নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গণতন্ত্র সমাজতন্ত্র ধর্মনিরপেক্ষতা ও জাতীয়তাবাদ

গোর্কি

ফেইসবুক: মাতরিয়শকা

গোর্কি › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলা ও বাঙালির বিবর্তনের পথ পরিক্রমা ( ইতি পর্ব )

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৩৮

“বীর বাঙালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর”, “তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা মেঘনা যমুনা”, “জেগেছে জেগেছে, বাঙালি জেগেছে”, “জয় বাংলা” প্রভৃতি স্লোগানের মধ্য দিয়ে শুধু বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনাই নয়, বাঙালি সংস্কৃতির একটা সংগ্রামী চরিত্রও তার “কালেকটিভ আনকনশাস” তথা যৌথ অবচেতন দানা বাঁধল। বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনার বিরুদ্ধ পক্ষ সাময়িকভাবে পরাভূত হলেও তারা চূড়ান্ত পরাজয় মেনে নিতে পারে নি। তাদের অনেকেরই কাঁধ থেকে তখনও পাকিস্তানি ভূত নেমে যায় নি। ১৯৭৫ এর পট পরিবর্তনের পর পরই প্রতিক্রিয়াশীল সেই সব শক্তি নিজেদের নতুন করে সংহত করে সাম্রাজ্যবাদী মহলের যোগসাজসে বাঙালি সংস্কৃতিকে ধ্বংস করার নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। এ কথা সর্বজনস্বীকৃত যে, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য এবং সেই সূত্রে বাঙালির সঠিক সংস্কৃতির প্রতি গভীর অনুরাগ থেকেই আমাদের সুস্থ জাতীয়তাবাদী চেতনার বিকাশ ঘটে। পরে এরই পর্যায়ক্রমিক বিকাশ আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনের ভিত্তি প্রস্তুত করে এবং অনিবার্য করে তোলে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ। কিন্তু জাতির চরম দুর্ভাগ্য যেসব শক্তি বাঙালি জাতীয়তাবাদের অন্যতম ভিত্তি বাঙালি সংস্কৃতিকে কখনও অন্তর থেকে স্বীকার করে নেয়নি, সর্বদা যারা তাকে একটি বিজাতীয় হিন্দু সংস্কৃতি রূপেই দেখেছে, সেই প্রতিক্রিয়াশীল শক্তিসমূহ কতকগুলো চূড়ান্তভাবে স্থিরীকৃত বিষয়কে নতুন বিতর্কের বস্তু করে নিজেদের হীন স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্যে জাতীয় জীবনে সর্বধ্বংসী বিরোধের বীজ বপন করে চলে। এরা আমাদের জাতীয় সঙ্গীতের যুক্তিযুক্ততা নিয়ে প্রশ্ন তোলে, নজরুলকে উপস্থিত করার চেষ্টা করে খন্ডিত সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে, ধর্মনিরপেক্ষতার চেতনার বিরুদ্ধে উসকে দেয় মৌলবাদী ধর্মান্ধতা। এদেরই উদ্যোগে আমরা জড়বুদ্ধি, অসুস্থ, প্রতিবাদে অক্ষম, এককালের মহাবিদ্রোহী নজরুলকে তাঁর মৃত্যুর অল্পকাল আগে দেখলাম কিস্তি টুপি মাথায় বঙ্গভবনে সরকারিভাবে সংবর্ধিত হতে। নজরুল ইসলাম মাঝে মাঝে টুপি পরতেন বৈকি, বিশেষ করে সভাসমিতিতে, কিন্তু সে টুপি ছিল ভারতীয় কংগ্রেসের সংগ্রামী ঐতিহ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত নেতাজী সুভাষ বসুর টুপির মত, কদাপি আমাদের ধর্মীয় অনুষঙ্গ-মাখা কিস্তি টুপি নয়। এসব আলাদাভাবে দেখলে তুচ্ছ বিষয়। কিন্তু প্রতিক্রিয়াশীল সাম্প্রদায়িক শক্তিসমূহ যখন পরিকল্পিতভাবে এ জাতীয় কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনাকে ধ্বংস করে বাঙালির আত্মপরিচয়ের ক্ষেত্রে একটা কৃত্রিম সমস্যা সৃষ্টির অপপ্রয়াসের লিপ্ত হয়, তখন আর তাকে তুচ্ছ করা যায় না। প্রতিক্রিয়াশীল চক্র জানে যে বাঙালি সংস্কৃতি ও বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রশ্নে সাধারণ সরল দেশবাসীর মনে নানা কূট চালের মাধ্যমে দ্বিধা ও সন্দেহ সৃষ্টি করাতে পারলেই তাদের স্বার্থসিদ্ধির পথ সুগম হবে। এ কাজে তারা সব চাইতে বেশি ব্যবহার করে ধর্মকে, ধর্মীয় আবেগকে।



