![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শুধু একদিন ভালোবাসা, মৃত্যু যে তারপর... যদি তা-ও পাই, আমি তা-ই চাই, চাই না বাঁচতে আমি প্রেমহীন হাজার বছর।
মন দর্শনশাস্ত্রের একটি অন্যতম কেন্দ্রীয় ধারণা। মন সাধারণত বুদ্ধি ও বিবেকবোধের এক সমষ্টিগত রূপকে বোঝায়, যা চিন্তা, অনুভূতি, আবেগ, ইচ্ছা ও কল্পনার মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। মন কি এবং কিভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে অনেক রকম তত্ত্ব প্রচলিত আছে। এসব তত্ত্ব নিয়ে চিন্তা-ভাবনা মানবজাতির আদিকাল থেকে। জড়বাদী দার্শনিকরা মনে করেন, মানুষের মনের প্রবৃত্তির কোন কিছুই শরীর থেকে ভিন্ন নয়। বরং মানুষের মস্তিষ্ক থেকে উদ্ভূত শারীরবৃত্তিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মন গড়ে উঠে। প্রকৃতপ্রস্তাবে মনের সঠিক সংজ্ঞা সম্ভব নয়। তবে বলা যেতে পারে, মন হলো এমন কিছু, যা নিজের অবস্থা ও কাজকর্ম সম্পর্কে সচেতন। পবিত্র কোরআনের ভাষ্যমতে, মানুষের এই মন তিন ধরনের। প্রথম হলো নফসে মুতমায়িন্না—প্রশান্ত মন, দ্বিতীয় হলো নফসে লাওয়ামা—কৃত অপরাধে অনুতপ্ত মন আর তৃতীয়টি হলো নফসে আম্মারা—প্রেতাত্মা বা দুষ্টু মন। এই তিন ধরনের মনের মধ্যে স্রষ্টার কাছে সর্বোৎকৃষ্ট মন হলো প্রশান্ত মন।
প্রশান্ত মনের পরিচয়
প্রশান্ত মন হলো, স্রষ্টার কথা শুনলে যে মন তৃপ্তি পায়। স্রষ্টা ছাড়া আর কিছুতেই মিষ্টতা অনুভব হয় না, সব কিছু শুধু তিতো লাগে। এমন মন হলো প্রশান্ত বা পরিতৃপ্ত। কোরআনের ত্রিশতম পারায় সূরা ফজরে এই নফসে মুতমায়িন্না সম্পর্কে এসেছে। সেখানে বলা হয়েছে— (ভাবার্থ) কেয়ামতের দিন প্রশান্ত মনকে বলা হবে, ওহে স্রষ্টার-নামে উৎসর্গিত মন! তুমি তো পৃথিবীতে প্রকৃত প্রেমীর সাথে নিবিড় সম্পর্ক রাখতে। এখন তাঁরই একান্ত সান্নিধ্যে এসো। তিনি তোমার প্রতি সন্তুষ্ট আর তুমিও সন্তুষ্ট তার প্রতি। আর দেরি কেন, যাও! যাচাইকৃত অনুগতদের দলভুক্ত হও আর সদলবলে বেহেশতে প্রবেশ করো। (সূরা ফজর : ২৭-৩০)
তাই পৃথিবীতে যারা স্রষ্টাপ্রিয়দের সহচর্য লাভ করে প্রকৃত প্রেমীর সাথে সম্পর্ক ঠিক রেখেছে, তারাই সে স্রষ্টাপ্রিয় অনুগতদের সাথে সদলবলে বেহেশতে যাবে। সেমতে, মনকে প্রশান্ত করতে হলে স্রষ্টাপ্রিয়দের সহচর্য ছাড়া গত্যান্তর নেই।
অনুতপ্ত মনের পরিচয়
পবিত্র কোরআনে এসেছে নফসে লাওয়ামা বা কৃত অপরাধে অনুতপ্ত মনের ব্যাপারে। সেখানে বলা হয়েছে—আমি কসম করছি কেয়ামত দিবসের। আরও কসম করছি (সেই মনের, যে নিজেকে তিরস্কার করে) নফসে লাওয়ামার (সূরা কিয়ামত : ১-২) অর্থাৎ তিরস্কারকারী অনুতপ্ত মন হলো, নফসে লাওয়ামা। এ আয়াতে কেয়ামতের পরে অনুতপ্ত মনের কথা বলার তাৎপর্য হলো, মৃত্যুর পর কেয়ামতের দিন হিসাব-নিকাশের জন্য ফেরারী মনগুলোকে আবার জাগিয়ে দেয়া হবে। তাই কেয়ামতের সাথে তপ্ত মনের কথা উল্লেখ হয়েছে।
অনুতপ্ত মন মূলত দুষ্টু মনের পতনকে বলা হয়। অর্থাৎ, এই অবস্থায় দুষ্টু মনের প্রলোভনে যদিও হঠাৎ স্রষ্টার অবাধ্যতা করেও বসে, তখন সেই মনের অনুতাপের অন্ত থাকে না। আর এ ধরনের অনুতাপের নাম হলো তাওবাতুন-নাসুহা বা শুদ্ধ সরল অন্তঃকরণের অনুতাপ। এই অনুতাপ হচ্ছে দুষ্টু মনের সাথে অভ্যন্তরীন লড়াই। এজন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন—কুপ্রবৃত্তির সাথে যুদ্ধ হলো জিহাদে আকবর বা শ্রেষ্ঠ জিহাদ।’ আর অনুতপ্ত মনের এই স্তর অতিক্রম করতে পারলে আরো উন্নীত স্তরে পৌঁছা যায়। যাকে বলা হয় প্রশান্ত মনের স্তর।
দুষ্টু মন বা প্রেতাত্মার পরিচয়
নফসে আম্মারা বা দুষ্টু মনের ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে—নিশ্চয় নফসে আম্মারা বদ কাজ করায়, তবে আল্লাহ যাদের ওপর রহম করেন। আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও দয়ালু। (সূরা ইউসুফ : ৫৩)
