নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গণতন্ত্র সমাজতন্ত্র ধর্মনিরপেক্ষতা ও জাতীয়তাবাদ

গোর্কি

ফেইসবুক: মাতরিয়শকা

গোর্কি › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলা ও বাঙালির বিবর্তনের পথ পরিক্রমা ( ১ম পর্ব )

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৫০

আজকের বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চলের অধিবাসীরা বহু প্রাচীন কালেই একটি বর্ণসংকর জাতে পরিণত হয়। বিভিন্ন নরগোষ্ঠীর লোক বিভিন্ন দিক হতে বিভিন্ন সময়ে এসে এ অঞ্চলে বসতি স্থাপন করে এবং কালক্রমে পরস্পরের মধ্যে রক্তের মিশ্রণ ঘটে। এমন কি যেটাকে হিন্দু-বৌদ্ধ আমল বলা হয়, তখনও এ দেশে খাঁটি আর্য রক্ত ছিল না। শুধু যে রক্তের মিশ্রণ ঘটেছিল তাই নয়; এনিমিজম, ম্যাগানিজম, বৌদ্ধমত প্রভৃতির মিশ্রণে একটি সমন্বিত লোকধর্মও তৈরী হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে এটাও সত্য যে, সেই প্রাচীন কালেই বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চলের মানুষ একটি বর্ণসংকর জাতে পরিণত এবং একটি সমন্বিত লোকাচারমূলক ধর্মে বিশ্বাসী হয়ে উঠলেও আজকের দিনে আমরা জাতি বলতে যা বুঝি তেমন কোনো চেতনা বাংলাসহ ভারতবর্ষের কোনো অঞ্চলে ছিল না। সেকালে রাজায় রাজায় যুদ্ধ হত। ভাড়াটে সৈন্যরা যুদ্ধ করতো। মাঝখানে পড়ে উলুখড়ের প্রাণ যেত। বৈদেশিক আক্রমনকেও ওভাবেই দেখা হতো। গ্রীক, শক, হুন, মোগল প্রভৃতি বিজয়ীরা ' এই ভারতবর্ষের মহামানবের সাগরতীরে এসে এক দেহে লীন ' হয়ে গেলো। কিন্তু যা সম্পূর্ণরূপে লীন হলো না, সেটি হচ্ছে বিভিন্ন অঞ্চলের ভাষা। প্রাচীন দেশজ শব্দের সংমিশ্রণে নতুন নতুন সহজবোধ্য ভাষা গড়ে উঠলো। বাংলা ভাষা তার একটি।



কিন্তু বাংলা ভাষা খুব একটা প্রাচীন নয়। তার প্রমাণ লিখিত দলিল এখনো চর্যাপদ। চর্যাগান রচয়িতাদের কাল অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতাব্দী ধরা হয়-ইতিহাসের কাল বিচারে এটা খুব একটা দীর্ঘ সময় নয়। তার আগেও এ দেশে মানুষের বসতি ছিল। তারা কী ভাষায় কথা বলতো জানা নেই। লিখিত ভাষা না থাকলেও ভাব-বিনিময়ের মাধ্যম কথ্য ভাষা ছিল। হয়ত বিভিন্ন কৌম নিজ নিজ ভাষায় কথা বলতো। এসব কৌমের মধ্যে কখন পারস্পরিক যোগাযোগ স্থাপিত হয় তার সঠিক সময়কাল সম্পর্কে অজানা। কিন্তু জনসংখ্যার বৃদ্ধির ফলে পণ্য বিনিময়ে আবশ্যকতা অনুভূত হয়ে থাকবে। রাজা শশাঙ্কের সময়ে মুদ্রা প্রচলিত থাকায় প্রমাণিত হচ্ছে যে, চর্যাপদ রচনার বহুকাল পূর্বেও এ দেশে অল্পবিস্তর ব্যবসা-বানিজ্য হতো। সুতরাং বিভিন্ন কৌমের ভাষার সংমিশ্রণে একটি সর্বজনবোধ্য ভাষার উদ্ভব হয়ে থাকবে। উত্তর ভারতীয় আর্যগণ তাদের ভাষা নিয়ে এ দেশে প্রবেশ করে। শেষোক্তদের ভাষার সঙ্গে প্রথমোক্ত সাধারণের ভাষার সংমিশ্রণের ফলে চর্যাপদের ভাষার উদ্ভব কি না সে বিষয়ে ভাষাতত্ত্ববিদগণের সুস্পষ্ট রায় নেই। বর্তমান কালে প্রচলিত বাংলা ভাষার মধ্যেও এমন বহু শব্দ রয়েছে যেগুলো এ দেশের আদিবাসীদের কথ্য ভাষা হতে এসেছে। লক্ষনীয় যে, সংস্কৃত ভাষাতেও বহু অনার্য শব্দ রয়েছে। গ্রহণ-বর্জন যে কোনো উন্নত ভাষার ধর্ম। জাতি গঠনে অনেক উপাদান কাজ করে। তার মধ্যে প্রধান উপাদান ভাষা। বিশালায়তন ভূভাগের লোকজন যখনই একই ভাষায় ভাব-বিনিময় করে তখন তাদের ঐক্য-চেতনার উদ্ভব হতে বাধ্য। দ্বিতীয় উপাদান অভিন্ন পণ্য উৎপাদন পদ্ধতি।



