নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গণতন্ত্র সমাজতন্ত্র ধর্মনিরপেক্ষতা ও জাতীয়তাবাদ

গোর্কি

ফেইসবুক: মাতরিয়শকা

গোর্কি › বিস্তারিত পোস্টঃ

হেমন্তের কবিগণ, নবান্ন ও ঢেঁকি কথন

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০৭

আজ অনলাইন বাংলা খবরের কাগজের প্রথম পাতার শীর্ষে চোখ মেলাতেই দেখলাম ১লা অগ্রহায়ণ। মুহুর্তে ভেসে উঠলো স্মৃতির পটে উঠানে ছেলেবেলাকার প্রভাতের শিশির সিক্ত শিউলি ফুল কুড়ানো একান্নবর্তী পরিবারের ভাই-বোনেরা মিলে। আহা! আফসোস। আফসোস।। ভীষণভাবে মিস করি সেই স্বর্ণালী দিনগুলো। আসলে আমরা তো আজকাল আমাদের প্রিয় ঋতুগুলোকে এই সব স্মৃতিজাগানিয়া বিভিন্ন লেখাতেই খুঁজে পাই, তাছাড়া খবরের কাগজ না দেখলে বুঝতেও পারিনা আমরা নাগরিক মানুষেরা কখন আসে কোন ঋতু।



প্রকৃতি, ঋতু, পরিবেশ ব্যক্তি জীবনে যেমন নির্মল আনন্দের সৃষ্টি করে তেমনি সমষ্টি, জাতি ও দেশে দেশে আনন্দ উৎসবের বিকাশ ঘটায়। বিশ্ব প্রকৃতি থেকে শুরু করে বাংলার ষড়ঋতুকে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একদিকে ব্যক্তি বিশেষের মনের গহনে অনির্বচনীয় আনন্দের সৃষ্টি করেছেন অন্যদিকে সকলের সাথে সে আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার পথ দেখিয়েছেন। বাংলাদেশের ঋতু-বৈচিত্র্য নিয়ে কবির বিপুল সৃষ্টি আমাদের মধ্যে জাগায় শিহরণ। আনন্দে আপ্লুত হয়ে উঠি আমরা। ঋতু পরিবর্তনের নানা ধারা নিয়ে কবির গাঁথা মালা থেকে একটি ফুলের সৌরভ আমরা নিতে পারি। হেমন্ত কবির চোখে দীপালিকার আলো,



হিমের রাতে ওই গগনের দীপগুলিরে,

হেমন্তিকা করল গোপন আঁচল ঘিরে।

ঘরে ঘরে ডাক পাঠালো ‘দীপালিকায় জ্বালাও আলো,

জ্বালাও আলো, আপন আলো, সাজাও আলোয় ধরিত্রীরে।’




হেমন্তের আগমনের আগে আসে বর্ষা আর শরৎ। হিম থেকে এসেছে হেমন্ত। তাই হেমন্তকে বলা হয় শীতের পূর্বাভাস। হেমন্তের শিশির ঝরা নিশিতে ফোটে গন্ধরাজ, মল্লিকা, শিউলি আর কামিনী। হেমন্তেই দীঘির জলে, বিলে, ঝিলে ফোটে কত না রঙের পদ্ম। এ দিকে খেত-খামারে রাশি রাশি ভারা ভারা সোনার ধান উঠতে থাকে। ঘরে চলে নবান্ন উৎসব। আর তারই সাথে মনে গাঁথা কবি সুফিয়া কামালের ছড়া-কবিতা “হেমন্ত”,



সবুজ পাতার খামের ভেতর

হলুদ গাঁদা চিঠি লেখে

কোন্ পাথারের ওপার থেকে

আনল ডেকে হেমন্তকে?