দুষ্টু মন মূলত মানুষকে কু-কাজের প্রতি প্রলুব্ধ করে, কুমন্ত্রণা যোগায়। তাই দুষ্টুচারিতা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া ইবাদতকামী মনের জন্য একান্ত প্রয়োজন। কেননা, এটা সবচেয়ে ভয়াবহ ও মারাত্মক শত্রু। এ শত্রু থেকে যে বিপদের সম্মুখীন হতে হয়, তা খুবই মারাত্মক। এর প্রতিরোধ করা খুবই কঠিন। এ দুষ্টু মনের রোগেরও শেষ নাই আর রোগগুলোর চিকিৎসাও খুব কষ্টসাধ্য। কারণ, ঘরে যখন ডাকাত পড়ে, তখন তার হাত থেকে পরিত্রাণ পাওয়া খুবই কঠিন। যে কোনো মুহূর্তে জীবননাশের শঙ্কাও থাকে প্রবল।
বিশিষ্ট দার্শনিক ইমাম গাজ্জালী তার গ্রন্থে লিখেন—আমার আহ্বানকারী আমার যে ক্ষতি করেছে, আমার মন তার প্রভাব কিছুতেই কাটিয়ে উঠতে পারছে না। কেননা, সে আমার রোগ ও বেদনা বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। আমি সে শত্রুকে কিভাবে প্রতিরোধ করতে পারি, যে শত্রুর বাসা আমার অভ্যন্তরেই। তাই এ প্রেতাত্মা বা দুষ্টু মনের স্তরকে দমন করে মনের প্রথম উত্থান ঘটে অনুতপ্ত মনের স্তরে। আর তপ্ত মনের স্তরকে অতিক্রম করলে মানবমনের সবচে’ বড় উত্তরণ ঘটে প্রশান্ত মনে।
২৬ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৪১
রিদওয়ান হাসান বলেছেন: মানুষের জীবন নির্বাহ কিভাবে করা উচিত, এটি একটি দর্শনের অন্যতম ধারা। যেটাকে চাইলে নীতিবিদ্যা বলতে পারেন। আর এই জীবন নির্বাহ কিংবা নীতিবিদ্যার সাথে মনের একটি নিবিড় যোগসাজেশ আছে, সেটা মানুষমাত্রই অনুমেয়।
আর দর্শন বিজ্ঞানের সম্মিলিত জ্ঞান নয়। হতে পারে বিজ্ঞানের সম্মিলিত জ্ঞান দর্শনের একটি উপকরণ। কারণ, দর্শন অলৌকিকতায় বিশ্বাস করে। কিন্তু বিজ্ঞান অলৌকিকতা সমর্থন করে না। তেমনি তাবৎ পৃথিবীর এমন অনেক অলৌকিকপ্রায় ঘটনাগুলোকে বিজ্ঞান আজও আবিস্কার করতে পারেনি। পক্ষান্তরে দর্শন সেগুলোকে বুকে ধারণ করে চলছে আশতাব্দী।
২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:২১
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: দুষ্টু মন মূলত মানুষকে কু-কাজের প্রতি প্রলুব্ধ করে, কুমন্ত্রণা যোগায়। তাই দুষ্টুচারিতা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া ইবাদতকামী মনের জন্য একান্ত প্রয়োজন। কেননা, এটা সবচেয়ে ভয়াবহ ও মারাত্মক শত্রু। এ শত্রু থেকে যে বিপদের সম্মুখীন হতে হয়, তা খুবই মারাত্মক। এর প্রতিরোধ করা খুবই কঠিন। এ দুষ্টু মনের রোগেরও শেষ নাই আর রোগগুলোর চিকিৎসাও খুব কষ্টসাধ্য। কারণ, ঘরে যখন ডাকাত পড়ে, তখন তার হাত থেকে পরিত্রাণ পাওয়া খুবই কঠিন। যে কোনো মুহূর্তে জীবননাশের শঙ্কাও থাকে প্রবল।
-------খুব সুন্দর করে বিশ্লেষণ করেছেন এই কথায় ।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের সকলের মন কে প্রশান্ত করুক --আমিন ।
অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
২৬ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৪৭
রিদওয়ান হাসান বলেছেন: আপনার দোয়া কবুল হোক। আমীন।
ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার মনেও প্রশান্তির নদী বয়ে চলুক নিরবধি। খুব ভালো থাকবেন। আন্তরিক দোয়া রইল।
৩| ২৬ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৩৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
ধর্ম একটি বিশাল বিষয়, বিশ্বের ৮০% মানুষ কোন না কোনভাবে ধর্ম মানেন; ধর্মের নিজস্ব পরিভাষা আছে, ডেফিনেশন, ব্যাখ্যা আছে; ধর্মের ভাষা নিশ্চয় দরিদ্র নয়; আপনি ভুলে বিজ্ঞানের ভাষা ও ধর্মীয় পরিভাষাকে মিশায়ে ফেলছেন।
২৬ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৪৫
রিদওয়ান হাসান বলেছেন: পৃথিবীতে ধর্মনিরপেক্ষ বলতে কিছু নেই। আপনি যে দল-মত ও আদর্শ ধারণ করে চলেছেন, সেটাও গোটাপৃথিবীর প্রায় পাঁচহাজার ধর্ম, দল-মত ও আদর্শের মধ্যেই পড়ে।
৪| ২৬ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:০৫
আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: ভাল লাগল.