এই দুইয়ের সংমিশ্রণে যে অধিকাঠামো তৈরী হয়, তার নাম সামাজিক এবং সংস্কৃতি ও সভ্যতা, তার মান যাই হোক। বর্তমান কালে ধর্ম শব্দটিকে আমরা যে অর্থে ব্যবহার করি সেটা আদিম মানব সমাজের নৈসর্গিক জগৎ সম্পর্কিত নানা রকম চিন্তা-ভাবনা, ধ্যান-ধারণার ক্রমোন্নত রূপ এবং সেভাবেই ধর্ম সংস্কৃতির অন্যতম উপাদান হিসেবে এসেছে। ধ্বনির প্রতীকরূপে ব্যবহৃত লিপি আবিষ্কৃত হওয়ার পূর্বে ভাষার জন্ম। এক কৌমের সঙ্গে আরেক কৌমের সংমিশ্রণের ফলে মুখে মুখে কথিত বহু ভাষা বা বুলি লোপ পেয়েছে। এমন কি লিপির সহায়তায় লিখিত কোনো কোনো ভাষাও এখন বিলুপ্ত। মহেঞ্জাদারোতে প্রাপ্ত লিপি এর অন্যতম দৃষ্টান্ত।



চর্যাপদ রচনাকাল পরবর্তী কমপক্ষে আড়াই'শ বছরকাল বাংলা সাহিত্যের ক্ষেত্রটি প্রায় অনাবাদি ছিল। আমাদের জানামতে ঐ সময়ের মধ্যে কোনো উল্লেখযোগ্য বাংলা গ্রন্থের সন্ধান পাওয়া যায় নি। এর কারণ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার অভাব, ব্যাপক অশিক্ষা, দেশীয় ভাষার প্রতি ব্রাক্ষণদের বিরূপতা প্রভৃতির যে কোনো একটি অথবা সব কয়টি হতে পারে। এই কমবেশি আড়াই'শ বছরকাল মধ্যে সমগ্র বাংলাভাষী অঞ্চলে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ইরান, মধ্য এশিয়া এবং ভারতীয় নানা মতবাদ আত্মীয়করণান্তে আগত ইসলাম ধর্মও এ সময়ের মধ্যেই বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চলের সর্বত্র কমবেশি প্রবেশ করে। উল্লেখযোগ্য যে, মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর দ্বিতীয় বার বাংলা ভাষার চর্চা শুরু হয়। চর্যাপদ পরবর্তী বাংলা সাহিত্যের মধ্যে রামাই পন্ডিতের শূন্যপুরাণ এবং কৃত্তিবাস ওঝা অনূদিত রামায়ণ উল্লেখযোগ্য। শূন্যপুরাণের রচনাকাল নিয়ে মতভেদ আছে। উক্ত গ্রন্থের শ্রীনিরঞ্জনের রুষ্মা বা কালিমা জালালিতে সাধারণ মানুষের উপর ব্রাক্ষণদের নিপীড়নের বর্ণনার সঙ্গে মুসলিম আগমনের বিষয়টিও উল্লেখ আছে। ডক্টর মুহম্মদ এনামুল হকের মতে উক্ত অংশটি ত্রয়োদশ শতাব্দীর শেষের দিকের রচনা। 'হাতে নিয়ে চির কামঠা পায় দিয়া মজা / গৌরে বলান গিয়া ধর্ম রাজা' এবং নিরঞ্জন স্বর্গ হতে অবতীর্ণ হয়ে 'মুখেতে বলেন দম্মাদার' প্রভৃতি অংশ লক্ষ্য করে ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ মনে করেন, শূন্যপুরাণের এই দ্বিতীয় অংশ ১৪৩৬ খ্রিষ্টাব্দের পরে কোনো সময়ের রচনা।



