![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফড়িং নিয়ে ছোটবেলা থেকেই যথেষ্ট আগ্রহ ছিল। ফড়িং ধরতে ছুটে বেড়াতাম। এই হতচ্ছাড়াদের ধরতে কতটা কষ্ট যে করতে হতো, তার অভিজ্ঞতা আমাদের অনেকেরই আছে কমবেশি। কাঁটামান্দার গাছের আঠালো কষ পাটখড়ির মাথায় লাগিয়ে ফড়িং’র পিছন পিছন দৌড়াতাম। ফড়িং এর পিছু ছাড়তাম না, তীর্থের কাকের মত অপেক্ষা করতাম। তারপর সুযোগ বুঝে দু’পাখা চেপে ধরে সোজা নেটের খাচার ভেতর চালান। ফড়িং’র পিছনে সুতা বেঁধে ঘুড়ি বানিয়ে ছেড়ে দিলে খুব মজা লাগত। যখন ইচ্ছা টান দিয়ে নামানো যেত।
শৈশবে খেলার বশে কত যে ফড়িং মেরেছি ভাবলেই দুঃখ হয়। শিশুরা কোন কোন ক্ষেত্রে ভয়ানক নিষ্ঠুর। তারা সুতায় বেধে ফড়িং আটকে রাখে, পিঁপড়া মেরে নির্মল আনন্দ পায়। কোন কোন ক্ষেত্রে অপরাধবোধ তাদের মাঝে মোটেই কাজ করেনা। সুন্দর কে ধ্বংস করার প্রবনতা মানবের জন্মগত। আবার সেই একসময় সুন্দরকে লালন করতে জীবন বাজি রাখতে পারে। বড়ই অদ্ভুত এই আমি ও আমরা।
স্মৃতিচারণ সেকেলে হলেও উপরের তিনটি ছবি একালে এবং দেশে তোলা বিধায় সেকালের মনে করে চালিয়ে দেবার চেষ্টা মাত্র। যতটুকু মনে পড়ে, ছবিগুলো তুলেছিলাম Nokia E-71 দিয়ে। তখনও সৌখিন ফটোগ্রাফির ভূত ঘাড়ে চাপে নি।
ছোটবেলার সেই ফড়িং ধরার ইচ্ছাটা রয়ে গিয়েছে এখনোও। ফড়িং না ধরলেও পিছু পিছু ছুটে বেড়াই। আর ইদানীং ফটোগ্রাফির নেশাটা জেকে বসার দরুন তাদের (পোকা-মাকড়, জীব-জন্তু, প্রকৃতি প্রভৃতি) ওপর চলে সব পরীক্ষামূলক কার্যক্রম। কান্ট্রি কটেজের টুকটাক, ছোটখাট কাজকর্ম শেষে অবসর সময়ে চলে ফটো সেশন। মাঝে মধ্যে পরিবারের সদস্যদের থেকেও কিছুটা সাহায্য পাই। জীবন্ত প্রকৃতির আলোকচিত্র নিতে আমাকে খুব বেশী ঘোরাঘুরিও করতে হয় না। কটেজের আশপাশ এলাকাই যথেষ্ট। দিনের পর্যাপ্ত আলো থাকা অবস্থাতেই পড়ন্ত বিকেলে চারপাশের পরিবেশ যখন শান্ত হয়ে আসে, ঠিক তখনই শট নেবার মোক্ষম সময়। নীচের ছবিগুলো গতবারের এবং এবারের সামারে তোলা। ম্যাক্রো শট নিতে ব্যবহার করেছি Nikon D7000 body।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:২৭
গোর্কি বলেছেন:
ভাললাগা যত্ন সহকারে রেখে দিলাম।
ধন্যবাদ। ভাল থাকুন সারাবেলা।
২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:০৬
মামুন রশিদ বলেছেন: দারুণ সব ছবি আর আপনার নস্টালজিক ফড়িং ধরার কাহিনী ভাল লাগলো ।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৫২
গোর্কি বলেছেন:
আলোকচিত্র এবং কাহিনী ভাল লেগেছে জেনে খুশী হলাম।
ধন্যবাদ। ভাল থাকুন সারাবেলা।
৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:১১
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ছবি দেখে ভাল লাগলো ।
সকালে আমরা বাপ ছেলে অনেক চেষ্টা করেও একটাকে ধরতে পারিনি ।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:১৫
গোর্কি বলেছেন:
ছবি ভাল লেগেছে খুশী হলাম। তবে ফড়িং ধরাটা বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার। ঘাপটি মেরে ওৎ পেতে অপেক্ষা করতে হয়। খুব ধৈর্য্যশীল হওয়া বাঞ্চণীয়। আশা করি পেরে যাবেন।
ধন্যবাদ। ভাল থাকুন সারাবেলা।
৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০০
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ৫ নাম্বার ছবিটা খুব সুন্দর এসেছে।
ছোট বেলায় পাপ পুণ্যের ভয়ে ফড়িং ধরেও ছেড়ে দিতাম। তবে অনেক পিঁপড়া মেরেছি, লাল বিষ পিঁপড়া। ছোট বেলায় কিছু ক্ষেত্রে আসলেও হিংস্রতা কাজ করতো কিছু ব্যাপারে অন্ধের মতো।
ভাইয়া এখন কোথায় আছেন ?