২৬ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৩২
রিদওয়ান হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন। ভালোবাসা নিরন্তর। শুভকামনা রইল।
৫| ২৬ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:১০
সুখী পৃথিবীর পথে বলেছেন: লেখককে ধন্যবাদ। সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
২৬ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৩৩
রিদওয়ান হাসান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। ভালোবাসা নিরন্তর।
৬| ২৬ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:১০
চাঁদগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন,
"কারণ, দর্শন অলৌকিকতায় বিশ্বাস করে। "
-দর্শন অলৌকিকতায় বিশ্বাস করে না। দর্শনের "মেটাফিজিক্স" এলাকায় অতীতে অতিইন্দ্রিয় বিষকেও অনেকে যোগ করার চেস্টা করেছিলেন; এখন সেসব ধারণা পেছনে পড়ে গেছে; "মেটাফিজিক্স", কি নিয়ে বিশ্ব, কি ছিল, কি আছে বিশ্বে, এগুলো নিয়ে লজিক্যাল ভাবনার প্রসার ঘটাচ্ছে।
২৭ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:৫৫
রিদওয়ান হাসান বলেছেন: মেটাফিজিক্স-এর একটি মূল শাখা হলো সৃষ্টিতত্ত্ব। যেখানে বিশ্বের অস্তিত্ব, আমাদের অস্তিত্ব, সত্যের ধারণা, সময়, স্থান, সম্ভাবনা দর্শনের হাত ধরে উঠে এসেছে। সেগুলোর বৃহদাংশ দখল করে অনেক অতিইন্দ্রিয় বিষয়। যেগুলোর লজিক্যাল কোনো ভাবনাই নাই।
৭| ২৬ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:২০
স্বপ্ন কুহক বলেছেন: জলজ্যান্ত আস্ত মানুষ এই আছে এই ডেড বডি হয়ে যাচ্ছে এটার লজিক্যাল ভাবনাই বা কী---- চাঁদগাজী কাছে প্রশ্ন ?
২৭ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:০১
রিদওয়ান হাসান বলেছেন: অনেক ভালো প্রশ্ন। দেখা যাক চাঁদগাজীর উত্তর কী আসে?
৮| ২৬ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৩১
কানিজ রিনা বলেছেন: রিদয়ান আপনার বিশ্লশন প্রশান্ত আত্বা
আর এই আত্বাই শক্তি যার কোনও
ধ্বংশ নাই। আত্বা অবিন্যাশী,আত্বার
আলোই দর্শন। দার্শনিক কেউ সুফি
কেউ নাস্তিক। যেমন আরজ আলি।
লালন কখনও সুফি ছিলেন।
১। কোরআন ২। জ্ঞান ৩। বিজ্ঞান
১। আল্লাহ্ ২ আত্বা ৩ প্রেম
এই তিন মিলেই এক।
জাগতীক ও পার্থিব জাগতীক দুই চক্ষু
পার্থিব তৃতীয় চক্ষু। রিদয়ানকে ধন্যবাদ।
২৭ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:০৪
রিদওয়ান হাসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। অল্প কথায় বিশদ আলোচনা করেছেন। এই তিন মিলেই এক, কথাটি তারই শোভা। অনেক শুভকামনা এবং নিরন্তর ভালোবাসা। ভালো থাকবেন।
৯| ২৬ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৪৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
@স্বপ্ন কুহক,
স্বপ্ন কুহক বলেছেন, " জলজ্যান্ত আস্ত মানুষ এই আছে এই ডেড বডি হয়ে যাচ্ছে এটার লজিক্যাল ভাবনাই বা কী---- চাঁদগাজী কাছে প্রশ্ন ?"
-প্রাকৃতিক নিয়মে মানুষের এনাটোমি ও ফিজিওলোজিক্যাল সিস্টেম তৈরি এচ্ছে; এগুলো কোনভাবে অকেজো হয়ে গেলে মানুষের ম্বত্যু হয়।
২৭ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:১২
রিদওয়ান হাসান বলেছেন: খুবই লেইম লজিক। প্রাকৃতিক নিয়মে মানুষের এনাটোমি ও ফিজিওলোজিক্যাল সিস্টেম তৈরি হচ্ছে, এটা সত্যি। কারণ, যেখানে বিজ্ঞানের কাছে কোনো পুরোদস্তুর লজিক নেই, সেখানেই বিজ্ঞান প্রাকৃতিক বলে চালিয়ে দেয়। বিজ্ঞানের এই ধুরন্ধর চাল কার না জানা?