অপরদিকে গৌড়ের মুসলিম সুলতানের আনুকূল্যেই কৃত্তিবাস ওঝা রামায়ণ অনুবাদ করেন। এ রচনাও পঞ্চদশ শতাব্দীর। চন্ডীদাসসহ সেকালের প্রায় সব বিখ্যাত কবিই গৌড়ের স্বাধীন সুলতানের পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেছিলেন। হুসেন শাহী বংশের (১৪৯৩ - ১৫৩৮) রাজত্বকালে উল্লেখযোগ্য রচনা বাংলার প্রথম বিদ্যাসুন্দর কাহিনী, মনসামঙ্গল এবং ব্রজবুলিতে রচিত পদাবলী। শ্রী চৈতন্যের আবির্ভাবও ঘটে এ সময়ে (১৪৮৫ - ১৫৩৩) প্রথম বাঙালি মুসলিম কবি শাহ মুহম্মদ সগীরও এ সময়ের লেখক। এ সময়ের আরো কিছু উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, ইবনে বতুতার সফরকালে (১৩৪৫ - ১৩৪৬) 'বাঙ্গালাহ' বলতে পূর্ব ও দক্ষিণ বঙ্গকে বোঝাতো। তাঁর বর্ণনা থেকে বোঝা যায় যে, সে সময়ে দক্ষিণ ও পূর্ব বঙ্গের অধিবাসীদের বাঙালি বলা হতো। সোনারগাঁও সুলতান ফখরুদ্দীনের রাজধানী ছিল। সুলতান শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহের রাজত্বকালে (১৩৪২ - ১৩৫৮) বাঙ্গালা ও বাঙালি নাম উত্তর পশ্চিম বঙ্গে বিস্তৃতি লাভ করে। লক্ষণাবতী ও বাঙ্গালা একত্র হয়ে যায়। সুলতান এই যুক্ত অঞ্চলকে 'বাঙ্গালা' এবং তার অধিবাসীদের বাঙালি নাম দেন। শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ নিজে 'শাহ-ই-বাঙ্গালা' ও 'শাহ-ই-বাঙালি' উপাধি ধারণ করেন। মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠার পূর্বে বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চল অব্দ, ত্রব্দ, রাঢ়, বরেন্দ্র, গৌড়, লক্ষণাবতী, পুণ্ড্রবর্ধন, সমতট, পট্টিকেরা প্রভৃতি নামে পরিচিত ছিল। সুলতান শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহের রাজত্বকালেই সর্বপ্রথম বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চল বাঙ্গালাসহ (পরবর্তী কালে বঙ্গদেশ) এবং তার অধিবাসীরা বাঙালি নামে পরিচিত লাভ করে। লক্ষনীয় যে, বাংলা সাহিত্যের ব্যাপক চর্চা এবং সমগ্র বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চলের বাঙ্গালাহ ও তার অধিবাসীদের বাঙালি নামের উদ্ভব প্রায় একই সময়ের ঘটনা। সেকালে ভারতবর্ষে কেন পৃথিবীর প্রায় কোথাও ভৌগোলিক জাতীয়তাবাদ নামের কোনো বিমূর্ত বস্তু ছিল না। রাজ্য ছিল, সাম্রাজ্য ছিল, সম্রাটের নামমাত্র অধীন সামন্ত নৃপতিরা ছিলেন কিন্তু মাতৃভূমিকেন্দ্রিক ব্যাপক আনুগত্য ছিল না। রাজা মহারাজারা সিংহাসনে আরোহণ করেই ভাড়াটে সেনানাহিনী নিয়ে দিগ্বিজয়ে বের হতেন। দিগ্বিজয় করতে গিয়ে অনেকে মাতৃভূমি হারাতেন। দৃষ্টান্ত বাবর।



