নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছবি

রায়হান মোহাম্মাদ খান

নিজের সম্পর্কে জানাতে চাই।দেশ সম্পর্কে জানতে চাই।

রায়হান মোহাম্মাদ খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

অগোছালো কিছু কথা

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৬

ইমাম ইবনে আল রাজাব এর মতে জ্ঞানের তিনটি স্তর
প্রথম স্তরে যে প্রবেশ করবে, সে অহংকারী হয়ে উঠবে যেন সে সব জেনে ফেলেছে
দ্বিতীয় স্তরে প্রবেশ করার পর সে বিনয়ী হবে
তৃতীয় স্তরে প্রবেশ করার পর সে নিজের অজ্ঞতা উপলব্ধি করতে পারবে।
কথাটি কতটুকু সত্য জানিনা তবে মোটেই মিথ্যা না।
ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় নামক লোকটিকে বিদ্যাসাগর নামে ডাকা হত। তাকে একদিন জিজ্ঞেস করা হল আপনি জ্ঞানের কতটুকু অর্জন করতে পেরেছেন ? জাবাব টা ছিল “আমি জ্ঞানের সাগর হতে মাত্র একফোঁটা পানি গ্রহন করতে পেরেছি”। বুঝুন সে কোন স্তরে ছিল ! লালন তো আধ্যাত্মিক টাইপের জ্ঞানী ছিলেন, তিনি পাণ্ডিত্য দেখিয়েছেন তার লেখায় (মুলত গানে) কিন্তু লেখার শেষে লিখে দিতেন তার নিজের অজ্ঞতার কথা। তিনি ধর্মই মানতেন না কিন্তু কোন ধর্ম নিয়ে বাজে কথা বলেননি।
আর আমাদের কিছু পাবলিক জ্ঞানের প্রথম স্তরে ঢুকেই বুদ্ধিজীবী সাজে, মুক্তমনা সাজে, প্রগতিশীল সাজে, কামসুত্র বই পড়ে নিজেদের জ্ঞানী ভাবে, কাম দিয়ে সব আকাম করার সুত্র খুঁজে। এরপরেই শুরু করে ধর্ম নিয়ে আজে বাজে কথা লিখা। বিশেষ করে ইসলাম ধর্ম নিয়ে। কুরআন মাজিদ কিংবা হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কে নিয়ে খোটা না দিলে যেন তাদের লেখা সতেজ হয় না। পৃথিবীর কোন জ্ঞানী আজ পর্যন্ত কোরআন এর একটা আয়াতকে ভুল বলতে পারে নাই, সকল মানব বিশ্লেষক শ্রেষ্ঠ মহামানবের তালিকায় হযরত মুহাম্মদ (সঃ)কে না রেখে পারে নাই আর এরা এসবকে অসম্মান করে নিজের জাত চেনাচ্ছে। মুক্ত চিন্তা করা ভালো কিন্তু সরাসরি ধর্ম নিয়ে এতটা নোংরামি কারোরই কাম্য নয়। সবাই সাল্মান রুসদির মত ইসলাম ধর্মকে পৃথিবীর কাছে ছোট করে নিজেকে বড় পণ্ডিত হিসেবে জাহির করার রাস্তা খুঁজে। এটা করতে যেয়ে সমাজকে তারা দূষিত তো করছেই সাথে সাথে সমাজ ও সমাজের ধর্মীয় গোঁড়ামি ধাঁচের কিছু মানুষকে অপরাধী করে যাচ্ছে। এঁর শেষ কোথায়?
বর্তমান সমাজ জ্ঞান নির্ভর। যতই প্রযুক্তি আসুক না কেন জ্ঞানের চর্চা না থাকলে সমাজে উন্নতি হয় না। তত্ত আর বিপরীত তত্তের সংঘর্ষেই নতুন তত্তের বিকাশ হবে এটাই রীতি। ইসলাম ই পৃথিবীর একমাত্র ধর্ম যেখানে ধর্ম আর বিজ্ঞান কিংবা জ্ঞানচর্চা সমান তালে চলেছে। জ্ঞানের প্রতিটি শাখায় মুসলমানেরা শ্রেষ্ঠত্ব দেখিয়েছে। তাদের এই জ্ঞান সাধনার কোন পর্যায়েই তারা ধর্মকে খারাপ বলেনি । কিংবা ধর্ম নিয়ে বাজে কথাও বলেননি। কিন্তু বর্তমান মুসলিম সমাজে ধর্মীয় গোঁড়ামি জ্ঞানকে প্রস্ফুটিত হতে দেয় না।এই ধর্মীয় গোঁড়ামির কারনেই ইসলাম আজ সবদিক দিয়ে এতটা পিছিয়ে। আসলে এটা ইসলামের দোষ নয় কিছু মানুষ ইসলামের নাম ভাঙিয়ে ফায়দা লুটছে। ধর্মীয় গোঁড়ামি বলতে বুঝাতে চাচ্ছি ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা প্রদান করা। আর এর মাধ্যমে কিছু মানুষ সুযোগ নিচ্ছে। নিরীহ ধর্মপ্রাণ মানুষগুলো কে সন্ত্রাসবাদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে, জিহাদের নামে করছে হানাহানি। শান্তির ধর্ম প্রতিষ্ঠার নামে অশান্ত করছে গোটা বিশ্বকে।
ইসলামের যুগে নাস্তিকদের প্রভাব সবচেয়ে বেশি ছিল কিন্তু মুসলমানেরা তাদের এলেমের মাধ্যমে বুঝিয়েছেন আলোর পথে আসতে , জারা আসতো না, তাদের হেদায়েতের জন্য দোয়া করত সবাই ।আর আমাদের এখানে কথার আগে চাপাতি রেডি। যুক্তি তর্কের মাধ্যমে জ্ঞানের চর্চা বাড়ে, বাড়ে সহনশীলতা, চিন্তাশীল মনোভাব, অন্যর কথা মানার প্রবনতা। কিন্তু আমাদের সমাজে এঁর কোন লক্ষন ই নাই। এখানে কেউ কারো কথা শুনতে বিশ্বাসী না। সবার কাছে তাদের কথাই সেরা। নিজের শ্রেষ্ঠত্বর জন্য শুরু হয় একপাশে কলমের জোর আর অন্যপাশে চাপাতির জোরের প্রভাব। খেলা চলছে তো চলছেই। জানিনা কবে থামবে কলম চাপাতির খেলা। খেলায় জেই জিতুক হেরে যায় আমাদের নিরীহ সমাজটা, সমাজের মানুষগুলো........

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.