নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিন্দুর মাঝে সিন্ধু দর্শনের আশায় পথ চলি...

রিদওয়ান হাসান

শুধু একদিন ভালোবাসা, মৃত্যু যে তারপর... যদি তা-ও পাই, আমি তা-ই চাই, চাই না বাঁচতে আমি প্রেমহীন হাজার বছর।

রিদওয়ান হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বিলোপ : দক্ষিণ এশিয়ার নব্য ইজরায়েল ভারত

০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৯

কাশ্মীর দখলের জন্য আজ ভারতের যে সাম্প্রদায়িক স্বৈরাচারিতার ভয়ংকর রূপ দেখা গেল, বাবরি মসজিদ ভাঙার পরে এটিই সম্ভবত দক্ষিণ এশিয়ার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা। পুরোপুরি ফিল্মি স্টাইলে সংবিধান থেকে আর্টিকেল ৩৭০ বাতিল করে দখলদারির ন্যাক্কারজনক ইতিহাস তৈরি করল ভারত। দক্ষিণ এশিয়ার নব্য ইজরায়েলের আবির্ভাব ঘটল এরই মধ্য দিয়ে।

ভারত সমগ্র রাজ্যে কার্ফ্যু জারি করে, হাজার হাজার সৈন্য মোতায়েন করে, স্কুল-কলেজ-ইউনিভার্সিটি বন্ধ করে দিয়ে, ইন্টারনেট সার্ভিস বন্ধ করে দিয়ে, রাজ্যের সাবেক তিন তিনজন মূখ্যমন্ত্রীকে গৃহবন্দী করে, সমগ্র রাজ্যকে পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন করে জম্মু-কাশ্মীরের স্বায়ত্ত্বশাসন আজ ছিনিয়ে নেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এমনকি, জম্মু-কাশ্মীরের হিন্দুপ্রধান অঞ্চল লাদাখকে রাজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন করে, সরাসরি কেন্দ্রের শাসনের আওতায় নিয়ে নেয়ার প্রস্তুতি চলমান। এ যেন ঠিক বলিউড, অস্ত্রের মুখে পরিবারকে জিম্মি করে আদালতে ভুয়া সাক্ষীর মাধ্যমে আইনের বিচার প্রতিষ্ঠা।

কাশ্মীরের জনগণ ভারত রাষ্ট্রের সাথে যে প্রতিশ্রুতিতে আবদ্ধ ছিল এতকাল, আজ তার শেষ সুতাটাও ছিন্ন হয়ে গেলো। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় জম্মু-কাশ্মীর ভারতের কোনো অঙ্গরাজ্য ছিল না৷ রাজা হরি সিং-এর স্বাধীন রাজতন্ত্র ছিল। কিন্তু, ১৯৪৭ সালের ২২শে অক্টোবর কিছু পার্বত্য দস্যুরা কাশ্মীর আক্রমণ করলে, রাজা হরি সিং ভারতের কাছে সেনা সাহায্য চান৷ তখন ভারত সরকার রাজা হরি সিংকে ভারতভূক্তির শর্তে সাহায্য করে। তখন ভারতের সংবিধানে জম্মু-কাশ্মীরকে ৩৭০ আর্টিকেল অনুযায়ী স্বায়ত্তশাসনের 'বিশেষ মর্যাদা' দেবার সংস্থান রাখা হয়৷ ৩৭০ ও ৩৫ ধারার ওপর নির্ভর করে কাশ্মীরে নিচের কয়েকটি আইন বলবৎ ছিল-

এক. ৩৭০ আর্টিকেল অনুযায়ী জম্মু-কাশ্মীরের নাগরিকদের বিশেষ অধিকার দেয়া হয়েছে।

দুই. এই ধারা অনুযায়ী জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা স্থির করতে পারে রাজ্যের ‘স্থায়ী নাগরিক’ কারা এবং তাদের বিশেষ অধিকার কী হবে? অর্থাৎ কাশ্মীরে কারা স্থায়ী নাগরিক সেটা কাশ্মীরের রাজ্য সরকার ঠিক করবে। ভারতের কেন্দ্র সরকারের হস্তক্ষেপ করার কোনো অধিকার থাকবে না।

তিন. কেবল স্থায়ী নাগরিকরাই ওই রাজ্যে সম্পত্তির মালিকানা, সরকারি চাকরি বা স্থানীয় নির্বাচনে ভোট দেয়ার অধিকার পাবেন। ভারতের অন্য রাজ্যের কেউ সেখানে সম্পত্তি ক্রয় করার অধিকার রাখে না।

চার. রাজ্যের নাগরিক কোনো মহিলাও যদি রাজ্যের বাইরের কাউকে বিয়ে করে তাহলে সে সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে। তার উত্তরাধিকারীদেরও সম্পত্তির উপরে অধিকার থাকবে না। (যদিও ২০০২সালে একটি ঐতিহাসিক মামলায় জম্মু কাশ্মীরের হাইকোর্ট ৪নম্বর আইনটি স্থগিত করে দেয়।)

