![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আকাশ ফুড়ে যেন আজ বৃষ্টি নেমেছে। মেঘদুত বার বার ডাক দিচ্ছে। অভিমানি মেঘ বর্ষার প্রথম ডঙ্কা বাজিয়ে রথে চড়ে যেন হাজির হয়েছে
মন টা আজ তার ভারি খারাপ।কুণ্ডলী পাকিয়ে দ্বৈতের মত ভয় দেখাচ্ছে। ঝিরি ঝিরি বাতাস এ মাটির শোধা গন্ধে চারপাশ মাতোয়ারা। বৃষ্টি শীতল দিনে ভারি মন নিয়ে বের হলেও , বৃষ্টির দৌড়দণ্ডপে মন হাল্কা স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে যাই। কোলাব্যাঙের মত আরামপ্রিয় হয়ে উঠে মানুস।পা ছড়িয়ে বিছানাই উপুড় হয়ে দুই হাতের ভিতরে বালিস চেপে,কোলাব্যাঙের মত নাক ডাকে নইত বই পড়ে। বাঙ্গালির ঘরে ঘরে চলে ইলিশ। খিচুরির ধুম, সাথে এক্তু মরিচ ভরতা,আর এক্তুস খানি আঁচার হলে মন্দ হয় না এইসব ছেড়ে অরিন্দম হাঁটছে । মন টা আজ বেজায় খিচে আছে। সব ভাল হউয়ার দায় মনে হয় তার উপর। পরিবারের বড় ছেলে। তাই এক্সপেরিমেন্টাল বয় ও বলা যেতে পারে।মেধার অভাব কখনই ছিল না। কিন্তু ওই যে , বড় ছেলে বলে কথা, একমাত্র সরকারি উরধতন কর্মকর্তার প্রথম সাকসেসফুল স্পারম কে কি ব্রিথা যেতে দেওওা যাই।ডাক্তার, নাইলে ইঞ্জিনিয়ার, নইলে মাল্টি ন্যাশনাল কোন তকমা। কিন্তু অরিন্দম ক্রিয়াটিভ মাইন্ড।নিজে কিছু করতে চাই। চত খাত একটা কোম্পানি দাড়ও করিয়েছে।কিন্তু এই যামানায় ঢাল তলওয়ার ছাড়া নিধিরাম সরদার হউয়া বেকুবের কাজ।ও যে একটা আস্তা বেকুব সে নিজেও জানে ভাল করে, কিন্তু সে ফাইটার।নিজের পছন্দ ও সিদ্ধান্ত কে বলবত রাক্তে মরিয়া।অল্প বয়সে ভালোবেসে বিয়ে অতপর দুই ছেলে সন্তানের জনক। অর্ধাঙ্গিনীর চাপ,বেশ করেছি প্রেম করেছি, টাইপ বিয়ে, এখন অরিন্দম গায় , মার ডালা, আল্লাহ, মারডালা, আর অর্ধাঙ্গিনীর মুখে, কিনে দে রেশমি চুড়ি, নইলে যাব বাপের বাড়ি। অরিন্দমেরন বাবা গত হয়েছে এইত সেদিন, ঘরের পালে নতুন হাওয়া বইতে সুরু করেছে।অরিন্দমের বাবা ছিল সৌখিনতার এক উজ্জ্বল নক্ষত্র।বউ ছেলেদের নিয়ে দিব্যি কাটিয়েছে, ঘুরেছে দেশ বিদেশ, ইউরোপ এর দেশ গুলো মোটামুটি দাপিয়ে বেরিয়েছে।মদ্দা কথা। হি লিভ দ্যা লাইফ অন হিস অউন টারমস।
ছোট ছেলেটা, হয়েছে বউ নেউটা , অপধারত কে হার মানিয়েছে অনেক আগেই, বাবা গত হউয়ার খবর পেয়েও যে ছেলে কানাডা থেকে ছুটে আসার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে শুধুমাত্র গাড়ীর মন্থলি পেমেন্ট টা দেয়ার জন্য।মা কে সে বলেছে,বাবা তো মারাই গেছে, এখন আর এসে কি লাভ,এখন আসলে তো আর দেখতে পাব না সুধু সুধু আসলে এ বছর আর আমার গাড়ী কেনা হবে না। এর পরেও মায়ের সেরা ছেলে হল ছোটজন।অরিন্দমের মা হচ্ছে চত চেলের বেপারে অন্ধ,আর আমার এই গল্পের নায়িকা, বাবা গত হপুয়ার পর অরিন্দম মা কে নিয়েই আছে। মায়ের সব অন্নাই আবদার তার মানতে হই। তারপরেও ছোট ছেলে সেরা।তারুপর তিনি আবার সুচিবায়গ্রস্থ। বাড়ির সামগ্রিক কাজ সব কাজের লোকেরা করলেও সর্তও আছে।তিন কাজের মানুস কে প্রতিদিন হাতের কবজি পর্যন্ত ধৌত করতে হবে,সুধু ধুইলে হবে না , ফেনা ফেনা করে ধুতে হবে, এবং ফেন ফেনা ভাব টা আবার মালেকিন কে দেখাতে হবে।উনি সন্তুস্ত হহলে তারপর হাত ধুয়ে কাজ শুরু।