শুভকামনা আপনার জন্য
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:১৬
গোর্কি বলেছেন:
পাপ-পুণ্যের ভয় থাকলেও কে শোনে কার কথা!
ছোটবেলায় এই নিষ্ঠুরতা করেনি এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া বেশ কষ্টকর।
আমি এখন মস্কোতেই আছি এবং এখানেই স্থায়ীভাবে প্রায় তিন যুগ ধরে বসবাস করছি।
ধন্যবাদ। ভাল থাকুন সারাবেলা।
৫| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৫২
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: খুব চমৎকার পোষ্ট !
যে সময়টায় এভাবে ফড়িং দেখেছি কেবল ইচ্ছে হয়েছে ধরে রাখার , এভাবে ফ্রেমে ধরে রাখা যায় সেটা তখনো বুঝে উঠিনি !
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৪১
গোর্কি বলেছেন:
শৈশব-কৈশোরে ক্যামেরা আসবে কোত্থেকে? সে সময় পোশাক-পরিচ্ছদসহ সব কিছুই পেতাম রেশন মাফিক। তাই ফড়িং ধরে নেটের খাঁচায় বন্দী করে তাদের সাথে খেলা করা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। কলিকালে ছোট্ট বাচ্চাদের হাতেও মোবাইল ক্যামেরা। হায়রে শৈশব, আফসোস!
ধন্যবাদ। ভাল থাকুন সারাবেলা।
৬| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:১৪
ঢাকাবাসী বলেছেন: দারুন সব ছবি তো! চমৎকার লাগল।
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৪৪
গোর্কি বলেছেন:
চমৎকার শব্দে চমৎকৃত হলাম।
ধন্যবাদ। ভাল থাকুন সারাবেলা।
৭| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
মুগ্ধ +++
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:০৪
গোর্কি বলেছেন:
মুগ্ধতায় ধন্য হলাম।
ধন্যবাদ। ভাল থাকুন সারাবেলা।
৮| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:১৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ছবিগুলো চমৎকার। আমিও ছোটবেলায় ফড়িংদের সাথে অনেক নিষ্ঠুরতা করেছি
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:২৮
গোর্কি বলেছেন:
না বুঝে অবচেতন মনে নিষ্ঠুরতা আমরা শৈশবে কমবেশী সবাই করেছি। যতটুকু বড়দের মুখ থেকে তখন শুনতাম এতে নাকি শিশুদের পাপ হয় না। এগুলো আসলে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত। ভাল লেগেছে জেনে আনন্দিত।
ধন্যবাদ। ভাল থাকুন সারাবেলা।
৯| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:২৬
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আহা ছোটবেলায় সেই ফড়িঙ এর পেছনে দৌঁড়ানো! স্মৃতিকাতর করে দিলেন।
ছবিগুলো খুব সুন্দর।
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:১৪
গোর্কি বলেছেন:
হায়রে শৈশব! যদি রিওইয়্যান্ড বাটন থাকত!! কী যে মজা হত!!!
ভাল লেগেছে জেনে আনন্দিত।
ধন্যবাদ। ভাল থাকুন সারাবেলা।
১০| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ১টা মনে হয় রাজ ফড়িং ।ফড়িং ধরি না অনেকদিন। ফড়িং ধরার জন্য একটা লম্বা লাঠির মাথায় শলাদিয়ে গোলমতন বানানো হতো সেখানে মাকড়সার জাল মাখিয়ে সেটা দিয়ে ফড়িং আটকানো হতো।
সুন্দর পোস্ট ।
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:১৫
গোর্কি বলেছেন:
নাম মনে হয় ঠিকই আছে। আফ্রিকান প্রজাতির এটা। এই বয়সে আর ফড়িং ধরা! এখন দেখেই মন ভরে নিই। সুন্দর লেগেছে জেনে ভাল লাগল।
ধন্যবাদ। ভাল থাকুন সারাবেলা।
১১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:১০
নেক্সাস বলেছেন: আমাকেও নষ্টালজিক ফড়িং বানিয়ে দিলেন....
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৫১
গোর্কি বলেছেন:
ফড়িং হয়ে উড়ব
ফুল হয়ে ফুটব।
আনমনা না হয়ে উপায় আছে! এ যে স্বর্ণালী দিনগুলোর কথা।
ধন্যবাদ। ভাল থাকুন সারাবেলা।
১২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:১১
বোকামন বলেছেন:
ফড়িং ধরার ইচ্ছে হয়নি কখনো
ইচ্ছে ছিলো ফড়িং হবার ...
