![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
- তারা কি দোষ করেছে? তারা কি ভুল করেছে? তারা কি দুর্নীতি করেছে? তারা কি ঘুষ খেয়েছে? তারা কি কাউকে গুম করেছে? তারা কি কাউকে হত্যা করেছে? তারা কি' কারো জমি আত্মসাৎ করে নিয়েছে? তারা কি কারো বোনকে ধর্ষণ করেছে? তারা কি গরীবের উপর অত্যাচার চালিয়েছে? তারা কি কলেজ ক্যাম্পাসে অস্ত্রসস্ত্রসহ ঘুরে বেড়ায়? তারা কি এমপি চাচার দাপট দেখিয়ে মদ খেয়ে রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে মানুষ হত্যা করেছে?
তারা কি করেছে জানতে চাই?
তাদের দোষ এবং ভুল একটাই সেটা হল, তারা কুকুরের লেজে পাড়া দিয়েছে। সেই কুকুরগুলোকে সবার মাঝে পরিচিত করেছে। তারা সেই কুকুরগুলোকে পরিচিত করে দিয়েই, তাদেরকে আইনের হাতে তুলে দিছে। তাদের এটাই ভুল হয়েছে বললেও। আমি তাদেরকে সমর্থন করি, তারা যেটা করছে তারা দেশের স্বার্থে করছে। তারা ভুল কিছু করে নাই। এর জন্য যদি আমাকেও গ্রেপ্তার করতে চায়, তা আমি ভয় করি না। কারন সত্যের জয় একদিন হবেই। সেই জয়ের অপেক্ষায় থাকব। যতদিন গ্রেপ্তার হয়ে থাকব, সেই নরপশুদের হাতে।
আমি বিশ্বাস করি ১৯৫২-১৯৭১ এর চেতনা। আমি বুকে ধরে রাখি, মু্ক্তিযোদ্ধাদের সেই অক্লান্ত পরিশ্রম। আমি বুকে ধরে রাখি, ছাত্রদের সেই আন্দোলন। তারা কষ্ট করেই জয় ছিনিয়ে এনেছিল। সেই বিজয় কে আমি শ্রদ্ধা করি। সেই চেতনায় এগিয়ে যাব, যতই সামনে বাধা আসুক। আর আমি Mojaloss এর এডমিনদের বলতে চাই, আপনারা গ্রেপ্তার হওয়ার ভয়ে বসে থাকবেন না। আপনারা শক্ত হাতে শত্রুদের দমন করতে যুদ্ধ চালিয়ে যান, আপনাদের সাথে সবাই আছে এবং থাকবে।
বিনা অপরাধে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানাই।
২| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৮
পরাধীন বাংগালী বলেছেন: বাক স্বাধীনতার উপর আঘাতের প্রতিবাদ জানাই ।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৩
Rezwan Ahmed Mohsin বলেছেন:
৩| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৬
মায়া৯৩ বলেছেন: চুপচাপ মার খেয়ে যান। প্রতিবাদ করলেই গলা টিপে চিরতরের জন্য মুখ বন্ধ করে দেয়া হবে....
৪| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৬
কাজী মেহেদী হাসান। বলেছেন: একমাত্র তারাই ছিল সবচেয়ে সৎ অবস্থান থেকে যেকোন অসঙ্গতির প্রতিবাদ করা মানুষ। এখন তো মানুষের সংখ্যা কম, তাই উপরমহল ভেবেছে এই সংখ্যালঘুরা কোত্থেকে আসলো।
কিচ্ছু বলার নেই, শুধু দেখছি বিচিত্র এক সার্কাস
৫| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৭
নতুন বলেছেন: ফেসবুকে পোস্ট দেবার জন্য গ্রেপ্তার করা ঠিক না।
দেশে গনতন্ত্রের কথা বলে...বাকস্বাধীনতার কথা বলে যদি এই ভাবে মত প্রকাশের জন্য গ্রেপ্তার করা হয় তবে সেটা লজ্যাজনক।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৪
Rezwan Ahmed Mohsin বলেছেন: তারা কিছু নরপশুদের পরিচিত করে দিয়েছে। ইহার জন্যই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
৬| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৭
দিগন্ত জর্জ বলেছেন: ন্যায্য কথা বলেছেন। আসল অপরাধী অ্যারেস্ট করার ক্ষমতা নাই, নিরপরাধ মানুষরে আটক করে!! ধিক এই আইন ব্যবস্থাকে।
৭| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৪
চলতি নিয়ম বলেছেন: গু জব
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৭
Rezwan Ahmed Mohsin বলেছেন: কোন বিষয়কে গুজব বলছেন?