আজকের ৩৭০ অনুচ্ছেদটি বাতিলের অবৈধ বিল পাশের মাধ্যমে কাশ্মীর হারালো তাদের স্বায়ত্তশাসনের গৌরব। এখন কাশ্মীরকে দুটি ভাগ করা হয়েছে। পরবর্তীতে আরো ভাগ করতে করতে হায়দারাবাদের মত করে ফেলবে। ভারতের সবচেয়ে বড় প্রদেশ একসময় ছিল স্বাধীন হায়দারাবাদ, যার এখন কোনো অস্তিত্ব নেই৷
৩৭০ আর্টিকেলের কারণে জম্মু-কাশ্মীর অন্য যে কোনো ভারতীয় রাজ্যের চেয়ে বেশি স্বায়ত্তশাসন ভোগ করত। সেখানে অন্য অঞ্চলের লোকজন সম্পত্তি কিনতে পারতেন না। এখন থেকে সেটি পারবেন। এ অনুচ্ছেদের কারণেই মূলত কাশ্মীর ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়। এ অনুচ্ছেদ নিজেদের সংবিধান ও একটি আলাদা পতাকার স্বাধীনতা দেয়। এ ছাড়া পররাষ্ট্র সম্পর্কিত বিষয়াদি, প্রতিরক্ষা এবং যোগাযোগ বাদে অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে স্বাধীনতার নিশ্চয়তাও দেয়। এটি বাতিল হওয়ার ফলে অনুচ্ছেদ ৩৫এ হিসেবে পরিচিত সংবিধানের অনুচ্ছেদটিও হুমকির মুখে পড়েছে বলে মনে করছে বিবিসি।

এ অনুচ্ছেদের কারণে ভারত শাসিত কাশ্মীরের ‘স্থায়ী নাগরিক’ কারা তা সংজ্ঞায়িত করা যেত। এখন আর সেটি করা যাবে না। অর্থাৎ যেকোনো রাজ্য থেকে সাধারণ মানুষ সেখানে থাকা শুরু করলে রাষ্ট্রীয় নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় পর নাগরিকত্ব পাবেন। সেটি যদি হয়, তাহলে সংখ্যাগুরু মুসলিমরাই অদূর ভবিষ্যতে সংখ্যালঘু হয়ে পড়তে পারে।

প্রকৃতপ্রস্তাবে আর্টিকেল ৩৭০ না থাকলে কাশ্মীরের সাথে ভারতের সম্পর্কের সাংবিধানিক ভিত্তিটাও আর থাকে না। আর সেজন্যেই সমগ্র কাশ্মীর এখন ভারতীয় সেনাদের করদরাজ্যে পরিণত হইছে। সাংবিধানিকভাবে কাশ্মীরের দখল পুরাপুরি না নিতে পেরে, বিজেপি এখন সরাসরি অসাংবিধানিক পথেই, সেনা-আগ্রাসনের মাধ্যমে কেড়ে নিতে চাইতেছে কাশ্মীরের মানুষের স্বাধিকার। ভারত রাষ্ট্রের আগ্রাসনের এই চূড়ান্ত সময়টিতেও, বিশ্বের যাবতীয় মানবতাবাদ ও অন্যান্যরা নীরব দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ। কেবল কাশ্মীরিরা এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াইলেই তারা মুখ খুলবেন।

হিন্দুত্ববাদের এ ভয়াবহ আগ্রাসনের ব্যাপারে বিশ্বব্যাপী উচ্চকণ্ঠে প্রতিবাদ করা দরকার। কাশ্মীরের আজাদির আন্দোলনকে যারা বছরের পর বছর 'জঙ্গিবাদ' হিসেবে চিহ্নিত করছে, তাদেরও একহাত নেয়া প্রয়োজন। এদের হাতে দেশের রাজনীতি ও মানুষ নিরাপদ নয়।

মন্তব্য ৪৭ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: ধারা বিলোপ করার বিষয়টি বিজেপি'র পুরনো রাজনৈতিক এজেন্ডাগুলোর একটি।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২১

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: হ্যাঁ। কিন্তু গতবার এজেন্ডা বাস্তবায়নের নীলনকশা এঁকেছে, এবার এসেই তার একটা একটা বাস্তবায়ন করছে। জনগণ হতাশ!!

২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২১

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: ধারা বাতিল হলে তো ভারভুক্তির চুক্তিই বাতিল হয়ে গেলো।

এখন কাশ্মীরিরা যদি স্বাধীন হওয়ার জন্য যুদ্ধ করে, এবং কোন অন্য রাষ্ট্র তাদের সাপোর্ট করে তাহলে কি হবে?