আনল ডেকে মটরশুঁটি,

খেসারি আর কলাই ফুলে

আনল ডেকে কুয়াশাকে

সাঁঝ সকালে নদীর কূলে।

সকাল বেলায় শিশির ভেজা

ঘাসের ওপর চলতে গিয়ে

হাল্কা মধুর শীতের ছোঁয়ায়

শরীর ওঠে শিরশিরিয়ে।

আরও এল সাথে সাথে

নুতন গাছের খেজুর রসে

লোভ দেখিয়ে মিষ্টি পিঠা

মিষ্টি রোদে খেতে বসে।

হেমন্ত তার শিশির ভেজা

আঁচল তলে শিউলি বোঁটায়

চুপে চুপে রং মাখাল

আকাশ থেকে ফোঁটায় ফোঁটায়।




বাংলাদেশের পাড়াগাঁর গা থেকে যেমন তিনি পান ‘রূপশালী ধানভানা রূপসীর শরীরের ঘ্রাণ’ তেমনই হেমন্তের কার্তিক, অগ্রহায়ন আর জীবনানন্দ দাশ যেন একই সুত্রে গাঁথা। উজ্জ্বল রোদে সোনার ঝিলিক খেলে নুয়ে পড়া পুষ্ট ধানের শীষে। সে দৃশ্যে খুশির আভা ফোটে কৃষকের চোখে-মুখে। কাস্তের টানে মুঠি মুঠি কাটে ধানগাছ। এই বাংলায় হেমন্ত মানে নবান্নের উৎসব। আর নতুন ধানের গন্ধ। গ্রীষ্মের দাবদাহে রুদ্ররূপ, বর্ষায় বিরহিনী, শরতে স্নিগ্ধময়ী শারদলক্ষ্মী আর হেমন্তে কুয়াশার অবগুণ্ঠনে ঢাকা হৈমন্তিকা বয়ে নিয়ে আসে এক শুভবার্তা।







ধান কাটা হয়ে গেছে কবে যেন — ক্ষেত মাঠে পড়ে আছে খড়

পাতা কুটো ভাঙা ডিম — সাপের খোলস নীড় শীত।

এই সব উৎরায়ে ঐ খানে মাঠের ভিতর

ঘুমাতেছে কয়েকটি পরিচিত লোক আজ — কেমন নিবিড়।

ঐ খানে একজন শুয়ে আছে — দিনরাত দেখা হত কত কত দিন

হৃদয়ের খেলা নিয়ে তার কাছে করেছি যে কত অপরাধ;

শান্তি তবু: গভীর সবুজ ঘাস ঘাসের ফড়িং

আজ ঢেকে আছে তার চিন্তা আর জিজ্ঞাসার অন্ধকার স্বাদ।




কালহীন কালের প্রতীক হিসেবে তিনি নিয়েছেন প্রান্তরকে প্রধানত হেমন্তের প্রান্তরকে। কার্তিকের মৃদু কুয়াশা মাখা জ্যোৎস্না ভরা মাঠ তার এই দূরাস্তীর্ণ কল্পনাকে চঞ্চল করে তুলেছে সবচেয়ে বেশি। যখন ‘হেমন্ত ফুরায়ে গেছে, পৃথিবীর ভাঁড়ারের থেকে’, তখন অপেক্ষাতুর হৃদয় ভেবেছে, ‘হে নাবিক, হে নাবিক, জীবন অপরিমেয় বাকী।’ কার্তিকের জ্যোৎস্নায় কয়েকটি মাঠে চরা ঘোড়া কবির মনকে আশ্চর্যভাবে সঞ্চারিত করেছে সময়হীন সময়ের প্রান্তরে:



মহীনের ঘোড়াগুলো ঘাস খায়

কার্তিকে জ্যোৎস্নার প্রান্তরে,




প্রস্তর যুগের সব ঘোড়া যেন এখনও ঘাসের লোভে চরে পৃথিবীর কিমাকার ডাইনামোর পরে। এই সব ঘোড়াদের নিওলিথ স্তব্ধতার জ্যোৎস্নাকে ছুঁয়ে জীবনানন্দের মানসিক মুক্তি। রবীন্দ্রনাথকে যদি বর্ষা আর নদীর কবি বলা যায়, তাহলে জীবনানন্দ হেমন্ত আর প্রান্তবেরর কবি। মৃদু ধূমল জ্যোৎস্না­ দিকচিহ্নহীন মাঠ এক অপূর্ব জাগর স্বপ্ন সৃষ্টি করে তার মনে­ এক বিচিত্র সুর রিয়্যালিজমের মধ্যে তার কল্পনাকে মগ্ন করে। এই কল্পনার অনুষঙ্গী ‘বাঁশপাতা-মরা ঘাস-আকাশের তারা।’ ‘কার্তিক কি অঘ্রাণের রাত্রির দুপুরে’ ‘হলুদ পাতার ভিড়ে বসে’ ‘মেঠো চাঁদ আর মেঠো তারাদের সাথে’ প্রহর জাগে পাখি। এই হেমন্ত জ্যোৎস্নাতেই বিমর্ষ পাখির রঙে ভরা শঙ্খমালার আবির্ভাব।





