নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সংযুক্ত সম্পাদক, ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতি

মণীশ রায়চৌধুরী

সংযুক্ত সম্পাদক, ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতি

মণীশ রায়চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিউজ টাইমে প্রবীর ঘোষ : বিষয় প্ল্যানচেট

১৩ ই জুন, ২০১৫ রাত ১১:৫৮

গত ১২ জুন, ২০১৫ তারিখে নিউজ টাইম চ্যানেলেরাত ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হল একটি আলোচনা। বিষয়প্ল্যানচেট।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির সভাপতি প্রবীর ঘোষ। তাঁর সহযোগী হিসেবে ছিলেন অরিন্দম ভট্টাচার্য, মণীশ রায়চৌধুরী, পঙ্কজ।

অনুষ্ঠানে আত্মা, প্ল্যানচেট নিয়ে বুজরুকি ইত্যাদি বিষয় সংক্রান্ত আলোচনা হয়শেক্সপিয়র সরণীর রহস্যময় ঘটনাকে কেন্দ্র করে। প্রবীর ঘোষ চ্যালেঞ্জ জানান, যে প্ল্যানচেট করে আত্মা এনে দেখাতে পারবেন তাকে ৫০লাখ টাকা দেওয়া হবে। এরপর তিনি বলেন সানন্দা দপ্তরে কীভাবে সম্মোহনের সাহায্যে প্ল্যানচেট করেছিলেন, যা তার অলৌকিক নয়, লৌকিক চতুর্থ খণ্ডে লেখা আছে।
প্ল্যানচেট যে আসলে একটা ভাঁওতাবাজি তাও তিনি বলেন।
এরপর অরিন্দম ভট্টাচার্য, মণীশ রায়চৌধুরী ও পঙ্কজ প্ল্যানচেট, আত্মা নিয়ে আলোচনা করেন। পরে ওই আলোচনায় উপস্থিত হয়েছিলেন সুশীলবাবু। তিনি প্ল্যানচেটে আত্মা নামিয়ে থাকেন বলে দাবি করেন। প্রবীর ঘোষ সুশীলবাবুকে চ্যালেঞ্জ জানান ৫০ লাখ টাকার। মনে হল প্রবীর ঘোষের প্রতিপক্ষ ছিল নিউজ টাইম। সঞ্চালক ঝাঁপিয়ে পড়েন সুশীলবাবুকে বাঁচাতে।সঞ্চালক বলেন, সুশীলবাবু কোনও চ্যালেঞ্জ লড়বেন বলে আসেননি। উনি নিজের অভিজ্ঞতা প্রকাশ করতে এসেছেন।

এরপর প্রবীর ঘোষ পঙ্কজকে সম্মোহন করে প্ল্যানচেট করতে চাইলে সঞ্চালক বাধা দেন। সঞ্চালক বলেন, প্রবীরবাবু আপনি আমাকে সম্মোহন করুন। সঞ্চালকের সম্মোহিত অবস্থায় আংটি প্ল্যানচেট নকশার হ্যাঁ এবং না-এর দিকে ঘুরছিল। কিন্তু নেপথ্য থেকে ‘মেঘনাদ’বাবু সঞ্চালকের কানে লাগানো হেডফোনে বারবার বলে যাচ্ছিলেন, খবরদার প্রবীরবাবুর কথা শুনবেন না। আপনি কিন্তু সম্মোহিত হয়ে যাবেন।সঞ্চালক প্রবীর ঘোষের সঙ্গে সহযোগিতা না করার ফলে প্ল্যানচেট পুরোপুরি সফল হয়নি। শেষে সঞ্চালক বললেন, “বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর। ”

‘মেঘনাদ’ আড়াল থেকে বেরিয়ে এসে সরাসরি প্রবীর ঘোষের সঙ্গে লড়ুন। এমন খাঁজা প্রোগ্রাম জীবনে দেখিনি।
যারা স্ব-সম্মোহন পদ্ধতিতে আংটি ঘোরা বিষয়টা বুঝতে পারেননি তারা পড়েদেখুন।
সুতোতে আংটি বেধে এক মনে চিন্তা করুন আংটি সোজাসুজি দুলছে। দেখবেন, কিছুক্ষণের মধ্যেই দুলবে। আবার নিজেকে সাজেশন দিন, এবার থেমে যাও। দেখবেন, ধীরেধীরে থেমে যাবে। একই ভাবে আড়াআড়ি, ক্লকওয়াইজ, এন্টিক্লক ওয়াইজও দোলানো সম্ভব।
এসবই অবচেতন মনের শক্তিতে ঘোরে। এর পিছনে আত্মার ভূমিকা শূন্য।
চ্যানেল সঞ্চালক নিজে প্রবীর ঘোষের কথা মত মনসংযোগ করলে একই ফল পেতেন।
অনুষ্ঠানটিও অন্য উচ্চতায় যেতে পারত। কিন্তু, চ্যানেল একটি ব্যবসা। অন্ধবিশ্বাস দূর হলে বিজ্ঞাপিত বিভিন্ন তাবিজ-কবজের বিক্রি কমে যাবে। সেই জন্যই কি অনুষ্ঠানটা এভাবে নষ্ট করা হল?
জবাব চ্যানেল কর্তৃপক্ষই দিতে পারবেন।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুন, ২০১৫ রাত ১২:১৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: প্রবীরবাবু যুক্তিবাদী আন্দোলনকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন যদিও তার এখনকার কার্যকলাপ খুব একটা ভাল না

২| ১৪ ই জুন, ২০১৫ সকাল ৯:২৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বলেন কি মাইরি! এমন একটা প্রোগ্রাম টিভিতে হলো!

৩| ১৫ ই জুন, ২০১৫ রাত ১২:০৬

মণীশ রায়চৌধুরী বলেছেন: বন্ধু আরণ্যক, আপনি কী সত্যি তার কাজের খবর রাখেন? আপনি তার শেষ কোন বই পড়েছেন জানালে ভালো লাগত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.