![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অধ্যাপক, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
আজ (১৬/১০/২০২৪) প্রকাশিত হলো আমার লেখা আরও একটি গ্রন্থ।
গ্রন্থের শিরোনাম: ভাষিক রাজনীতি ও ভাষা-পরিস্থিতি: প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ
প্রকাশক: জ্ঞানকোষ প্রকাশনী
গ্রন্থের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি:
এ গ্রন্থটি হলো বিগত এক দশককাল ধরে লেখা বিভিন্ন গবেষণামূলক প্রবন্ধ ও দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত নিবন্ধসমূহের সংকলন বিশেষ, যার শিরোনাম দেওয়া হয়েছে—ভাষিক রাজনীতি ও ভাষা-পরিস্থিতি: প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ। গ্রন্থটি বিভিন্ন নিবন্ধের সমন্বয়ে সংকলিত গ্রন্থ হলেও, এ গ্রন্থে মূলত বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ভাষা-রাজনীতি, ভাষানীতি, ভাষাপরিকল্পনা এবং ভাষিক সমস্যা ও তা সমাধানের উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। সে অনুসারে এই গ্রন্থে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শক্তি কর্তৃক লালিত ভাষারাজনৈতিক আদর্শ ও মূল্যবোধ; এই শক্তি কর্তৃক অনুসৃত ভাষিক চিন্তাধারা প্রসূত বাংলা ও ইংরেজি ভাষা শিক্ষাব্যবস্থার চিত্র এবং তা থেকে উদ্ভূত ভাষিক সমস্যার স্বরূপ তুলে ধরা হয়েছে এবং তা সমাধানের পথ বাতলে দেওয়া হয়েছে। এ গ্রন্থের শেষ অংশে বিদেশি ভাষা শিক্ষাব্যবস্থার রূপরেখা এবং তার বাস্তব রূপদানে সহায়ক একটি বিদেশি ভাষা ও সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরা হয়েছে।
এই গ্রন্থে বাংলাদেশের ভাষা-পরিস্থিতি সংশ্লিষ্ট ২২টি ভিন্ন ভিন্ন প্রসঙ্গকে পর্যায়ক্রমে সন্নিবেশিত করে সঙ্কলন করা হয়েছে। ২৪টি প্রসঙ্গ ভিন্ন ভিন্ন হলেও, সমস্ত গ্রন্থটি ৪টি কেন্দ্রীয় ধারণার উপর প্রতিষ্ঠিত; এগুলো হলো ভাষারাজনৈতিক আদর্শের বিচ্যুতি, ভাষা-পরিস্থিতির বিপর্যয়, বিপর্যস্ত ভাষা-পরিস্থিতি উন্নয়নে সহায়ক ইংরেজি ভাষা ও বিদেশি ভাষানীতির রূপরেখা। কেন্দ্রীয় ধারণাগুলো সম্মিলিতভাবে যে বার্তা দেয়, তা হলো বাংলাদেশের নীতিনির্ধারকদের ভাষারাজনৈতিক আদর্শের অবক্ষয় ঘটেছে। এই অবক্ষয়জনিত কারণে দেশের রাজনৈতিক শক্তি রাষ্ট্র ভাষা ও জাতীয় ভাষা বাংলা ভাষার গঠন, মর্যাদা ও প্রায়োগিকতার গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্মৃত হয়েছে। অথচ বাংলা ভাষা বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের প্রতীক এবং বাঙ্গালী জাতিসত্ত্বার পরিচায়ক। কাজেই বাংলা ভাষার এরূপ বিপর্যয় জাতীয় সঙ্কটের ইঙ্গিতবহ। সেজন্য বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদী ভাষারাজনৈতিক আদর্শ অনুসরণে একটি ভাষানীতি প্রণয়ন করা প্রয়োজন, যেনো তার সহায়তায় দেশে বাংলা ভাষাকে তার প্রাপ্য মর্যাদা ও প্রায়োগিকতায় প্রতিষ্ঠা করা যায় এবং সর্বোপরি বাংলাদেশের ভাষা-পরিস্থিতিতে বিদেশি ভাষাসমূহকে তাদের আপেক্ষিক মর্যাদা ও প্রায়োগিকতায় প্রতিষ্ঠা করা যায়।
©somewhere in net ltd.