![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অস্কারের গোড়ার কথা (সংক্ষিপ্ত):
অস্কার নামটি কী করে এলো তা নিয়ে সুনিশ্চিত কোন ধারণা নেই। কেউ বলে থাকেন একাডেমি লাইব্রেরিয়ান মার্গারেট হারিক এই পুরস্কার দেখে বলেছিলেন এই পদকের মানুষটি দেখতে তার চাচা অস্কারের মতো, সেই থেকে এই নামকরণ। আরেকটি মত হলো, ১৯৩৪ সালে ৬ষ্ঠ অস্কার প্রদানের সময় হলিউডের কলাম লেখক সিডনি সোলস্কি ক্যাথারিন হেপবার্নের সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কারটিকে অস্কার বলে সম্বোধন করেছিলেন। মত যাই হোক, ১৯৩৯ সাল থেকে একাডেমি এওয়ার্ড অব মেরিটকে অস্কার নামে ডাকা শুরু হয়ে যায়।
শুধু চলচ্চিত্রের ইতিহাসেই নয়, বিশ্বের শিল্প সাহিত্যের ইতিহাসে অস্কার পুরস্কার সবচেয়ে আলোচিত, সম্মানজনক পুরস্কার। চলচ্চিত্রের ইতিহাসে প্রাচীনতম, জনপ্রিয় এবং প্রভাবশালী এই পুরস্কার দিয়ে থাকে একাডেমি অব মোশন পিকচার্স এ সাইন্স (এএমপিএএস) নামের একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। ক্যালিফোর্নিয়ার বেভারলি হিলসে ১৯২৭ সালে এই প্রতিষ্ঠানের জন্ম হয়। হলিউডের রুজভেল্ট হোটেলে প্রথম অস্কার অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯২৯ সালের ১৬ মে। সেদিন সেখানে উপস্থিত ছিলেন সব মিলিয়ে মাত্র ২৭০ জন দর্শক। টিকিটের মূল্য ছিল মাত্র পাঁচ ডলার। ১৯২৭ সালের ১ আগস্ট থেকে ১৯২৮ সালের ১ আগস্ট নাগাদ যে সব চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছিলো তার মধ্য থেকেই এই পুরস্কার বিতরণ করা হয়। আমেরিকার আকাডেমি অব মোশন পিকচাস আর্টস এ সাইন্স নামের প্রতিষ্ঠান ১৯২৭ সালে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো শিল্প, সাহিত্য, বিজ্ঞানের সমন্বয় চলচ্চিত্র নামের যে মাধ্যম গড়ে উঠেছে তার বিভিন্ন ক্ষেত্রে পুরস্কার প্রবর্তন করবে এবং সংশ্লিষ্টদের উৎসাহী করে তুলবে। এর ফলেই জন্ম হয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় চলচ্চিত্র পুরস্কারের। এই পুরস্কারটির নাম আসলে একাডেমি এওয়ার্ড অব মেরিট আর পদকটির নাম অস্কার। আজ অস্কার নামেই পুরস্কার ও পদক দুটোই পরিচিত।
১৯২৭-২৮ বছরের সেরা অভিনয়শিল্পী, পরিচালক এবং অন্যান্য ক্যাটাগরি মিলিয়ে মোট ১৫ জনের হাতে অস্কার তুলে দেওয়া হয়েছিল প্রথম বছরে। তবে সে বছর অস্কার খুব একটা আলোড়ন তুলতে পারেনি কারণ পুরস্কার দেওয়ার তিন মাস আগেই বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। অবশ্য অস্কারের দ্বিতীয় বছর অর্থাৎ ১৯৩০ সাল থেকে পরবর্তী এক দশক পুরস্কার দেওয়া নিয়ে গোপনীয়তার ব্যবস্থা করা হয়। রাত ১১টায় ফলাফল পত্রিকায় প্রকাশের জন্য পাঠানো হতো কিন্তু ১৯৪০ সালে লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস অনুষ্ঠানের আগেই বিজয়ীদের নাম প্রকাশ করে দিলে ১৯৪১ সাল থেকে সিল করা খাম ব্যবহার শুরু হয় এবং বিজয়ীদের নাম নিয়ে চূড়ান্ত গোপনীয়তা রক্ষা করা হচ্ছে। মূল অনুষ্ঠান চলাকালে কেবলমাত্র খাম খুললে জানা যাবে কে পুরস্কার পেয়েছে। আজ পর্যন্ত সেই খাম খোলার চমক অটুট রয়েছে।
