিকল্পিত অপচেষ্টা করছেন।
©somewhere in net ltd.