নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শুধু একদিন ভালোবাসা, মৃত্যু যে তারপর... যদি তা-ও পাই, আমি তা-ই চাই, চাই না বাঁচতে আমি প্রেমহীন হাজার বছর।
আওয়ামী লীগ যখন ভোটের মাঠে এমনই ভোট ডাকাতি করবে, পরিকল্পনা ছিল। তাইলে মাঝখান দিয়া নির্বাচনী প্রচারণার পেছনের এতগুলো টাকা নষ্ট করার কী দরকার ছিল? তারা ঘরে বইসা থাকতে পারত এবং নির্বাচনের প্রচারণায় যেই দলেই নামত, তাদেরে মাইরা ফেরত পাঠাইত। তাইলে প্রচারণার মতো একটা নির্বাচনী ‘কুসংস্কার’ দূর হয়া যাইত। প্রচারণার টাকাও বাইচা যাইত। ব্যাপারটা আওয়ামী লীগ বুঝতে পারল না।
দ্বিতীয়ত, আওয়ামী লীগ একাদশ জাতীয় নির্বাচনে জিতছে ঠিকই। কিন্তু এই নির্বাচনের মধ্য দিয়া এইটা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হইছে যে, দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন করা কখনো সম্ভব। এইটা আওয়ামী লীগের একটা বিশাল পরাজয়। কারণ, তারাই দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের সুবক্তা ছিল।
এদিকে বিএনপি ২০১৪ সাল থিকা এই পর্যন্ত যে সুশীলদের নাকানিচুবানি খাইছে এই বইলা যে, তারা দশম জাতীয় নির্বাচনে যাইতে পারত। বিএনপি নির্বাচনে না যায়া ফাকা মাঠে গোল করার বিশাল সুযোগ দিছে আওয়ামী লীগরে। তাদের ওইসব বালপাকনামি ভবিষ্যদ্বাণী এইবার কই গেল? এইবার তো ঠিকই বিএনপি নির্বাচনে গেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ কতটা ক্ষমতালোভী, কুৎসিত সেইটা বুঝাইতে পারছেন। এইটাও আওয়ামী লীগের প্রকারান্তরে পরাজয়সম।
দুঃখের কথা, ফেনীর এক মহিলা যে ‘ধানের শীষে ভোট দেয়ার কারণে’ কিংবা ‘নৌকায় ভোট না দেয়ার কারণে’ গণধর্ষণের স্বীকার হইলো। সেইটার বিক্ষোভে মুষ্টিমেয় কিছু লোকরে প্রতিবাদ করতে দেখলাম। বিষয়টা মর্মাহত করলো। গণধর্ষণের প্রতিবাদে যদি গণবিক্ষোভ না হয়, তাইলে প্রতিবাদ যারা করতেছে না, তারাও তো গণধর্ষণে শামিল ছিল বইলাই মনে হয়। এই কথাতে আইসাই ‘গণধর্ষণ’ শব্দটার অর্থ ফুইটা ওঠে।
বিএনপির রাজনীতি এখন প্রমাণের রাজনীতিতে রূপ নিতাছে। তারা শুধু এইটা প্রমাণ করতে চায়, সেইটা প্রমাণ করতে চায়। কিন্তু মাইনসের মনে যেই এইসব প্রমাণপত্র বেমালুম গায়েব হয়া যায়, সেইটা বিএনপি এখনো শিখতে পারে নাই। বিএনপির প্রতীকে একটা মহিলা ভোট দিয়া গণধর্ষণের শিকার হইছে, অথচ তারা এর প্রতিবাদ না কইরা এখন এইটা প্রমাণ করতে চাইতেছে যে, ধানের শীষে ভোট দিয়া সে ধর্ষণের শিকার হইছে, এই প্রমাণের চাইতে মহিলাটা নৌকায় ভোট দেয় নাই—এইজন্য তার এই করুণ পরিণতি হইছে—এইটা প্রমাণ করতে চাইতেছে।
কিন্তু দেখেন, এই জায়গায় যদি আওয়ামী লীগ থাকত। এতক্ষণে মহিলার সাথে শেখ হাসিনার সাক্ষাত হয়া যাইত। হাসপাতালে অবহেলিত না হয়া ঢাকার ইউনাইটেডে ভর্তি হইত তার ধর্ষিত শরীর। প্রেসক্লাবে এমপি ও নেতাকর্মীরা আইসা মানবতার গান শুনাইত। দাবির পর দাবি উইঠা আসত। এরপর সুস্থ হইলে তারে কোনো এক হাসপাতালে নার্সের চাকরিও দিয়া দিত।
কিন্তু দুঃখ হইলো, মহিলাটা ধানের শীষরে সমর্থন করছে। অথচ নেতাকর্মীদের কোনো নড়াচড়া নাই। তারা এখনো নির্বাচন সুষ্ঠু হইছে কিনা, সেইটা নিয়া ধন্দে পইড়া রইছে। তার চাইতেও বড় দুঃখ হইলো, আজ মহিলাটা নৌকার নয় বলে অবহেলিত হাসপাতালের বিছানায় কাতরাইতেছে।
