নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রিয়াজ বেষট

রিয়াজ বেষট › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৮

আমাদের মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা

সমাজের তৃণমূলে, রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় মাদ্রাসা ও “কওমী মাদ্রাসা” এর নামে বেসরকারী এক অদ্ভুত শিক্ষা ব্যবস্থা প্রচলিত, যেখানে আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান শেখানোতো দূরের কথা, উল্টাভাবে আধুনিক শিক্ষার বিরুদ্ধে, সকল প্রকার আধুনিকতার বিরুদ্ধে, কার্য-কারণ ও যুক্তিবাদের বিরুদ্ধে কোমলমতি ছেলেদের মগজ ধোলাই করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত।



জীবনমুখী শিক্ষার পরিবর্তে সেখানে অধিক গুরুত্ব দিয়ে শেখানো হচ্ছে-জামা-কাপড় কীভাবে পরা দোরস্ত হবে, শৌচাগারে ঢুকতে ও বের হতে কী দোয়া পড়তে হবে, কোন দিকে মুখ করে প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে হবে, রুটির কোন পিট আগে খাবে, কীভাবে আক্দ হবে, কী কী কারণে বিবি তালাক দেওয়া যাবে, বিবির সাথে সহবাসের নিয়ম কী এবং তৎপর তৈয়ম্মুম কীভাবে করতে হবে, নারীদের পর্দাপুশিদা কী ভাবে নিশ্চিদ্র করে তাদের অন্তপুরবাসিনী করা যাবে, গোঁপ দাড়ির দৈর্ঘ্য কতটুকু জায়েজ-আধুনিক জীবনের প্রেক্ষিতে তুচ্ছাতিতুচ্ছ এবং একান্ত ব্যক্তিগত ও পারিবারিক ইত্যাকার বিষয়সমূহ- যার ভিত্তি হচ্ছে মধ্যযুগীয় মূল্যবোধ, পরলৌকিক চিন্তা ও নিয়তিবাদ।



এ অদ্ভুত মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা সবচেয়ে মারাত্মক যে ক্ষতিটা তারা করছে, তাহলো- গ্রামের গরীব মানুষের কোমলমতি সন্তানদের এমনভাবে মগজ ধোলাই করা হচ্ছে, যার ফলে বিশ্বে ঘটমান সকল ঘটনার জন্য কোন কার্য-কারণ ব্যতিরেকে তারা নিয়তি এবং একমাত্র নিয়তিকেই দায়ী করছে, এর বাইরে কোন কিছুই তারা ভাবতে পারে না। তাই আজ আমাদের সমাজের যে সকল দুর্দশা, এমনকি প্রাকৃতিক দুর্যোগকে পর্যন্ত তারা আল্লাহের গজব বলে মনে করে।



অতএব, তাদের মতে কোন দুর্যোগ কিংবা কোন সংকটের প্রতিকার কিংবা প্রতিরোধ করা মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়, যতক্ষণ না সৃষ্টিকর্তা চাইবেন। তাই সকল প্রকার বালা-মুসিবত কিংবা সংকট সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য কেবল কায়মানোবাক্যে প্রার্থণা করা ছাড়া তাদের কাছে কোন বিকল্প থাকে না। এ সমস্ত মাদ্রাসা-শিক্ষিত লোকেরা কিছূ দিন পূর্বে ঘটে যাওয়া “সুনামী”র মত প্রাকৃতিক মহাদুর্যোগকেও আল্লাহের গজব বলে প্রকাশ্যে ফতোয়া দিয়েছে। মজার ব্যাপার হলো-আন্তর্জাতিক অঙ্গণে তাদেরই ভাবধারার কেহ কেহ সুনামীর ফলে সৃষ্ট সমুদ্রের উত্তাল তরঙ্গচূড়ায় ছিটকে পড়া জলরাশিতে আরবী হরফে ’আল্লাহু’ শব্দ আবিস্কার করে বিভিন্ন ইসলামী ওয়েব-সাইটে তা প্রচারও করেছেন এবং বাংলাদেশে সর্বসাম্প্রতিক কালের শ্রেষ্ঠ কৌতুক- আদালতে দণ্ডিত কুখ্যাত যুদ্দাপরাধী দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর মুখের ছবি চাঁদে দেখতে পাওয়ার সংবাদ সারাদেশে তারাই রটায়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.