৮| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৯
নিমগ্ন বলেছেন: গুজব না সত্যি? নিউজ সোর্স কি??
যদি সত্যি হয় তবে সরকারের জন্য খারাপি আছে।
৯| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২০
কেউ নেই বলে নয় বলেছেন: আসলেই করছে নাকি? তাহলে অন্যায় হইছে। এই পেজ মনে হয় দলীয় দৃষ্টির ঊর্ধে থেকে সত্য কথাই বলে।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৭
Rezwan Ahmed Mohsin বলেছেন: ‘মজালস’ পেইজের এডমিন কিছু শীর্ষ সন্ত্রাসীদের পরিচিত করে দিয়েছে, এটাই হল দোষ।
১০| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৪
চলতি নিয়ম বলেছেন: ক্যান সরকার বলে নাই তারা কি করেছে? কেন ধরেছে?
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৮
Rezwan Ahmed Mohsin বলেছেন: তারা আসল কোন তথ্য দেয় নাই।
১১| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৬
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এইটা কি পেইজ , আমি দেখিনাই ।
তবে সত্য বলার দায়ে গ্রেফতার করলে , এর তিব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি ।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩১
Rezwan Ahmed Mohsin বলেছেন: একটু দেখে নিবেন
১২| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৮
ফাহিম শিশির বলেছেন: "এই শালা চুপ থাক, দেশে গণতন্ত্র চলছে।"
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩২
Rezwan Ahmed Mohsin বলেছেন: হুম। দেখতেই পারতেছি।
১৩| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৬
মুদ্দাকির বলেছেন: ভাই কি মজা নেন নাকি?
১৪| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৪
খোলা মনের কথা বলেছেন: ”সামুর ব্লাগার Rezwan Ahmed Mohsin প্রতিবাদ জানানোর জন্য গ্রেফতার।”
আগামীদিনের সংবাদে প্রকাশ হতে পারে সেটা কিন্তু অস্বাভাবিক না। ধন্যবাদ প্রতিবাদ জানানোর জন্য।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৩
Rezwan Ahmed Mohsin বলেছেন: ব্রেকিং নিউজ কোন চ্যানেলে দিছে ভাইয়া?
১৫| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৯
দোলাভাই বলেছেন: লে হালু্য়া.......। লেটে পুটে খা.........।চেতনা রে চেতনা....................।জয় বাকশাল গণতন্ত্র ..........
১৬| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৩
চলেপথিক বলেছেন: বিবেক কে মুক্তি দাও ।
১৭| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪০
রাফা বলেছেন: কষ্ট করে "মজা লস"-চৌধুরি সাহেবের আমলনামা পড়ুন।মজা লসের মজা নেয়া এবং মূল অপরাধীদের আড়াল করার কৌশল
==================================
গত কয়দিন যাবত "মজা লস" নামক পেইজটি যা করেছে তা জানা নেই এমন কোন নিয়মিত ফেইসবুক ব্যবহারকারী আছেন কিনা তা আমার জানা নেই। তবে "মজা লস" নামক পেইজের প্রথম থেকে এ পর্যন্ত সকল কর্মকান্ড থেকে এটা নিশ্চিত করেই বলা যায় কেন চৌধুরী সাহেবের আড়ালের মানুষটি নিজেকে কেন লুকিয়ে রেখেছিলো।