০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:১৩

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: একটা যুদ্ধের রণসঙ্গীত বাজতেছে। কাশ্মীরিরা যদি তাদের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করে এবং পার্শ্ববর্তী পাকিস্তান বা অন্যান্য দেশ যদি তাদের সাপোর্ট করে কাশ্মীরের স্বাধীনতা আসবে। কিন্তু বিষয়টা অতটা সহজ নয়।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৭

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: পাকিস্তান সদে ইমরান প্রদত্ত ভাষণ শুনে যা বুঝলাম, কাশ্মীরিদের জন্য পাকিস্তান কোনো ধরনের যুদ্ধে জড়াবে না।
হ্যাঁ, তারা একটা কাজ করবে। তারা কাশ্মীরিদের কষ্টের কথাগুলো বিশ্বনেতাদের কাছে ফেরি করে বেড়াবে।

কাশ্মীরিদের নিজেদের ভাগ্য নিজের হাতেই নির্ধারণ করতে হবে। তাই পাকিস্তানের দিকে তাকিয়ে থেকে কোনো লাভ নেই।

৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৩৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: যে সব ভিডিও ফেসবুকে আসছে তা রীতিমত আতংকজনক । আমাদের অবস্থাও কি খুব ভাল? মোদী এই উপমহাদেশে সকল মুসলিমদের নিজ ভুমিতে শরনার্থী বানানোর পায়তারা করছে।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:৪০

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: মোদীর আচরণ এবং উগ্রবাদী হিন্দুত্ববাদের নির্যাতনে ভারত আজ দক্ষিণ এশিয়ায় ইজরায়েলের মতো ভূমিকা গ্রহণ করেছে। আগে থেকেই ইসকনের ব্যানারে ভারতে জয়শ্রীরামের খড়গ চাপিয়েছে মুসলমানদের ওপর। প্রকৃতপ্রস্তাবে ভারত মুসলিম নিধনের শপথ নিয়েছে, একথা বলাই যায়। কাশ্মীরের ভাগ্যে স্রেফ স্বাধীনতার পথটাই খোলা। এজন্য মুসলিম বিশ্বের এক হওয়া ছাড়া বিকল্প পথ নেই।

৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:০৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: রিদওয়ান হাসান,




কাশ্মিরীদের জন্যে এখন স্বাধীনতা ঘোষনা করে যুদ্ধে যাওয়া আবশ্যকীয় হয়ে গেলো। বলা যায় তাদেরকে একটা স্বাধীনতা যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেয়া হলো। এভাবেই নন-মুসলিমরা মুসলমানদের তথাকথিত যুদ্ধবাজীতার দিকে ঠেলে দেয় আবার জঙ্গী বলে দোষারোপও করে।
মোদী আগাগোড়াই মুসলিম বিদ্বেষী যা সে প্রমান করেছে বাবরী মসজিদ ভেঙে। সংবিধানে আর মুখে যতোই অসাম্প্রদায়িকতার কথা ভারত বলুক না কেন ভারতবাসী হিন্দুরা যে মনেপ্রানে অসাম্প্রদায়িক তার প্রমান প্রতিটি ঘটনাতেই আছে।

একটি সাম্প্রদায়িক অজগর তার কুন্ডলী খুলতে শুরু করেছে। অতএব সাধু সাবধান।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৭:১৮

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: আপনি বলেছেন, ভারতবাসী হিন্দুরা যে মনেপ্রানে অসাম্প্রদায়িক তার প্রমান প্রতিটি ঘটনাতেই আছে।

তারা অসাম্প্রদায়িক কিভাবে হয়? তারা যেভাবে ইসকনের ব্যানারে জয়শ্রীরামের খড়গ চাপাচ্ছে মুসলিমদের ওপর, তারপর তাদের আর অসাম্প্রদায়িক বলা যায় না।

৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:১৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: আমাদের জন্য বিষয়টা অত্যন্ত এলার্মিং কারন ক্ষমতা জোরপুর্বক দখল করে আছে মোদীর অনুসারীরা।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৭:২৪

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: মোদীর বাংলাদেশপ্রীতি স্রেফ মুখে মুখে। যদিও এখন মুখে মুখেও পাওয়া যায় না। এখনকার মোদী সুযোগে বাংলাদেশকেও রেহাই দিবে না। বিষয়টা আমাদের জন্য অবশ্যই এলার্মিং। মোদী এবং ভারতের হিন্দুত্ববাদের পরিকল্পনা হচ্ছে, মুসলমানদের নিজের মাতৃভূমিতে শরণার্থী করে রাখা। মোদীর কাশ্মীর মিশন সাক্সেস হলে দ্বিতীয় টার্গেট বাংলাদেশী মুসলিম।

৬| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:১৩

জুন বলেছেন: কাশ্মীরিদের জন্য আমার কষ্ট হচ্ছে । কি অবর্ননীয় অবস্থায় আছে তারা যারা তাদের দেখেছে সেটা তারাই জানে ।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৭:২৪

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: যার গেছে সেই বোঝে বিচ্ছেদে কী যন্ত্রণা!!

