নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শুধু একদিন ভালোবাসা, মৃত্যু যে তারপর... যদি তা-ও পাই, আমি তা-ই চাই, চাই না বাঁচতে আমি প্রেমহীন হাজার বছর।
১। চার ধরনের লোক করোনা নিয়ে আতঙ্ক ছড়াতে পছন্দ করে—(ক) সরকারবিরোধী মহল, যারা করোনার প্রকোপে সরকারের পতন আশা করে, (খ) অতিমাত্রায় বস্তুবাদে প্রভাবিত, যারা ভাবছে বাংলাদেশের অসচেতন জনগণ, যারা এখনও পাঁচওয়াক্ত নামাযে সমবেত হয়, তাদের অবস্থা ইতালির চেয়ে ভালো হতেই পারে না। আল্লাহ তায়ালার অসীম কুদরতে তাদের তেমন বিশ্বাস নেই। (গ) অতি হতাশাপ্রবণ। (ঘ) না বুঝে তালের সঙ্গে তাল মেলানো টাইপের ব্যক্তি।
২। মহামারী প্রাদুর্ভাবের সময় হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ তায়ালার প্রতি সুধারণা রাখার তাগিদ এসেছে। তাই যা হবে আমাদের মঙ্গলের জন্যই হবে।
৩। আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করার একটি নিয়ম হল, তা কবুলের ব্যাপারে আশাবাদী হওয়া। আপনি যদি দোয়ার পরও প্রবল হতাশাই প্রকাশ করতে থাকেন, তবে কেমন দোয়া করেছেন আপনি?
৪। আতঙ্কিত হয়ে কোনো লাভ নেই। যে সব দেশে করোনার ব্যাপক বিস্তার হয়েছে, তারা কম সতর্ক ছিল না; বরং আতঙ্ক মানুষের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়।
৫। আতঙ্কিত মানুষ সর্দি-কাশি-জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে অমানবিক আচরণ করছে, লাশ দাফনে বাধা দিচ্ছে; এমনকি হাসপাতাল বানাতেও বাধা দিচ্ছে।
৬। যদি ধরেও নেন, সতর্ক থাকলে করোনা হবে না, তারপরও প্রশ্ন, কয়দিন ঘরে বসে থাকবেন? এই ভাইরাসের প্রতিষেধক বাজারজাত হতে কমপক্ষে ২০২১ সাল পর্যন্ত সময় প্রয়োজন। এত সময় বসে থাকতে পারবেন তো?
৭। জনগণের পরিসংখ্যানই যদি সব হয়, তাহলে আল্লাহ তায়ালার কুদরতের কাজ কী? করোনা ছাড়াও তো প্রত্যহ কত মানুষই মারা যায় সেগুলোর পরিসংখ্যান কি কখনো কেউ করেছে?
৮। গত কয়েক দিনে ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগ দেখা দিয়েছিল। সৎকারের আগেই যাঁদের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল, তাঁদের কারোরই কোভিড–১৯ ছিল না। তিনি মৃত্যু হলেই কোভিড–১৯ ভেবে দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মীরজাদি সেব্রিনা।
৯। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে করোনাকে তার গতিতে ছেড়ে দেয়া ছাড়া উপায় নেই। অন্যথায় ভাইরাসের চেয়ে বড় বিপদ হয়ে উঠবে মন্দা ও দুর্ভিক্ষ। এটা পরিষ্কার যে, সরকার জনগণের অন্ন বস্ত্রের দায়িত্ব নেবে না।
১০। এখনও পর্যন্ত করোনার প্রকোপ অমুসলিম দেশগুলোতে বেশি। মুসলমান দেশগুলো (শিয়া-ইরান ছাড়া) প্রযুক্তি ও সামর্থ্যে পিছিয়ে থাকা সত্ত্বেও করোনায় তুলনামূলক কম বিপর্যস্ত। একে আল্লাহর রহমত ভাবতে দোষ কী?
০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:০৪
রিদওয়ান হাসান বলেছেন: কথা সত্য। কিন্তু এটাও সত্য যে, কিছু কিছু তকদির আমাদের হাতে। আমাদের তপ্তহৃদয়ের কামনা আর প্রার্থনার উদগ্র ইচ্ছার দ্বারা তকদিরও পাল্টে ফেলা সম্ভব।
জনৈক উর্দু কবি বলেন-
মায়ুস না হো আহলে জমিন আপনে খতা সে
তকদির বদল জাতে হ্যায় মুযতর দিল কি দোয়া সে...
২| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: যাক অবশেষে উনাকে ঠিক ঠাক পাশে পাওয়া গেলো বলে মনে হচ্ছে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রী। এভাবেই এই ভয়াবহ মহামারীতে আশংকায়,চরম উৎকণ্ঠায় সাধারণ মানুষ আপনাকে পাশে চায়। চাটুকার,চাটার দলের মুখ বন্ধ করে একদম সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করুন প্লিজ!
০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:০৫
রিদওয়ান হাসান বলেছেন: আসলেই তাই। সরকার প্রধানের উচিত, একান্ত মানুষের উপকারার্থে কাজ করে যাওয়া।
৩| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৫০
নেওয়াজ আলি বলেছেন: সরকার এবং জনগণ অবহেলা করতেছে করোনাকে । সময় হলে টের পাবে।
০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:০৬
রিদওয়ান হাসান বলেছেন: হয়ত সরকার আর জনগণের চিন্তা এক ধারায় চলছে না। এজন্য সরকারের ইচ্ছার সাথে জনমতের কোনো মিল পাওয়া যাচ্ছে না। মিললেও সেটা কাকতালীয় মিল বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:১৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
পবিত্র কোরআনে বিশ্বাস মানুষের সকল দুঃখ দুর করে দিতে সক্ষম।
আল্লাহ তায়ালা সুরা হাদীদে এরশাদ করেনঃ
পৃথিবীতে এবং ব্যক্তিগতভাবে তোমাদের উপর কোন বিপদ আসে না;
কিন্তু তা জগত সৃষ্টির পূর্বেই কিতাবে লিপিবদ্ধ আছে। নিশ্চয় এটা আল্লাহর পক্ষে সহজ। [ সুরা হাদীদ ৫৭:২২ ]
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) হযরত ইবনে আব্বাসকে বললেন হে ইবনে আব্বাস
যদি সারা দুনিয়ার মানুষ তোমার উপকার করতে চায় তারা ততটুকু উপকার করতে পারবে
যতটুকু আল্লাহ তায়ালা তোমার কিসমতে লিখেছেন।
আর যদি সারা দুনিয়া তোমাকে যদি ক্ষতি পৌঁছাতে চায় তাহলে ততটুকু ক্ষতি পৌঁছাতে পারবে
যতটুকু আল্লাহ তায়ালা তোমার কিসমতে রেখেছে। সুতরাং আমরা যদি এসব হাদীস ও তকদীরের
বিষয়ে আমরা পাকা পোক্ত জ্ঞান রাখি তাহলে দুনিয়ার অসংখ্য পেরেশানি আমাদেরকে স্পর্শ করতে পারবে না।