১০| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৪৭
স্বপ্ন কুহক বলেছেন: @ চাঁদগাজী --আপনি বলছেন প্রাকৃতিক নিয়ম আমি মানছি আল্লাহর ইচ্ছা। পোস্টটি পড়ে মনে হচ্ছে লেখকও আল্লাহর ইচ্ছা বিশ্বাস করেন।
আলাহ আপনাকে হেদায়েত করুন ।
২৭ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:২৫
রিদওয়ান হাসান বলেছেন: আমিও চাই প্রাকৃতিক নিয়মেই তার হেদায়েত ঘটুক।
১১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৫৯
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ভাল লাগল
২৭ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:২৬
রিদওয়ান হাসান বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ। খুব ভালো থাকবেন।
১২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১:৫২
মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
আধুনিক বিজ্ঞানের সবচাইতে বড় ত্রুটি এই যে, সে নিজেই মনে করে মেটা-ডিসকোর্স। মানে মেটা-ল্যাঙ্গুয়েজ। তার কোনো ডিরেকশানলিটি নাই। সে স্বয়ম্ভু। সে প্রভুর মত। শ্রেণীস্বার্থ গোষ্ঠীস্বার্থ কোনো কিছুই তার জন্যে মেটার করে না। পয়েন্ট অব ভিউ জিনিসটাকে সে অস্বীকার করতে চায়।
২৭ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৩০
রিদওয়ান হাসান বলেছেন: একেবারে সত্য উচ্চারণ। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন।
১৩| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ ভোর ৪:৫৪
নান্দনিক বুদ্ধিপ্রকর্ষ বলেছেন: প্রশান্ত মন হলো, স্রষ্টার কথা শুনলে যে মন তৃপ্তি পায়। স্রষ্টা ছাড়া আর কিছুতেই মিষ্টতা অনুভব হয় না, সব কিছু শুধু তিতো লাগে। এমন মন হলো প্রশান্ত বা পরিতৃপ্ত। [/sb
- হাস্যকর বক্তব্য ! এই বক্তব্য অনুযায়ী যারা স্রষ্টায় বিশ্বাস করে না, তাদের কারো মন প্রশান্ত বা পরিতৃপ্ত নয় আর যারা স্রষ্টায় বিশ্বাস করে, তাদের সবার মন প্রশান্ত বা পরিতৃপ্ত ! তার মানে, স্রষ্টায় বিশ্বাসী একটা মানুষের মনেও অশান্তি নেই যা নির্জলা মিথ্যে কথা। আর বাস্তবে দেখা যায়, স্রষ্টায় অবিশ্বাসী উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতেই হাসিখুশি মানুষ বেশি পক্ষান্তরে স্রষ্টায় বিশ্বাসী দেশসমূহ অনুন্নত, দুর্নীতিগ্রস্ত, দরিদ্র ইত্যাদি বলে সেখানকার মানুষের মধ্যে অশান্তি।
উদ্ভট সারবস্তুহীনতার চূড়ান্ত সীমায় উপনীত হয়েছেন ! এগুলোকে ব্লগিং বলে না, এগুলোকে বলে জোকারি। ধন্যবাদ।
২৭ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৪০
রিদওয়ান হাসান বলেছেন: একজন মানুষ স্রষ্টায় বিশ্বাসী হলো, আরেকজন মানুষ স্রষ্টার কথা শুনে তৃপ্তি পেলো। দুই জিনিস এক নয়। যেমন, স্রষ্টার কথা শোনামাত্র আপনার জ্বলুনি উঠলো, এটাকে প্রশান্ত বলা যায় না। আপনার বিশ্বাস আর প্রশান্ততার মধ্যে তালগোল পাকিয়ে ফেলেছেন।
হতাশায় পড়লাম, মাতৃভাষায় আপনার দুর্বলতা প্রকোট। আপনি বলেছেন, স্রষ্টায় অবিশ্বাসী উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতেই হাসিখুশি মানুষ বেশি পক্ষান্তরে স্রষ্টায় বিশ্বাসী দেশসমূহ অনুন্নত, দুর্নীতিগ্রস্ত, দরিদ্র ইত্যাদি বলে সেখানকার মানুষের মধ্যে অশান্তি। অথচ প্রশান্তর বিপরীত কিন্তু অশান্তি নয়। শান্তি এক জিনিস, প্রশান্ত আরেক জিনিস। অশান্তির মধ্যেও অনেকে প্রশান্ত স্বভাবের থাকে। উচ্ছৃঙ্খল বা উগ্রমনোভাব যার মধ্যে থাকে না।
১৪| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ ভোর ৫:২২
নান্দনিক বুদ্ধিপ্রকর্ষ বলেছেন: নফসে আম্মারা বা দুষ্টু মনের ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে—নিশ্চয় নফসে আম্মারা বদ কাজ করায়, তবে আল্লাহ যাদের ওপর রহম করেন। আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও দয়ালু। (সূরা ইউসুফ : ৫৩)
বোল্ড অক্ষরে যা লিখেছেন তা কোনো পূর্ণাঙ্গ বাক্যই হয়নি আর হয়নি বলেই এর কোনো মানে হয় না। আবার, দুষ্টু মন যদি বদ কাজ করায়, তাতে দোষটা কার ? আল্লাহর নাকি ব্যক্তির ? দুষ্টু মনকে কে নিয়ন্ত্রণ করে ? আল্লাহ নাকি ব্যক্তি ?
উদ্ভট কথা।
২৭ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৫৮
রিদওয়ান হাসান বলেছেন: অনুমতি পেলে একটু হাসতে চাই। যদি মনে কষ্ট না নেন।
সাধারণত ‘তবে’ শব্দটি আগের বাক্যকে নেতিবাচক করে দেয়। এর সমার্থক শব্দ হচ্ছে কিন্তু, পক্ষান্তরে। ইংরেজিতেও এ নীতি আছে। যেমন, দ্যায়ার ইজ নো গড, বাট আল্লাহ। আবার ‘তবে’ শব্দটি কখনো ‘যদি’ শব্দের পরে এলে তার অর্থ হয়, তা হলে। এখন আপনার কথায় আসি। আপনি বলেছেন, বোল্ড অক্ষরে যা লিখেছেন তা কোনো পূর্ণাঙ্গ বাক্যই হয়নি আর হয়নি বলেই এর কোনো মানে হয় না।
পূর্ণাঙ্গ বাক্য কেবল শব্দের সুতোয় শব্দ বাধলেই হয় না। অর্থ বুঝে আসাটাই মুখ্য। এই যেমন, কোনো এক পথচারীকে আপনি উচ্চকিত কণ্ঠে ‘এই ভাই সাপ... সাপ’ বললেন। তখন কিন্তু পূর্ণাঙ্গ বাক্য না হলেও তিনি আগে একটা দৌড় দিবেন। তারপর নিরাপদ দুরত্বে গিয়ে ভাববেন, আসলেই সেখানে সাপ ছিল কিনা?
১৫| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৪৯
নতুন নকিব বলেছেন:
স্বপ্ন কুহকের রেখে যাওয়া প্রশ্ন, " জলজ্যান্ত আস্ত মানুষ এই আছে এই ডেড বডি হয়ে যাচ্ছে এটার লজিক্যাল ভাবনাই বা কী----" -এর উ্ত্তরে যা বললেন চাঁদগাজী-
"প্রাকৃতিক নিয়মে মানুষের এনাটোমি ও ফিজিওলোজিক্যাল সিস্টেম তৈরি এচ্ছে; এগুলো কোনভাবে অকেজো হয়ে গেলে মানুষের ম্বত্যু হয়।"
-চাঁদগাজী ভাই, ঘোর এখনও কাটল না! আর কত দিন!! কত কাল!!!