৭| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:১৫

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন:

আহমেদ জী এস বলেছেন: ভারতবাসী হিন্দুরা যে মনেপ্রানে অসাম্প্রদায়িক তার প্রমান প্রতিটি ঘটনাতেই আছে।


আহমেদ জী এস ভাইয়ের এই কথায় প্রতিবাদ করছি। ভারতীয় হিন্দুদের মাঝে ভালো মানুষও আছেন। আমি দেখেছি। যদিও, সেই এক-দু'জনই সব ভারতীয়দের উদাহরণ হয়ে যাবেন, সেটা না-ও হতে পারে। আপনি হয়তো অনেক বেশি ভারতীয় হিন্দু দেখেছেন।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৭:২৯

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: আহমেদ জী এস তো ভারতবাসী হিন্দুদের অসাম্প্রদায়িক মনে করছেন। একথার প্রতিবাদের অর্থ হচ্ছে আপনি তাদের সাম্প্রদায়িক ভাবছেন! হ্যাঁ, সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীতে দুয়েকজন তো অসাম্প্রদায়িক থাকতেই পারে!

বুঝলাম না, আপনি কথাটি আপনি স্যাটায়ার করে বলেছেন, নাকি মন থেকে বলেছেন?

৮| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:২৪

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন:
@লেখক,

৩৭০ আর্টিকেলটির কারণে অন্য রাজ্যের মানুষেরা কাশ্মীরে ভূমি কিনতে পারতেন না। ফলে, কাশ্মীরের মতো জায়গায় ভূমির মূল্য খুবই সস্তা ছিলো। আর, এতে করে, কাশ্মীরবাসীরা বঞ্চিত হচ্ছিলেন।

আর, সম-অধিকারের প্রশ্ন উঠলে, কেন অন্য রাজ্যের ভারতীয়রা কাশ্মীরে ভূমি কিনতে অনুমতি পাবেন না, বলুন তো?

০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৭:৩৭

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: কাশ্মীর তো মূলত ভারতের ছিল না। কাশ্মীর ছিল রাজা হরি সিংয়ের স্বায়ত্ত শাসিত জনপদ। তো, যখন কাশ্মীরের ওপর পার্বত্য দস্যুবাহিনি প্রায় প্রায় হামলা চালাত, কাশ্মীর রক্ষার স্বার্থেই রাজা হরি সিং ভারতের কাছে সাহায্য চান। আর ভারত এ সুযোগে কাশ্মীরকে নিজের কব্জায় নেয়ার মোক্ষম সময় ধরে নেয়। কাশ্মীরকে ভারতভূক্তির শর্তে তারা সেনা সাহায্য প্রদান করে। তবে কাশ্মীরের এ ভারতভূক্তির অন্যান্য রাজ্যের মতো ছিল না। তারা নিজেদের মতোই স্বায়ত্ত শাসিত ছিল। যার ফলে এখানে কাশ্মীরকে অন্যান্য রাজ্যের মতো তুলনা করাটা বাগাড়ম্বর।

৯| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৫৫

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan's Tuition) বলেছেন:
@লেখক,

৩৭০ আর্টিকেলটির কারণে অন্য রাজ্যের মানুষেরা কাশ্মীরে ভূমি কিনতে পারতেন না। ফলে, কাশ্মীরের মতো জায়গায় ভূমির মূল্য খুবই সস্তা ছিলো। আর, এতে করে, কাশ্মীরবাসীরা বঞ্চিত হচ্ছিলেন।

আর, সম-অধিকারের প্রশ্ন উঠলে, কেন অন্য রাজ্যের ভারতীয়রা কাশ্মীরে ভূমি কিনতে অনুমতি পাবেন না, বলুন তো?
- দেশ ভাগের সময় কাশ্মীর ভারতের কোনো অঙ্গ রাজ্য ছিলো না। আফগানের মতো আলাদা একটা রাজ্য ছিলো। কাশ্মীরের রাজা কিছু শর্তসাপেক্ষ কাশ্মীরকে ভারতের অধিভুক্ত করেন। ৩৭০ আর্টিকেল ঐ শর্তগুলো রক্ষার জন্য করা হয়েছিলো।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৭:৪৪

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: জুনায়েদ বি রহমান সঠিক বলেছেন। এখানে শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan's Tuition) যে প্রশ্ন তুলেছেন, সম-অধিকারের প্রশ্ন উঠলে, কেন অন্য রাজ্যের ভারতীয়রা কাশ্মীরে ভূমি কিনতে অনুমতি পাবেন না, বলুন তো?

প্রথমত, কাশ্মীরের সাথে অন্যান্য ভারতীয় রাজ্যের সমঅধিকার প্রতিফলিত হয় না সাংবিধানিকভাবেই। এবং সংবিধানমতেই এটি সর্বজনমান্য ছিল, ফলে বলা যায় গণতান্ত্রিকভাবে কাশ্মীরের জনগণ বিশেষ মর্যাদার অধিকৃত ছিলেন। তাই এখানে সম অধিকারের প্রশ্ন আসে কি করে?

১০| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৩০

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন:
@ব্লগার জুনায়েদ বি রাহমান,

আমি কাশ্মীরের সেই ইতিহাস জানি।

ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ। আর্টিকেল রহিত হওয়ার কারণে লেখক বলেছেন যে, এতে অন্যান্য রাজ্যের মানুষ এসে কাশ্মীরে ভূমি কিনে ফেলবে।

ভূমি কিনে ফেললে কি হয়েছে?!! জোর করে কিনছে কি না সেটা দেখতে হবে। কিন্তু, কাশ্মীরের জনগণ যদি বেচতে চায়, তাতে কার কি বলার আছে!?