বাঙালি বনাম বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ নিয়ে যে অর্থহীন বিতর্কের ধূম্রজাল সৃষ্টি করা হয়েছে এবং হচ্ছে সে সম্পর্কে এখানে কিছু আলোচনা প্রাসঙ্গিক হবে বলে মনে হয়। এ বিতর্ক দেশবাসীর উপর স্বার্থান্বেষী মহল কর্তৃক উপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যেখানে কোনো প্রকৃত সমস্যা নেই সেখানে সৃষ্টি করা হচ্ছে একটা কৃত্রিম সমস্যা। দেশের শতকরা নব্বই জন মানুষ, সে গ্রামের হোক কি শহরেরই হোক, সে বাঙালি নাকি বাংলাদেশী এ প্রশ্ন নিয়ে এক রত্তিও মাথা ঘামায় না। তার আসল সমস্যা ভাত-কাপড় নিয়ে, তার জীবিকার ব্যবস্থা ও তার জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে। তার চিত্তে যদি বাঙালি-বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের মত বিতর্কমূলক প্রশ্ন তুলে একটা দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করা যায় তাহলে স্বৈরাচারী শাসন-শোষনের কাজ অনেক সহজ হয়ে ওঠে। শিক্ষিত নাগরিক সমাজেও এক সময়ে এ জাতীয় প্রশ্ন উঠেছিল। তারপর এ প্রশ্নের উত্তরও পাওয়া গিয়েছিল। শুরু হয়েছিল বাঙালি মুসলমানের ঘরে ফেরা। বিশেষভাবে নাতিদূর অতীতের তথা ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন, তার পরবর্তী পর্যায়ের স্বৈরাচারবিরোধী বিভিন্ন গণআন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে এ দেশের মানুষের মনে ধর্মনিরপেক্ষতার চেতনা দৃঢ় হয়, সংস্কৃতির প্রশ্নে সাম্প্রদায়িকতামুক্ত প্রগতিশীল চিন্তাধারার বিকাশ ঘটে এবং এর মধ্যে কোনো স্ববিরোধিতা নেই। আজ বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন সার্বভৌম জাতিরাষ্ট্রের নাগরিকরূপে তারা নিজেদের পরিচয় দিতে পারে একই সঙ্গে বাঙালি, মুসলমান ও বাংলাদেশীরূপে।



বাংলাদেশীরূপে আজ আমাদের দেশের একজন মানুষ নিজেকে আবিষ্কার করে একটা ভৌগলিক সীমানার মধ্যে মুসলমান-হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান নির্বিশেষে, তার ধর্মীয় পরিচয়কে অতিক্রম করে, একটি স্বাধীন জাতিরাষ্ট্রের স্বাধীন নাগরিক হিসেবে। তার সে পরিচয় লিপিবদ্ধ থাকে তার পাসপোর্টে, যা অন্য কোনো দেশের নাগরিক থেকে সবার সামনে তার একটা স্বতন্ত্র ও বিশিষ্ট পরিচয় দ্ব্যর্থহীনভাবে তুলে ধরে। একজন মুসলমান বা হিন্দু বা বৌদ্ধ বাঙালি তার ধর্মীয় পরিচয়ে নিজেকে নিজেকে আবিষ্কার করে একটি ধর্মীয় বৃত্তের মধ্যে, যা একান্তভাবে তার ব্যক্তিগত বিশ্বাসের অন্তর্গত এবং যা তাকে তার ধর্মাবলম্বী বিশ্বের অন্যত্র বসবাসকারী মানুষের সঙ্গে একটা আত্মিক মিলন বন্ধনে বেঁধে দেয়, অন্তত তাত্ত্বিক দিক থেকে। আর বাঙালিরূপে সে নিজেকে আবিষ্কার করে একটা গৌরবজ্জ্বল ভাষা সাহিত্য সংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী উত্তরাধিকার হিসেবে, যেখানে ভৌগলিক সীমানা কিংবা ধর্মীয় বৃত্ত মূখ্য নয় এবং নৃতাত্ত্বিক, সামাজিক, ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক বিবেচনাই প্রধান। বিশ্বের নানা মানুষের এই জাতীয় একাধিক পরিচয়ের বিষয়টি নতুন কিছু নয়। ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের পরিচয় একই সঙ্গে পাঞ্জাবি ও ভারতীয়, তামিল ও ভারতীয় ইত্যাদি। পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের পরিচয়ও তেমনি একই সঙ্গে পাঠান ও পাকিস্তানি, বালুচ ও পাকিস্তানি, পাঞ্জাবি ও পাকিস্তানি ইত্যাদি। মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশগুলোর মানুষের একটা ব্যাপক পরিচয় হচ্ছে যে তারা সবাই আরবীয়। সেখানে তাদের ভাষা ও সংস্কৃতি তাদের পরিচিতির মূখ্য উপাদান। অন্য পরিচয়ে তারা কেউ সৌদি, কেউ ইরাকি,কেউ বা অন্য কিছু। এই কিছুদিন আগেও, যখন স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে দুটো জার্মানি ছিল, তখনও উভয় রাষ্ট্রের মানুষের একটা পরিচয় ছিল এই যে, তারা সবাই জার্মান। এই পরিচয়ে ভাষা সাহিত্য সংস্কৃতি অতীত ইতিহাস দ্বারা গঠিত এক জার্মান মানসের উপরই ন্যস্ত ছিল প্রধান ঝোঁক। সে পরিচয় কখনও মুছে যায় নি।