নামের সঙ্গে পিতার নাম যুক্ত হওয়ার পর ব্যক্তি মানুষের স্বাতন্ত্র্য প্রমাণিত হয়। ভাষাগত ঐক্য স্থাপিত এবং আবাসভূমি চিহ্নিত হওয়ার পূর্বে জাতিগত স্বাতন্ত্র্য প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। এদিক থেকে বিচার করলে বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চলের বর্তমান নাম এবং তার অধিবাসীদের স্বতন্ত্র জাতিগত পরিচিতির জনক সুলতান শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ। কিন্তু নাম দেওয়া মাত্র স্বাতন্ত্র্য স্থাপিত হয় না। স্বাতন্ত্র্যের কিছু অসাধারণত্ব যুক্ত হওয়ার পর সমাজে ব্যক্তির প্রকৃত স্বাতন্ত্র্য প্রতিষ্ঠিত হয়। অসাধারণত্ব হচ্ছে ব্যক্তির কাজকর্ম। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল ইসলাম প্রমুখ ব্যক্তির কাজকর্ম তাঁদেরকে সমাজে স্বতন্ত্র ব্যক্তিরূপে প্রতিষ্ঠিত করেছে। কিন্তু স্বতন্ত্র জাতিগত প্রতিষ্ঠা এক দুই পুরুষে হয় না। এক দুই জনের অসাধারণত্ব তার জন্য যথেষ্ট নয়। অধিবাসীদের পুরুষানুক্রমে কৃত কাজকর্ম যখন বৈশিষ্ট্যের মহিমায় মহিমান্বিত হয়ে ওঠে তখনই স্বতন্ত্র জাতিগত পরিচয় প্রতিষ্ঠিত হয়। মূলে অভিন্ন উপাদান-মাধ্যম ও পদ্ধতি এবং জীবনযাপন-প্রণালী কাজ করে। এই অবকাঠামো হতে গড়ে ওঠে সমন্বিত লোকসংস্কৃতি। সমাজের সকল স্তর ও শ্রেণীর সংস্কৃতি কোনো দেশেই সম্পূর্ণরূপে এক হয় না। আবার নগর সংস্কৃতি এবং পল্লীগ্রামের সংস্কৃতির মধ্যেও পার্থক্য আছে। কিন্তু এই পার্থক্য ও শ্রেণীভেদ সত্ত্বেও প্রায় প্রতিদিন প্রতিটি স্তর ও শ্রেণীর লোক লেনদেনের ক্ষেত্রে পরস্পরকে মোকাবেলা করতে বাধ্য হয়। এই প্রক্রিয়ার সকল শ্রেণীর মধ্যে ফল্গুধারা-সদৃশ একটি ঐক্য সৃষ্টি হয়। সাহিত্য, সঙ্গীত, বাদ্যযন্ত্র, সামাজিক উৎসব প্রভৃতির মধ্যে আমরা সেই ঐক্য দেখতে পাই। বিশ্বনন্দিত সাহিত্যস্রষ্টারা শুধু স্বশ্রেণীর জন্য রচনা করেন না; তাঁদের রচিত কাব্য, নাটক ও গল্প উপন্যাসে সকল শ্রেণীর মানুষকে যেন আমরা কাতারবন্দী হয়ে দন্ডায়মান দেখতে পাই।





