নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ হওয়ার চেষ্টা করছি।

রুবিনা পাহলান

আমি একজন মানুষ হতে চাই !

রুবিনা পাহলান › বিস্তারিত পোস্টঃ

যৌন হয়রানী

১১ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৬

যৌন হয়রানী মূলত নগন্য পুরুষের বিকৃৃত যৌন কামনার বহিঃপ্রকাশ। সাধারনত যে আচরনগুলোকে যৌন হয়রানী বলে গন্য করা যায়ঃ যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য বা রসিকতা, গায়ে হাত দেয়া বা দেয়ার চেষ্টা করা, ই-মেইল, এস এম এস, টেলিফোন বিড়ম্বনা, পর্নোগ্রাফি বা যে কান ধরনের চিত্র, অশ্লীল ছবি, দেয়াল লিখনের মাধ্যমে হয়রানি, অশালীন উক্তিসহ আপত্তিকর কোন ধরনের কিছু করা , কাউকে ইঙ্গিতপূর্ণভাবে সুন্দরী বলা, কোন নারীকে ভয়ভীতি প্রদর্শন, যে কোন চাপ প্রয়োগ কার, মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে সম্পর্ক স্থাপন করা, যৌন সম্পর্ক দাবী বা অনুরোধ এবং অন্য যে কোন শারীরিক বা ভাষাগত আচরন যার মধ্যে যৌন ইঙ্গিতপ্রচ্ছন্ন। যৌন হয়রানী ঘরে বাইরে, অফিসে, মার্কেটে, রাস্তায়, এমনকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও হয়ে থাকে............এটি এমন একটি নির্যাতন যা সাধারনত হয়রানীর শিকার কিংবা হয়রানীকারীর শ্রেণী, বয়স, পেশা, সামাজিক মর্যাদা বা অবস্থানের উপর নির্ভর করে না। বাংলাদেশে রাস্তাঘাটে মেয়েদের উত্যক্ত বা হয়রানী করা বা ইভটিজিং হচ্ছে যৌন হয়রানীর সবচেয়ে প্রকাশ্যে , বেপরোয়া এবং মারাত্মক রূপ। শুধু এ পর্যায়ই এখন আর সীমাবদ্ধ নাই....ফ্লেক্সি দোকান থেকে নম্বর বাহিরে প্রকাশ এবং সময়ে অসময়ে সেখান থেকে ফোন আসা এবং বিভিন্ন সময়ে বিরক্তকরাও এখন বর্তমানে একটি মারাত্ম রূপ ধারন করেছে। নিরাপত্তাহীনতার কারনে বিশেষ করে স্কুল কলেজ পড়ুয়া মেয়েদের অনেকের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়, এমনকি অল্প বয়সে এখনো অহরহ বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। অনেকে মানষিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে আত্মহনন পর্যন্ত করে থাকে। শুধু আইন থাকলেই হয় না। আইনের ভয়ে ভীত না হয়ে সবার মধ্যে যদি মানবিকতা এবং সচেতনতা কাজ করে এবং নিজের ইজ্জতের মূল্য থাকে তবে এর প্রতিকার করা সম্ভব। তবে এর পাশে এটিও সত্য যে সমাজে এখনো অনেক ভাল মানুষের দেখা মেলে যারা পথেঘাটে নারীদের অনেক সহায়তা করেন একজন ভাইয়ের মতো, বাবার মতো বা বন্ধুর মতো অথচ তার আচরনে কোথাও প্রকাশ পায় না জেন্ডার বৈষম্য।
পরিশেষে, নারী নয় পুরুষ নয়....প্রতিটি মানুষের কাছে আহবান ...অন্যায় কারীর বিরুদ্ধে আসুন সবাই রুখে দাড়াই সে যে পরিবেশেই হোক না কেন বা হোক না আমার পরিচিতজন বা আত্মীয়।

[মনে রাখতে হবে যে ব্যক্তির নিজের ইজ্জতের খেয়াল থাকে, সেই কেবল অন্যের ইজ্জতের পরোয়া করে বা দিতে জানে]

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৮

আহলান বলেছেন: হুম, নারী নয়, মানুষ হিসাবে সবাইকে মূল্যায়ন করা উচিৎ ... !

