নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সারা বাংলাদেশটা শান্তিতে ভরে যাক

রেদওয়ান কাদের

রেদওয়ান কাদের › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'\'মহাস্থানগড়\'\' বাংলাদেশের সংস্কৃতিক রাজধানীর স্বীকৃতি পেল

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৪৮



বাংলাদেশের প্রাচীন জনপদ বগুড়ার মহাস্থানগড় সার্কের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে চূড়ান্ত স্বীকৃতি পেল। মহাস্থানগড় বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রাচীন পুরাকীর্তির স্থান। পূর্বে এর নাম ছিল পুণ্ড্রবর্ধন বা পুণ্ড্রনগর। এক সময় মহাস্থানগড় বাংলার রাজধানী ছিল। এখানে মৌর্য, গুপ্ত, পাল, সেন সাম্রাজ্যের প্রচুর নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে। এর অবস্থান বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায়। বগুড়া শহর থেকে প্রায় ১৩ কি.মি উত্তরে করতোয়া নদীর পশ্চিম তীরে মহাস্থান গড় অবস্থিত।

মহাস্থানগড় বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রাচীন পুরাকীর্তি। প্রাচীন পুণ্ড্রবর্ধন রাজ্যের রাজধানী মহাস্থানগড়ের নাম ছিল পুণ্ড্রনগর। এখানে মৌর্য, গুপ্ত, পাল, সেন সাম্রাজ্যের প্রচুর নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে। বগুড়া শহর থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার উত্তরে করতোয়া নদীর পশ্চিম তীরে মহাস্থান গড় সুমহান ঐতিহ্যের সাক্ষী হয়ে আজও দাঁড়িয়ে আছে।

গত ২৪শে নভেম্বর, ২০১৬ ইং তারিখের এক ঘোষনায় সার্ক কালচারাল সেন্টারের ঢাকায় সফররত পরিচালক ওয়াসান্থে কোতুবেলার এই কথা জানান। বগুড়ার মহাস্থানগড় হবে সার্কের দ্বিতীয় আর বাংলাদেশের প্রথম সংস্কৃতিক রাজধানী। এটা নি:সন্দেহে বাংলাদেশের জন্য একটি বড় গর্বের বিষয়।

২০১৫ সাল থেকে সার্ক কালচারাল সেন্টার সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে কোনো একটি প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী অঞ্চলকে সার্কের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করে আসছে। সার্কভুক্ত দেশগুলোর ইংরেজি নামের আদ্যক্ষরের ভিত্তিতে দেশগুলোর স্থান বেছে নেওয়া হচ্ছে। এ জন্য আফগানিস্তানের বামিয়ানকে গত বছর সার্কের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়। ২০১৭ থেকে এক বছরের জন্য মহাস্থানগড় সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে থাকবে।



খ্রিষ্টপূর্ব চতুর্থ শতক থেকে মহাস্থানগড়ে মানববসতির চিহ্ন পাওয়া যায় বলে জানান এ অঞ্চলের প্রাচীন ঐতিহ্যের গবেষক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমান। মহাস্থানগড়কে সার্কের রাজধানী হিসেবে বেছে নেওয়ার ঘোষণাকে সঠিক এবং তাৎপর্যপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেন তিনি। সুফি মোস্তাফিজ বলেন, ‘কেবল ঘোষণার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। এই সাংস্কৃতিক রাজধানীকে পর্যটন ও আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কাজে লাগাতে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও পর্যটন বিভাগকে এগিয়ে আসতে হবে।’

১৮৭৯ সালে প্রাচীন পুণ্ড্রবর্ধন রাজ্যের ঐতিহাসিক নিদর্শন আবিষ্কার করেন ব্রিটিশ প্রত্নতত্ত্ববিদ আলেকজান্ডার কানিংহ্যাম। পুণ্ড্ররাজ্যের রাজধানী বর্তমানের রাজশাহী, দিনাজপুর এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দিনাজপুর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। সুফি মোস্তাফিজ বলেন, পুণ্ড্র সিলেট পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল বলে মনে করা হয়। তবে এর যথার্থ প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশের প্রথম সংস্কৃতিক রাজধানী মহাস্থানগড়ের জন্য শুভ কামনা রইল। সেই সাথে ধন্যবাদ সার্ককে।


তথ্যসূত্র:
১. দৈনিক প্রথম আলো অনলাইন
২. উইকিপিডিয়া
৩. ছবি গুগল

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৪১

প্রামানিক বলেছেন: সুখবর

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০২

রেদওয়ান কাদের বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইজান।

২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:১৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুবই সুসংবাদ । বাংলাদেশ সরকারকে এখন এগিয়ে আসতে হবে শত কোটি টাকার প্রজেক্ট নিয়ে বগুড়ার মহাস্থানগরে পর্যটন শিল্পের বিকাশের জন্য । বগুড়ার ধনাঢ্য ব্যক্তি ঠিকই জানতেন এমন একটা কিছু হবে, তাইতো তিনি বগুড়ার নিভৃত পল্লীতে তৈরী করে বিলাসবহুল প্রাসাদ । আমরা্‌ই তা বুঝতে পারিনি আগে,তাই সেলুট জানাই তাকে ।
শুভেচ্ছা রইল ।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৭

রেদওয়ান কাদের বলেছেন: ধন্যবাদ আলী ভাই। কিন্তু সরকার এদিকে নজর দেবে বলে মনে হয়না। গত ১০ বছর যাবৎ তাই দেখা যাচ্ছে! আর বগুড়ার নিভৃত পল্লীতে তৈরী করা বিলাসবহুল প্রাসাদই শুধু নয় মাহস্থানগড়ের কাছে একটি ফোরস্টার হোটেলও হয়েছে। কারন বগুড়ার মানুষ বঝে গেছে নিজেরা কিছু না করলে বগুড়াতে আর কিছু হবেনা।

৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৫৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ বগুরায় যাওয়া হয়েছিল সেই ২০০ সালে বগুরা পল্লী উন্নয়ন একাডেমিতে একটি সেমিনারে অআমার একটি পেপার উপস্অপনের জন্য , এর পরে কেমন উন্নতি হয়েছে তা স্বচক্ষে আর দেখা হয়নি ।খুশী হলাম আপনার কাছে মহাস্থান গড়ের কাছে ৪ স্টার হোটেল হয়েছে শুনে । বগুড়ার নিভৃত পল্লী শাউলে গার্মেন্টস এর ঝুট দিয়ে তৈরী পশমী চাদর এর বিকাশের জন্য করেছিলাম প্রকল্প প্রণয়ন , সরকার দেয় নাই তার অনুমোদন , এমন কি বগুড়ার লোক যখন ক্ষমতায় ছিল তখন । আপনি ঠিকই বলেছেন বগুড়ার মানুষ বুঝে গেছে নিজেরা কিছু না করলে বগুড়াতে আর কিছু হবেনা এখন ।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩১

রেদওয়ান কাদের বলেছেন: খুব ভাল লিখেছেন আলী ভাই। কিন্তু দু:খ পেলাম যে আপনার প্রকল্পটা অনুমোদন পায়নি জেনে। সময় করে বগুড়া ঘুরে আসার দাওয়াত থাকলো।
ধন্যবাদ।

৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: গুড শেয়ার, গুড পোস্ট। ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকুন সবসময়।

৫| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৫৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমাদের পর্যটন শিল্প এগিয়ে যাক এই কামনায়......ভালোলাগা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.