প্রথমতঃ যেই ছেলের ছবি মজালসের এডমিন হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে, সে চৌধুরী হলেও এসব কিছুর পরিকল্পনা এতটা কম বয়সী কিংবা কোন নির্দিষ্ট একটি মাথা থেকে আসেনি। একটি সংঘবদ্ধ চক্র এর পিছনে আছে। এতটা কৌশলে এতগুলো সচেতন চোখ ফাঁকি দেয়ার বুদ্ধি কোন একক মস্তিষ্কপ্রসূত নয়।
দ্বিতীয়তঃ তাদের মূল টার্গেট ছিলো, "আই হেইট পলিটিক্স" প্রজন্ম। আর এই "আই হেইট পলিটক্স" প্রজন্ম যে শুধুমাত্র আমাদের বাংলাদেশে আছে তা নয়। সবদেশেই আছে। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে বিশ্বের একমাত্র দেশ যেদেশে এখনো রাজনীতি করছে সরাসরি স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী দল। আর এই আই হেইট পলিটিক্স প্রজন্ম যেখানে মনে করে রাজনীতি মানেই খারাপ, তাদের মাথায় স্বাধীনতার স্বপক্ষের দলকে অপেক্ষাকৃত বেশী খারাপ এটি ঢুকিয়ে দিতে পারলেই দীর্ঘমেয়াদী একটা সুবিধাভোগ করবে সেই স্বাধীনতাবিরোধীতাকারী দলটি। আই হেইট পলিটিক্স প্রজন্ম সবসময় সরকার (যেই দলই ক্ষমতায় থাকুক না কেন) এর সমালোচনা পছন্দ করে। "মজা লস" পেইজ মজা নিতে নিতে কৌশলে এই সুযোগটাই নিয়েছে। এই সুযোগে তারা খুব সাবধানতার সাথে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে নিয়ে ট্রল করে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তবে, তাদের মুখোশ যাতে খুলে না যায় সেকারণে মাঝে মাঝে খুব সাবধানতা অবলম্বন করে বিরোধী দলগুলো নিয়েও হাতে গোনা দুই একটা ট্রল করেছে। যাতে করে কেউ প্রশ্ন করলে তারা জবাব দিতে পারে, তারা সবাইকে নিয়েই করে।
এর বাইরে তারা মাঝে মাঝে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে সরব থেকেছে। এটা মূলত, আই হেইট পলিটিক্স প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয়তা ধরে রাখার জন্য। যেমন কোথাও কোন নারী নির্যাতিত হয়েছে তারা দুই একটা এমন ইস্যুতে সক্রিয় ছিলো। এটাও তাদের একটি কৌশল। এই কৌশলের পিছনে কারণ হলো, রাষ্ট্রের বিভিন্ন সীমাবদ্ধতাকে হাইলাইট করে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এবং বাহিনী যেমন পুলিশ, র্যাব, গোয়েন্দা এদের অকার্যকর হিসেবে প্রচার করা। যাতে করে, নিকট ভবিষ্যতে আই হেইট পলিটিক্স প্রজন্মকে মগজ ধৌলাই দিয়ে জঙ্গী বানানোর মিশনটা সফলতা পায় খুব সহজেই।
অনেকেই জানে না এবং যা তারা নিজেদের চেহারা লুকাতে মুছে দিয়েছে তা হলো, তারা বঙ্গবন্ধুর ছবি ব্যবহার করেও ট্রল বানিয়েছিল। তারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ছবি ব্যবহার করে ট্রল করে শুধু আইনের দিক থেকে অপরাধ করেনি, তারা চরম বেয়াদবী করেছে।
তাদের বিভিন্ন সময়ের মন্তব্যে চৌধুরী নামের আড়ালের ব্যক্তিটি লিখেছে তার বাবা নাকি শেখ কামালের খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলো। এই কথাটি বলে সে প্রমাণ করতে চেয়েছে, সরকারকে নিয়ে কটুক্তি করে অন্যরা পার না পেলেও তাকে কেউ কিছু করতে পারবে না। এই কথাটি বলার পিছনেও যথেষ্ঠ কারণ আছে। এরদ্বারা সে ছাগুদের প্রচারিত একটি কথাকে প্রতিষ্টিত করতে চেয়েছে, আর তা হলো, সরকারের কাছের লোকজন যা ইচ্ছে তাই করতে পারে।