ছবি: নবান্ন, এস এম সুলতান, অন্তর্জাল থেকে



জীবনানন্দের কবিতায় এসেছে ধান টাকা হয়ে গেছে। হ্যাঁ, ধান এভাবেই টাকা হয়ে যায় হেমন্তে। আর টাকা আসা মানেই উৎসব। এজন্য এসময় সারা দেশের বিভিন্নস্থানে মেলা হয়, যাত্রা হয়। বাউল গানের আসর বসে। এগুলোরই সম্মিলিত নাম নবান্ন।



বাঙালির ঐতিহ্যবাহী, অসাম্প্রদায়িক ও মাটির সঙ্গে চির বন্ধনযুক্ত নবান্ন উৎসবের মাস। প্রবাদে আছে ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে। এক সময় ঢেঁকির সুরেলা শব্দ ফুটিয়ে তুলত নবান্ন উৎসব। বুদ্ধির ঢেঁকি, আমড়া কাঠের ঢেঁকি, ঢেঁকির মতো মেয়ে - এরকম বহু বাগধারা এখন শুধু পুঁথিতেই বন্দী। নতুন ধানের চাল তৈরির ধুম পড়ে যেত গ্রামবাংলায়। গ্রামে মধ্যবিত্ত পরিবারের গৃহিণী ও বৌ-ঝিরা নিজস্ব ঢেঁকিতে ধান ভাঙিয়ে চাল করত। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পালাক্রমে চলত ধান ভাঙার কাজ। গরিব পরিবারের মহিলারা বড় গৃহস্থের বাড়িতে ঢেঁকিতে ধান ভেঙে চাল করে দিয়ে বিনিময়ে পারিশ্রমিক হিসেবে পেত চাল অথবা টাকা। গরিব মহিলারা পাঁচ থেকে ছয়জনের দল তৈরি করে ধান ভাঙত পালাক্রমে। ২-৩ জন ঢেঁকিতে পাড় দিত আর একজন ঘরের মধ্যে ধান চাল ওলট-পালট করে দিত। চলত পান খাওয়ার আড্ডা আর হাসি-আনন্দ। আবার অনেক সময় সুরে সুরে গীত। ঢেঁকি নিয়ে কত গানই না রয়েছে। ও ধান কোটেরে ঢেঁকিতে পাড় দিয়া, ঢেঁকি নাচে আমি নাচি হেলিয়া দুলিয়া...।





ছবি: অন্তর্জাল থেকে



এখন সেই শব্দ আসবে কোথা থেকে? এখন নবান্ন আসে নীরবে। কৃষকের বাড়ি ঢেঁকি নেই, বধূর কণ্ঠে নেই ধানভানা গান। তামাম বাংলাদেশ তন্নতন্ন করে খুঁজে এখন ঢেঁকিঘর মেলানো ভার। এই প্রজন্মের কাছে ঢেঁকি অচেনা এক অন্যরকম বস্তু, অচেনা এক আদিম যন্ত্র। ধান ভাঙাতে যেমন ইঞ্জিন মোটরচালিত যান্ত্রিক কল, তেমনই সব কিছুতেই প্রযুক্তির ছোঁয়া। পাল্টে গেছে জীবনযাত্রা যেমন, তেমনই খ্রিস্টপূর্বের ধান ভানা ঢেঁকি হারিয়ে গেছে।



প্রায় ৪০ হাজার বছরের পুরনো সেই উৎসবের নাম মাটির সঙ্গে চির বন্ধনযুক্ত নবান্ন উৎসব। 'নবান্ন' শব্দটির আভিধানিক অর্থ 'নতুন অন্ন'। 'দুধ, গুড়, নারকেল, কলা প্রভৃতির সঙ্গে নতুন আতপ চাল খাবার উৎসব' বিশেষ। উৎসবেরও একটি আভিধানিক ব্যাখ্যা রয়েছে। তা হলো হৈমন্তিক ধান কাটার পর অগ্রহায়ণ মাসে অনুষ্ঠিত একটি উৎসব। সেই অনাদিকাল থেকে কৃষি সভ্যতার ক্রমবিকাশের সঙ্গে সঙ্গে গ্রাম বাংলায় পালিত হয়ে আসছে এ উৎসব।