২| ১১ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:০৯

গাজী বুরহান বলেছেন: যৌন হয়রানী মূলত পুরুষের বিকৃৃত যৌন কামনার বহিঃপ্রকাশ। এর উল্টোটাও হয়, মেয়েরা পোশাক-আশাকে একটু সতর্ক হলে যৌন হয়রানী ৬০/৭০% কমে যেত। পরোক্ষ ভাবে এখানে মেয়েরাও দায়ী।

যৌন হয়রানী ঘরে বাইরে, অফিসে, মার্কেটে, রাস্তায়, এমনকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও হয়ে থাকে.......... গ্রামাঞ্চলে একটু বেশিই হয়।


শিক্ষা প্রতিষ্টানে হয় মানে, আমার প্রশ্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানে শিক্ষকরাই বা কি শেখায় আর ছাত্ররাই বা কি শেখে?


আইনের ভয়ে ভীত না হয়ে সবার মধ্যে যদি মানবিকতা এবং সচেতনতা কাজ করে এবং নিজের ইজ্জতের মূল্য থাকে তবে এর প্রতিকার করা সম্ভব।

মানবতা যেখানে নেই আইন প্রয়োগ করে কি আর এইসব থামানো যাবে? মানুষ্যত্ত যখন হারিয়ে ফেলে তখন সে আর মানুষ থাকে না, হয়ে যায় বেপরোয়া,।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৫

রুবিনা পাহলান বলেছেন: নারী শুধু ড্রেস পরে আর পুরো লেখাটাতে কতগুলো দিক ফুটে উঠেছে.........................যাই হোক শেষের লাইনক'টা পড়লেও খুশি হতাম......তবে হা ড্রেস এর ব্যাপারটা আমি অন্তত অস্বীকার করছি না......তবে এটিও সত্য বিকৃত মনের পুরুষ যারা তারা তনুকেও ছাড়েনি......সে ও কিন্তু হিজাব পরত...কথা ওটা নয় কথা হল....যে বিকৃত সে তখন হুশ জ্ঞান হারিয়েই বসে থাকে..............

৩| ১১ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:১৭

অগ্নিঝরা আগন্তুক বলেছেন: প্রথম লাইনটিতেই ভুল করলেন। যৌন হয়রানি শুধুমাত্র পুরুষ দ্বারা হয়না , নারী কর্তৃক পুরুষও যৌন হয়রানির শিকার হন। আর নিজ নিজ পরিবার থেকে সবাই দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসলে এবং মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্ব বোধ জাগ্রত হলে তবেই এই সকল হয়রানি রোধ করা সম্ভব।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৫

রুবিনা পাহলান বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ১১ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৩