শাহবাগ আন্দোলন যখন তুঙ্গে, সে সময়ে সরাসরি রাজাকারের ফাঁসি চাওয়া কোন পোস্ট না দিলেও দুই একটি পোস্ট দিয়েছে শাহবাগ আন্দোলনের পক্ষে। আমরা অনেকেই জানি, শাহবাগ আন্দোলনের সময় এমন অনেককেই সেখানে দেখা গেছে যারা রাজাকারদের মৃত্যুদন্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলে মানবতার বুলি ঝেড়েছেন বিভিন্ন সময়ে। তবে "মজা লস" পেইজ সেসময় শাহবাগ নিয়ে একেবারে চুপ থাকলে তার পিছনের লোকজন সম্পর্কে ধারণা হয়ে যেতে তরুন প্রজন্মের আর তাই তারা সেসময় অনিচ্ছা সত্তেও দুই একটা পোস্ট দিয়েছে। আর সেই পোস্টগুলোতে তাদের ক্রিয়েটিভিটির ব্যবহার ছিলো না বিন্দুমাত্রও সেখানে সরকারকে নিয়ে ট্রলগুলোতে তাদের সৃজনশীলতার প্রশংসা করবে যে কেউই।
তারা সাঈদির চন্দ্রগমণ মিশন নিয়ে নাকি ট্রল করেছিলো। কিন্তু কখনোই এই রাজাকারদের কুকর্ম নিয়ে কোন পোস্ট তাদের পেইজে আসেনি, আসেনি চিহ্নিত রাজাকারদের কোন কথা কিংবা অন্য কিছু নিয়ে কোন ট্রল, সেখানে দুই দিন পর পর দেখেছি সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীদের উক্তি নিয়ে কিভাবে ট্রল করেছে এই পেইজটি। ছাড় পায়নি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও।
তারা নারী নির্যাতনের ক্ষেত্রে সোচ্চার, অথচ একাধিক নারীর ব্যক্তিগত ছবি নিয়ে ট্রল করেছে তারা প্রতিনিয়ত। সাহারা খাতুনের মতন একজন বয়ষ্ক নারীর সাথে নায়ক সাকিব খানের ছবি জোড়া দেয়া ট্রলগুলো দেখেছে অনেকেই। তখন একজন নারীকে হেয় করা হয়নি? কিংবা খালেদা জিয়াকে নিয়ে করা (যদিও হাতে গোনা দুই একটি)।
সম্প্রতি কামারুজ্জামানের ফাঁসি নিয়ে পুরো দেশে একটি মাস ধরে প্রতিটি মানুষ ছিলো উৎকন্ঠায়, সেই একমাসে চৌধুরী ব্যস্ত ছিলেন অন্য জগতে। তাছাড়া, দীর্ঘ তিন মাসের মতন হরতাল/অবরোধ দিয়ে যেভাবে পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ পোঁড়ানো হলো, তখন আমাদের কেজরিওয়াল চৌধুরীর বিবেক জাগ্রত হয়নি দেখে অবাক হয়েছিলাম।
সর্বশেষ তারা খুব কৌশলে প্রচার করতে চাইলো, হেফাজত-জামাতের ফতোয়া। আর তা করতে চেয়ে অনেক সতর্কতা অবলম্বন করেও রক্ষা হলো না তাদের। পহেলা বৈশাখের ঘটনার পর প্রথমেই তারা সরাসরি আঙ্গুল তুললো ছাত্রলীগের দিকে। অথচ তখন পর্যন্ত এবং এরপরেও সয়ং লিটন নন্দী নিজে বলেছে সেই ঘটনায় জড়িতরা বহিরাগত। তাও, ছাত্রলীগকে জড়িয়ে কুৎসা করার জন্য বেছে নিয়েছিলো, বাঙ্গালী জাতির প্রাণের শ্লোগান, "জয় বাংলা" কে। শাহবাগের পক্ষে পোস্ট দেয়া কেউ "জয় বাংলা" শ্লোগান নিয়ে ট্রল করবে এতে তার ল্যাঞ্জা লুকায়িত থাকবে এতটাই বেকুব ভেবেছিলো চৌধুরী আমাদের।