মন্তব্য ৫৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৫৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫২

ঢাকাবাসী বলেছেন: অপুর্ব সব ছবি কবিতা আর চমৎকার বর্ণনা! সদ্য আগত হেমন্তটাই অসম্ভব সুন্দর হয়ে গেল।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৬

গোর্কি বলেছেন:
যে হেমন্তকে আমরা একটু অবহেলাই করি সেই হেমন্তেই আবহমান বাংলার প্রকৃত পরিচয় ফুটে ওঠে।

অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ঢাকাবাসী। ভাল থাকবেন।

২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৯

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: আপনার ছবি আর বর্ণনা হেমন্তকে অনুভবে বাধ্য করেছেন ! ইচ্ছে করছে কোথাও গিয়ে ছুটি কাটিয়ে আসি !
শুভেচ্ছা গোর্কি ।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৩

গোর্কি বলেছেন:
দেশে থাকলে গ্রামের বাড়িতে কয়েকদিনের জন্য ঘুরে আসতে পারেন। হরেম রকমের পিঠা আর সবজি খিচুরি হাতছানি দিচ্ছে আমায়।

আপনাকেও শিউলি ফুলের শুভেচ্ছা। ভাল থাকবেন।

৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৩

মামুন রশিদ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট! নবান্নের শুভেচ্ছা!

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৫

গোর্কি বলেছেন:
আপনাকেও নবান্নের শুভেচ্ছা। অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২০

শুকনোপাতা০০৭ বলেছেন: অসাধারন একটা পোষ্ট :) আচ্ছা,প্রথম কবিতার লাইন গুলো কোন কবির?

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১০

গোর্কি বলেছেন:
কবিগুরুর "হিমের রাতে ওই" গানটি

হিমের রাতে ওই গগনের দীপগুলিরে
হেমন্তিকা করল গোপন আঁচল ঘিরে॥
ঘরে ঘরে ডাক পাঠালো-- "দীপালিকায় জ্বালাও আলো,
জ্বালাও আলো, আপন আলো, সাজাও আলোয় ধরিত্রীরে।'
শূন্য এখন ফুলের বাগান, দোয়েল কোকিল গাহে না গান,
কাশ ঝরে যায় নদীর তীরে।
যাক অবসাদ বিষাদ কালো, দীপালিকায় জ্বালাও আলো--
জ্বালাও আলো, আপন আলো, শুনাও আলোর জয়বাণীরে॥
দেবতারা আজ আছে চেয়ে-- জাগো ধরার ছেলে মেয়ে,
আলোয় জাগাও যামিনীরে।
এল আঁধার দিন ফুরালো, দীপালিকায় জ্বালাও আলো,
জ্বালাও আলো, আপন আলো, জয় করো এই তামসীরে॥কবিগুরুর "হিমের রাতে ওই" গানটি
হিমের রাতে ওই গগনের দীপগুলিরে
হেমন্তিকা করল গোপন আঁচল ঘিরে॥
ঘরে ঘরে ডাক পাঠালো-- "দীপালিকায় জ্বালাও আলো,
জ্বালাও আলো, আপন আলো, সাজাও আলোয় ধরিত্রীরে।'
শূন্য এখন ফুলের বাগান, দোয়েল কোকিল গাহে না গান,
কাশ ঝরে যায় নদীর তীরে।
যাক অবসাদ বিষাদ কালো, দীপালিকায় জ্বালাও আলো--
জ্বালাও আলো, আপন আলো, শুনাও আলোর জয়বাণীরে॥
দেবতারা আজ আছে চেয়ে-- জাগো ধরার ছেলে মেয়ে,
আলোয় জাগাও যামিনীরে।
এল আঁধার দিন ফুরালো, দীপালিকায় জ্বালাও আলো,
জ্বালাও আলো, আপন আলো, জয় করো এই তামসীরে॥

অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
রবীন্দ্রনাথকে যদি বর্ষা আর নদীর কবি বলা যায়, তাহলে জীবনানন্দ হেমন্ত আর প্রান্তবেরর কবি।