অরিন্দমের স্ত্রি পূর্ণা ঘরে ঢুকলেই, হাত , পা, ভাল ভাবে ধুয়ে ঢুকতে হবে,ঘরে ঢোকার সাথে সব দাওয়াতিরা প্রথমে বাথরুম ঢুকবে, হাথ পা ধুয়ে তারপর ড্রইংএ। মাঝে মাঝে ভাল নম্বর পাওয়ার আশাই, আগেই অরিন্দমের স্ত্রী ,হাত্ ধুয়ে মা কে দেখাতে গেলে,তাচ্ছিল্লের সুর বেজে উঠে শাশুড়ি মায়ের গলায়ে, "তোমার আবার ধুয়া" তখন পূর্ণার ইচ্ছে করে ধূয়া হাত টা দিয়ে যেন গলা টিপে দিতে,একবার তো অরিন্দম সাঙ্ঘাতিক খেপে গেল , মা কে বলল, এক কাজ কর, মেইন গেটের পাশে সালফিওরিক এসিড রেখে দাও, তোমার বউ সেটাতে হাত চুবিয়ে নাইলে ঢুকবে, মাংস গুলো গলে গেলে আর ময়লা থাকবেনা,সুধু ফকফকা হাড্ডি।এই কথাই অরিন্দমের মা খেপে যায় বেজায়।
অরিন্দমের বাবা কে দরজার পাসে দার করিয়ে, জুতা, মুজা খুলতে বলে, শার্ট খুলে বেচারা, ভয়ে ভয়ে, পাছে, পাসের ফ্ল্যাটের মানুসদেখে ফেলে, এত বড় সচিবের এই পরিনতি,অরিন্দমের মা, বালতি তে গরম পানি এনে, মুখ হাত ধুইয়ে তারপর গৃহ প্রবেশ করান,অরিন্দমের বাবা তাই ঝামেলা এড়াতে, অফিস শেষে বাড়িতে না এসে ক্লাবে চলে যাই, কার ভাল লাগে , এত লক্ষ টাকা
কামাই করে যদি একদণ্ড শুতে না পারেন নিজের মত করে নিজের বিছানাই । একবার তো বারাবারি হয়ে গেল, অরিন্দমের এক ছেলে , তার প্রচণ্ড জ্বর, তার দাদি , অর্থাৎ অরিন্দমের মা নাতি কে আদর করবেন,১০৪ ডিগ্রি জরের বাচ্চাটা কে হাত পা ধুইয়ে তারপর কুলে নিলেন,পূর্ণা তো খেপে আগুন, গিয়ে অরিন্দম কে ঝামর দিল," কি দরকার ছিল তোমার মা এর আমার ছেলে কে আদর করার, আমার জরুয়া ছেলেটা কে উনি পানিতে চুবিয়ে কি প্রমান করতে চান'
সময়ের পরিক্রমাই অরিন্দমের মা এখন একা। পূর্ণা তার দুই ছেলে কে নিয়ে বাপের বাড়ি থাকে, অরিন্দম মাঝে মাঝে গিয়ে দেখে আসে, হয়ত একটা রাত ও কাটীয়ে আসে। অরিন্দম তার মাকে ছারে নি তবে অর জীবন টা ছন্নছারার মত হয়ে গেছে, মায়ের কারনে পূর্ণার সাথে একদণ্ড সংসার করা হল না।ছেলে টা আজ বাবা কে অতটা চিনেনা।অরিন্দমের বারগেনিং পাওয়ার কমে আসছে ধিরে ধিরে, অর কি করা উছিত,মাআ কে তো ফেলতে পারবেনা, বউকে বুঝাতে পারবেনা, অরিন্দমের মা ছোট ছেলে বলতে অজ্ঞান, সুধু একটি কারন তার, মাশে মাশে ছেলে টাকা পাঠাই। আর অরিন্দমের সঙ্গ ছাড়া দেবার মত কিছু নেই মাকে। মা কে সে যে অনেক ভাল বাসে। লেকের ধারে বসে বসে আছে অরিন্দম, বৃষ্টির প্রকপ কমে এসেছে, বৃষ্টির জল কানে মুখে দিয়ে ব্রেইন এ প্রবেশ করেছে মনে হই, বাড়ি ফেরা উচিত, নইত মা খাবার ফ্রিজে ঢুকিয়ে দিবে, তখন না খেয়ে রাত কাটাতে হবে,কারন মা ক্ষুব কড়াও সময়ের বাইরে খাবার সারভ করেন না
©somewhere in net ltd.