প্রথম দিকে অস্কার হিসেবে প্রদত্ত প্রতিমূর্তিটি ছিল ব্রোঞ্জের তৈরি। বিখ্যাত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এমজিএম-এর শিল্প নির্দেশক সেডরিক গিবসন অস্কার পদকের নকশা করেন। এই ট্রফিতে দেখা যায় একজন নাইট ফিল্ম রিলের উপর দাঁড়িয়ে আছেন আর তার ক্রুসেডের তরবারি নিয়ে। সাড়ে ১৩ ইঞ্চি উচ্চতার এই পদকটির ওজন সাড়ে আট পাউন্ড। বর্তমানে অস্কারের প্রতিমূর্তিটি মূলত ব্রাইটেনিয়াম দিয়ে তৈরি করা এই পদকটি ২৪ ক্যারেটের সোনায় মোড়ানো। ১৯২৯ সালে প্রথম প্রবর্তনের পর থেকে আজ পর্যন্ত মোট ২৮০৯টি পদক বিতরণ করা হয়েছে। গত ৮৩ বছর ধরে এই পুরস্কার বিশ্বের চলচ্চিত্র প্রেমী ও কর্মীদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয়, লোভনীয় এবং বিতর্কিত পুরস্কার হিসাবে আলোচনার শীর্ষে রয়ে গেছে।
প্রথম এবং একমাত্র নির্বাক চলচ্চিত্র:
অস্কারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার হলো সেরা চলচ্চিত্র পুরস্কার। ১৯২৭ ও ১৯২৮ সালের ছবিগুলোর মধ্য থেকে প্রথম অস্কারে কোন সেরা চলচ্চিত্র পুরস্কার ক্যাটাগরি ছিলো না। এর বদলে দুটো পুরস্কার ছিলো, একটি হলো সবচেয়ে অনন্য চলচ্চিত্র যা পায় উইংস, অন্যটি হলো সবচেয়ে শৈল্পিক মানসম্পন্ন প্রযোজনা যা পায় সানরাইজ। দুটো পুরস্কারই সমান গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। পরের বছর একাডেমি সেরা চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে একটিই পুরস্কার প্রবর্তন করে যাকে তারা অনন্য প্রযোজনা নাম দেয় এবং পূর্ববর্তী নির্বাক উইংসকে এই ক্যাটাগরিতে ঠাঁই দেয়। এই বিবেচনায় প্রথম অস্কার প্রাপ্ত সেরা ছবি হলো উইংস। বহু বছর ধরে ধারণা ছিলো এই ছবিটি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। পরে প্যারিসের এক ফিল্ম আর্কাইভ সিনেমাথ্যাক ফ্র্যান্সুইস-এ এর একটি নাইট্রেট ফিল্ম উদ্ধার করা হয়। তারপরই এই ছবিকে নতুন প্রিন্ট করে সংরক্ষণ ও প্রদর্শন করা হয়। ১৯৯৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের লাইব্রেরি অব কংগ্রেস এই চলচ্চিত্রকে ‘সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক অথবা নন্দনতাত্তি্বক গুরত্বের কারণে’ সংরক্ষণের দায়িত্ব নেয়।