নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডক্টর এ.বি.এম. রেজাউল করিম ফকির, অধ্যাপক, জাপানি ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগ আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় e-mail: [email protected]

রেজাউল করিম ফকির

অধ্যাপক, কোবে গাকুইন বিশ্ববিদ্যালয়

রেজাউল করিম ফকির › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাঙ্গালী জাতির স্বকীয় দর্শনের অন্বেষা: আধ্যাত্মিক, সাংস্কৃতিক ও দার্শনিক ঐতিহ্যের পুনর্জাগরণ

২১ শে জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫১

বাংলাদেশ আজ এক গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে দাঁড়িয়ে। রাজনৈতিক স্বাধীনতার পর আমাদের এখন প্রয়োজন দার্শনিক স্বাধীনতা—এমন একটি জাতীয় দর্শনের যা হবে সম্পূর্ণ আমাদের নিজস্ব, আমাদের মাটি ও মানুষের সাথে সংগতিপূর্ণ। এই অন্বেষণের পথে আমরা দেখতে পাই যে বর্তমানে বাংলাদেশের ধর্মীয় ও দার্শনিক চিন্তার জগৎ মূলত তিনটি প্রধান ধারায় বিভক্ত: সেক্যুলার প্রগতিশীলতা, রক্ষণশীল ইসলামবাদ এবং সুফি-লৌকিক ধারা। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই তিন ধারার মধ্যে কোনটি বাঙ্গালী জাতির স্বকীয় দর্শন হতে পারে

১. হারানো দর্শনের সন্ধানে: প্রাচীন বাংলার আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য
আমাদের জাতীয় দর্শনের খোঁজ শুরু করতে হবে আমাদের গভীর অতীত থেকে। প্রথম সহস্রাব্দ থেকেই এই ভূখণ্ডে যে দেহতত্ত্ব ও আত্মতত্ত্বের চর্চা হয়েছে, তা শুধু ধর্মীয় সাধনা নয়, বরং একটি সম্পূর্ণ জীবনদর্শন। এই ঐতিহ্যের মধ্যেই নিহিত রয়েছে বাঙ্গালী জাতির স্বকীয় দার্শনিক পরিচয়ের বীজ।

১.১ পাল যুগ: দার্শনিক স্বর্ণযুগের স্মৃতি
অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতাব্দী পর্যন্ত পাল শাসনামল ছিল বাঙ্গালী দর্শনের স্বর্ণযুগ। এই সময়ে বাংলা শুধু দক্ষিণ এশিয়া নয়, সমগ্র এশিয়ার দার্শনিক চিন্তার কেন্দ্রবিন্দু ছিল। নালন্দা ও বিক্রমশীলা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে গভীর দার্শনিক অনুসন্ধান হয়েছে, তা ছিল সত্যিকারের বাঙ্গালী বুদ্ধিবৃত্তিক ঐতিহ্যের প্রকাশ।
দেহতত্ত্বের দর্শন: পাল আমলে মানবদেহকে আধ্যাত্মিক উপলব্ধির মাধ্যম হিসেবে দেখার যে দর্শন গড়ে ওঠে, তা বিশ্বের অন্য কোথাও এত গভীরভাবে বিকশিত হয়নি। "অপরূপ রূপে রূপশী এই দেহখানি" - এই উপলব্ধি বাঙ্গালী দর্শনের মৌলিক ভিত্তি।
আত্মতত্ত্বের গভীরতা: আত্মার প্রকৃতি ও মুক্তির পথ নিয়ে যে গভীর অনুসন্ধান হয়েছে, তা পরবর্তী যুগের সমস্ত আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যকে প্রভাবিত করেছে।
মানবিক দর্শনের প্রাধান্য: জাতিভেদ, ধর্মীয় গোঁড়ামি এবং সামাজিক অন্যায়ের বিরুদ্ধে যে মানবিক দর্শন গড়ে উঠেছিল, তা ছিল বাঙ্গালী চিন্তার অনন্য বৈশিষ্ট্য।

১.২ হিন্দুত্ববাদের বিরুদ্ধে বাংলার প্রতিরোধী দর্শন
একটি উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক সত্য হলো, যখন দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চলে কঠোর হিন্দুত্ববাদ ও মূর্তিপূজা কেন্দ্রিক ধর্মবাদ বিকশিত হচ্ছিল, তখন বাংলায় প্রায় চারশত বছর ধরে একটি সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী মানবিক ও যুক্তিবাদী দর্শনের চর্চা হয়েছে। এই প্রতিরোধী দর্শনের মধ্যেই লুকিয়ে আছে আমাদের জাতীয় স্বকীয়তার মূল চাবিকাঠি।
মানুষকেন্দ্রিক দর্শন: অমানবিক জাতিভেদ ও ধর্মীয় কুসংস্কারের বিরুদ্ধে বাংলার যে মানুষকেন্দ্রিক দর্শন গড়ে উঠেছিল, তা আজও প্রাসঙ্গিক।
যুক্তিবাদী চিন্তা: অন্ধবিশ্বাসের বিরুদ্ধে যুক্তি ও বিজ্ঞানমনস্ক চিন্তার যে ঐতিহ্য, তা বাঙ্গালী দর্শনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
আধ্যাত্মিক গভীরতা: বাহ্যিক আচার-অনুষ্ঠানের চেয়ে অন্তর্মুখী সাধনা ও আত্মোপলব্ধির উপর গুরুত্ব।