মানুষের এই রকম দ্বৈত বা ততোধিক সত্তার সবগুলোই তাৎপর্যময়। কখন কোন সত্তা প্রধান হয়ে উঠবে, তার আচার-আচরণ, কর্ম এবং বিশ্বাসকে পরিচালিত করবে, তা নির্ভর করবে স্থান-কাল-পরিস্থিতি তথা সামগ্রিক প্রেক্ষাপটের উপর। আজ বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের প্রশ্ন তুলে আমাদের মানস ও সংস্কৃতির তথা বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনাকে পেছনে ঠেলে দিয়ে একটা অকল্যাণকর দুষ্ট পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এর সুযোগ নিয়েই স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তিগুলো আবার মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে, ধর্মনিরপেক্ষতার উজ্জ্বল চেতনা ম্লান ও ধূসর হয়ে তার জায়গায় ধর্মান্ধতার কালো মেঘ, শিক্ষাঙ্গনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে, সুস্থ চিন্তাকে আচ্ছন্ন করতে বসেছে, পাঁয়তারা চলছে দেশটাকে একটা মৌলবাদী, পশ্চাৎমুখী রাষ্ট্রে পরিণত করার।



আমরা বাঙালি। বাঙালি জাতীয়তাবাদ হলো আমাদের অস্তিত্বের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ বলে কিছু নেই। যেমন ছিল না পূর্ব জার্মান জাতীয়তাবাদ কিংবা পশ্চিম জার্মান জাতীয়তাবাদ বলে কিছু। এখানে একটা বিষয় নিয়ে কারো কারো মনে ঈষৎ খটকা দেখা দিতে পারে, যদিও তার যথার্থ কোনো কারণ নেই। ভারতের পশ্চিম বঙ্গের লোকও বাঙালি। কিন্তু তারা স্বাধীন ভারতের বাঙালি, সার্বভৌম একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের একটি অঙ্গরাজ্যের অধিবাসী। আর আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের বাঙালি, একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের স্বাধীন নাগরিক। তবু অস্তিত্বের, হৃদয়ের ও মননের একটা বিরাট অংশ অধিকার করে আছে আমাদের উভয়ের ভাষা ও সাহিত্য, আমাদের উভয়ের অতীতের যৌথ বাঙালি সভ্যতা ও সংস্কৃতি। এইসব এমন একটা সুস্পষ্ট বাঙালি মানস গড়ে তুলেছে যেখানে সহমর্মিতা ও সহধর্মিতার রূপ প্রকট। আবার এটাও সত্য যে, উভয়ের মধ্যে একটি স্তরে পার্থক্যও বিরাজ করছে। পশ্চিম বাংলার বাঙালির বাঙালিত্বের উপর ক্রমাগত একটা অখণ্ড ভারতীয়ত্বের অভিঘাত পড়ছে। তাদের বাঙালিত্বের চেতনার সাথে, রাজনৈতিক ঐতিহাসিক ও আর্থ-সামাজিক কারণে ক্রমেই অবিচ্ছেদ্যভাবে মিশে যাচ্ছে ভারতীয়ত্বের চেতনা, আমাদের ক্ষেত্রে যা অনুপস্থিত। নিকট-অতীত ও বর্তমানের নানাবিধ বাস্তব পরিবেশ দু’অঞ্চলের বাঙালির সাংস্কৃতিক বিকাশ ধারায় একটা সূক্ষ্ম স্বাতন্ত্র্য গড়ে তুলেছে।