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ এবং বোমারু বৈমানিকদের নিয়ে এ ছবির গল্প তৈরি হয়েছে। ছোট্ট এক মার্কিন শহরে সিলভিয়াকে পাওয়ার জন্যে ব্যাকুল জ্যাক পাওয়েল ও ডেভিড আর্মস্ট্রং। জ্যাক বুঝতেই পারে না, পাশের বাড়ির মেয়ে ম্যারি তাকে ভালবাসে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে জ্যাক ও ডেভিড দুজনেই যুদ্ধ বিমানের বৈমানিক হয়। তাদের বিদায় নেয়ার আগে সিলভিয়া বুঝিয়ে দেয় যে সে ডেভিডকে ভালবাসে, কিন্তু জ্যাক মনে করে সিলভিয়া তাকেই ভালবাসে। দীর্ঘ ও কষ্টকর ট্রেনিং চলাকালেই জ্যাক ও ডেভিডের বন্ধুত্ব হয়ে যায়। ট্রেনিং শেষে একজন ফ্রান্সে আরেকজন জার্মানিতে চলে যায় যুদ্ধ করতে। এদিকে ম্যারি এম্বুলেন্সের ড্রাইভার হিসাবে যুদ্ধে যোগ দেয়। সে ক্রমেই জ্যাকের খ্যাতির খবর শোনে, এমনকি প্যারিসে তার সাথে দেখাও হয়। মদ্যপান অবস্থায় থাকায় জ্যাক তাকে চিনতে পারে না। জ্যাককে বিছানায় শুইয়ে দিতে গেলে দুজন মিলিটারি অফিসার তাদেরকে দেখে ভুল বোঝে এবং ম্যারি তার কাজ হারিয়ে আমেরিকায় ফিরে আসতে বাধ্য হয়। ব্যাটেল অব সেন্ট মিহিলে ডেভিডের প্লেন গুলিবিদ্ধ হয়। প্লেন ক্র্যাশ করলেও সে বেঁচে যায়। কিন্তু পালাতে গিয়ে সে গুলিবিদ্ধ হয় এবং দুর্ভাগ্যক্রমে তাকে গুলি করে জ্যাক। কাছে এসে সে বুঝতে পারে প্রিয় বন্ধুকেই ভুল করে গুলি করেছে সে। অনুশোচনায় ভেঙে পড়ে সে। মৃত্যুর আগে ডেভিড তাকে ক্ষমা করে দেয়। যুদ্ধ শেষ হয়, জ্যাক বীরের বেশে ঘরে ফেরে। সে ডেভিডের শোকতপ্ত মা-বাবাকে সব বলে। ডেভিডের মা বলে, জ্যাক নয়, যুদ্ধই তার সন্তানের মৃত্যুর জন্যে দায়ী। জ্যাক অবশেষে ম্যারির ভালবাসাকে অনুধাবন করে এবং মূল্যায়ন করে।
ক্লারা বো, চার্লেস ‘বাডি’ রজার্স, রিচার্ড আর্লেন
“উইংস”
মুক্তি : ১২ আগস্ট ১৯২৭
দৈর্ঘ্য : ১৪১ মিনিট
রঙ : সাদাকালো
দেশ : আমেরিকা
ভাষা : নির্বাক
পরিচালনা : উইলিয়াম এ. উইলম্যান
প্রযোজনা : লুসিয়েন হাবার্ড, অট্টো কান
চিত্রনাট্য : হোপ লরিং, লুই ডি লাইটন
অভিনয় : ক্লারা বো, চার্লেস ‘বাডি’ রজার্স, রিচার্ড আর্লেন, গ্যারি কুপার
সঙ্গীত : জে এস জেমেকনিক
চিত্রগ্রহণ : হ্যারি পেরি
সম্পাদনা : ই লয়েড শেলডন
সহস্র সহঅভিনেতা, ডজনে ডজনে এরোপ্ল্যান এবং অসংখ্য বিস্ফোরণে সমৃদ্ধ এই ছবি সময়ের বিবেচনায় অনেক অগ্রগামী ছিলো। এমনকি সামরিক বাহিনী থেকে সৈন্য নিয়েও এ ছবিতে কাজে লাগানো হয়েছিলো। একমাত্র চলচ্চিত্র যা অস্কারে ইঞ্জিনিয়ারিং এফেক্টের জন্য পুরস্কার পেয়েছে।
১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:২৪
গোর্কি বলেছেন:
-ধন্যবাদ।
-অপেক্ষায় রইলাম।
২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৪৩
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট!!!!!!