অদ্বিত বলেছেন: নারীবাদি কথা বলা বন্ধ করুন। নারী ভাবার আগে নিজেকে মানুষ ভাবা শিখুন। নারী হবার চাইতে মানুষ হওয়াটা অনেক বেশী গৌরবের। যে মানুষটা ( পুরুষ অথবা নারী ) খারাপ, যে মানুষ অন্য মানুষের সাথে উপযুক্ত কারণ ছাড়াই পশুর মত আচরণ করে সে মানুষ হবারই যোগ্য নয়। চেহারা সুরতে মানুষের মত দেখতে হলেই কেউ মানুষ হয় না। মানুষ হতে হলে মনুষ্যত্ব থাকতে হয় আর মনুষ্যত্বহীন মানুষ এককথায় পশুই। পশুর সাথেও সবকিছু করা যায় না কিন্তু এমন অনেক কিছু করা যায় যা মানুষের সাথে করা যায় না ( যেমন, যৌন হয়রানী )।
পুরুষরাই শুধু মেয়েদের যৌন হয়রানি করে না, নারীও তো একটা পুরুষকে যৌন হয়রানি করতে পারে। কি ? পারে না ? যদি নারীর দ্বারাও অপকর্ম সম্ভব তবে শুধু পুরুষকে দোষ দেয়া কেন ? সবদোষ খালি ছেলেদের আর মেয়েরা তো সবাই নিষ্পাপ, নাকি ? মেয়ে মানুষও খারাপ হতে পারে। নারীও পশুতুল্য হতে পারে। আর যে মানুষ ( পুরুষ অথবা নারী ) কাজে কর্মে, কথাবার্তায় নিজেকে পশু সাব্যস্ত করছে, তার সাথে যৌন হয়রানী করাটা দোষ নয়, অপরাধ নয় ( যেমন মহাভারতে দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ অপরাধ নয়। দ্রৌপদী হল পশু আর পশুর গায়ে কাপড় থাকলেই কি আর না থাকলেই বা কি )। আবারো বলছি, যে মানুষ ( পুরুষ অথবা নারী ) কাজে কর্মে, কথাবার্তায় নিজেকে পশু সাব্যস্ত করছে, তার সাথে যৌন হয়রানী করাটা দোষ নয়, অপরাধ নয়। যেমন কুকুর তাকে তেমনই মুগুর দিতে হয়।
তবে হ্যা, নিরপরাধ নিষ্পাপ মানুষকে যৌন হয়রানী করাটা অবশ্যই অপরাধ। তবে .....ঐ যে বললাম, মেয়ে মানুষও খারাপ হতে পারে। কোন ভাল পুরুষ মানুষকে ফাঁসানোর জন্য কোন মেয়ে পুরুষটির বিরুদ্ধে যৌন হয়রানীর মিথ্যা অভিযোগও আনতে পারে, এমনকি নিজের কাপড় নিজে ছিড়ে পুরুষটির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনাটাও অসম্ভব নয়। নারী এতটা নীচ, এতটা জঘণ্যও হতে পারে। কাজেই, নিজের জাতিকে ( নারী জাতির ) এত উপরে উঠানোর দরকার নাই। ঠিক আছে ?
বিশেষ দ্রষ্টব্য : নারীবাদী চিন্তা-ভাবনাকে আমি ঘৃণা করি।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৫

রুবিনা পাহলান বলেছেন: আমার কথাটা একজন মানুষের ইগোতে কখনোই লাগবে না....তারই লাগবে যে নিজেকে পুরুষ ভাবে...ধন্যবাদ....আমি আমাকে মানুষই ভাবি বাট আমি একা ভাবলে হবে না..সমাজের সবাইকে ভাবতে হবে.....আর আমি নারীবাদী নই ...ছোট ছোট ঘটনার শীকার হয় নারী.....আর মুখে যতই বলি মানুষ আসলে বাস্তবতা ভিন্ন ........অদ্বিত

৫| ১১ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:০৮

বিজন রয় বলেছেন: ভাল লিখেছেন।
++++

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৬

রুবিনা পাহলান বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬| ১১ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:২৪

