নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নৈতিকতার দিক থেকে আমি নিঃস্ব। লেখাপড়ায় চরিত্রের সংস্কার বদলায় না। ভেতরের অন্ধকার ঘোচে না। নাচ মহলে হাজার বাতির রোশনাই, খাসমহলে অন্ধকার।

আহমেদ রাতুল

আমি খুব সাধারন একজন মানুষ। আমার কোন ইতিহাস নেই, আর ভূগোল দেখতেই পারছেন।

আহমেদ রাতুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

তিলোত্তমা

১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:২৯

কামুক ছিলাম একে বারে কাঙ্গালের অবস্থা। নেড়ি কুকুরের মত ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে থাকি। মেয়ে দেখলেই মনেহয় সিনেমার নায়িকা,আমি বাংলার হিরো। চুল ধরে টানাটানি বাম থেকে ডানে,ডান থেকে বামে। কোনদিকেই জুতসই হয় না,সজারুর কাঁটার মত সোজা। চুল থাকুক আর না থাকুক আমার উপর দিকেই চাই, রিতিমত যুদ্ধ,চিরুনি আর চুল সাথে তেল আর পানি। অবশেষে খানিটা স্নো(ফেয়ার এন্ড লাভলী- ছেলে মেয়ে তফাৎ তখনও বুঝিনি!) আর পাউডার বেশ ফর্শা ফর্শা ভাব। কলেজে প্রথম দিন ক্লাসে ঢুঁকেই বুঝলাম বড় আজব যায়গায় এসে গেছি,এক পাল ছেলে মেয়ে।
স্যার দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হাত পা নাচের ভঙ্গীতে লেকচার দিচ্ছে,চেয়ার টেবিল আছে তাহার বসবার অবসর নাই। যাহ হোক শরৎচন্দের বিলাসী হইতে পাঠ চলিতেছিল রগরগে প্রেমের গল্প। অবশেষে ইহাই বোধগ্মম হইল উহারা প্রেম করিয়া যতটা না বিখ্যাত,শরৎচন্দ উহাদিগকের প্রেম কাহিনি বর্ণনা করিয়া ততোধিক বিখ্যাত হইয়াছেন।
পাশের বেঞ্চে একটা মেয়ে বসেছিল, আপাদোমস্তক বোরখায় মোড়া।কেবল মুখখানা উন্মুক্ত। বড় ভাইরা বলেছিল,সাবধান, ফাস্টটিয়ার বড় খারাপ সেশন কেবল প্রেমের মহে টানে। আমায় তোঁ সবাই টানে কেউ সামনে,কেউবা পিছে প্রেম না হয় একটু নীচের দিকেই টানল।
প্রথম দিন ভেবে ভেবেই গেল,তার পরদিন সাহস করে বলেই ফেললাম “তিলোত্তমা” একবার দুবার তিনবার, অবশেষে মন হয় কান অবধি পৌঁছাল,আমার দিকে ফিরে একটি কোথায় বললে, দেখত কেমন করে? “আমি তোমার থেকে বড়”।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:০২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: কী যে বুঝলুম, সে আমার ঈশ্বর জানে B:-/

২| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:০৭

আহমেদ রাতুল বলেছেন: আমিও না

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.