নিজের দিকে তাকালে আমার শুধু নিজেকে অথর্ব ভাবতে ইচ্ছে করে। অজান্তেই কন্ঠে বেজে ওঠে কবির এই কথাগুলো-
ওরে ভোলা মন, পাপে নিমগন, মরনে স্মরন কর,
পলে পলে তোর ফুরিয়েছে আয়ু, এখনো হল না ডর!
এখনও আমরা এনাটমি আর ফিজিওলোজিক্যাল সিস্টেমের প্যাচ-ঘোঁচের ভেতর নিজেদের আটকে রাখব! এখনও স্রষ্টার সুষ্ঠু বিশ্ব ব্রম্মান্ড পরিচালন পদ্ধতি নিয়ে ভাববো না!! তাঁর ক্ষমতা, তাঁর সীমাহীন-ধারনাতীত-বর্ননাতীত শক্তিমত্বা, সুশৃঙ্খল নিয়ম-নিয়ন্ত্রন একটিবার তাকিয়ে দেখব না!!!
২৮ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৬
রিদওয়ান হাসান বলেছেন: সুন্দর বলেছেন। ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
১৬| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:০১
নান্দনিক বুদ্ধিপ্রকর্ষ বলেছেন:
১) প্রশান্ততা বলে বাংলায় কোনো শব্দ নেই।
২) বিপরীত শব্দ নিয়ে এখানে খেলা করা হচ্ছে না।
৩) শান্ত/প্রশান্ত সমার্থক শব্দ যার বিপরীত শব্দ অশান্ত।
আপনি লিখেছেন - হতাশায় পড়লাম, মাতৃভাষায় আপনার দুর্বলতা প্রকোট।
৪) হতাশায় পড়লাম - থেকে বোঝা যায় আপনি নিজেই মাতৃভাষা ব্যবহারে দুর্বল, সবল হলে লিখতেন - হতাশাগ্রস্ত হলাম।
৫) প্রকট বানানটিও দেখি জানেন না।
আপনি লিখেছেন - উচ্ছৃঙ্খল বা উগ্রমনোভাব যার মধ্যে থাকে না
৬) আবারও বাক্য সংগঠনের দুর্বলতা। সঠিক বাক্য সংগঠন হবে এটি - 'উচ্ছৃঙ্খলতা বা উগ্র মনোভাব যার মধ্যে থাকে না'।
আপনি নিজেই মাতৃভাষায় চরম দুর্বল আর ঢাকা বোর্ডে একসময় সর্বোচ্চ মার্কপ্রাপ্ত একজনকে বাংলা শেখাচ্ছেন ? হাস্যকর !
২৮ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৭
রিদওয়ান হাসান বলেছেন: ১। পদ পরিবর্তন বাংলা ভাষার একটি অঙ্গ। যে কোনো মৌলিক বা সাধিত শব্দের শুরু-শেষে প্রত্যয়, উপসর্গ বা সমাস নিষ্পন্ন হয়ে পদ পরিবর্তন করা যায়। তাই প্রশান্ততা বাংলা অভিধানে না থাকলেও শব্দটি শুদ্ধ।
২ এবং ৩। অবশ্যই বিপরীত শব্দ নিয়ে খেলা করা হচ্ছে না। কিন্তু আপনি কেন বুঝছেন না? শান্ত/প্রশান্ত সমার্থক শব্দ হলেও এর বিপরীতটা হলো অশান্ত, অশান্তি নয়। এ কারণে প্রচণ্ড অশান্তির মধ্যেও মানুষ প্রশান্ত বা শান্ত থাকতে পারে।
৪। হতাশায় পড়া, হতাশায় ভোগা, হতাশাগ্রস্ত হওয়া- এগুলো বাক্যের অলঙ্কার, উপমা-উৎপ্রেক্ষা। এ বিষয়ে সৈয়দ শামছুল হকের ‘মার্জিনে মন্তব্য’ বইটি পড়ার আমন্ত্রণ।
৫। অনেক ভাষাবিদদেরও বানানে ভুল হয়। এটা খুব স্বাভাবিক।
৬। হা হা হা। ভুল ধরার নেশায় হয়ত খেয়াল করার ফুরসত মেলিনি যে, আমি লিখেছি- উচ্ছৃঙ্খল বা উগ্রমনোভাব যার মধ্যে থাকে না। লক্ষ্যণীয় যে, উচ্ছৃঙ্খল আর উগ্রমনোভাবের মাঝে ‘বা’ অব্যয়টি রয়েছে। আর ‘বা’ অব্যয়টি পরের শব্দকে আগের শব্দের সাথে জুড়ে দেয়। এ কারণে প্রথম শব্দ উচ্ছৃঙ্খলতা হলে পরের শব্দ উগ্রতা হওয়া বাঞ্ছনীয়, উগ্রমনোভাব নয়। আর পরের শব্দ উগ্রমনোভাব লিখলে প্রথম শব্দ উচ্ছৃঙ্খলই লিখতে হবে। সেদিক দিয়ে আপনি শুদ্ধ বাক্যে ভুল ধরতে গিয়ে ফের ভুল করে বসেছেন।
পরীক্ষায় মার্ক তো অনেকেই পায়। ভালো ব্রেন হলেও পায়। নকল করেও পায়। অন্যেরটা দেখেও পায়। প্রশ্ন ফাঁসের শিকার হলেও পায়।
১৭| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:১৯
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: @নান্দনিক বুদ্ধিপ্রকর্ষ
ভাই এটা কিন্তু বাংলা বানান রীতি বা ব্যাকরণ শেষার ক্লাস না - বিষয়টা মনে রাখা দরকার। আর নিজের ঢোল নিজে পেটানো এই সময়ের খুব জনপ্রিয় বিষয় হলেও প্রকৃত পক্ষে তা দৃষ্টিকটু।
@লেখক
ভাল বিষয় তুলে ধরেছেন। কিন্তু দুনিয়ার চিরস্থায়ী নিয়মই হল কোন কিছুই সর্বজন সমাদ্রিত নয়। কিছু কিছু মানুষের কিছু বিষয়ে এ্যলার্জি থাকে। এটা একটা রোগ - এদের প্রতি খুব বেশী মনোযোগ দেয়ার প্রয়োজন নাই। তার চেয়ে বরং তাদের কথা চিন্তা করেই লিখুন যারা জানতে চায়।