ছাত্রলীগকে নিয়ে দেয়া পোস্টের পরে তারা ডাক দিলো পহেলা বৈশাখে টিএসসি বর্জনের। তখন ফুঁসে উঠলো সবাই। আর সন্দেহ রইলো না তারা আসলেই কি বলতে চাইছে। তবুও অনেককে দেখেছি বলতে অতি আবেগের বসে তারা টিএসসি বর্জনের ডাক দিয়েছে। লক্ষ করলে দেখা যায়, এই ডাকটি ঠিক সে সময় দিয়েছে যে সময় একাত্তর টেলিভিশনে প্রচারিত ফারজানা রুপার একটি রিপোর্টে চিহ্নিত করা হয় প্রকৃত অপরাধীদের।
উক্ত পোস্টের পরের পোস্টটি ছিলো, পহেলা বৈশাখের সবচেয়ে জনপ্রিয় গান, "এসো হে বৈশাখ, এসো, এসো....." গানটিকে নিয়ে ট্রল করে। এরপরেই তারা নাটক শুরু করলো বিভিন্ন রকমের। যাতে করে সবার দৃষ্টি থাকে এই মজালসের দিকে। বলতে থাকে প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে তাদের রেড ফ্ল্যাগ দেখিয়েছে। অথচ, সয়ং প্রধানমন্ত্রীর ছবি নিয়ে ট্রল করার সময় প্রধানমন্ত্রীর অফিস কিছুই বলেনি তাদের। কি হাস্যকর কথা বার্তা। আর আমাদের দেশের কিছু ছাগল তাদের সহানুভূতি দেখিয়ে জাতীয় বীর ঘোষণা করলো। এরপর তারা ঘোষণা করলো চৌধুরী তার বোনকে নিয়ে কানাডা চলে যাচ্ছে। তার নিজের আরেকটি একাউন্ট ব্যবহার করে ইভেন্ট খুললো, "উই ওয়ান্ট ইউ ব্যাক মজা লস" শিরোনামে। পেইজ থেকে একটি ভুয়া ওয়েভ ঠিকানা ব্যবহার করে বলা হলো, সেই পেইজটা নাকি তাদের মালিকানাধীন।
এরপর সে একখানা বিশাল আবেগে ভরা পোস্ট দিলো একটি ছবি ব্যবহার করে, যাতে সে দাবী করে সেটা তার নিজের ছবি। কিন্তু অতি চালাক চৌধুরী অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই ধরা পড়ে গেলো টকিং টম খ্যাত আরমানের হাতে। আরমান পোস্ট দেয় আসল একাউন্টের লিংক সহ যেই ছবিটি সে ব্যবহার করে সেটা ভারতীয় এক ছেলের ছবি। ধরা পড়ার সাথে সাথে দশ মিনিটের জন্য বন্ধ করে দেয় পেইজ। এরপর আবার এক্টিভ করে সে দাবী করে সে ইচ্ছাকৃতভাবে নিজেকে নিজে নাকি মজা নিয়েছে।
হায়রে চৌধুরী এতই বেকুব ভাবলে আমাদের? এই সব নাটক করে সকলকে মজা লস নিয়ে ব্যস্ত রেখে চেয়েছিলে সবাই ভুলে যাবো মূল ইস্যু। নির্যাতিত মেয়েগুলোর পাশে দাঁড়িয়ে অপরাধীদের খুঁজে বের করার নাটক মঞ্চস্থ করে বাঁচিয়ে দিতে চাইলে প্রকৃত অপরাধীদের। ছিঃ চৌধুরী, ছিঃ মজা লস। আমাদের এত বেকুব ভাবা তোমার উচিত হয়নি। এখনো যারা তোমাদের দুই একটা সাইনবোর্ড সর্বস্ব ভাল কাজের জন্য তোমাদের পক্ষে নিচ্ছে তাদের জন্যও করুনা হয়।
চৌধুরী সাহেব, বাংলা সিনেমার বহুল প্রচারিত খল নায়কের নামের আড়ালে তুমি নিজেই একজন প্রকৃত খলনায়ক হিসেবেই থেকে যাবে সব সময়।
১৮| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৪
গেম চেঞ্জার বলেছেন: @রাফা,
আপাতদৃষ্টিতে খুব নিঁখুতভাবে চৌধুরী সাহেবকে ছাগু প্রমাণ করে ফেলেছেন। গ্রেট বস!! ইউ হ্যাভ ডান ইট।
প্রথমতঃ যেই ছেলের ছবি মজালসের এডমিন হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে, সে চৌধুরী হলেও এসব কিছুর পরিকল্পনা এতটা কম বয়সী কিংবা কোন নির্দিষ্ট একটি মাথা থেকে আসেনি। একটি সংঘবদ্ধ চক্র এর পিছনে আছে। এতটা কৌশলে এতগুলো সচেতন চোখ ফাঁকি দেয়ার বুদ্ধি কোন একক মস্তিষ্কপ্রসূত নয়।
