![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অধ্যাপক, কোবে গাকুইন বিশ্ববিদ্যালয়
রাজনীতি হলো ক্ষমতা ও সম্পদের বন্টনকে ঘিরে সমাজের মানুষের মধ্যেকার সামষ্টিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার সাথে সম্পৃক্ত কর্মকাণ্ড বিশেষ। কাজেই রাজনীতি হলো উৎপাদন সম্পর্ক ও ক্ষমতার বিন্যাসে নিজের প্রাধান্য দৃঢ় করার প্রক্রিয়া বিশেষ। সার্বক্ষণিকভাবে যিনি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকেন তিনি হলেন রাজনীতিবিদ। সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নিজের অবস্থানকে দৃঢ় করতে রাজনীতিবিদগণ নানান কূটকৌশল ও বল প্রয়োগ করে থাকেন। কূটকৌশলের মধ্যে রয়েছে কূটতর্ক, প্রতিপক্ষে চরিত্র হনন ও ঘুষ প্রদান। বল প্রয়োগের মধ্যে রয়েছে ভীতি প্রদর্শন, মারপিট ও হত্যা।
উল্লেখ্য যে বর্তমানে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তিগণ রাজনীতিবিদ নন। তারা কেবলই অধিকার আন্দোলনকারী নেতা। তবে তারা বর্তমানে রাজনীতিবিদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন এবং তুখোড় রাজনীতিবিদদের সাথে ক্ষমতা রূপরেখা সৃষ্টিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণে দেনদরবার করছেন। তারা রাজনীতিতে নবাগত। কিন্তু সার্বক্ষণিক রাজনীতিবিদগণ সমাজের মানুষের সম্পদ উৎপাদন, পরিবহন ও বন্টন ব্যবস্থা সম্পর্কে সামষ্টিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। তারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষমতা প্রয়োগ করে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করেন এবং ক্ষমতার বলয়ের প্রত্যেকই সেই প্রক্রিয়া থেকে লাভবান হতেন বা এখন হোন। তারা তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য লাভবান হোন বলেই, তারা সার্বক্ষণিক রাজনীতিবিদ হয়ে উঠেছেন। কাজেই রাজনীতিবিদ্যার সূত্রগুলো সঠিক বলে মেনে অধিকার আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় রাজনীতিবিদদের মারপ্যাচে কুলিয়ে উঠতে পারবে না। সেক্ষেত্রে চলমান রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় আন্দোলনকারীগণ বড় বড় রাজনৈতিক দলের সাথে টেক্কা দিবে কল্পিত আদর্শ রাষ্ট্র উপহার দিতে পারবেন?
©somewhere in net ltd.