অদ্বিত বলেছেন: উহু, যে মুখে বলে মানববাদী, সে বাস্তবেও মানববাদী। হ্যা আমি নিজেকে পুরুষ ভাবি। আপনিও কি নিজেকে নারী ভাবেন না ? নিশ্চয়ই ভাবেন। তাহলে ? তবে আমি নিজেকে পুরুষ ভাবার আগে মানুষ ভাবি। কিন্তু আপনি নিজেকে নারী ভাবার আগে মানুষ ভাবেন কিনা, সেটা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে। আপনি বলেছেন, '' নারীরা ছোট ছোট ঘটনার শিকার।'' আমি বলছি, ''পুরুষরা বড় বড় ঘটনার শিকার।'' রাস্তার মধ্যে একটা মেয়ে একটা ছেলেকে ঠাস করে চড় লাগিয়ে দিতে পারে। কিন্তু ছেলে যদি চড় মারতে যায় তখন আশেপাশের মানুষ হারে রে রে করতে করতে ছুটে আসে। ঐ ছেলেটাকে প্রতিশোধ নিতে দেয় না। এরকম ঘটনা আমি রাস্তায় ঘটতে দেখেছি। নারী পুরুষকে যা খুশি ইচ্ছা করতে পারে, কিন্তু পুরুষ বেচারা কিছুই করতে পারে না। কেন ? নারী মায়ের জাত বলে কি নারীর সাতখুন মাফ নাকি ? পুরুষও তো বাবার জাত। বাবার জাতের চেয়ে মায়ের জাতের মূল্য কেন বেশী হবে ?
একটা মেয়ে যদি একটা ছেলেকে চড় মারে, জরুরি তো নয় যে ছেলেটা চড় খাবার মত কোন কাজ করেছিল। হয়ত ছেলেটা ভাল। কিন্তু সবার সামনে অপমান করার জন্য বদমাশ মেয়েটা এই কাজ করছে। এমনটা কি হতে পারে না ? মেয়ে হলেই কেউ ভাল হয়ে যায় না।
আমি নিজেকে ভাল মানুষ মনে করি। তবুও আমি একটা খারাপ মেয়ের অপমানের শিকার হয়েছি। এটা জানার পরেও যে আমি ভাল ছেলে, সেই মেয়ে আমার সাথে এমন আচরণ করছে যেরকম আচরণ একটা বখাটে ছেলের সাথে করা উচিত। একজ্যাক্টলি কি ঘটছে তা বলব না, তবে এই ব্যক্তিগত কারণে নারী জাতির প্রতি এক ধরণের এল্যার্জি উৎপন্ন হয়ে গেছে। এইজন্য নারীর পক্ষে এবং পুরুষের বিপক্ষে এমন কোন কথাই আমার সহ্য হয় না। আগে হত। অনেক মেয়ে আছে যারা নিজেদের মেয়ে হবার লাভ উঠিয়ে অপকর্ম করে।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৬

রুবিনা পাহলান বলেছেন: একটা মেয়ের শীকার হয়েছেন দুঃখজনক তবে একটি মেয়ের উপর নির্ভর করে এত আক্রমনাত্মাক কথা বা চিন্তা আরো দুঃখজনক বটে...ডিয়ার ব্রাদার....বি কুল.....................অদ্বিত.........................
.যার ভাবনা তার তার...ব্যাপার হলো বাস্তবতা....আর আমি কোন দলের বা জাতির নই....বাস্তবতার গান গাই...সেটা কারো পক্ষে বা কারো বিপক্ষে যাবেই কিছু করার নাই....ধন্যবাদ.....আল্লাহ আপনার মনে শান্তি দিক................................

৭| ১১ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৯

রাজীব বলেছেন: উল্টোটাও হয়
দেখুন
Aitraaz
https://en.wikipedia.org/wiki/Aitraaz

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৬

রুবিনা পাহলান বলেছেন: বলেছেন: গুড....যার সামনে যেটা আসবে সেটাই তুলে ধরবেন.....তবেই আমাদের সমাজ সুন্দর হবে.....রাজীব

৮| ১১ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩১

মো: অাজগর আলী বলেছেন: একবার আল্লাহর রাসূল (সাঃ) -এর কাছে এক যুবক এসে বলল,
হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে যিনার অনুমতি দিন।

তখন উপস্থিত লোকেরা তাকে ধমকাতে শুরু করল এবং বলল,
তুমি এ কী বলছ, চুপ কর। তখন রসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন,
বৎস কাছে এসাে। সে রাসূল (সাঃ) এর কাছে এসে বসল।