যাই হোক, এরই মধ্য দিয়া একটা জিনিস বুঝা গেল, মানুষরে নিয়া যে আওয়ামী লীগের ‘উদার মানবিকতার’ স্লোগান, সেইটা এখন জাতির কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। আজকে রবীন্দ্রনাথ বাইচাঁ থাকলে হয়ত এটাই কইত—‘সবার উপরে আওয়ামী লীগ সত্য, তার উপরে নাই।’
২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৩৭
উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: হ্যা, বিএনপির সমস্যা বড় প্রকট। নির্যাতিতা হাসপাতালে দিন কাটাচ্ছেন অথচ বিএনপির কেউ তাকে দেখতেও যায় নি। মির্জা ফখরুল আর্থিক সাহায্য নিয়ে উনার সাথে যেন দেখা করতে যান। ঘোষনা দিন তার চিকিৎসা এবং পুনর্বাসনের সমস্ত দায় দায়িত্ব নেবার জন্য।
৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:০২
রাফা বলেছেন: বি,এন,পির রাজনিতীই এটা , ভোটারদের বলবেন ভোটকেন্দ্রে গিয়ে আপনার দায়িত্ব পালন করুন।আমাদেরকে জয়ী করার জন্য।আর নিজেরা এসি রুমে বসে ফলাফল চান নিজের পক্ষে।
প্রশাসন তরিৎ ব্যাবস্থা গ্রহণ করায় তাদের ধন্যবাদ।এখন আওয়ামি লীগের দায়িত্ব হবে এই কুলাঙ্গারদের বিরুদ্ধে দাড়ানো।এবং ভিক্টিমকে সর্বোচ্চ শহায়তা প্রদান।
এইরুপ কর্মকান্ডের জন্যই বারবার লজ্জা,ঘৃণায় আমাদের মাথা হেট হয়ে যায়।ধন্যবাদ , আপনাকে সত্য উচ্চারণের জন্য।
৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:১৮
অক্পটে বলেছেন: বাংলাদেশ ধর্ষিত হলো।
৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:৫০
সূচরিতা সেন বলেছেন: আমার মনে হয় আওয়ামীলিগের চেয়ে এসব বিষয়ে বিএন পির বেশি লজ্জিত হওয়া প্রয়োজন। তাদের সমর্থন করার কারনেই যদি আজ এই নারীর এরকম অবস্থা হয়ে থাকে তাহলে আমি বলবো এই নারীর পাশে সকলের আগে বি এন পির দাঁড়ানো উচিৎ।
৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:০২
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: সূচরিতা সেন বলেছেন: ...... এই নারীর পাশে সকলের আগে বি এন পির দাঁড়ানো উচিৎ।
আপনার কথা শুনে হাসবো না কাঁদবো বুজতে পারছিনা | দেশের একজন নাগরিক ধর্ষিত হয়েছে, সে যেই দলেরই সমর্থক হোক না কেন, তার পাশে সবার আগে দাঁড়ানো উচিত রাষ্ট্রের | সরকার বা রাষ্ট্র আছে কি কারণে? নিজের আখের গোছানোর জন্য ?
আপনাদের মতো মাথামোটা কিছু লোকজনের কারণেই দেশটার এই অবস্থা |
৭| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: ফেনীর মহিলাকে ধর্ষন করতে কি আওয়ামীলীগ বলেছে?
৮| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৩৩
উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: রাজীব নুর বলেছেন: ফেনীর মহিলাকে ধর্ষন করতে কি আওয়ামীলীগ বলেছে?
@রাজীব নুর, আপনি এইটা কি বললেন? আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন দল। তাদের কি করনীয় নয় সবাইকে নিরাপত্তা দেয়া? সেই দায়িত্ব বোধ কি আওয়ামী লীগ দেখিয়েছে? না, মোটেই নয়। মূল অপরাধীকে বাদ দিয়ে এজাহার দেয়া হয়েছিল। আর আওয়ামী লীগের যা চরিত্র! যতদিন চেচামেচি হবে ততদিন এদের জেলে ভরে রাখবে। এরপরে নানা উছিলায় এরা জেল থেকে খালাস পাবে।
৯| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৩৯
খাঁজা বাবা বলেছেন: রাজিব নূর ভাই- ভোট আওয়ামীলিগে দিলে লাগ কি আওয়ামীলিগের হত না?
লাভ যখন তারা নেবে, কলঙ্ক ও তার নিতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:২৭
সনেট কবি বলেছেন: আমরা ভাল কিছু চেয়েছিলাম। তারা সেটা বুঝেনি।