+++++++++
১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:২৬
গোর্কি বলেছেন:
-ধন্যবাদ।
-ভাল থাকা হোক সবসময়।
৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:২০
এন এফ এস বলেছেন: জানতে পেরে ভালো লাগলো
১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:২৮
গোর্কি বলেছেন:
-ভাল লেগেছে জেনে প্রীত হলাম।
-ধন্যবাদ। ভাল থাকা হোক সবসময়।
৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৩৪
বিষঠোকরা; নিঃসঙ্গ পাখি বলেছেন: উইংসের কাহিনি ভালো লাগলো। কিন্তু ডেভিডের বুকে জ্যাকের গুলি লাগা একটা অতি নাটকীয় ঘটনা। যাই হোক, ইউটিউবে ছবিটা খুঁজতে হবে দেখার জন্য।
বর্ণনা ভালো লেগেছে।
১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৯
গোর্কি বলেছেন:
-ভাল লেগেছে জেনে প্রীত হলাম।
-বাস্তব জীবনের সংগতি এবং অসংগতি চিত্রগুলোই চলচ্চিত্রে ভেসে ওঠে, হয়ত এটাই স্বাভাবিক।
-ইউটিউবে পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবিটি পাবেন কিনা সন্দেহ আছে, তবে এর খণ্ড অংশগুলো পাবেন।
-ধন্যবাদ। ভাল থাকা হোক সবসময়।
৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:২৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। অনুসারিত।
১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:১৮
গোর্কি বলেছেন:
-ধন্যবাদ। ভাল থাকা হোক সবসময়।
৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৮
ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: অজানা তথ্য জানলাম
১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:১৯
গোর্কি বলেছেন:
-ধন্যবাদ। ভাল থাকা হোক সবসময়।
৭| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৩৭
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
অতি চমৎকার পোস্ট।
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৪
গোর্কি বলেছেন:
-ধন্যবাদ। ভাল থাকা হোক সবসময়।
৮| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৫০
আরজু পনি বলেছেন:
ভাবছিলাম, আহা জীবনে কী হলাম ?!
কী করলাম !
পরে আবার নিজেকেই প্রবোধ দিলাম, সবাইকে সব দিকে দেখতে হয় না ...নিজের যা আছে তাই নিয়েই এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা ভাল ।
এতো দারুণ একটা পোস্ট, পাঠক আরো বেশি হওয়া উচিত ছিল ।।
শুভকামনা রইল ।।
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৫০
গোর্কি বলেছেন:
-মনের চাওয়া পাওয়ার সমস্ত ইচ্ছেগুলো সম্পূর্ণভাবে কখনই পূরণ হয় না। জীবন থেকে যা পেয়েছো তাই নিয়ে সন্তষ্ট থাকলেই জীবন আনন্দময়। খুব বেশি চাহিদা কখনই সুখ দেয় না। অল্পতেই যারা খুশি, তারাই সব চাইতে সুখী।
-ফিরে এসে মতামতের জন্য অসীম কৃতজ্ঞতা জানুন। শুভকামনা। ভাল থাকা হোক সবসময়।
৯| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৫২
কালোপরী বলেছেন:
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৫
গোর্কি বলেছেন:
-ধন্যবাদ। ভাল থাকা হোক সবসময়।
১০| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৪২
বোকামন বলেছেন:
পোস্টটির উপস্থাপনা প্রশংসনীয় !
লেখক, ভালোলাগা জানবেন।।
১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:০১
গোর্কি বলেছেন:
-আপনার প্রশংসা আমার পাথেয়।
-ধন্যবাদ। ভাল থাকা হোক সবসময়।
১১| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:০২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
পোস্ট প্রিয়তে রইল। চমৎকার পোস্ট।
১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:০২
গোর্কি বলেছেন: -কৃতজ্ঞতা জানুন।
-ভাল থাকা হোক সবসময়।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:০৫
আরজু পনি বলেছেন:
আশা করি পরে আবার আসবো ।
অনুসরণ করলাম ।