নবী (সাঃ) তাকে বললেন,
তুমি কি চাও তোমার মায়ের সাথে কেউ যিনা করুক?
সে বলল, আল্লাহর রাসূল!
আপনার প্রতি আমার জান কুরবান হোক,
কখনোই আমি তা চাই না।

তখন রসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন,
কেউই তার মায়ের জন্য তা পছন্দ করে না।

নবী (সাঃ) আবার বললেন,
তুমি কি চাও তোমার মেয়ের সাথে কেউ যিনা করুক?
সে বলল, আপনার প্রতি আমার জান কুরবান হোক,
আল্লাহর রসূল, কখনোই না।
তখন রসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন,
কেউই তার মেয়ের জন্য তা পছন্দ করে না।

নবী (সাঃ) তাকে বললেন,
তুমি কি চাও যে তোমার বোনের সাথে কেউ যিনা করুক?
সে বলল, আপনার প্রতি আমার জান কুরবান হোক,
আমি কখনোই তা বরদাশত করব না।
তখন রসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন,
কেউই তার বোনের জন্য তা পছন্দ করে না।

নবী (সাঃ) তাকে বললেন,
তুমি কি চাও, তোমার ফুফুর সাথে কেউ যিনা করুক?
সে বলল, কিছুতেই আমি তা মেনে নিব না।
তখন রসূলুল্লাহ সা. বললেন,
কেউই তার ফূফুর জন্য তা পছন্দ করে না।

নবী (সাঃ) তাকে বললেন,
তুমি কি চাও, তোমার খালার সাথে কেউ যিনা করুক?
সে বলল, আপনার প্রতি আমার জান কুরবান হোক,
কখনোই না। তখন রসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন,
কেউই তার খালার জন্য তা পছন্দ করে না।

তারপর রসূলুল্লাহ (সাঃ) তার পিঠে হাত রেখে বললেন,
হে আল্লাহ! তুমি তাকে মাফ করে দাও। তার অন্তর পবিত্র রাখ।
তার লজ্জাস্থানের হেফাজত কর।
সাহাবী বলেন, এরপর থেকে ঐ যুবক কোন দিন অন্যায়ের দিকে পা বাড়ায়নি।
[মুসনাদে আহমাদ : ৫/২৫৬; আলমুজামুল কাবীর, তবারানী, মাজমাউয যাওয়াইদ : ১/১২৯]
---সুবহানাল্লাহ। একবার আল্লাহর রাসূল (সাঃ) -এর কাছে এক যুবক এসে বলল,
হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে যিনার অনুমতি দিন।

তখন উপস্থিত লোকেরা তাকে ধমকাতে শুরু করল এবং বলল,
তুমি এ কী বলছ, চুপ কর। তখন রসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন,
বৎস কাছে এসাে। সে রাসূল (সাঃ) এর কাছে এসে বসল।

নবী (সাঃ) তাকে বললেন,
তুমি কি চাও তোমার মায়ের সাথে কেউ যিনা করুক?
সে বলল, আল্লাহর রাসূল!
আপনার প্রতি আমার জান কুরবান হোক,
কখনোই আমি তা চাই না।

তখন রসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন,
কেউই তার মায়ের জন্য তা পছন্দ করে না।

নবী (সাঃ) আবার বললেন,
তুমি কি চাও তোমার মেয়ের সাথে কেউ যিনা করুক?
সে বলল, আপনার প্রতি আমার জান কুরবান হোক,
আল্লাহর রসূল, কখনোই না।
তখন রসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন,
কেউই তার মেয়ের জন্য তা পছন্দ করে না।

নবী (সাঃ) তাকে বললেন,
তুমি কি চাও যে তোমার বোনের সাথে কেউ যিনা করুক?
সে বলল, আপনার প্রতি আমার জান কুরবান হোক,
আমি কখনোই তা বরদাশত করব না।
তখন রসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন,
কেউই তার বোনের জন্য তা পছন্দ করে না।