যে সমস্ত গ্রন্থপঞ্জি থেকে রেফারেন্স নেয়া হয়েছে:



* বাঙালির ইতিহাস: ডক্টর নীহাররঞ্জন রায়

* বাংলার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাস: ডক্টর আবদুর রহিম

* বাঙালি ও বাংলা সাহিত্য: ডক্টর আহমদ শরীফ

* মুসলিম বাংলা সাহিত্য: ডক্টর মুহম্মদ এনামুল হক

* বাংলা ও বাঙালির বিবর্তন: শ্রী অতুল সুর

* বাংলা সাহিত্যের কথা: ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

* সাংস্কৃতিকী: ডক্টর সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়



মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৫৪

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
বিসিএস এর জন্য পড়ব ভাবছি। আপনার এই পোষ্ট আমার ব্যপক কাজে লাগবে। :)

ধন্যবাদ সাথে শুভকামনা।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:০৪

গোর্কি বলেছেন:
পোস্ট উপকারে আসলে এর সার্থকতায় ধন্য হবো। ভাল থাকুন অবিরত।

২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৫৯

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: খুব চমৎকার একটা বিষয়ের অবতারণা করেছেন !
সাথেই আছি :)

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:১১

গোর্কি বলেছেন:
সাথে আছেন দেখে মনটা প্রসন্ন। অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন অবিরত।

৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৩০

আরজু পনি বলেছেন:

অসাধারণ একটা সিরিজ হতে যাচ্ছে, সাথেই আছি...
শুভকামনা রইল ।।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:১৪

গোর্কি বলেছেন:
অনেকদিন পর আপনার সাথে দেখা। ভাল আছেন তো? অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকা হোক সবসময়।

৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৪৯

নিশাত তাসনিম বলেছেন: সুন্দর পোস্টটি সংগ্রহে থাকল।

আরজুপনি বলেছেন:

অসাধারণ একটা সিরিজ হতে যাচ্ছে, সাথেই আছি...
শুভকামনা রইল ।।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:২৬

গোর্কি বলেছেন:
আমার ব্লগ বাড়িতে সুস্বাগতম। অনেক ধন্যবাদ জানুন। ভাল থাকুন অবিরত।

৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৫৪

মামুন রশিদ বলেছেন: বাংলা ভাষা আর বাঙালি জাতিসত্বার বিবর্তন নিয়ে দারুণ পোস্ট । ভালো লেগেছে ।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:০০

গোর্কি বলেছেন:
ভাল লেগেছে জেনে প্রীত হলাম। ভাল থাকুন সবসময়।

৬| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:০৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার একটা সিরিজ হতে চলেছে।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:০১

গোর্কি বলেছেন:
ধন্যবাদ। ভাল থাকুন সবসময়।

৭| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:০৮

সুমন কর বলেছেন: ভালো একটি পোস্ট দিয়ে ফিরে আসলেন। চমৎকার পোস্ট। সাথে আছি।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:২৪

গোর্কি বলেছেন:
কিছুটা জড়তা কাটিয়ে ফিরে আসতে পেরে আনন্দিত। সাথে আছেন দেখে ভাল লাগছে। অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন সবসময়।

৮| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:২০

আবু মান্নাফ খান বলেছেন: চলুক। সাথেই আছি

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:২৬

গোর্কি বলেছেন:
আমার ব্লগ বাড়িতে সুস্বাগতম। ধন্যবাদ। ভাল থাকুন অবিরত।

৯| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৩৪

এহসান সাবির বলেছেন: চমৎকার।

চলুক।

সাথে আছি।

ফাগুনের শুভেচ্ছা রইলো।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৯

গোর্কি বলেছেন:
সাথে আছেন দেখে ভাল লাগছে। অনেক ধন্যবাদ। আপনাকেও আগুনঝরা কৃষ্ণচূড়া ফুলের ফাল্গুনী শুভেচ্ছা। ভাল থাকবেন।

১০| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৩৮

মশিকুর বলেছেন:
চমৎকার পোস্ট। চলুক...

