![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমান স্বাভাবিকের তুলনায় কম থাকলে তাকে রক্ত স্বল্পতা বলে। রক্তের অন্যতম উপাদান হল লোহিত রক্ত কণিকা। লোহিত রক্ত কণিকার মধ্যে রয়েছে হিমোগ্লোবিন নামে এক প্রকার পদার্থ। এর অভাব হলে মুখ ও চোখ ফ্যাকাশে দেখায়, চোখের নিচের পাতার ভেতরের দিকটা সাদা হয়ে যায়। দুর্বলতা, মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরা, চোখে অন্ধকার দেখা, অল্প পরিশ্রমে হাঁপিয়ে ওঠা, বুক ধড়ফড় করা, মাথা ঝিমঝিম করা, মেজাজ খিটখিটে হওয়া, কাজকর্মে অনীহা, অনিদ্রা, অল্পতে মনোযোগ নষ্ট হওয়া, জিহ্বা ও ঠোঁট মসৃণ ও সাদাটে হয়ে যাওয়া, মুখের কোনায় ও জিহ্বায় ঘা হওয়া, নখে ভঙ্গুরতা বা চামচের মতো গর্ত হওয়া, অরুচি, বমি বমি ভাব, হজমে ব্যাঘাত ঘটা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। মারাত্মক অবস্থায় হাত ও পায়ে পানি আসতে পারে। তাই আমাদের রক্তস্বল্পতা রোগের চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধের জন্য দেহকে তৈরি করতে হবে। প্রথমে আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় আনতে হবে পরিবর্তন। যে সব খাবারের রক্তস্বল্পতা দূর করার ক্ষমতা রয়েছে সেসব খাবার খেতে হবে নিয়মিত। আসুন জেনে নেয়া যাক খাবারগুলোর নাম-
ডিম
প্রোটিনে ভরপুর এই অসাধারণ খাদ্যটি দেহে পুষ্টি যোগায়। এতে করে পুষ্টিহীনতার কারণে সৃষ্টি রক্তস্বল্পতা দূর হয়। অন্যান্য পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি ১ টি ডিম প্রতিদিন খেলে রক্তস্বল্পতা দূর হবে দ্রুত।
সবুজ শাক-সবজি
দেহে পুষ্টি, ফলিক অ্যাসিড এবং আয়রনের কারণে রক্তস্বল্পতা রোগের উৎপত্তি হয়। দেহে এই সকল প্রয়োজনীয় মিনারেলের ঘাটতি পূরণ করতে খাবার তালিকায় রাখতে হবে প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাক-সবজি। কচুশাক, বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রকলি ইত্যাদি খাবার অভ্যাস করুন। রক্তস্বল্পতার হাত থেকে রেহাই পাবেন।
গরু-খাসির কলিজা
রক্তস্বল্পতা রোগের প্রধান কারণ দেহে আয়রনের ঘাটতি। তাই আমাদের এমন খাবার খাওয়া উচিৎ যা দেহের আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে। খাসি বা গরুর কলিজায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। নিয়মিত গরু বা খাসির কলিজা খেলে দেহের আয়রনের ঘাটতি পূরণ হয়। তবে যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তাদের অবশ্যই গরুর কলিজা থেকে দূরে থাকতে হবে।
বেদানা
সর্বগুণ সম্পন্ন ফল বেদানা রক্তস্বল্পতা দূর করতে অত্যন্ত কার্যকরী। বেদানায় রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, সোডিয়াম, জিংক ও আয়রন সহ অনেক মিনারেল যা দেহের সুস্থতায় কাজ করে। দিনে ৩ বার ১ গ্লাস বেদানার রস খাবার আগে খেলে রক্তস্বল্পতা রোগ দূর হবে ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যে। সুতরাং বেদানা রাখুন প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায়।
ডাল
ফোলেইট রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ফোলেইট সমৃদ্ধ খাবার রাখা অত্যন্ত জরুরি। যে কোনো ধরণের ডাল উচ্চমাত্রার ফোলেইট সমৃদ্ধ। তাই প্রতিদিন মসুর, মুগ কিংবা মাস কলাইয়ের ডাল খেতে পারেন।
মাছ
মাছ সব চাইতে ভালো আয়রনের উৎস বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছ। শিং মাছ, ইলিশ মাছ, ভেটকি মাছ, টেংরা মাছ ইত্যাদি সব মাছেই রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সর্বনিম্ন ৬০ গ্রাম মাছ রাখুন রক্তস্বল্পতা রোগ থেকে দেহকে মুক্ত রাখতে পারবেন।
২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১৭
জুন বলেছেন: রক্ত কম। কিন্ত লিপিডের জন্য কুসুম সহ ডিম আর গরু খাসীর মাংস কলিজা ইত্যাদি খাওয়া নিষেধ
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১৩
ঢাকাবাসী বলেছেন: ভাল লেখা।