উদ্ধৃত কথাটার সাথে আমি একমত।

‘হেমন্ত’ ও ‘নবান্ন’র উপর ভালো একটা গবেষণা করেছেন বোঝা গেলো। পোস্ট খুব ভালো লাগলো। সুফিয়া কামালের কবিতাটা খুব ভালো লাগলো- সেই সাথে তাঁর ‘পল্লীস্মৃতি’ কবিতাটার কথা মনে পড়ে আমিও চলে গেলাম আমার বাল্যকালে- আমার মাকে দেখেছি নতুন ধান সিদ্ধ করে রোদে শুকাতো, আমাদের একটা ঢেঁকিঘর ছিল- সেখানে ধান ভানা হতো। কয়েকদিন আগে আমার ছেলেমেয়েদের সাথে কথা হচ্ছিল; কেউ ঢেঁকি দেখেছে কিনা জানতে চাইলে ওরা অবাক হয়ে বললো- ঢেঁকি কী?

আবারও পোস্টে ভালো লাগা জানাচ্ছি।

শুভ কামনা।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৪

গোর্কি বলেছেন:
সত্তর দশকের শুরুতেই গ্রামবাংলায় ইঞ্জিনচালিত ধান ভাঙার কল আমদানি শুরু হয়। ৯০ দশক থেকে ঢেঁকির প্রচলন দ্রুত হ্রাস পেতে থাকে। এরপর থেকেই ধীরে ধীরে ঢেঁকি শিল্প পর্যায়ক্রমে বিলুপ্ত হতে থাকে। যে ঢেঁকি-গোলা ছাড়া গৃহস্থ বাড়ি মানাত না, সেই গৃহস্থ তথা কৃষিবাড়িতে এখন ওসবের বালাই নেই। বহু খুঁজে হাতে গোনা কয়েকটি বাড়িতে ঢেঁকির হদিস মিললেও মিলতে পারে। আমি নিজেও বাংলাদেশের বহু গ্রাম ঘুরে ঢেঁকির হদিস পাইনি বিগত একযুগ ধরে।

"কয়েকদিন আগে আমার ছেলেমেয়েদের সাথে কথা হচ্ছিল; কেউ ঢেঁকি দেখেছে কিনা জানতে চাইলে ওরা অবাক হয়ে বললো- ঢেঁকি কী?"

খুব স্বাভাবিক একটি প্রশ্ন বা কৌতূহল।

নবান্নের শুভেচ্ছা। অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪০

ড. জেকিল বলেছেন: আহা! সোনালী মাঠ... সিদ্ধ ধানের গন্ধ...ঢেকির শব্দ... অনেক মিস করি দিন গুলো।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৬

গোর্কি বলেছেন:
নুয়ে পড়া সোনালী ধানের শীষ, ক্ষেত মাঠে পড়ে আছে খড়; সেদ্ধ ধানের ঘ্রাণ, মজাদার সব শীতকালীন পিঠা - হয়ত এখনও পাবেন। কিন্তু ঢেঁকির সুরেলা শব্দ পাবেন কিনা সন্দেহ! হাতে সময় ও সুযোগ থাকলে ঘুরে আসুন না একবার গ্রাম-বাংলায়।

নবান্নের শুভেচ্ছা। অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

৭| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনার পোস্ট থেকে শীতের আমেজ পাওয়া গেলো। আমার প্রিয় ঋতু শুরু হয়েছে।

কবিতাংশগুলোও উপভোগ করলাম। বিশেষ করে --

ঐ খানে একজন শুয়ে আছে — দিনরাত দেখা হত কত কত দিন
হৃদয়ের খেলা নিয়ে তার কাছে করেছি যে কত অপরাধ;
শান্তি তবু: গভীর সবুজ ঘাস ঘাসের ফড়িং
আজ ঢেকে আছে তার চিন্তা আর জিজ্ঞাসার অন্ধকার স্বাদ।


শুভকামনা ভাইয়া

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩১

গোর্কি বলেছেন:
ভালবাসার আগে যেমন ভাললাগা তেমনি শীতের আগের প্রায়শীতকে আমার হেমন্ত মনে হয়।

উপভোগ করুন প্রিয় ঋতু। হৈমন্তিক শুভেচ্ছা রইল। অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

৮| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৭

ধূর্ত উঁই বলেছেন: চমৎকার। খুব ভাল লেগেছে। হেমন্ত এমনকি বাংলা সাহিত্যে হেমন্ত বিষয়ক গবেষনার একটু ছোয়াও পেলাম। তথ্যনির্ভর ও উপভোগ্য পোস্টে ধন্যবাদ। :)

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫০

গোর্কি বলেছেন:
পোস্ট পাঠ প্রতিক্রিয়ার জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। নবান্নের শুভেচ্ছা। ভাল থাকবেন।

৯| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৭

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: যথারীতি নাইস পোস্ট!