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৪১

গোর্কি বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা এবং ভাল থাকবেন।

১১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৩৪

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: সিরিজ ফলো করার ইচ্ছা রইলো

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:০৩

গোর্কি বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন সবসময়।

১২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৩৭

অদৃশ্য বলেছেন:





শ্রদ্ধেয়

গতকাল রাতেই আপনার অতি চমৎকার বিশ্লেষনধর্মী এই লিখাটি আমার চোখে পড়েছে... এবং সাথেই পাঠ করে ফেলেছিলাম... আর তা খুবই আগ্রহের সাথে...

''সেকালে ভারতবর্ষে কেন পৃথিবীর প্রায় কোথাও ভৌগোলিক জাতীয়তাবাদ নামের কোনো বিমূর্ত বস্তু ছিল না। রাজ্য ছিল, সাম্রাজ্য ছিল, সম্রাটের নামমাত্র অধীন সামন্ত নৃপতিরা ছিলেন কিন্তু মাতৃভূমিকেন্দ্রিক ব্যাপক আনুগত্য ছিল না। রাজা মহারাজারা সিংহাসনে আরোহণ করেই ভাড়াটে সেনানাহিনী নিয়ে দিগ্বিজয়ে বের হতেন। দিগ্বিজয় করতে গিয়ে অনেকে মাতৃভূমি হারাতেন। দৃষ্টান্ত বাবর।''

এই অংশটি পড়েই মনে পড়ে গেলো সম্রাট বাবরের কথা... দেশ দখল বা সাম্রাজ্য বিস্তারের নেশা, বহুকষ্ট ও যুদ্ধ শেষ হবার আগেই তিনি তার মাতৃভূমি ''ফারগানা'' হারিয়েছিলেন... অবশেষে কাবুলই তার শেষ আশ্রয় হলো... আর তার পরবর্তী প্রজন্মের জন্য রেখে গেলেন মহা ভারত... যা তার পুত্র, দৌহিত্রদের মাতৃভূমি, চারণভূমি হয়েছিলো...

আপনার লিখাটিতে অনেক তথ্য আছে এবং খুবই স্পর্শকাতর কিছু কথা আছে... যা একজন বাঙালী হিসেবে আমার মনের ভেতরে অনেক প্রশ্নের জন্ম দেয় আমাদের অতীত ও সংস্কৃতি নিয়ে...

খুবই মনযোগ দিয়ে লিখাটি পড়ছি... আশাকরবো আপনি সামনের পর্বগুলোতে যথেষ্ট তথ্য সংযোজন করবেন আমাদের নাজানা বিষয়গুলো জানবার জন্য...

সুপ্রিয় গোর্কির জন্য
শুভকামনা...

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:০৪

গোর্কি বলেছেন:
জাতিসত্বা আত্মপরিচয়ের প্রধান দুটি উপাদান - ভাষা ও তার সংস্কৃতি। পৃথিবীর যেখানেই এর ওপর আক্রমণ এসেছে, সেখানেই প্রতিবাদ, প্রতিরোধ এমনকি যুদ্ধ পর্যন্ত হয়েছে। মোঘল সাম্রাজ্যের একটি ইতিবাচক দিক হলো - তারা পরভুমিকে মাতৃভূমি হিসেবে গ্রহণ করেছিল এবং অনেক ক্ষেত্রেই সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছিল ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে। আপনার সুচিন্তিত আলোচনা পাঠ করে খুব ভাল লাগলো। পাঠ প্রতিক্রিয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন। শুভকামনা রইলো সুপ্রিয় কবি। খুব ভাল থাকা হোক প্রতিনিয়ত।

১৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৫১

বোকামন বলেছেন:
খুব চমৎকারভাবে সাজানো একটি পোস্ট। রেফারেন্স সহ লেখাটি ব্লগ এবং ব্লগ পাঠকদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলা ও বাঙালির বিবর্তন নিয়ে আপনার এই পোস্টটির পথচলাকে স্বাগত জানাচ্ছি। নিয়মিত লিখুন। সাধারণ পাঠকের কৃতজ্ঞতা রইলো।

ইচ্ছে তো থাকে পাঠ প্রতিক্রিয়ায় আলোচনা করার। তবে সময় যে সায় দেয় না। তাই ছোট করেই জানিয়ে গেলুম পোস্টটি ভালোলাগার কথা।

সম্মানিত লেখক,
শুভ কামনা জানবেন।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:০৫

গোর্কি বলেছেন:
আপনার উপস্থিতি আমার কাছে ভীষণ আনন্দদায়ক এবং পাথেয়। পোস্ট প্রশংসায় এবং ভাললাগায় অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভকামনা এবং খুব ভাল থাকুন সুপ্রিয়।

১৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৮

এম মশিউর বলেছেন: চমৎকার একটা পোস্ট।

আরো কিছু তথ্য দিলাম___

নিগ্রোটাঃ বাংলাদেশের প্রাচীন আদিম নরগোষ্ঠী হিসেবে মনে করা হয় 'নিগ্রোটা বা নিগ্রোপ্রতিম' দের।

অস্ট্রিকঃ প্রায় ৬০০০ বছর পূর্বে অস্ট্রেলিয়া ও ইন্দোনেশিয়া অঞ্চল হতে ইন্দোচীন হয়ে অস্ট্রিকরা আগমন করে। বাংলাদেশে এরাই প্রথম কৃষিকাজ শুরু করে।

মঙ্গোলীয়ঃ প্রায় ৪০০০ বছর পূর্বে ইন্দোচীন ও তিব্বত অঞ্চল থেকে এদের আগমন। এরাও কৃষিকাজ জানতো।

বাঙঃ উক্ত অস্ট্রিক ও মঙ্গোলীয় নরগোষ্ঠীর সংমিশ্রণে এবং প্রায় ১০০০ বছর রুপান্তর প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ৩য় ধারার ভাষাভিত্তিক যে নরগোষ্ঠী গড়ে ওঠে তার নাম বাঙ।
বাঙ অর্থাৎ এই ১০০০ বছরে বাঙালি জাতির সংকরায়ন হয়।

অর্থাৎ,
মঙ্গোলীয়দের আগমন ৪০০০ বছর পূর্বে
সংকরায়নের কাল ১০০০ বছর
____________________________
অর্থাৎ বাঙালি জাতির উদ্ভব ৩০০০ বছর পূর্বে। (বিয়োগ করে)

বাঙ নরগোষ্ঠী যে জনপদ গড়ে তোলে তার নাম 'বঙ্গ' ।

ঋগ্বেদের 'ঐতরেয় আরণ্যক' এ প্রথম বঙ্গ জনপদের উল্লেখ পাওয়া যায়। পরবর্তীকালে রামায়ণ-মহাভরতেও বঙ্গের উল্লেখ পাওয়া যায়। অর্থাৎ ভারতের প্রাচীন তিনটি গ্রন্থেই বঙ্গের নাম ছিল।

আর্যঃ ২০০০ খ্রিষ্টপূর্বে ককেশাস অঞ্চল(কৃষ্ণসাগর থেকে কাস্পিয়ান সাগর বরাবর রাশিয়ার নিচ দিয়ে যে পর্বতমাল) থেকে ককেশীয় আর্যরা ভারতে আগমন করে।

বিঃদ্রঃ বিসিএস কোচিং করতে গিয়ে তথ্যগুলো জেনেছি। ক্লাস খাতা দেখে হুবহু তুলে দিলাম। কোন বইয়ের রেফারেন্স দিতে পারলাম না বলে দুঃখিত।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:২১