যারা এই আর্টিকেল করেছে আর যারা এতে সায় দিয়েছে, দুই পক্ষই কাশ্মীর ও ভারতের বাকি জনগণের প্রতি সম্মান দেখায়নি। তারা অগণতান্ত্রিক ছিলো। নাহলে, এমন একটি আইন করতে পারতো না তারা।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৭:৫৪

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: হ্যাঁ, ৩৭০ আর্টিকেলমতে কেবল কাশ্মীরের স্থায়ী নাগরিকরাই কাশ্মীরের ভূমি কিনতে পারবেন। অন্যান্যরা কেন কিনতে পারবে না? কারণ, নিজের বাপের ভিটে চড়াদামে বিক্রি করার চেয়ে কমদামে নিজেদের মধ্যে ক্রয় বিক্রয়কে আপনি কিভাবে বঞ্ছিত বলেন? এটাই তো সঠিক সিদ্ধান্ত। নয়ত গোটা ভারতবাসী কাশ্মীর কিনে নিয়ে কাশ্মীরের জনগণকে ভিটেহারা করে ফেলত! নিশ্চয়ই এটা আপনিও চাইবেন না। যারা কাশ্মীরের জনগণ তারা সেখানে থাকার কারণে এবং বহিরাগত নাগরিকের নিষেধাজ্ঞায় জনবসতি কম। এ কারণেই কাশ্মীর এখনো দৃষ্টিনন্দন। নয়ত কাশ্মীর একটি দিল্লির মতো ঘনবসতি হলে সেখানের নৈসর্গিক প্রকৃতি আচ্ছামত বাধাগ্রস্ত হত।

১১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৪৬

নতুন নকিব বলেছেন:



সাম্প্রদায়িক এবং উগ্রবাদী মোদীর এই অন্যায় পদক্ষেপ কাশ্মীরের স্বাধীনতা সংগ্রামকে আবশ্যিক করে তুলবে। কাশ্মীরীদের স্বাধিকার আন্দোলনকে জঙ্গি তৎপরতার তকমা দেয়ার দিন বোধ হয় শেষ হয়ে গেল।

কাশ্মীরবাসীগন শক্ত হাতে কোমর বেঁধে দখলদার শত্রুর মোকাবেলায় নামলে বিজয় তাদের অবধারিত। ভূস্বর্গ কাশ্মীর কিছু রক্ত চায়।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৭:৫৬

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: হ্যাঁ, ঠিক বলেছেন, কাশ্মিরীদের জন্যে এখন স্বাধীনতা ঘোষণা করে যুদ্ধে যেতে অপারগ করলো ভারত রাষ্ট্র। বলা যায় কাশ্মিরীদের একটা স্বাধীনতা যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেয়া হলো। এভাবেই অমুসলিমরা মুসলমানদের তথাকথিত যুদ্ধবাজিতার দিকে ঠেলে দেয় আবার জঙ্গি তকমা দিয়ে দোষারোপ করে। বিষয়টা এবার বিশ্ববাসী নিজ চোখে দেখে নিক।

১২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:১১

অন্তরা রহমান বলেছেন: খুব অশান্ত একটা সময়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি। আর এটা মোদীর খুব হিসেব করে দেয়া চাল। দেখা যাক, ভবিষ্যৎ কি রেখেছে।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৭:৫৯

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: কাশ্মীরের জনগণের ভাগ্যে কী আছে, সেটা ভবিষ্যতই বলে দেবে। যদিও মোদী খুব শতরাঞ্জি, পাকা খেলোয়াড়। কিন্তু একটি ভুল সিদ্ধান্তে মোদী ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হতে পারে। এর আগেও গুজরাট দাঙ্গায় মোদীর পরোক্ষ উস্কানি ইতিমধ্যেই জাতি টের পেয়ে গেছে।

১৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৬:৩১

অগ্নিবেশ বলেছেন: গাছেরটাও খাইবা তলারটাও কুড়াইবা?
জমি না বেচলে শিল্প হইব কৈত্থিকা?
শিল্প না হইলে খাইবা কি? আপেলের ভর্তা?
https://www.anandabazar.com/business/bifurcation-of-j-k-industry-welcomes-goi-s-decision-of-scrapping-article-370-1.1027926

০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৮:০৪

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: যার গাছ সে তলায় বসেই গাছের ফল খেতে পারে। তার কুড়ানোর প্রয়োজন কী? কুড়িয়েছে তো ভারত নিজেই, কাশ্মীরের সুস্বাদু ফল ভারত নিজেও ছাড়তে চায় না। এবার বোঝেন, ভারতের স্বার্থ কোথায়?

১৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৬:৩৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: @ শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan's Tuition)

কাশ্মিরের বর্তমান অবস্থা...