নবী (সাঃ) তাকে বললেন,
তুমি কি চাও, তোমার ফুফুর সাথে কেউ যিনা করুক?
সে বলল, কিছুতেই আমি তা মেনে নিব না।
তখন রসূলুল্লাহ সা. বললেন,
কেউই তার ফূফুর জন্য তা পছন্দ করে না।

নবী (সাঃ) তাকে বললেন,
তুমি কি চাও, তোমার খালার সাথে কেউ যিনা করুক?
সে বলল, আপনার প্রতি আমার জান কুরবান হোক,
কখনোই না। তখন রসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন,
কেউই তার খালার জন্য তা পছন্দ করে না।

তারপর রসূলুল্লাহ (সাঃ) তার পিঠে হাত রেখে বললেন,
হে আল্লাহ! তুমি তাকে মাফ করে দাও। তার অন্তর পবিত্র রাখ।
তার লজ্জাস্থানের হেফাজত কর।
সাহাবী বলেন, এরপর থেকে ঐ যুবক কোন দিন অন্যায়ের দিকে পা বাড়ায়নি।
[মুসনাদে আহমাদ : ৫/২৫৬; আলমুজামুল কাবীর, তবারানী, মাজমাউয যাওয়াইদ : ১/১২৯]
---সুবহানাল্লাহ।

৯| ১১ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৫

সিগনেচার নসিব বলেছেন: যে ব্যক্তির নিজের ইজ্জতের খেয়াল থাকে, সেই কেবল অন্যের ইজ্জতের পরোয়া করে বা দিতে জানে আমি এ মতবাদেই বিশ্বাসী।
দারুন পোস্ট !!!

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৭

রুবিনা পাহলান বলেছেন: ধন্যবাদ।

১০| ১১ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:১১

রাজীব নুর বলেছেন: এই দেশে আমার আর থাকতেই ইচ্ছে করে না।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৮

রুবিনা পাহলান বলেছেন: এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি সকল দেশের রানী সে যে আমার জন্মভূমি।

১১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:০০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: যৌন হয়রানী মূলত নগন্য পুরুষের বিকৃৃত যৌন কামনার বহিঃপ্রকাশ। সাধারনত যে আচরনগুলোকে যৌন হয়রানী বলে গন্য করা যায়ঃ যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য বা রসিকতা, গায়ে হাত দেয়া বা দেয়ার চেষ্টা করা, ই-মেইল, এস এম এস, টেলিফোন বিড়ম্বনা, পর্নোগ্রাফি বা যে কান ধরনের চিত্র, অশ্লীল ছবি, দেয়াল লিখনের মাধ্যমে হয়রানি, অশালীন উক্তিসহ আপত্তিকর কোন ধরনের কিছু করা , কাউকে ইঙ্গিতপূর্ণভাবে সুন্দরী বলা, কোন নারীকে ভয়ভীতি প্রদর্শন, যে কোন চাপ প্রয়োগ কার, মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে সম্পর্ক স্থাপন করা, যৌন সম্পর্ক দাবী বা অনুরোধ এবং অন্য যে কোন শারীরিক বা ভাষাগত আচরন যার মধ্যে যৌন ইঙ্গিতপ্রচ্ছন্ন। যৌন হয়রানী ঘরে বাইরে, অফিসে, মার্কেটে, রাস্তায়, এমনকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও হয়ে থাকে............এটি এমন একটি নির্যাতন যা সাধারনত হয়রানীর শিকার কিংবা হয়রানীকারীর শ্রেণী, বয়স, পেশা, সামাজিক মর্যাদা বা অবস্থানের উপর নির্ভর করে না

ভাল লাগল লিখার এ অংশ টুকু ।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৯

রুবিনা পাহলান বলেছেন: ধন্যবাদ।

১২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৪৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.