আপনে আপনার পোস্টগুলা খুব যত্ন সহকারে রেডি করেন সেটা আপনার পোস্ট দেখে এবং পড়ে খুব সহজে বোঝা যায়

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৯

গোর্কি বলেছেন:
"আপনে আপনার পোস্টগুলা খুব যত্ন সহকারে রেডি করেন সেটা আপনার পোস্ট দেখে এবং পড়ে খুব সহজে বোঝা যায়"

শরমিত হইলাম! শুধু আমি কেন? আমরা সবাই পোস্ট সহজ, সুন্দর এবং নির্ভুলভাবে সাজাতে চেষ্টার ত্রুটি রাখি না। সহজবোধ্য ভাষায় লেখা পোস্ট ভাল লেগেছে জেনে প্রীত হলাম।

নবান্নের শুভেচ্ছা। অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

১০| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০১

শোভ বলেছেন: কলের মিশিনে ধান ভাংগানোর পর থেকে আর ঢেকি ডেখা যায় না । একটা গান ছিল " ও বৌ ধান বানেরে ঢেকিতে ফেলিয়া বৌ নাচে , ঢেকি নাচে হেলিয়া দুলিয়া , ও বৌ ধান বানে রে..."

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২২

গোর্কি বলেছেন:
কথাগুলো যথার্থ বলেছেন এবং ভাল লাগল।
নবান্নের শুভেচ্ছা। অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

১১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১২

হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৩

গোর্কি বলেছেন:
নবান্নের শুভেচ্ছা। অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

১২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২২

মশিকুর বলেছেন:
গ্রামের বাড়িতে হেমন্তের আগমন সহজেই চোখে পরে। কিন্তু পোস্ট পড়ে হেমন্ত অনুভব করে মাতাল হলাম। অবশ্যই আপনার লেখার গুনে। প্রিয় কবি, কবিতা, উৎসব, ছবি এবং বর্ণনা সবই অসাধারন।

নবান্নের শুভেচ্ছা।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৬

গোর্কি বলেছেন:
মন্তব্য পড়েই বোঝা যায়, গ্রামের বাড়ির সাথে আপনার নিবিড় একটা সম্পর্ক আছে। আসুন বেশি বেশি পিঠা খেয়ে নিই। জীবদ্দশায় হয়তবা কোনো একদিন দেখব বা শুনতে পাবো যে, পিঠা বিলুপ্তির পথে।

পোস্ট ভাল লেগেছে জেনে খুশী হলাম। আপনাকেও নবান্নের শুভেচ্ছা। অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

১৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৯

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: উৎসবের মৌলিকত্ব এখন আর আগের মতো নেই, উৎসব এখনও আছে। শুধু ঢেকি নয়, অনেক কৃষিযন্ত্রের নাম আমরা ভুলতে বসেছি। অথচ এক সময় ৮০% ভাগ জাতীয় আয় আসতো কৃষি থেকে।

লেখা এবং ছবি - সবই ভালো লেগেছে। আপনার লেখায় যে কোন পাঠক ফিরে যেতে পারবে ছোটবেলার দিনগুলোতে।

শুভেচ্ছা জানবেন, গোর্কি :)

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫০

গোর্কি বলেছেন:
ট্রাক্টরের ব্যাপক প্রসার কৃষি ক্ষেত্রে এখনও বিস্তার লাভ করে নি। তাই এখনও আদি যন্ত্রপাতিগুলোর নাম বিদ্যমান। তবে নিকট ভবিষ্যতে এগুলোও হয়তবা বিলুপ্তির পথে এবং জাদুঘরে স্থান পাবে।

ঐহিকে কোনো কিছুই এক জায়গায় চিরকালের জন্য থেমে থাকে না। তা বিকাশমান ও পরিবর্তনশীল। সুস্থ সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের গ্রহণ-বর্জনের ধারার ব্যাপকতা ও পরিপুষ্টি এই বিকাশে সাহায্য করে।

