![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অধ্যাপক, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
যে কোনো বিপ্লবের অন্যতম উপসর্গ হলো নৈরাজ্য। এই নৈরাজ্যকে গ্রহণযোগ্য করার জন্য বিপ্লবের অনুকূলে নতুন বয়ান তৈরি করা হয়। এই নতুন বয়ান বিপ্লবীদের মধ্যে নতুন রাজনৈতিক মূল্যবোধ তৈরি করে। এই মূল্যবোধ বিপ্লবীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা জাগ্রত করে, যা তাদের বাচনিক ও শারীরবৃত্তীয় আচার-আচরণকে বদলে দেয়। তারা লক্ষ্য রাজনৈতিক শক্তির মনোবল ভেঙ্গে দিতে তাদেরকে অপশক্তি হিসাবে চিত্রায়নের চেষ্টা করে [উল্লেখ্য যে, চলমান আন্দোলনের অন্যতম অস্ত্র হলো- গুজব, অপবাদ, গালিগালাজ, খিস্তিখেউড়, ব্যঙ্গোক্তি ও ব্যঙ্গচিত্র। এসব অস্ত্রের কিছু কিছু অত্যন্ত লজ্জাকর। এগুলো জনমনে অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে] এবং তারা এই অপরাজনৈতিক শক্তির প্রশাসনিক অবকাঠামোকে অচল করে দিতে সচেষ্ট হয়। উল্লেখ্য যে, বিপ্লবকে সফল করতে সৃষ্ট এই বয়ানে বিপ্লবীদের সমস্ত কর্মই ন্যায়সঙ্গত বলে ধরে নেওয়া হয় এবং নৈরাজ্যের মাধ্যমেই বিপ্লবের সফলতা আসে। এই বিপ্লবের মাধ্যমে সমাজের মানুষের চিন্তা ও আচরণ বিগঠতি ও পুনর্গঠিত হতে থাকে। বিপ্লব শেষ হলেও নৈরাজ্য উত্তরোত্তর বাড়তে থাকে। সে সময় বিপ্লবীদের নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাড়তে থাকে এবং এই দ্বন্দ্ব থেকে সংঘর্ষ এবং সংঘর্ষ থেকে গুপ্ত হত্যা ও হত্যা বাড়তে থাকে। অর্থ্যাৎ বিপ্লবের বিপরীতে প্রতিবিপ্লব সংঘটিত হয়। উল্লেখ্য যে, পৃথিবীতে এ পর্যন্ত সংঘটিত সমস্ত বিপ্লবেই একটি এজমালি ঘটনা ঘটেছে। সেটি হলো বিপ্লব শেষে বিপ্লবীরা বিপ্লবের কেন্দ্র থেকে বিতাড়িত হয় এবং তাদের অধিকাংশের ভাগ্যে জুটে গুপ্ত হত্যা বা রাজনৈতিক হত্যা। বিপ্লবের মাধ্যমে সৃষ্ট নৈরাজ্য বছরের পর বছর চলতে থাকে এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় ও সংস্কৃতিক স্থিতিশীলতা আসতে বছরের পর বছর সময় লাগে। সে অবস্থায় দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভেঙ্গে পড়ে।
©somewhere in net ltd.