চক্র আবিস্কার করতে পারাটা আমাদের কাছে এখন ডালভাত। মাথার মধ্যেও আপনাদের মতো সুসভ্য দলকানা লোকেরা নির্দিষ্ট অনির্দিষ্ট মাথাটি খুঁজে নিতে পারেন খুব খুব সহজে। সচেতন চোখ ফাঁকি দেয়া বলতে আপনি যেটা রেফার করছেন সেটা আমরা ভালই বুঝতে পারছি।
চৌধুরী চক্র(!) যেটা করেছে সরকারের কাজকর্মের সমালোচনা করেছে। অত্যন্ত জগণ্যভাবে(!) বিকৃতভাবে(!) করেছে। আর এটা সহ্য করার মতো মানসিক অবস্থা আওয়ামী অন্ধদের যে নেই সেটা চৌধুরী সাহেবরা এড়িয়ে গেছে। বুঝেও না বুঝার ভান করেছে।
এর বাইরে তারা মাঝে মাঝে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে সরব থেকেছে। এটা মূলত, আই হেইট পলিটিক্স প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয়তা ধরে রাখার জন্য। যেমন কোথাও কোন নারী নির্যাতিত হয়েছে তারা দুই একটা এমন ইস্যুতে সক্রিয় ছিলো। এটাও তাদের একটি কৌশল। এই কৌশলের পিছনে কারণ হলো, রাষ্ট্রের বিভিন্ন সীমাবদ্ধতাকে হাইলাইট করে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এবং বাহিনী যেমন পুলিশ, র্যাব, গোয়েন্দা এদের অকার্যকর হিসেবে প্রচার করা। যাতে করে, নিকট ভবিষ্যতে আই হেইট পলিটিক্স প্রজন্মকে মগজ ধৌলাই দিয়ে জঙ্গী বানানোর মিশনটা সফলতা পায় খুব সহজেই।
এই তো আপনার থলের বিড়াল বেরিয়ে আসলো। অবশ্য কথাগুলো সত্য বলেছেন। একদম সত্য। তবে ফাঁক দিয়ে আপনি যেটা করেছেন সেটা হলো সত্যকে আড়ালও করার চেষ্টা করেছেন। যেমন দুই একটা ইস্যু বলে আপনি তাদের কাজগুলোকে ছোট করতে চেয়েছেন। কিন্তু আমি অন্তত কয়েকটি উদাহরণ দিতে পারব- হবিগঞ্জে কিশোরী মেয়ের ঘটনা, রাজন হত্যা, চট্টগ্রামে শিশু হত্যাসহ নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে টিএসসি সহ অনেক ঘটনার তাঁরা প্রতিবাদ করেছে। এবং সাজাও হয়েছে।
যুবসমাজের অসংগতি তুলে ধরতে তাঁরা যে ভূমিকা পালন করেছে আর কোন কমিউনিটি তা করতে পারেনি।
রাষ্ট্রীয় সীমাব্ধতাকে হাইলাইট করাটা নিঃসন্দেহে একটা গোনাহর কাজ। তাই না?
পুলিশ, র্যাব, গোয়েন্দা এদের অকার্যকর(!) হিসেবে প্রচার করা। তাঁরা যে কার্যকর সেটা বুঝাতেই বুঝি গ্রেফতার ও রিমান্ড। তাই না?
আরো অনেক কিছুই বলার ছিল। বললাম না। কারণ তাতে ঘি ঢালা হবে। থাক। ভাল। ভাই, আপনাদের মতো সুবোধ লোকের অভাবের জন্যই দেশের উন্নতি হচ্ছে না।
১৯| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৩
উৎস১৯৮৯ বলেছেন: @গেম চেঞ্জার ভাই খালি খালি ওদের সাথে তর্ক করে লাভ নাই। এই টাইপের দলকানা ব্যক্তিদের সাথে তর্ক করলে শুধু সময়ের অপচয় হবে আর কোন লাভ নাই। মজা লসের অ্যাডমিনকে কেন ধরা হয়েছে আমরা সবাই জানি কিন্তু কিছু বলার নাই । পাছে আবার আমাকে কবে ধরে নিয়া যাবে কিছু বললে। ওরা যদি মনে করে এইভাবে সবার মুখ বন্ধ করে রাখতে পারবে তাহলে রাখুক।
২০| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২০
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: কিছু দিনের মধ্যে আপনিও ওনাদের সাথে থাকবেন হচ্ছে, আর শীঘ্রই ফেইসবুক মন্ত্রনালয় খুলবে সরকার আশা করা যায়...