‘৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ‘৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ আমাদের দেশের মানুষের চেতন-অবচেতন মনে এই স্বতন্ত্র বিকাশ ধারার অন্যতম নিয়ামক শক্তিরূপে কাজ করছে। একই সঙ্গে অনেক ক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক সমন্বয়ও ঘটতে থাকবে, সাংস্কৃতিক ঐক্যও দৃঢ়তর হবে। কিন্তু এসব ঘটতে দিতে হবে সহজ বিকাশের পথ ধরে, নির্বাচন-গ্রহণ-বর্জন-সমন্বয়ের স্বাভাবিক ধারা অনুসরণ করে। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের মত উদ্ভট তত্ত্ব, সংকীর্ণ বর্জননীতি, সাম্প্রদায়িকতা, রাজনৈতিক স্থূল স্বার্থবুদ্ধি এবং উপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া কোনো রাষ্ট্রীয় বা প্রশাসনিক ফরমান উপরোক্ত বিকাশ ধারাকে ত্বরান্বিত ও মসৃণ না করে তাকে বিভ্রান্ত, পঙ্গু ও বিকৃত করবে। আমরা আমাদের বাঙালি জাতীয়তাবাদকে অবলম্বন করেই আমাদের বাংলাদেশীয়’কে উজ্জ্বল করতে পারব। তার উল্টোটা নয়।



কারো পরিচয়, কোনো ইজমই এক জায়গায় চিরকালের জন্য থেমে থাকে না। তা বিকাশমান ও পরিবর্তনশীল। সুস্থ সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের ব্যাপকতা ও পরিপুষ্টি এই বিকাশে সাহায্য করে। আমাদের বর্তমান সাংস্কৃতিক এবং জাতীয়তাবাদী কর্মতৎপরতার সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে আমাদের বিশেষভাবে অবহিত থাকা প্রয়োজন। যতদিন শহরের শিক্ষিত উচ্চবিত্ত-মধ্যবিত্তের অঙ্গনে এসব বাধা থাকবে, ততদিন আমদের বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনার সার্বিক সুফল আমরা লাভ করতে পারব না। গণমানুষের জীবনের সঙ্গে, বিশেষভাবে গ্রামের শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থের সঙ্গে, আমাদের সকল কর্মকাণ্ডকে আরও প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত করার মধ্য দিয়েই আমরা সিদ্ধির স্বর্ণদ্বারে পৌঁছুবার চাবিকাঠি খুঁজে পাব।





যে সমস্ত গ্রন্থপঞ্জি থেকে রেফারেন্স নেয়া হয়েছে:



* বাঙালির ইতিহাস: ডক্টর নীহাররঞ্জন রায়

* বাংলার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাস: ডক্টর আবদুর রহিম

* বাঙালি ও বাংলা সাহিত্য: ডক্টর আহমদ শরীফ

* মুসলিম বাংলা সাহিত্য: ডক্টর মুহম্মদ এনামুল হক

* বাংলা ও বাঙালির বিবর্তন: ডক্টর অতুল সুর

* বাংলা সাহিত্যের কথা: ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

* সাংস্কৃতিকী: ডক্টর সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়



বাংলা ও বাঙালির বিবর্তনের পথ পরিক্রমা ( ১ম পর্ব )

বাংলা ও বাঙালির বিবর্তনের পথ পরিক্রমা ( ২য় পর্ব )

বাংলা ও বাঙালির বিবর্তনের পথ পরিক্রমা ( ৩য় পর্ব )

বাংলা ও বাঙালির বিবর্তনের পথ পরিক্রমা ( ৪র্থ পর্ব )

মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:১২

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: বর্তমান সময়ে, জাতীয়তাবাদ সম্পর্কে আপনার ধারণা সঠিক নয়; জাতীয়তাবাদকে তত্ব হিসেবে প্রশাসনে ও জনকল্যানে প্রয়োগ করতে হবে: তাকে অর্থনীতিতে অনুবাদ করতে হবে; না হয়, এটা একটা শব্দ মাত্র।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:১৯

গোর্কি বলেছেন:
আমাদের বাঙালি ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির সংস্কৃতিকে আঁকড়ে ধরেই সামনে এগোতে হবে। যেমনটি বৃটেনবাসীর মধ্যে ইংরেজ, স্কটিশ, আইরিশ প্রভৃতি জাতিগুলো এগোচ্ছে। একটা জাতির ভাষা ও তার সংস্কতির সমন্বয়ে সৃষ্ট জাতীয়তাবাদ তার অহঙ্কার। এখানে আবারও বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, যেমন বৃটিশ জাতীয়তাবাদ বলে কোনো কিছু নেই তেমনি বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ বলেও কিছু নেই। বাঙালি, চাকমা, মারমা প্রভৃতি জাতীয়তাবাদের অস্তিত্ব দৃশ্যমান। একটি জাতি গঠনে মূল উপাদান তার ভাষা ও সংস্কৃতি। পাঠ প্রতিক্রিয়ার জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকা হোক।

২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:২৪

লোপা এসহক বলেছেন:
প্রতিক্রিয়াশীল চক্র জানে যে বাঙালি সংস্কৃতি ও বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রশ্নে সাধারণ সরল দেশবাসীর মনে নানা কূট চালের মাধ্যমে দ্বিধা ও সন্দেহ সৃষ্টি করাতে পারলেই তাদের স্বার্থসিদ্ধির পথ সুগম হবে।
তাই এ কাজে ধুর্ত অপশক্তি সব চাইতে বেশি ব্যবহার করে ধর্মকে, ধর্মীয় আবেগকে।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:২৩