ধন্যবাদ।
২৮ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০২
রিদওয়ান হাসান বলেছেন: আপনার কথা গ্রহণযোগ্য। ধন্যবাদ। খুব ভালো থাকবেন।
১৮| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:০৩
ধ্রুবক আলো বলেছেন: পোষ্ট খানি যথার্থ ভালো লেগেছে +++
অনেক কিছুই জানলাম, এ সম্পর্কে আরও জ্ঞান অর্জন করে নিজের মনকে শুদ্ধ করতে হবে।
পোস্টে ভালো লাগা রইলো, অভিনন্দন।
২৮ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৩
রিদওয়ান হাসান বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার জীবনে ধ্রুব আলোর উন্মেষ ঘটুক। ভালো থাকবেন অনেক। শুভকামনা রইল।
১৯| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৪৯
নান্দনিক বুদ্ধিপ্রকর্ষ বলেছেন: কাঙ্গাল মুরশিদ, যে "মাতৃভাষায় আপনার দুর্বলতা প্রকোট" - এটি লেখার মাধ্যমে ভাষা/বানান টপিক শুরু করেছে তাকে আপনার উপদেশ দান করুন, আমাকে নয়।
২৮ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৭
রিদওয়ান হাসান বলেছেন: মাতৃভাষা নিয়ে আপনার দুর্বলতা এবার তো খুল্লমখোলা হয়ে গেল। সর্বোচ্চ মার্কপ্রাপ্ত এটা তো আগে জানতাম না। জানিয়ে দিয়ে তো লেজটা পুরো বের করে দিয়েছেন। তাড়াতাড়ি ঢাকেন।
২০| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন,
" খুবই লেইম লজিক। প্রাকৃতিক নিয়মে মানুষের এনাটোমি ও ফিজিওলোজিক্যাল সিস্টেম তৈরি হচ্ছে, এটা সত্যি। কারণ, যেখানে বিজ্ঞানের কাছে কোনো পুরোদস্তুর লজিক নেই, সেখানেই বিজ্ঞান প্রাকৃতিক বলে চালিয়ে দেয়। বিজ্ঞানের এই ধুরন্ধর চাল কার না জানা? "
-বিজ্ঞান হচ্ছে আপনার নিজের লজিকেল ভাবনার সমস্টি, এটা কোন ৩য় পক্ষ নয়; বিজ্ঞান কোরানের প্রতিদ্বন্দী নয়; বিজ্ঞান আপনার ভাবনার লজিক্যাল সম্পুরক; আপনার লজিক-বিহীন ভাবনার সম্পুরক নয় বিজ্ঞান। বিজ্ঞান সম্পর্কে আপনার ধরণা অমুলক।
প্রকৃতি ফিজিওলোজী, এনাটোমি, জীবন সবকিছু সৃস্টি করছে, যেমন পৃথিবীর প্রকৃতি; চাঁদের প্রকৃতি এসব করছে না; এই উদাহরণ আপনাকে সাহায্য করবে? নাকি চাঁদকে ২ ভাগ করায় উহার প্রকৃতির শক্তি বিলুপ্ত হয়ে গেছে?
২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:০১
রিদওয়ান হাসান বলেছেন: আপনি বলেছেন- বিজ্ঞান কোরানের প্রতিদ্বন্দী নয়
আমিও মানছি বিজ্ঞান কোরআনের প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। বিজ্ঞান জিনিসটা একান্ত লজিক্যাল। আধ্যাত্মিকতার সাথে এর সম্পর্ক মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। আর কোরআনে আধ্যাত্মিক ঘটনা অনেক আছে। এগুলোর কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই। যেমন, কোরআনে আছে- মুসা আ. লাঠি ফেলে দিল আর ওমনি তা সাপ হয়ে গেল।
তাই দর্শন ও আধ্যাত্মিকতার সব বিষয়কে বিজ্ঞান দ্বারা বুঝানো সম্ভব নয়। এগুলো একান্ত ব্যক্তিগত অলৌকিক ও অতিইন্দ্রিয় ঘটনা।
২১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৪২
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: যারা মূর্খ আর অর্ধব তাদের জ্ঞান দিলেও ওদের মগজে চিরন্তন সত্যের বানী পোছাবে না। অহেতুক তর্ক- তর্ক খেলা। যাহা কিনা সময় ও এনার্জি খরচ মাত্র। লেখককে ধন্যবাদ সুন্দর একটি বিষয় উপস্থাপন করে তার যথাযত ব্যাখ্যা দানে পাঠক অন্তরে স্হান করেছেন ।
২৮ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৬
রিদওয়ান হাসান বলেছেন: সত্য বলেছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনি তো আল্লাহর প্রশংসিত সুজন বান্দা। আল্লাহ কবুল করুক।
ভালো থাকবেন।
২২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:১৭
মাহিরাহি বলেছেন: আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে, যখন কোন নাস্তিকের খুব আপনজন যেমন মা, বাবা বা সন্তান মারা যায়, তখন কি তাদের একটুও ইচ্ছে করে তাদের সেই প্রানপ্রিয় মানুষগুলো আবার দেখার।