২. ব্রিটিশ শাসনে বিকৃত দর্শনের উৎপত্তি
আমাদের জাতীয় দর্শনের খোঁজে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উপলব্ধি করতে হবে যে, বর্তমানে যে ধর্মীয় কঠোরতা ও বিভাজন দেখি, তা মূলত ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসনের ফসল।

২.১ ইসলামে কঠোরতার আমদানি
ব্রিটিশ আমলে কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসা (১৭৮০) ও দেওবন্দ মাদ্রাসা (১৮৬৬) প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ওয়াহাবীবাদী রক্ষণশীল ইসলামের প্রবেশ ঘটে। এই ধারা স্থানীয় সুফি-লৌকিক ঐতিহ্যের বিরোধী ছিল এবং আমাদের সহজিয়া-বাউল ঐতিহ্যকে "অশুদ্ধ" বলে গণ্য করত।

২.২ হিন্দু ধর্মে সাম্প্রদায়িকতার বিকাশ
একইভাবে, হিন্দু মেলার আয়োজন ও কালীপূজা-দুর্গাপূজার সর্বজনীনকরণের মাধ্যমে হিন্দু ধর্মেও একটি রক্ষণশীল ও সাম্প্রদায়িক চেতনা গড়ে তোলা হয়। এর ফলে ঐতিহ্যবাহী বৈষ্ণব ও সহজিয়া ধর্মের উদার চরিত্র বিনষ্ট হয়।


৩. ব্রিটিশপূর্ব ভক্তিবাদী ঐতিহ্য: হারানো সংযোগের সুতো
আমাদের জাতীয় দর্শনের খোঁজে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ব্রিটিশপূর্ব ভক্তিবাদী ঐতিহ্যের পুনরাবিষ্কার। এই ঐতিহ্যেই নিহিত রয়েছে আমাদের স্বকীয় দার্শনিক পরিচয়ের মূল সূত্র।

ইসলামী ভক্তিবাদ: সুফি-দরবেশদের প্রভাবে গড়ে ওঠা ইসলাম ছিল অত্যন্ত মানবিক ও সহনশীল। হযরত শাহজালাল, খানজাহান আলী, বায়েজিদ বোস্তামীদের মতো মহাপুরুষেরা স্থানীয় সংস্কৃতির সাথে ইসলামের যে সুন্দর সমন্বয় ঘটিয়েছিলেন, তা ছিল আমাদের নিজস্ব ইসলামী দর্শন।

হিন্দু ভক্তিবাদ: চৈতন্যদেবের বৈষ্ণব ধর্মের প্রভাবে হিন্দু ধর্ম ছিল ভক্তিমূলক ও উদার। জাতিভেদের কঠোরতা কম ছিল এবং সকল শ্রেণীর মানুষ একসাথে কীর্তন-ভজনে অংশগ্রহণ করতে পারত।
সাংস্কৃতিক সমন্বয়: ধর্মীয় উৎসবে হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ, মুসলিম শাসকদের দুর্গাপূজায় পৃষ্ঠপোষকতা এবং হিন্দু জমিদারদের ঈদের আয়োজন - এসব ছিল আমাদের সমন্বয়বাদী দর্শনের প্রকাশ।


৪. বর্তমান ত্রিমুখী ধারার মূল্যায়ন: কোনটি আমাদের নিজস্ব?
আমাদের জাতীয় দর্শনের খোঁজে বর্তমানের তিনটি প্রধান ধারার দিকে তাকালে দেখতে পাই:

৪.১ সেক্যুলার প্রগতিশীলতা: আমদানিকৃত দর্শন
এই ধারার মূল বৈশিষ্ট্য হলো পশ্চিমা ধর্মনিরপেক্ষতা ও আধুনিক মানবিক মূল্যবোধের অনুসরণ। যদিও এর মধ্যে অনেক ইতিবাচক দিক রয়েছে, তবুও এটি মূলত আমদানিকৃত দর্শন। এতে বাঙ্গালী জাতির নিজস্ব আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যের প্রতিফলন কম।