১. সরকারী হিসাবে ১০ হাজার অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন, বেসরকারি হিসাবে ৪৫ হাজার থেকে ৭০ হাজার সেনা মোতায়েন।

২. ভারী আর্টিলারি এবং ভারী ট্যাঙ্ক মোতায়েন।

৩. অমরনাথ তীর্থ যাত্রা বাতিল।

৪. সব ট্যুরিস্ট আর তীর্থযাত্রীদের কাশ্মীর ছাড়তে মোদী সরকারের নির্দেশ।

৫. হাসপাতালের সকল ডাক্তার আর নার্সদের ছুটি বাতিল।

৬. সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার নির্দেশ।

৭. সকল ইন্টারনেট, টেলেভিশন, আর ফোন সার্ভিস বাতিল।

৮. পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি।

৯ . ওমর আব্দুল্লাহ, মেহবুবা মুফতি সহ অনেক রাজনৈতিক নেতা হাউজ এরেস্ট।

এর নাম সমঅধিকার!!!!!! এর নাম কাশ্মিরীদের অধিক মূল্য নিজ ভুমি বেঁচে বড়লোক হয়ে যাওয়া!!! কাদের স্বার্থ রক্ষায় লেখেন আপনি?

০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৮:০৮

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: সমঅধিকার খোদ ভারত কাশ্মীরকে দেয়নি। অথচ দেখেন, মানুষ কোন মুখ নিয়ে বলে যে, কাশ্মীর ভারতকে সমঅধিকার দেয় না। তাদের মতে, তোর বাপের ভিটে হয়ছে তো কি, তুই বেচবি না কেন? এ কেমন সমঅধিকার?

১৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৭:৫৮

অগ্নিবেশ বলেছেন: মর্যাদা কাড়িয়া প্রমাণ করিল তাহাদের বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হইয়াছিল।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৮:১২

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: মর্যাদা কেড়ে নিয়ে দেহ পাওয়া যায়, মন পাওয়া যায় না। যদিও ভারতের ক্ষুধা স্রেফ দেহেই।

১৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৮:১০

অগ্নিবেশ বলেছেন: গত শতকের নয়ের দশকের প্রথম দিকে উপত্যকায় কাশ্মীরি পণ্ডিত বিতাড়ন শুরু হয়েছিল। খুন হয়েছিলেন বহু পণ্ডিত। প্রাণ ভয়ে অনেককে ঘরবাড়ি ছেড়ে দেশের অন্যত্র পালাতে হয়েছিল। তেমনই এক জন পি এল টিকু। গত নব্বইয়ের দশকে জঙ্গিরা হত্যা করেছিল তাঁর বড় ছেলেকে। আজ ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের সিদ্ধান্তের পরে তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘ছেলেকে আর ফিরে পাব না। পুত্রশোকে আমার স্ত্রীও চলে গেলেন। বিশাল বাড়ি, বাগান ছেড়ে আমাকে চলে আসতে হয়েছে। ওই সব দখল হয়ে গিয়েছে। সরকারের সিদ্ধান্তে আশার আলো দেখছি।’’ কাশ্মীর ছাড়তে বাধ্য হওয়া আর এক জন এ কে ধর। তাঁর কথায়, ‘‘গত সাত দশক ধরে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ সুবিধার অপব্যবহার করেছে কিছু রাজনৈতিক দল।’

চক্ষে ইসলামের ঠুলি পরে জগত দেখলে নিজেকে ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাবেন না মি ঢাবিয়ান। যারা সহাবস্থান করতে পারে না, তারা মর্যাদার কি বুঝবে?

১৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৮:১২

অগ্নিবেশ বলেছেন: জানি এগুলো এড়িয়ে যাবেন

১৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৮:১৭

অগ্নিবেশ বলেছেন: কাশ্মীর থেকে নির্বাসন (১৯৮৫-১৯৯৫)
ভারত বিভাজন এর সাথে সাথে পাকিস্তান কাশ্মীরি জঙ্গিদের সাথে কাশ্মীরে আক্রমণ করেছিল এবং বহুদিন ধরে কাশ্মীরি পন্ডিতদের নিষ্ঠুরভাবে নির্যাতন করেছিল।

১৯৪৭ সালের ২৪ অক্টোবর, পাকিস্তান পাঠানজাতিকে কাশ্মীর আক্রমণে উত্তেজিত, উত্সাহিত এবং সমর্থন করে। তখন মহারাজা হরি সিং ভারতকে সাহায্যের জন্য অনুরোধ করেছিলেন। কাশ্মীরের তখনকার সবচেয়ে বড় সংগঠন ন্যাশনাল কংগ্রেস এবং তার সভাপতি শেখ আবদুল্লাহও ভারত থেকে সুরক্ষা নেওয়ার জন্য আপিল করে। প্রথমে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কাশ্মীরি পন্ডিতদের কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার জন্য বলেছিল, কিন্তু যখন পণ্ডিতরা তা করতে অস্বীকৃতি জানায়, তখন তারা নিহত হয়। ১৯৯০ সালের ৪ জানুয়ারি কাশ্মীরের এই অবস্থা দেখে ১৫ লাখ হিন্দু কাশ্মীর থেকে চলে যায়। ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত, কাশ্মীরে জঙ্গিরা প্রশিক্ষিত হচ্ছে এবং ভারতকে সন্ত্রাসবাদে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এই সন্ত্রাসবাদের কারণে, কাশ্মীরি পন্ডিতরা কাশ্মীর থেকে পালিয়ে যাচ্ছিল, এবং আজ তারা জম্মু বা দিল্লিতে শরণার্থীদের জীবনযাপন করছে। কাশ্মীরি পন্ডিতরা উপত্যকা ত্যাগ করে জম্মুতে এবং দেশের বিভিন্ন অংশে বসবাস করতে শুরু করে। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের সংখ্যা ১ লাখ থেকে ২ লাখের মধ্যে, যারা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল বলে মনে করা হয়[১০]।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০০