আপনাকেও নবান্নের শুভেচ্ছা। অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

১৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৭

এম মশিউর বলেছেন: প্রিয় গোর্কি,
হেমন্তের প্রথম দিকে আমিও একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সত্যিই হেমন্তকে অনুভব করার মত রূপ-বৈচিত্র ছড়িয়ে রেখেছে তার প্রকৃতিতে।

হেমন্তের ফুলেল শুভেচ্ছাসহ ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০২

গোর্কি বলেছেন:
জ্বী, আমার মনে আছে পোস্টটির কথা। সেখানে আমার এই পোস্টের কিয়দংশ আপনার লেখাতে মন্তব্য হিসেবে ছিল।

নবান্নের শুভেচ্ছা। অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন সুপ্রিয়।

১৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৯

অদৃশ্য বলেছেন:
শ্রদ্ধেয় প্রিয় গোর্কি

এই লিখাটি পাঠে শুধুই মুগ্ধতা... আপনার স্মৃতিচারণ, ঋতু নিয়ে ভাবনা, কবিতাংশগুলো ও সাথে অপুর্ব কিছু ছবি যা কিনা আমাকে ছোটবেলাকার অনেক স্মৃতি ও কথা মনে করিয়ে দিলো... আপনার প্রতিটি লিখনিতে আন্তরিকতা, অনুভব, আবেগ যেন টইটুম্বুর হয়ে থাকে...

এই যে শেফালি ফুলের কথা বললেন... এই ফুল ও তার গাছ নিয়ে আমার অনেক স্মৃতি আছে... আর আমার নানা বাড়িতে ছোটবেলায় আমি ঢেঁকির ব্যবহার দেখেছি... তখন অবশ্য আমার ওজনে ঢেঁকি উঠতোনা... তবে অন্যের পায়ের সাথে তাল মেলাতাম... আমার সৌভাগ্য... এখন এর ব্যাবহার নেই বললেই চলে...

অপুর্ব ভাবনার অপুর্ব প্রকাশ...

শুভকামনা...

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৮

গোর্কি বলেছেন:
আপনার প্রতিটি মন্তব্য এতটাই হৃদয় উজাড় করা এবং মনোমুগ্ধকর যে এরপর আর প্রতিউত্তরে বলার কিছু থাকে না শুধু মুগ্ধতা ছাড়া। মন্তব্যে সুপার লাইক। হৈমন্তিক ও নবান্নের হৃদয় নিংড়ানো শুভেচ্ছা।অনেক অনেক ধন্যবাদ। খুব ভাল থাকুন সুপ্রিয় ভাইটি।

১৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৯

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:

চমৎকার পোস্ট।
অফলাইনে পড়ছিলাম, অনলাইন হতে বাধ্য হলাম।
আপনাকে থ্যাংকস জানান প্রয়োজন।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৭

গোর্কি বলেছেন:
নবান্নের শুভেচ্ছা। অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

১৭| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৯

ডট কম ০০৯ বলেছেন: খুব ভাল লাগল ভাই।

এমন লেখাই আরো চাই।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৮

গোর্কি বলেছেন:
ভাল লেগেছে জেনে প্রীত হলাম।
নবান্নের শুভেচ্ছা। অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

১৮| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


চমৎকার পোস্ট +++

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫২

গোর্কি বলেছেন:
নবান্নের শুভেচ্ছা। অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

১৯| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট! চমৎকার লেখনি!! আপনাকে অনুসরনে নিলাম।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪০

গোর্কি বলেছেন:
আপনাকেও অনুসরণ করলাম। নবান্নের শুভেচ্ছা। অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

২০| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৩

সুমন কর বলেছেন: বরাবরের মতো অনেক শ্রম ও নিষ্ঠা দিয়ে তৈরি করেছেন পোস্টটি। পড়তে পড়তে ছেলেবেলার মামার বাড়ির স্মৃতি মনে পড়ে গেল। অনেক মজা হতো। শীত, পিঠা, নতুন ধানের ঝাউ ভাত, সব ভাই-বোনরা মিলে আনন্দ করা। সুন্দর পোস্ট।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৫