৪.২ রক্ষণশীল ইসলামবাদ: বিদেশী প্রভাব
এই ধারাও মূলত আরবীয় ওয়াহাবীবাদ ও দেওবন্দী চিন্তাধারার প্রভাবে গড়ে উঠেছে। এটি বাঙ্গালী মুসলমানদের হাজার বছরের সুফি-লৌকিক ঐতিহ্যের বিরোধী এবং আমাদের নিজস্ব ইসলামী সংস্কৃতিকে "বিদআত" বলে গণ্য করে।

৪.৩ সুফি-লৌকিক ধারা: স্বকীয় দর্শনের আধার
এই তিন ধারার মধ্যে একমাত্র সুফি-লৌকিক ধারাই আমাদের নিজস্ব মাটি থেকে উৎপন্ন। এই ধারার মধ্যে রয়েছে:
প্রাচীন ধারাবাহিকতা: পাল আমলের সহজিয়া ঐতিহ্য থেকে শুরু করে আধুনিক বাউল-ফকির পর্যন্ত একটি অবিচ্ছিন্ন ধারাবাহিকতা।
সাংস্কৃতিক সমন্বয়: স্থানীয় বাঙ্গালী সংস্কৃতির সাথে ইসলামী ও অন্যান্য ধর্মীয় মূল্যবোধের গভীর সমন্বয়।
মানবিক দর্শন: লালন ফকিরের "সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে" - এই যে মানুষকেন্দ্রিক দর্শন, তা আমাদের প্রাচীন ঐতিহ্যেরই আধুনিক রূপ।
আধ্যাত্মিক গভীরতা: দেহতত্ত্ব ও আত্মতত্ত্বের যে গভীর চর্চা, তা পূর্বপুরুষদের জ্ঞানের ধারাবাহিকতা।


৫. স্বকীয় দর্শন গঠনের পথনির্দেশ
আমাদের জাতীয় স্বকীয় দর্শন গঠনের জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন:

৫.১ শিক্ষাব্যবস্থার আমূল সংস্কার
প্রাচীন ঐতিহ্যের পুনরুদ্ধার: পাল আমলের দার্শনিক গ্রন্থাবলী, চর্যাপদের গভীর দর্শন, লালন-হাসন রাজার আধ্যাত্মিক কাব্য - এসবকে শিক্ষাক্রমের অবিচ্ছেদ্য অংশ করতে হবে।
তুলনামূলক দর্শনের চর্চা: বিশ্বের অন্যান্য দর্শনের সাথে আমাদের নিজস্ব দর্শনের তুলনামূলক অধ্যয়ন।
আধুনিক প্রয়োগ: প্রাচীন জ্ঞানের আধুনিক জীবনে প্রয়োগের উপায় শেখানো।

৫.২ ধর্মীয় সমন্বয় প্রতিষ্ঠান গঠন
জাতীয় আধ্যাত্মিক পরিষদ: সকল ধর্মের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি জাতীয় আধ্যাত্মিক পরিষদ গঠন যা আমাদের সমন্বয়বাদী ঐতিহ্যের পুনরুজ্জীবনে কাজ করবে।
স্থানীয় সম্প্রীতি কেন্দ্র: প্রতিটি এলাকায় ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সাংস্কৃতিক একাত্মতার কেন্দ্র স্থাপন।
আন্তঃধর্মীয় গবেষণা: বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে সাধারণ মানবিক মূল্যবোধের অনুসন্ধান।

৫.৩ সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণ
লৌকিক ঐতিহ্যের প্রসার: বাউল-ফকির গান, যাত্রাপালা, পুতুল নাচ, লোকগীতি - এসবের মাধ্যমে আমাদের দার্শনিক ঐতিহ্যের প্রচার।
আধুনিক শিল্পে প্রয়োগ: চলচ্চিত্র, সাহিত্য, চিত্রকলায় আমাদের নিজস্ব দর্শনের প্রতিফলন।
আন্তর্জাতিক প্রচার: বিশ্বব্যাপী বাঙ্গালী দর্শনের অনন্যতা তুলে ধরা।

৫.৪ গবেষণা ও পুনরুদ্ধার কর্মসূচি
প্রাচীন গ্রন্থ সংরক্ষণ: পুঁথি, তাড়পত্র এবং প্রাচীন পাণ্ডুলিপি সংগ্রহ ও সংরক্ষণ।
আধুনিক অনুবাদ: প্রাচীন গ্রন্থাবলীর সহজবোধ্য আধুনিক অনুবাদ।
নতুন ব্যাখ্যা: প্রাচীন জ্ঞানের আধুনিক ব্যাখ্যা ও প্রয়োগ।