আর দেখার ইচ্ছা থাকলে, সেটি শুধুমাত্র পরকালেই দেখা সম্ভব নয় কি।
কোন নাস্তিককে যদি অপশন দেয়া হয়, পরকালে যদি বিশ্বাস কর তাহলে তুমি তার মৃত মা কে দেখতে পাবে।
তখন কি সে পরকালে বিশ্বাস করবে, নাকি তার ইগোটাকেই প্রাধান্য দেবে।
দু:খিত কিছুটা অপ্রাসংগিক কথা বলে ফেলার জন্য।
২৮ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২২
রিদওয়ান হাসান বলেছেন: হোক পরকাল সত্য কিংবা মিথ্যা। অন্তত আপনজনকে দেখার আশা নিয়ে হলেও পরকালে বিশ্বাস করা যায়। হোক সে আশা সত্য কিংবা মিথ্যা। চমৎকার বলেছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ। খুব ভালো থাকবেন আপনি।
২৩| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১০
নান্দনিক বুদ্ধিপ্রকর্ষ বলেছেন: আপনি লিখেছেন -
প্রথম শব্দ উচ্ছৃঙ্খলতা হলে পরের শব্দ উগ্রতা হওয়া বাঞ্ছনীয়, উগ্রমনোভাব নয়। আর পরের শব্দ উগ্রমনোভাব লিখলে প্রথম শব্দ উচ্ছৃঙ্খলই লিখতে হবে। সেদিক দিয়ে আপনি শুদ্ধ বাক্যে ভুল ধরতে গিয়ে ফের ভুল করে বসেছেন।
একজন ব্যক্তি উচ্ছৃঙ্খল হতে পারে পক্ষান্তরে একজন ব্যক্তি উগ্রমনোভাব হতে পারে না। তাই আপনার বাক্য সংগঠন সম্পূর্ণই ভুল
আপনি ভুল লেখার পরে এখন 'তা'-'তা' মিল করার কথা বলছেন, আগে বলেননি। আমার বাক্য সংগঠন সম্পূর্ণরূপেই সঠিক আছে -
'উচ্ছৃঙ্খলতা বা উগ্র মনোভাব যার মধ্যে থাকে না' পাশাপাশি এটাও সঠিক - 'উচ্ছৃঙ্খলতা বা উগ্রতা যার মধ্যে থাকে না'
আপনি মনোভাব শব্দটি লিখেছিলেন বলে উক্ত মনোভাব শব্দটিকে আমি বাক্যটিতে রেখেই বাক্য সংগঠন করেছিলাম।
সুতরাং, আপনিই ভুল করেছেন, আমি করিনি।
২৮ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৮
রিদওয়ান হাসান বলেছেন: বিশেষ্য আর বিশেষণকে একত্রে লিখলে তাতে দোষের কিছু নেই। মনোভাব এখানে বিশেষ্য, উগ্র হলো তার বিশেষণ। তাই উভয়টা এক করে লেখা ব্যাকারণসম্মত। যেমন দেখুন, মহা প্রলয়। একে একত্রে ‘মহাপ্রলয়’ লেখা যায়।
২৪| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৪
নান্দনিক বুদ্ধিপ্রকর্ষ বলেছেন:
খুল্লমখোলা বলে কোন শব্দ নেই। সঠিক শব্দটি হবে খুল্লমখুল্লা।
ভুলভাল লেখার মাধ্যমে বিনোদন দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
২৮ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩১
রিদওয়ান হাসান বলেছেন: হা হা হা। খুল্লমখুল্লা বা খুল্লমখোলা কোনো বাংলার মৌলিক শব্দ নয়। এটি মূলত উর্দু থেকে এসেছে। আর বিদেশী শব্দের বানানে উচ্চারণের দিক বিবেচনা করে বিভিন্নভাবে লেখা যায়।
২৫| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২০
নান্দনিক বুদ্ধিপ্রকর্ষ বলেছেন: আপনি লিখেছেন - "পরীক্ষায় মার্ক তো অনেকেই পায়। ভালো ব্রেন হলেও পায়। নকল করেও পায়। অন্যেরটা দেখেও পায়। প্রশ্ন ফাঁসের শিকার হলেও পায়"
কারা এরকম কথা লেখে জানেন ? যারা ভালো ছাত্র ছিলো না, তারাই বিভিন্ন অজুহাতের মাধ্যমে নিজেদের কম মার্ক পাওয়া ঢাকতে এমন কথা লিখে সান্ত্বনা খোঁজার চেষ্টা করে।
বাংলায় একটি প্রবাদ আছে - 'নাচতে না জানলে উঠোন বাকা'। আপনার জন্য এই প্রবাদ প্রযোজ্য।
নিজে ভালো মার্ক না পেলে সেটা ঢাকতে যে ভালো মার্ক পেয়েছে তার বিরুদ্ধে নকল করা, অন্যেরটা দেখে লেখা, প্রশ্ন ফাঁস ইত্যাদির অজুহাত দিতে হয়।
লক্ষ্যণীয় যে, নকল করা আর অন্যেরটা দেখে লেখা সমার্থক। নকল করা লিখলে আর অন্যেরটা দেখে লেখার কথা লেখার দরকার পড়ে না। প্রশ্ন ফাঁসও তো নকলই। আপনি বাংলায় দুর্বল বলেই আপনার বাক্য সংগঠনে বিভিন্ন ধরনের ভুল। ধন্যবাদ।
২৮ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৩
রিদওয়ান হাসান বলেছেন: আমি শুধু পরীক্ষায় মার্ক পাওয়ার পদ্ধতিগুলো বললাম। আপনার জ্বলুনি দেখে বুঝলাম, আপনার আঁতে ঘা লেগেছে। আর কখন জানি আঁতে ঘা লাগে? আপনার জন্যেও বাংলায় একটি প্রবাদবাক্য আছে- গরম ভাতে বিড়াল বেজাড়, উচিত কথায় বন্ধু বেজাড়।