পোস্টে অনেক ভালোলাগা রইলো
৫নং ছবিটি দারুণ হয়েছে !
শুভেচ্ছা জানবেন শ্রদ্ধেয় ভাইজান
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:২৯
গোর্কি বলেছেন:
"ফড়িং ধরার ইচ্ছে হয়নি কখনো"
ছোটবেলা থেকে নিঃসন্দেহে আপনি একজন নিয়মতান্ত্রিক জগতের মানুষ। স্যালুট!
"ইচ্ছে ছিলো ফড়িং হবার ..."
আপনার ধ্রুপদী লেখাগুলো পড়ে তাই মনে হয়।
পোস্ট ভাল লেগেছে জেনে খুশী হলাম।
ধন্যবাদ। ভাল থাকুন সারাবেলা।
১৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৩৭
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: ভেরি নাইস পিকচারস
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৩
গোর্কি বলেছেন:
ধন্যবাদ। ভাল থাকুন সারাবেলা।
১৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৪৪
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ছবিগুলো অনেক সুন্দর।
মুগ্ধতা রেখে গেলাম, প্রিয় গোর্কি।
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৬
গোর্কি বলেছেন:
মুগ্ধতায় প্রীত হলাম প্রিয় প্রোফেসর। ছবিগুলো ভাল লেগেছে জেনে আনন্দিত।
ধন্যবাদ। ভাল থাকুন সারাবেলা।
১৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:০২
শাহরিয়ার রিয়াদ বলেছেন:
ছোটবেলায় ফড়িং ধরে এর লেজে এক প্রকার চিকন ঘাস ঢুকিয়ে দিতাম। এখন মনে পড়লে খারাপ লাগে, এই সুন্দর পতঙ্গটার উপর কত অত্যাচার করেছি।
ছবিগুলো সুন্দর, গোর্কি।।
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৯
গোর্কি বলেছেন:
আমিও অনেকবার দেখেছি ফড়িং ধরে বাচ্চা ছেলেদের নানান নিষ্ঠুর খেলা; হাত পা পাখা ছিড়ে ছেড়ে দিয়ে মজা দেখা। শিশু মনে কোথায় যেন নিষ্ঠূরতার বীজ থাকে। অবচেতন মন অথবা কেবলই মজার ছল।
ছবিগুলো ভাল লেগেছে জেনে আনন্দিত।
ধন্যবাদ। ভাল থাকুন সারাবেলা।
১৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:০৩
অদৃশ্য বলেছেন:
প্রিয় গোর্কি
প্রথম ৩টি ছবি সুন্দর... তবে পরের ৬টি ছবি খুবই সুন্দর...
ফড়িং নিয়ে ঘটনা মনে হয় সবারই কিছু না কিছু আছে... হ্যাঁ, ঠিকই বলেছেন সম্ভবত মেলা ফড়িং মেরে ফেলেছি এক সময়... হত্যার প্রবণতা আমাদের জন্মগত... ব্যপারটা বিস্ময়ের তাই না?
জীবনের কিছু ফড়িং স্মৃতি মনে পড়ে গেলো আপনার লিখাটি পাঠের পর...
শুভকামনা...
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:০৭
গোর্কি বলেছেন:
ফড়িং ধরতে ছুটে বেড়াতাম। এই হতচ্ছাড়াদের ধরতে কতটা কষ্ট যে করতে হতো, তার অভিজ্ঞতা আমাদের অনেকেরই আছে কমবেশি। শৈশবে একটা সময়ে ফড়িং নিয়ে কাটিয়ে দিতাম সারাবেলা। তাদের সাথে খেলে, মনের ভাব বিনিময় করে নির্মল আনন্দ পেতাম। এখন এগুলো মনে হলে বুকটা ভীষণ ফাঁকা লাগে।
কিছু স্মৃতি, কিছু কথা মনে করিয়ে দিতে পেরে এবং ছবিগুলো ভাল লেগেছে জেনে যারপরনাই ভাল লাগছে প্রিয় ভাইটি।
ধন্যবাদ। ভাল থাকুন সারাবেলা।
১৭| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:০৫
ড. জেকিল বলেছেন: হুমম, লাল ফড়িং খুব প্রিয় ছিলো। অনেক ফড়িং মেরেছি ......... এখন মনে হলে খুব খারাপ লাগে।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:২৭
গোর্কি বলেছেন:
শৈশবে অবচেতন মনে খেলার ছলে এসব কথা মনে হলে আপনার মত আমারও এখন ভীষণ পাপ বোধ হয়।
কৃতজ্ঞতা জানবেন। ভাল থাকুন সারাবেলা।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৪৫
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ভালো লাগা রেখে গেলাম