গোর্কি বলেছেন:
আমার ব্লগ বাড়িতে স্বাগতম। পাঠ প্রতিক্রিয়ার জন্য ধন্যবাদ জানুন। ভাল থাকবেন।

৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৩৬

ভারসাম্য বলেছেন: এটা ঠিক যে, বাঙালী আর বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ নিয়ে সাধারণ মানুষের তেমন মাথা ব্যাথা নেই। তবে এই সংকটের শুরু ৭৫ এর পটপরিবর্তনের অনেক আগে। বাংলাদেশের সংবিধান রচনার সময় থেকেই। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে চাকমা, মারমা সহ অন্যান্য অবাঙ্গালী নৃ-গোষ্ঠির জাতীয়তাও বাঙ্গালী বলে চালাতে যাওয়াটাই রাষ্ট্রের একটি গুরুতর ভুল সিদ্ধান্ত ছিল বলে মনে হয় আমার কাছে।

যাই হোক, বাংলা ও বাঙালীর বিবর্তনের পথ পরিক্রমার পুরো সিরিজটিই খুব ভাল লেগেছে। +++

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৪২

গোর্কি বলেছেন: "তবে এই সংকটের শুরু ৭৫ এর পটপরিবর্তনের অনেক আগে।"
বাঙালি সংস্কৃতি ধ্বংস করার জন্য নয় বরং সুসংহত করার জন্য।

পোস্টে স্পষ্ট উল্লেখ করেছি, "১৯৭৫ এর পট পরিবর্তনের পর পরই প্রতিক্রিয়াশীল সেই সব শক্তি নিজেদের নতুন করে সংহত করে সাম্রাজ্যবাদী মহলের যোগসাজসে বাঙালি সংস্কৃতিকে ধ্বংস করার নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়।"

"বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে চাকমা, মারমা সহ অন্যান্য অবাঙ্গালী নৃ-গোষ্ঠির জাতীয়তাও বাঙ্গালী বলে চালাতে যাওয়াটাই রাষ্ট্রের একটি গুরুতর ভুল সিদ্ধান্ত ছিল বলে মনে হয় আমার কাছে।"
এই কোটেশনের সাথে সম্পূর্ণ একমত প্রকাশ করছি। দুর্বলের ওপর ছড়ি ঘোরানোর প্রাকৃতিক অভ্যাস বৈকি কিছুই নয়। তবে সেটা ভিন্ন আলোচনা। আপনার সুচিন্তিত পাঠ প্রতিক্রিয়ার জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকা হোক।

৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৪৩

সুমন কর বলেছেন: গুড পোস্ট। সাথে আছি।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৪৫

গোর্কি বলেছেন:
কৃতজ্ঞতা জানুন। খুব ভাল থাকবেন।

৫| ০৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:২৮

মামুন রশিদ বলেছেন: দারুণ বিশ্লেষণ! চমৎকার একটা সিরিজ শেষ হয়ে এলো!

০৯ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:৩১

গোর্কি বলেছেন:
কৃতজ্ঞতা জানুন। খুব ভাল থাকবেন।

৬| ০৫ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:৩১

অদৃশ্য বলেছেন:






সব শেষে এসে আপনার এই বিশ্লেষনধর্মী লিখাটি নিয়ে কোন বিশেষ মন্তব্য করবার আগে আমাদের আসলে ইতিহাসটা বিশেষভাবেই জানা প্রয়োজন নাছাড়া মন্তব্য করে শান্তি পাওয়া যাবেনা... সত্য এই যে আমরা অনেকেই বাংলা সৃষ্টির আসল ইতিহাস জানবার আগ্রহ থেকে অনেক দূরে অবস্থান করছি... আর ''বাংলা ও বাঙালির বিবর্তনের পথ পরিক্রমা'' আমার কাছে অত্যধিক শর্টকাট একটি বিশ্লেষনধর্মী লিখা মনে হয়েছে...

আর সেটা এই ব্লগপোষ্ট হিসেবে হয়তো ঠিকই আছে... এখানে ডিটেইল লিখতে গেলে ধৈর্য হারাবার সম্ভাবনাই বেশি...

সবমিলিয়ে লিখাটি খুব ভালো লেগেছে আমার...


শ্রদ্ধেয় গোর্কির জন্য
শুভকামনা...