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: আপনি এটা পড়তে পারেন।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৫

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: ১৯৯০ সাল। গওকাদল সেতুর কাছে ভারতীয় সিআরপি রক্ষীবাহিনী কাশ্মীরি বিক্ষোভকারীদের উপর গুলি চালালে পরে শতাধিক আন্দোলনকারী নিহত হন৷ প্রায় সমস্ত হিন্দু কাশ্মীর উপত্যকা ছেড়ে চলে যান৷ জম্মু-কাশ্মীরে সেনাবাহিনীকে আফসা বা আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী বিশেষ ক্ষমতা প্রদান করা হয়

এই হলো আসল কাহিনি।

১৯| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৮:২৩

অগ্নিবেশ বলেছেন: ৫০০০ বছর ধরে যারা কাশ্মীরের আদিবাসিন্দা, তারা এবার কাশ্মীরে ফিরবে, অসুবিধা কোথায়? নাকি হিন্দুতে এলার্জী আছে?

০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০২

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: বিষয়টিকে সাম্প্রদায়িকতার নজরে না দেখে মানবিকভাবে উপলব্ধি করুন। বুঝলেও বুঝতে পারেন।

২০| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৯:২১

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: হ্যাঁ। কিন্তু গতবার এজেন্ডা বাস্তবায়নের নীলনকশা এঁকেছে, এবার এসেই তার একটা একটা বাস্তবায়ন করছে। জনগণ হতাশ!!

জনগন বেশি দিন হতাশ থাকবে না।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৩

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: জনগণের কোনো অনুভূতিই চিরঞ্জীব নয়।

২১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৯:৪৫

মাকার মাহিতা বলেছেন: মুসলামান মারার পায়তাঁরা...

২২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:১৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: ১৯৪৭ সালে ভারত-বিভাজনের অন্যতম শর্ত ছিল, ভারতের দেশীয় রাজ্যের রাজারা ভারত বা পাকিস্তানে যোগ দিতে পারবেন, অথবা তাঁরা স্বাধীনতা বজায় রেখে শাসনকাজ চালাতে পারবেন।কাশ্মীরের রাজা পাকিস্তানে যোগ না দিয়ে ভারতভুক্তির পক্ষে স্বাক্ষর করেন । ৩৭০ ধারা সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল ১৯৪৯ সালের ১৭ অক্টোবর। এই ধারাবলে জম্মুকাশ্মীরকে ভারতীয় সংবিধানের আওতামুক্ত রাখা হয় (অনুচ্ছেদ ১ ব্যতিরেকে) এবং ওই রাজ্যকে নিজস্ব সংবিধানের খসড়া তৈরির অনুমতি দেওয়া হয়। এই ধারা বলে ওই রাজ্যে সংসদের ক্ষমতা সীমিত। ভারতভুক্তি সহ কোনও কেন্দ্রীয় আইন বলবৎ রাখার জন্য রাজ্যের মত নিলেই চলে।

গতকাল ৩৭০ ধারা বাতিল এর ঘোষনার পর জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এবং মেহবুবা মুফতিকে গৃহবন্দি করা হয়। এছাড়া গৃহবন্দি হয়েছেন বিধায়ক সাজ্জাদ লোন। এদিকে সিপিএম নেতা ইউসুফ তারিগামি এবং কংগ্রেস নেতা উসমান মজিদকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ভারতের এই অন্যায় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর জন্য মুসলিম হবার প্রয়োজন নাই, প্রয়োজন শুধু একজন মানুষ হওয়া। খোদ ভারতেই চলমান মুসলিম নির্যাতনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে সরকারের রোষের শিকার হয়েছেন সেখনাকার নামকরা বহু চিত্রতারকা এবং স্বনামধন্য লেখক লেখিকা।ভারতীয় কংগ্রেসের বেশ কিছু নেতাও কাশ্মীর ইস্যূতে এই সিদ্ধন্তের বিরোধিতা করেছেন।

২৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১১:৩৭

অগ্নিবেশ বলেছেন: কাশ্মীরের রাজা পাকিস্তানে যোগ না দিয়ে ভারতভুক্তির পক্ষে স্বাক্ষর করেন ।
৩৭০ ধারা সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল ১৯৪৯ সালের ১৭ অক্টোবর।
সেটাতে তো কোনো ভুল নেই, ভুলটা হল পাকিরা যখন এতেও খুশী না হয়ে
ধর্মের সুড়সুড়ি দিয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠদের মগজ ধোলাই করে অশান্তি
বাঁধিয়ে কাশ্মীরি হিন্দুদের কোতল করে ১৫ লক্ষ কাশ্মীরি পণ্ডিতকে ঘাড়
ধাক্কা দিয়ে কাশ্মীর থেকে বের করে দেয়, তাদের ভিটেমাটি দখল করে নেয় তখন।
জানি এগুলো আপনারা দেখবেন না চোখে ঠুলি পরে আছেন।
যত বেশী ইসলামীকরন করবেন তত বেশী মোদি তৈরি হবে।
আবারো বলি সহাবস্থান করতে শেখেন, নইলে টিকতে পারবেন না।
পৃথিবী সবার, এখানে ইসলামী দেশ চাই, ইসলামী খাবার চাই, পিছলামি আইন চাই।
ভিন্নধর্মীরা কোথায় যাবে? জোর খাটালে প্রতিক্রিয়া অবশ্যই পাবেন। তাদের সাথে
শক্তিতেও পারবেন না, বুদ্ধিতেও না।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৯

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: একজন মুসলিমের কাছে কাশ্মিরীর যেমন, অমুসলিমের কাছেও কাশ্মীরি শুধু কাশ্মীরিই৷ ধর্ম এখানে বিষয় নয়৷ তবে এটা ঠিক যে সেখানে মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা আছে এবং হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা আছে৷ মুসলিম অধ্যুষিত এলাকার মানুষদের অধিকাংশেরই পাকিস্তানের প্রতি সহমর্মিতা রয়েছে৷
ৃসুতরাং দুই দেশ যে অংশগুলো দখলে রেখেছে, সেখানেও এর প্রতিফলন রয়েছে৷ বর্তমান কাশ্মীরিদের যদি প্রশ্ন করা হয় যে, আপনি কোন কাশ্মীরের সঙ্গে যেতে চান, পাকিস্তান না ভারত? তারা উত্তরে তৃতীয় আরেকটি অপশন বেছে নিতে চাইবে৷ তা হলো স্বাধীন কাশ্মীর৷

২৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:০৪

অগ্নিবেশ বলেছেন: ১৯৪৭ সালের ভারত বিভাজন-এর সময় মহারাজা হরি সিং এর নেতৃত্বাধীন জম্মু ও কাশ্মীর (পূর্বতন করদ রাজ্য) স্বাধীন রাষ্ট্ররূপে অবস্থানের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। সে সময় রাজার বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা এক বিদ্রোহকে উস্কানি দিয়ে পাকিস্তান মদতপুষ্ট বাহিনী কাশ্মীরের পশ্চিমাংশের দখল নেয়। অক্টোবর ২৬, ১৯৪৭ এ রাজা ভারত অন্তর্ভুক্তির চুক্তিপত্র সই করেন এবং ভারতের সামরিক সাহায্যের প্রত্যাশা করেন। অবশেষে ভারতীয় বাহিনী কাশ্মীরের অধিকাংশ নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে তুলে নেয়। অবশিষ্ট অংশ পাকিস্তান অধিকৃত আজাদ কাশ্মীর নামে পরিচিতি লাভ করে

------------- রাজার ইচ্ছার দাম কারা দেয় নি? পাকিস্থান কেন কাশ্মীর জোর করে দখল করবে? আর কত পিছলামি হবে?

২৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: @ অগ্নিবেশ , টুইটারে গিয়ে পারলে কংগ্রেসের নেতাদের সাথে তর্ক জুড়ুন। এই ব্লগে আমরা সব মুক্ক সুক্ক মানুষ।

জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রের ‘অমিতবিক্রমী’ পদক্ষেপের পরের দিনই কড়া সমালোচনায় সরব হলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী। বললেন, ‘‘এতে জাতীয় সংহতি মোটেই শক্তিশালী হল না। বরং দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে তা বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়াল।
টুইটে রাহুল লেখেন, ‘‘সংবিধানকে লঙ্ঘন করে, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের জেলে পুরে ও জম্মু-কাশ্মীরকে দ্বিখণ্ডিত করে জাতীয় সংহতিকে শক্তিশালী করা যায় না। শুধুই কিছু জমির খণ্ড দেশটাকে গড়ে তোলেনি, দেশটাকে গড়ে তুলেছেন দেশের নাগরিকরাই। প্রশাসনিক ক্ষমতার এই অপব্যবহার দেশের নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক।’’ - আনন্দবাজার

এখন থেকেই শুরু হয়ে গেল ভারতের ভাঙন— রাজ্যসভা থেকে বেরিয়ে এমনই চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরম।

২৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:১৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: রিদওয়ান হাসান,





দুঃখিত - "ভারতবাসী হিন্দুরা যে মনেপ্রানে অসাম্প্রদায়িক...." ওখানে "সাম্প্রদায়িক" হবে । ভুল বসত "অ" অক্ষরটি বসে গেছে।

প্রতিমন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.