২১| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩২
শাহাদাত হোসেন বলেছেন: কমেন্টে প্রতিবাদ করার দায়ে আমারো গ্রেফতার করিতে পারে
২২| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪২
চলতি নিয়ম বলেছেন: @গেম চেঞ্জার, কোনটা মজা আর কোনটা মিথ্যা/গুজব সেটা বোঝার মত ঘিলু মাথায় আছে আশা করি। view this link বিষয়ে কিছু বলিয়েন।
দলকানা আসলে সবাই।
২৩| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৫
জাতির গ্রান্ডপা বলেছেন: শিক্ষায় ভ্যাটের আন্দোলনের মত মজা লসের নামও এ সরকারের গালে আরেকটা থাপ্পরের মত হয়ে থাকবে।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০৬
Rezwan Ahmed Mohsin বলেছেন:
২৪| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৮
আবু আবদুর রহমান বলেছেন: দেশে কুখ্যাত খুনিদের রিমান্ডে নেয়া হয় না , অথচ মজালসের এডমিনের রিমান্ড হয় । মূলা চুরির জন্য ফাঁসী ।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০৪
Rezwan Ahmed Mohsin বলেছেন: আইনব্যবস্থা সস্তা হয়ে গেছে।
২৫| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৮
প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: এই পেইজ যদি সরকারী দালালী করার জন্য গুজবও ছড়াতো তাহলে এরা হত সবচেয়ে ভাল মানুষ৷ সরকার তাদের পুরস্কৃত করত৷ সমস্যা হল, তারা সরকারের অসঙ্গতিগুলো তুলে ধরেছে৷ সরকারের যেকোন দোষ সেটা যতবড় সত্যিই হোক না কেন তা শোনার ধৈর্য সরকারের নাই৷ আর তাই উপায় একটাই৷ গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে জঙ্গী কানেকশনের সার্টিফিকেট ধরিয়ে দেওয়া৷
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০৮
Rezwan Ahmed Mohsin বলেছেন: জঙ্গি সার্টিফিকেট ফ্রি দেওয়া হয়।
২৬| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৭
কেএসরথি বলেছেন: হাহা মজা লস-এ শুধু আওয়ামী লীগ নয়, বিএনপি-র শীর্ষ স্থানীয় নেতা-নেত্রীদের নিয়েও তামাশা করা হয়।
সেখানে জয় সাহেব কে নিয়েও মাঝে মাঝে মজা করা হয়েছে, আমার মনে হয়, সেটাই তাদের দোষ
২৭| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৯
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
একটা ফালতু কুলাঙ্গারের জন্য এত আহাজারি, কান্নাকাটি?
মহম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলে শিশু ধর্ষন-নিহত গুজব, নগর কেন্দ্রে তাবৎ স্কুলের অভিভাবকদের ইচ্ছাকৃত আতঙ্কিত করে, স্কুলটিচারদের জীবন হেল করে ফেলা।
ব্যাক্তিগত আক্রোশ মেটাতে ছবি দিয়ে, নারী, ছাত্রী, বিবাহিতা নারীর চরিত্র হরন, দিনের পর দিন নোংড়া কমেন্টের বন্যা বইয়ে দেয়া।
সরকারের, মন্ত্রীদের পাছা মারা, মুজিবকোট, ছাগুগিরি করা এসবে দোষ দেই না। সবাই জানে এতে সরকারের একটি চুলও (হিন্দিতে) ঝরে না। বিম্পি-ছাগু জনমত একটুও বাড়ে না।
কিন্তু ব্লগার হত্যা সমর্থন? এটা কি ফাজলামির মধ্যে পড়ে?
সে বেশিরভাব সরকারবিরোধী ট্রল করত তাই সে নিরিহ পাপমুক্ত?
মিথ্যাকে সত্যর মত উপস্থাপন নোংড়া আবর্জনা ছড়ানো এইসব কুলাঙ্গারদের বিরুদ্ধে একটু ব্যবস্থা নিলেই ফালতু কুকুরটার জন্য হাগার হাগার শুশিলের আহাজারি, কান্নাকাটি! চোখের পানিতে ব্লগ ফেবু ভাসিয়ে ফেলা?
Please read this. মজা লস নিয়ে আমার লেখা
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৯
ব্লগার মুস্তাকিম বলেছেন: প্রতিবাদ
জানাই