০৯ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:৪১

গোর্কি বলেছেন:
লেখাটিতে নৃতাত্ত্বিক দিক নিয়ে শুরুতে আরও দুটি পর্ব যোগ করার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু সময়ের টানাটানিতে বাধ্য হয়েই হ্রস্বতর পথ অবলম্বন করতে হলো। পর্বগুলো ভাল লেগেছে জেনে অত্যন্ত প্রীত হলাম। সাথে থেকে উৎসাহ প্রেরণা যুগিয়েছেন, সেজন্য অসীম কৃতজ্ঞতা জানুন। অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা সুপ্রিয় ভাইটির জন্য।

৭| ০৫ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:৪২

ভারসাম্য বলেছেন: ভিন্ন আলোচলার কিছু উপাদান যেহেতু এই সিরিজের মধ্যেই আছে তাই এখানেই আরেকটু আলোচনায় আগ্রহবোধ করছি।

আমি আগেই বলে নেই, আমি আপনার লেখায় উল্লেখিত, শতকরা নব্বই জনের দলেই পড়ি, যার মাঝে জাতীয়তাবাদ নিয়ে সর্বোচ্চ আবেগ কাজ করে না। জাতীয়তাবাদের প্রধান উপাদান আমার কাছে ভাষাই মনে হয় এবং এটাই হওয়া উচিৎ বলেও মনে করি আমি। কারণ সংস্ক্রিতি ('ঋ' কার দেয়া যাচ্ছে না) যত না ভাষার সাথে সম্প্রিক্ত তার চেয়ে অনেক বেশি সম্পর্কিত একটি জনপদের মানুষের সামাজিক জীবন দর্শনের সাথে। এটি আবেগের ব্যাপারই নয়, মানুষের প্রয়োজনের সাথেও জড়িত। সংস্ক্রিতির সকল উপাদানই( ভাষা নিজেও সংস্ক্রিতির একটি উপাদান) মানুষের ধর্মবিশ্বাসের (অবিশ্বাসও এক ধরনের বিশ্বাস) সাথে জড়িত যার অনেক কিছুই আবার জ্ঞান-বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথেও পরিবর্তিত/ বিবর্জিত/ সংযোজিত হতে বাধ্য। একটি ভুখন্ডের আদিবাসীরা যেমন নতুন সংস্ক্রিতি গ্রহণ করতে পারে তেমনি বহিরাগতরাও আদিবাসীদের সংস্ক্রিতির সাথে একাত্ম হয়ে যেতে পারে। এভাবে দেখলে, বাঙালী জাতীয়তাবাদের ভিত্তি কখন থেকে, কিভাবে এবং কী হবে তা নিয়ে অনেক ধরনের মতই আসবে। কিছুই চুড়ান্ত স্থিরীকৃত নয়। একটি ভূখন্ডের অধিবাসীদের নাগরিকত্বও জাতীয়তাবাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে প্রাচীনকাল থেকেই স্বীকৃত। আধুনিক রাষ্ট্রদর্শনেও তাই একটি ভুখন্ডের মানুষের সন্মিলিত সার্বভৌমত্ব, সকল নাগরিকের সমানাধিকার, অর্থনৈতিক মুক্তি ইত্যাদিই তথা নাগরিকত্বের ধারনাই জাতীয়তাবাদের মূল ভিত্তি। আর বাঙালীর ক্ষেত্রে অন্ততঃ রক্তধারার স্বাত্যন্ত্রের ব্যাপারটিও খাটে না। আমাদের রক্তে প্রাচীন অষ্ট্রিক রক্তধারার সাথে কালক্রমে আর্য্য, তীব্বতি, আরব, মোগল, পাঠান, পর্তুগীজ ইত্যাদি রক্তধারা মিলেমিশেই আজকের একটা জাতি আমরা যাদের নিজস্ব একটি ভূখন্ড আছে, যার পরিচালক আমরাই এবং সাংবিধানিকভাবে অন্ততঃ এখানকার সকল নাগরিকের সমানাধিকার স্বীকৃত।

তাই আমার কাছে মনে হয়, বাংলাদেশের সংবিধান রচনার সময় থেকেই জাতীয়তার সংকট শুরু হয় যা রাষ্ট্রকে সুসংহত নয়, অসংহত করতেই সহায়ক হয়েছিল এবং ৭৫ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের সকল নাগরিকের জাতীয়তা 'বাংলাদেশি' করার মাধ্যমেই রাষ্ট্রের সংহতি নিশ্চিত করা গিয়েছিল। এর মাধ্যমে বাঙালী সংস্ক্রিতি মোটেও দূর্বল হয় নি। আমাদের সংস্ক্রিতি আজ পশ্চিমা ও হীন্দি সংস্ক্রিতি দ্বারাই অধিকতর আক্রান্ত।

যাই হোক, উপরে বলা সব কিছুই আমার ব্যাক্তিগত অভিমত। জাতীয়তাবাদ নিয়ে তেমন কোন আবেগ কাজ করে না আমার। আপনার লেখায় বলা, শতকরা নব্বই জনের দলেই পড়ি আমি। তবে 'জাতীয়তাবাদ' নিয়ে আপনার নতুন কোন সিরিজ শুরু হলে, আলোচনার সাথে থাকার আগ্রহ প্রকাশ করছি। :)