গোর্কি বলেছেন:
আপনার মন্তব্য পাঠোত্তর পরিযায়ী পাখী হতে খুব ইচ্ছে করছে। শীতে গ্রামের বাড়িতে প্রভাতে সদ্য উনুন থেকে নামানো গরম গরম হরেক রকমের পিঠা সহকারে প্রাতরাশ সম্পন্ন - শহরে কোনো কালেই উপলব্ধি করি নি।

নবান্নের শুভেচ্ছা। অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

২১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:১২

বোকামন বলেছেন:






তৃপ্তপাঠ !
পোস্টে জানাই হৈমন্তিক ভালোলাগা ।

আমাদের বাংলাভাষাটা খুবই মিষ্টি একটা ভাষা এবং তার প্রমাণ মেলে এমনই সব লেখায় । আপনি লিখুন, আমরা পাঠক মুগ্ধ হতে থাকি :-)
হে নাবিক, হে নাবিক, জীবন অপরিমেয় বাকী
সে জীবনে আমি বাংলাকেই বড্ড বেশী মিস করি ...

শুভেচ্ছা এবং সালাম ।।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০১

গোর্কি বলেছেন:
আপনিসহ আরও কয়েকজন সন্মানিত লেখক আছেন যাঁদের ধ্রুপদী লেখায় মন্তব্য করা এবং মন্তব্যের প্রতিউত্তর দেয়াটা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। আপনার সুচিন্তিত, গঠনমূলক মতামত সবসময় আমাকে উৎসাহিত করে এবং অনুপ্রেরণা ও উদ্দীপনা যোগায়। আপনিও শুভেচ্ছা ও সালাম জানবেন।

অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

২২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩০

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: খুব ভালো লাগলো।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩

গোর্কি বলেছেন:
নবান্নের শুভেচ্ছা। অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

২৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১০

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
চমৎকার পোস্টে অনেক ভাল লাগা রইল। :)

আপনি শরৎ নিয়ে একটা চমৎকার পোস্ট দিয়েছিলেন শরৎ কালে, আমার মনে আছে। :)

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৭

গোর্কি বলেছেন:
আপনার স্মরণ শক্তির প্রশংসা না করে পারছি না। ভাল লেগেছে জেনে খুশী হলাম।

নবান্নের শুভেচ্ছা। অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

২৪| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩১

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: হেমন্তকে একদম অনুভব করিয়ে ছাড়লেন প্রিয় ভাই ।
প্রিয়তে নিতে বাধ্য হলাম তাই ।

ভাল থাকুন প্রিয় ভাই ।

শুভকামনা রইল ।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:০৮

গোর্কি বলেছেন:
প্রতিউত্তর দেয়ায় বড্ড দেরি হয়ে যাওয়াতে আন্তরিকভাবে দুঃখিত। পোস্ট ভাল লাগাতে খুব প্রীত হলাম। ভাল থাকবেন সুহৃদ।

২৫| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৫৭

রৌহান খাঁন বলেছেন: নিচের লিংকে নেইমার টা কে সেটা একটু দেখে আসবেন :P

Click This Link

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১০

গোর্কি বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

২৬| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৪৯

এহসান সাবির বলেছেন: নতুন বছরের শুভেচ্ছা ভাই!

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১২

গোর্কি বলেছেন:
আপনার জন্যও আন্তরিক শুভেচ্ছা। অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

২৭| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:০৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনেক স্মৃতি ডেকে আনল পোস্টটা। ধন্যবাদ জানবেন সুপ্রিয়।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১৪

গোর্কি বলেছেন:
আন্তরিক শুভেচ্ছা জানবেন। অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন সুহৃদ প্রোফেসর।

২৮| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:২৮

অদৃশ্য বলেছেন:






শ্রদ্ধেয় প্রিয় গোর্কি কি আমাদের ছেড়ে পালিয়ে যাবার প্লান করছেন... নাকি করেই ফেলেছেন...

তাতে আমাদের হতাশাই বাড়বে...

শুভকামনা...

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:২০

গোর্কি বলেছেন:
নাহ! নাহ!! পলিয়ে যাব কোথায়? দপ্তরিক ব্যস্ততার কারণে কিছুদিন অফ ছিলাম। এখন আবার সচল হবার আশা রাখি। সাথে আছেন দেখে মনটা প্রসন্ন। কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা নেই। খুব খুব ভাল থাকবেন সুপ্রিয় ভাইটি। শুভকামনা প্রতিক্ষণ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.