নকল অর্থ অনুকরণ করা। সেটা হতে পারে বই দেখে বা কাগজের টুকরা দেখে। আবার হতে পারে অন্য আরেকজনেরটা দেখে। দু’ভাবে বুঝাতে একবাক্যে নিয়ে এলে বোকা পাঠক না-ও বুঝতে পারে। কিন্তু আপনাকে আমি ততটা বোকা ভাবিনি। ধন্যবাদ।
২৬| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৪
নান্দনিক বুদ্ধিপ্রকর্ষ বলেছেন: "পরীক্ষায় মার্ক তো অনেকেই পায়। ভালো ব্রেন হলেও পায়। নকল করেও পায়। অন্যেরটা দেখেও পায়। প্রশ্ন ফাঁসের শিকার হলেও পায়"
- প্রশ্ন ফাঁসের শিকার হলে ভালো মার্ক পায় - উদ্ভট বাক্য। শিকার হওয়া লিখলে তা দিয়ে কোন কিছু পাওয়া বোঝায় না বরং কোন কিছু হারানোকে বোঝায়। তাই সঠিক বাক্যটি হবে -
পরীক্ষায় মার্ক তো অনেকেই পায়। পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস হলেও পায়" (শিকার হবে না)
আপনার উদ্ভট ভুলভাল মন্তব্যের মাধ্যমে বারবার লোক হাসাচ্ছেন। ধন্যবাদ।
২৮ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫০
রিদওয়ান হাসান বলেছেন: পরীক্ষার হলে যখন রব উঠে প্রশ্ন ফাঁসের তখন ভালো ছেলেটাও অন্যের দেখাদেখি নকল করে। অথচ সে এমন করতে চাইনি। এমন কিছু বোঝাতে ‘শিকার’ শব্দটাই যুৎসই।
আধুনিক বাংলা কবিতা খুব পড়বেন। এতে একেক শব্দের একেক তাৎপর্য সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা পাবেন। ধন্যবাদ।
২৭| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:২৯
নান্দনিক বুদ্ধিপ্রকর্ষ বলেছেন:
বেজার/ব্যাজার বানান ভুল। মূর্খতা ভালোই দেখাচ্ছেন। তবে মূর্খতার চেয়েও বেশি বিনোদন পাচ্ছি আপনার অর্থবিরহিত উদ্ভট প্রতিমন্তব্যগুলোতে। বিনোদন দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৫৩
রিদওয়ান হাসান বলেছেন: বানানে ভুল হওয়াটা স্বাভাবিক। বড় বড় লেখকও বইয়ের শুরুতে ভুল বানান পরবর্তী সংস্করণে শুধরে নেবার প্রতিশ্রুতি দেয়।
২৮| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৪২
নান্দনিক বুদ্ধিপ্রকর্ষ বলেছেন:
১) দুর্বল বাক্য সংগঠন। সঠিক হবে -
পরীক্ষা হলে যখন প্রশ্ন ফাঁসের রব ওঠে
২) ভালো ছেলে অন্যদের দেখাদেখি নকল করে - উদ্ভট বক্তব্য। অন্যদের দেখাদেখি নকল করলে সে আর 'ভালো' থাকে না।
৩) সঠিক হবে - আধুনিক বাংলা কবিতা বেশি করে পড়বেন।
বোঝাই যাচ্ছে, এতো কিছুর পরেও আপনার লজ্জা নেই। লোক হাসাতে চাইলে আরো বেশি করে মন্তব্য/প্রতিমন্তব্য করুন, ভালোই বিনোদিত হচ্ছি। ধন্যবাদ।
২৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:০৪
রিদওয়ান হাসান বলেছেন: ১। ‘আমি ভাত খাই’ আর ‘ভাত খাই আমি’ এ দুয়ের মধ্যে অর্থগত কোনো ব্যবধান নাই।
২। ভালো লোক খারাপ হতে শুনেননি কখনো? বিষয়টা খুব স্বাভাবিক যে, কাজ করার পর সে হয়েছে খারাপ। তার আগপর্যন্ত তার বিশেষণ ছিল ভালো। আর একটা ভালো লোকের খারাপ হওয়ার পেছনে নিশ্চয় কোনো ট্রাপ থাকে। এ কারণেই ‘শিকার’ শব্দের উল্লেখ করেছিলাম।
৩। সঠিক শব্দের বিপরীতটা জানা আছে? তারপরও বলি- ভুল। ‘আধুনিক বাংলা কবিতা খুব পড়বেন’কে ভুল বলে আপনার জ্ঞানের পরিধি খুব করে জানান দিলেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার প্রতিমন্তব্যের একটারও যুৎসই উত্তর দেয়ার মুরোদ তো আপনার নাই। শুধু শুধু বাগারম্বড় করছেন। বোদ্ধা পাঠক সেটা ভালো করেই বুঝছে যে, আপনার লেজ কাটা পড়েছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:২০
চাঁদগাজী বলেছেন:
মন নিয়ে ভাবনা দর্শের বিষয় নয়, উহা এখন মানস বিজ্ঞানের বিষয়; দর্শন হলো সব বিজ্ঞানের সন্মিলিত জ্ঞান। মানুষ কথায় কথায় বলে, আমার "জীবন দর্শন"; এই জীবন দর্শনের স্তরও বিভিন্ন পর্যায়ে আছে; যেমন, চেংগিস খান ও নিউটনের জীবন দর্শন ভিন্ন স্তরে ছিল।
সময়ের সাথে মানুষের ভুল ধারণাগুলো নতুন ব্যাখ্যা পাচ্ছে।