০৯ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:৫৩

গোর্কি বলেছেন:
"৭৫ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের সকল নাগরিকের জাতীয়তা 'বাংলাদেশি' করার মাধ্যমেই রাষ্ট্রের সংহতি নিশ্চিত করা গিয়েছিল।"
এই বাক্যটিতেই আপনার অবস্থান স্পষ্ট এবং পরিষ্কার হয়ে গেছে। আপনার এবং আমার মতাদর্শন কখনই মিলবে না যেমন তেলে জলে মিশ খায় না। এখানে আলোচনাটা অনর্থক বিধায় সে দিকে আর গেলাম না। ভিন্ন মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

৮| ০৫ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:০৩

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: চমৎকার যুক্তিযুক্ত বিশ্লেষণ করেছেন !
সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত , ধর্মীয় গোঁড়ামি মুক্ত , প্রগতিশীল চিন্তা-চেতনার সেই দুর্লভ দেশটিই বাংলাদেশ !
আর আমি একজন গর্বিত বাঙ্গালী , মুসলমান , বাংলাদেশী !
পুরো সিরিজের জন্য বিশেষ প্লাস !

০৯ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:৫৬

গোর্কি বলেছেন:
"আর আমি একজন গর্বিত বাঙ্গালী , মুসলমান , বাংলাদেশী !"

সাথে থেকে উৎসাহ প্রেরণা যুগিয়েছেন, সেজন্য অসীম কৃতজ্ঞতা জানুন। খুব ভাল থাকবেন।

৯| ০৬ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৫৩

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
অসাধারণ একটি লেখা শেষ করলেন।

‍‍‍"জাতির চরম দুর্ভাগ্য যেসব শক্তি বাঙালি জাতীয়তাবাদের অন্যতম ভিত্তি বাঙালি সংস্কৃতিকে কখনও অন্তর থেকে স্বীকার করে নেয়নি, সর্বদা যারা তাকে একটি বিজাতীয় হিন্দু সংস্কৃতি রূপেই দেখেছে, সেই প্রতিক্রিয়াশীল শক্তিসমূহ কতকগুলো চূড়ান্তভাবে স্থিরীকৃত বিষয়কে নতুন বিতর্কের বস্তু করে নিজেদের হীন স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্যে জাতীয় জীবনে সর্বধ্বংসী বিরোধের বীজ বপন করে চলে।"
-মজার ব্যাপার হলো যখন বাঙালি জাতি নিজ পরিচয় নিয়ে সোচ্চার তখনই একটি শিখড়-বিরোধী শক্তি জেগে ওঠেছে। ২০১৩-ও এর ব্যতিক্রম নয়। আমরা ধারণা করতে পারি, বায়ান্ন, ছেষট্টি বা একাত্তরে ওই হীন চক্রটি কতটুকু প্রতিক্রিয়াশীল ছিলো।


বাঙালি এবং এবং বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ‌'অহেতুক' বিতর্কটি বেশ সুন্দরভাবেই উপস্থাপন করেছেন।

এসব বিষয়ে অনেক কিছু বলার ছিলো, কিন্তু নিজেকে আটকালাম। কারণ, মন্তব্যে সবকিছু বলে শেষ করা যাবে না।

সময় পেলে সবগুলো পর্ব পড়ার চেষ্টা করবো।

শুভেচ্ছা জানবেন, প্রিয় গোর্কি :)

০৯ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:০০

গোর্কি বলেছেন:
"মজার ব্যাপার হলো যখন বাঙালি জাতি নিজ পরিচয় নিয়ে সোচ্চার তখনই একটি শিখড়-বিরোধী শক্তি জেগে ওঠেছে। ২০১৩-ও এর ব্যতিক্রম নয়। আমরা ধারণা করতে পারি, বায়ান্ন, ছেষট্টি বা একাত্তরে ওই হীন চক্রটি কতটুকু প্রতিক্রিয়াশীল ছিলো।"

পাঠ প্রতিক্রিয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। খুব ভাল থাকবেন।

১০| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৫৫

এহসান সাবির বলেছেন: চমৎকার একটা পোস্ট ছিল ভাই। সব সময় এই পোস্টের সাথে ছিলাম। আমার কাছে পোস্টটি অনেক ভালো লেগেছে। অনেক সময় নিয়ে খেটে খুটে এটা তৈরি করেছেন.......
চমৎকার.......!!