গোর্কি বলেছেন:
"বাঙালির বিবর্তন বা আত্মপরিচয়" বিষয়টিকে সম্ভবত দুভাগে ভাগ করা যায় - নৃতাত্ত্বিক দিক এবং জাতিগত দিক। নৃতাত্ত্বিক তথ্যগুলো সংযোজন এর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। লেখাটি এগোবে বিবর্তনের জাতিগত দিক নিয়ে। তাই এর নৃতাত্ত্বিক দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনায় যাই নি। আপনার তুলে ধরা সব তথ্যগুলো পোস্টে উল্লেখিত রেফারেন্স গ্রন্থগুলোতে পাওয়া যাবে। গঠনমূলক আলোচনায় আপনাকে পেয়ে খুব ভাল লাগলো। শুভকামনা এবং ভাল থাকুন অবিরত।

১৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:০১

তাসজিদ বলেছেন: অনেক দিন পর সামুতে তথ্যসমৃদ্ধ পোস্ট।
+++++++++++++++

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৪৫

গোর্কি বলেছেন:
পোস্টে ইতিবাচক প্রশংসাবাদের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানবেন। শুভকামনা এবং ভাল থাকা হোক সবসময়।

১৬| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:২৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দারুন একটা পোষ্ট! ইদানিং ব্লগে এই ধরনের প্রয়োজনীয় পোষ্ট কমে যাচ্ছে। খুব আগ্রহ নিয়ে বাকি পর্বগুলোর জন্য অপেক্ষা করছি।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৩৫

গোর্কি বলেছেন:
আপনাদের উৎসাহ ও প্রেরনায় ভাল কিছুর অবদান রাখার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। সাথে আছেন দেখে ভাল লাগছে। শুভকামনা ও ধন্যবাদ জানবেন।

১৭| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৪৮

জোবায়েদ-অর-রশিদ বলেছেন:
ধন্যবাদ জানাচ্ছি ! লিখাটি ব্লগে নিয়ে আসার জন্য।
পরবর্তী পর্বগুলো পড়ার চেষ্টা করবো।

ভালো থাকবেন।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৫৫

গোর্কি বলেছেন:
আমার ব্লগ বাড়িতে সুস্বাগতম। আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। শুভ সন্ধ্যা।

১৮| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:৫৬

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
চমৎকার। এই সিরিজে চোখ থাকলো।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৫৮

গোর্কি বলেছেন:
সাথে আছেন দেখে ভাল লাগছে। অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকা হোক অবিরত।

১৯| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৩১

বেলা শেষে বলেছেন: আপনার বল্‌গটা একটু পড়লাম- ভালো লেগেছে। আমি নিজে ভালো লিখতে না পারার কারনে "কপি-পেষ্‌ট" মন্‌তব্য করে যাচ্‌ছি।
ক্ষমা সুন্‌দর ভাবে দেখবেন। শুভ কামনা আপনার জন্য।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:২৩

গোর্কি বলেছেন:
আমার ব্লগ বাড়িতে সুস্বাগতম। অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন অবিরত।

২০| ০২ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:২১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বাংলা ও বাঙালির উন্মেষ, বিবর্তন- বাঙালি হিসাবে এ ইতিহাস আমাদের সবারই জানা থাকা উচিত। কিন্তু আমাদের জ্ঞান এ ব্যাপারে খুবই সীমিত।

তথ্যসমৃদ্ধ এ জাতীয় লেখা সামহোয়্যারইন ব্লগের সম্পদ। খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ছি।

শুভেচ্ছা।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:২৩

গোর্কি বলেছেন:
বাংলা ভাষা ও বাঙালির বিবর্তন ব্যাপক আলোচনা সাপেক্ষ। খুব সংক্ষেপে আলোচনা করার প্রয়াস। তারপরেও আমাদের সকলের কাজে আসলে পোস্ট দেয়া সার্থক হয়েছে বলে মনে হবে। আপনার গঠনমূলক মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইল।

২১| ০৩ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:১৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

দারুণ একটা সিরিজ

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৩৯

গোর্কি বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন অবিরত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.