৬. বাঙ্গালী জাতির গৌরব পুনরুদ্ধার: দর্শনের শক্তিতে
আমাদের জাতীয় স্বকীয় দর্শনের পুনরাবিষ্কার শুধু একটি বৌদ্ধিক অনুশীলন নয়, এটি বাঙ্গালী জাতির আত্মগৌরব ও আত্মবিশ্বাস পুনরুদ্ধারের মূল চালিকাশক্তি।

৬.১ আত্মপরিচয়ের সংকট থেকে মুক্তি
বর্তমানে বাঙ্গালী জাতি একটি আত্মপরিচয়ের সংকটে ভুগছে। আমরা না পারছি সম্পূর্ণ পশ্চিমা হতে, না পারছি সম্পূর্ণ আরবীয় হতে। এই দ্বিধাদ্বন্দ্ব থেকে মুক্তির একমাত্র পথ হলো আমাদের নিজস্ব দার্শনিক পরিচয়ের পুনরুদ্ধার।

৬.২ বৌদ্ধিক নেতৃত্বের পুনরুদ্ধার
একসময় বাংলা ছিল এশিয়ার জ্ঞান-বিজ্ঞান ও দর্শনের কেন্দ্র। নালন্দা-বিক্রমশীলার গৌরব, পাল রাজাদের পৃষ্ঠপোষকতায় বিকশিত দার্শনিক চিন্তা, চৈতন্য-কবীর-লালনের আধ্যাত্মিক বিপ্লব - এসবই প্রমাণ করে যে বাঙ্গালী জাতির রয়েছে গভীর দার্শনিক ঐতিহ্য।

৬.৩ বিশ্বমানবতার পথপ্রদর্শক
আজকের বিশ্বে যখন ধর্মীয় চরমপন্থা, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা আর পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে মানবসভ্যতা হুমকির মুখে, তখন বাঙ্গালী দর্শনের মানবিকতা, সহনশীলতা আর প্রকৃতিপ্রেমের বার্তা হতে পারে বিশ্বমানবতার মুক্তির পথ।


৭. উপসংহার: স্বকীয় দর্শনে বাঙ্গালী জাতির পুনর্জাগরণ
আমাদের জাতীয় স্বকীয় দর্শনের খোঁজ শেষ পর্যন্ত একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছায়: সুফি-লৌকিক ধারার মধ্যেই নিহিত রয়েছে বাঙ্গালী জাতির প্রকৃত দার্শনিক পরিচয়। এই ধারা শুধু একটি ধর্মীয় মত নয়, বরং এটি হাজার বছরের বাঙ্গালী চিন্তা, সংস্কৃতি ও আধ্যাত্মিকতার সংমিশ্রণে গড়ে ওঠা একটি সম্পূর্ণ জীবনদর্শন।

৭.১ স্বকীয়তার স্বরূপ
বাঙ্গালী জাতির স্বকীয় দর্শনের মূল বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
মানবকেন্দ্রিকতা: "মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান।"
সর্বধর্ম সমন্বয়: "যত মত তত পথ" - সকল ধর্মের সত্যকে স্বীকার করা।
যুক্তিবাদিতা: অন্ধবিশ্বাসের বিরুদ্ধে বিজ্ঞানমনস্ক চিন্তার প্রাধান্য।
আধ্যাত্মিকতা: দেহতত্ত্ব ও আত্মতত্ত্বের গভীর চর্চা।
প্রকৃতিপ্রেম: সৃষ্টির প্রতি দায়বদ্ধতা ও পরিবেশ চেতনা।

৭.২ জাতীয় দর্শনের ভবিষ্যত
এই স্বকীয় দর্শনের ভিত্তিতে বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারে একটি অনন্য সভ্যতা - যেখানে থাকবে আধুনিকতার সাথে ঐতিহ্যের সমন্বয়, ধর্মীয় বিশ্বাসের সাথে বৈজ্ঞানিক চিন্তার সংযোগ, জাতীয় গর্বের সাথে বিশ্বমানবতার প্রতি দায়বদ্ধতা।
বাঙ্গালী জাতির এই স্বকীয় দর্শনের পুনরাবিষ্কার ও পুনরুজ্জীবনের মাধ্যমে আমরা শুধু নিজেদের হারানো গৌরবই ফিরে পাব না, বরং বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে পারব এমন একটি আদর্শ যা হবে ভবিষ্যৎ মানবসভ্যতার পথপ্রদর্শক।
এইভাবে আমাদের জাতীয় স্বকীয় দর্শনের অন্বেষণ পরিণত হবে একটি জাতিগত পুনর্জাগরণে - যার মাধ্যমে বাঙ্গালী জাতি আবার দাঁড়াবে বিশ্বমঞ্চে নিজস্ব পরিচয়ে, নিজস্ব গৌরবে, নিজস্ব দর্শনের শক্তিতে বলীয়ান হয়ে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.