শেয়ার করবার জন্য ধন্যবাদ।

শুভকামনা আপনার জন্য।

০৯ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:০১

গোর্কি বলেছেন:
সাথে থেকে উৎসাহ প্রেরণা যুগিয়েছেন, সেজন্য অসীম কৃতজ্ঞতা জানুন। অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।

১১| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৫৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


এই সিরিজটা সামুর একটা এসেট হয়ে থাকবে।

০৯ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:০৫

গোর্কি বলেছেন:
আপনার মুখমন্ডলে ফুল-চন্দন পড়ুক সুপ্রিয় ব্লগার। সাথে থেকে উৎসাহ প্রেরণা যুগিয়েছেন, সেজন্য কৃতজ্ঞতা জানুন। অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।

১২| ০৯ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:১৭

ভারসাম্য বলেছেন: সেটাই এবং সেজন্যই, এই লেখায় উল্লেখিত, ' কতকগুলো চূড়ান্তভাবে স্থিরীকৃত বিষয়কে নতুন বিতর্কের বস্তু করে', এই অংশে, 'চূড়ান্তভাবে স্থিরীকৃত' কথাটুকুতে মৃদু ভিন্নমত জানাতেই আমার অবস্থান জানানোর প্রয়োজনবোধ করেছি। তার মানে এই নয় যে, ৭৫ পরবর্তী শাসক ও প্রতিক্রিয়াশীল চক্রের অন্যান্য সব কাজেরই সমর্থক আমি। ব্যাক্তিগত ভাবে আমি, ৭২ এর সংবিধান এর চার মূলনীতির তিনটির ( গনতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা) সমর্থকই বটে। ৭৫ পরবর্তীতে, ধর্মনিরপেক্ষতার স্থলে একটি বিশেষ ধর্মের বিশ্বাসকে ( হোক তা সংখ্যাগরিষ্টের বিশ্বাস, এমনকি আমার নিজেরও) রাষ্ট্রের মূলনীতি হিসেবে চাপিয়ে দেয়ারও ঘোর বিরোধী। একই কারনেই, ৭২ এর সংবিধানের অপর মূলনীতি, 'বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদকে' রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের ( যার মধ্যে অবাঙ্গালী নৃ-গোষ্ঠি সমূহও সমমর্যাদায় অন্তর্ভূক্ত) উপর চাপিয়ে দেয়াকে সমর্থন করতে পারি না। এই সংকটের শুরু ৭৫ পরবর্তীতে নয়, বরং ৭২ এই, যখন চাকমা নেতা 'মানবেন্দ্র লারমা' প্রথম এ ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছিলেন। তাদেরকেও 'বাঙালী' হয়ে যেতে বলার মাধ্যমেই সংকট ঘনীভূত হয়েছিল। হতে পারে ৭৫ পরবর্তী শাসকেরা এই সুযোগটি নিয়েছে। কিন্তু সেই সুযোগে, রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের একটি সাধারণ জাতীয়তা( আসলে নাগরিকত্ব-citizenship) হিসেবে, 'বাংলাদেশী' নির্ধারণ রাষ্ট্রের সংহতির স্বার্থেই সমর্থন করি। এর মাধ্যমে আমার বাঙালী জাতিসত্তায় যেমন আঘাত আসে না, অপর জাতিসত্তার অধিকারও রক্ষিত হয়।

যাই হোক, আমিও ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং আলোচনা নিরর্থক মনে করি না। কারণ, আমার মতও বিপরীত যুক্তির প্রভাবে পরিবর্তিত হতে পারে। তবে সেটার পরিসর এই লেখা নয়। এমনিতে বাঙালী জাতিসত্তার ইতিহাস হিসেবে চমৎকার একটি সিরিজ ছিল এটি। ভিন্নমতের জায়গাগুলো ভিন্ন পরিসরেই থাকুক। শুভকামনা।

১৩| ১৫ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৩৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পুরো সিরিজটিই মনোযোগী পাঠের দাবিদার। প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম প্রিয় ব্লগার। আশা করি চমৎকার আছেন।

১৬ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:৪৩

গোর্কি বলেছেন:
পাঠ প্রতিক্রিয়ায় আনন্দিত হলাম। আন্তরিক ধন্যবাদ এবং অনেক শুভকামনা সুহৃদ।

১৪| ২৭ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৩১

এহসান সাবির বলেছেন: নতুন লেখা পাই না অনেক দিন।

০৭ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:৩১

গোর্কি বলেছেন:
খুব শীঘ্রই দেব। ভাল থাকা হোক সারাবেলা।

১৫| ০৫ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৪৭

আরজু পনি বলেছেন:

এই সিরিজটা সাথে থাকলে এটা থেকেই অন্যগুলোর লিঙ্ক পেয়ে যাবো, তাই এটাকেই নিজের শোকেসে নিয়ে রাখলাম ।

শুভকামনা রইল ।।

০৭ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:৩৩

গোর্কি বলেছেন:
কৃতজ্ঞতা জানবেন। সুস্থ, সুন্দর এবং ভাল থাকুন সবসময়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.