নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গণতন্ত্র সমাজতন্ত্র ধর্মনিরপেক্ষতা ও জাতীয়তাবাদ

গোর্কি

ফেইসবুক: মাতরিয়শকা

গোর্কি › বিস্তারিত পোস্টঃ

হলদে সবুজ ওরাংওটাং ইটপাটকেল চিৎপটাং...কোনো মানে হয়?

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩১

[যে কপালপোড়া বাঙালী শৈশবে সুকুমার রায়ের লেখার খোঁজ পাননি তার জন্য করুণা। আর যারা পেয়েছেন তারাই জানেন এই অমৃতের স্বাদ কী! অথচ দিব্যি ভুলে বসে আছি তাঁর জন্মদিনের কথা। তাই নিজেকেই করুণা প্রদান।]

তাতা নামে যদি ডাকা হয়, কেউ চিনবেন কী? অনেকেই হয়তবা চিনবেন আবার অনেকেই না। তাঁর সাথে আমার প্রথম পরিচয়,

বাবুরাম সাপুড়ে
কোথা যাস বাপুরে
আয় বাবা দেখে যা
অথবা
মাথায় কত প্রশ্ন আসে, দিচ্ছে না কেউ জবাব তার-
সবাই বলে, মিথ্যে বাজে বকিস্‌নে আর খবরদার!
অথবা
মাঝি শুধায়, “সাঁতার জানো? মাথা নাড়েন বাবু”
মুর্খ মাঝি বলে, “মশাই , এখন কেন কাবু?
বাঁচলে শেষে আমার কথা হিসেব কারো পিছে,
তোমার দেখি জীবনখানা ষোল আনাই মিছে!


উপরোক্ত কবিতা-ছড়াগুলোর মাধ্যমে। কবিতাগুলো আমাদের মাধ্যমিক শিক্ষার বাংলা পাঠ্য বইতে ছিল। তবে কোনটি কোন শ্রেণীতে পাঠ্য ছিল সেটা এখন আর স্মরণ করতে পারছি না। বয়সের সাথে সাথে স্মৃতিশক্তিও বোধহয় লোপ পাচ্ছে ধীরে ধীরে।

উদ্ভট এসব ছড়া লিখিয়ের নাম সুকুমার রায়। এক নামে তাকে আমরা সবাই চিনি। বাংলা শিশু সাহিত্যের অসামান্য জনপ্রিয় এক অমর লেখক ও ভারতীয় সাহিত্যে ননসেন্স্ এর প্রবর্তক। তিনি একাধারে শিশুসাহিত্যিক, রম্যরচনাকার, লেখক, ছড়াকার, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী ও ফটোগ্রাফার। জন্ম বাংলাদেশের ময়মনসিংহের মসুয়া গ্রামে ১৮৮৭ সালের ৩০শে অক্টোবর বাঙ্গালী নবজাগরণের স্বর্ণযুগে। তাঁর বাবাকেও আপনারা চিনবেন। 'গুপী গাইন বাঘা বাইন', 'টুনটুনির বই'-এর লেখক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী। সুকুমারের ছেলেও কিন্তু খুব বিখ্যাত। সত্যজিৎ রায়। হ্যাঁ, প্রফেসর শঙ্কু আর ফেলুদার সেই মজার গল্পকার।



সুকুমার রায়ের আমি খুব ভক্ত (কে নয়!)! সংক্ষিপ্ত জীবনেই কি দারুণ মজার উত্তরাধিকার রেখে গেছেন বাংলা-পাঠকদের জন্য! বাংলায় ননসেন্স রাইম এঁর মতো আর কি কেউ লিখেছেন? মনেই তো পড়ছে না আর কোন নাম! আমার সারাজীবনে পড়া সবচেয়ে প্রিয় বইগুলার একটা সুকুমার সমগ্র। স্কুলে থাকতে প্রতি ছয়মাসে একবার রিভিশন দিতাম। ননসেন্স যে এত অদ্ভুত সুন্দর হতে পারে! কোন ছড়ার সাথে কি ছবি ছিল, তাও চোখে ভাসে। সব শিশুর শৈশবে যদি সুকুমার থাকত! আমাদের শৈশবের একটা বড় অংশ জুড়েই ছিলেন এই মজার মানুষটি! তাঁর বই নিয়ে ভাই বোনেরা কাড়াকাড়ি করে পড়তাম।
"আয় রে ভোলা খেয়াল খোলা
স্বপন দোলা নাচিয়ে আয়
আয়রে পাগল আবল তাবল
মত্ত মাদল বাজিয়ে আয়"

এটার প্যারোডি করে সুরে সুরে ভাই বোনেরা একে অন্যকে জ্বালাতন করতাম! আহা

আমাদের শৈশব ছিলো সুকুমারময়, আজও যখন তখন ডুব দিয়ে আসতে পারি সেই রসময় শৈশবে। জীবনের গুরভার কিছুটা হলেও হালকা হয়ে আসে সেই সুকোমল শৈশব স্মৃতির ডুবসাঁতারে। আজকের বস্তা বস্তা বইয়ের চাপে বেঁকে যাওয়া শৈশবের জন্য আর বইয়ের ট্রলিব্যাগ টানা শৈশবের জন্য ভাবনা হয় সত্যি, সুকোমল রসময় শৈশব বলতে তাদের কি আদৌ কিছু থাকবে! আমার মনে হয় আমাদের জীবনে সুকুমার তাই সব সময়ই প্রাসঙ্গিক। সুকুমার রায়ের গুরুত্ব ছোটদের জন্য এখনও সমান। অনেকেই বলেন, ছোটদের জন্য লেখা খুব বেশি এগোয়নি। কোথায় যেন থমকে আছে। অথচ শিশুদের জন্য তো ছড়া দরকার। গল্প দরকার। এখনও ছড়ার জন্য সুকুমারের কাছেই হাত পাততে হয়।

সুকুমার ছোটদের প্রিয়, বড়দেরও। আমাদের ছোটবেলায় সুকুমার প্রিয় ছিল, এখনকার ছোটরাও সুকুমারকে ভালোবাসে। কালোত্তীর্ণ, যুগোত্তীর্ণ আর কাকে বলে? সেই ছোটবেলায় সন্দেশ পড়েছিলাম, আমার পড়া সেরা। আর কোন মাসিক, সাপ্তাহিক, বা অন্য কোন কিছু তেমন করে আর আর আমাকে পাগল করতে পারে নি। সুকুমারের সব ছড়া কিংবা 'অবাক জলপান'-এর মজার ঘটনা বা পাগলা দাশুর কাণ্ডকারখানা সম্পর্কে জানে না এমন পাঠক খুব কমই আছে। ছোটদের জন্য লেখা হলেও শুধু ছোটরা না, বড়রাও বেশ মজা করে এসব পড়েন। পড়ে মুচকি হাসেন। ভাবেন বেশ মজার ছিল তো লোকটা। কেমন সব উদ্ভট ছড়া লিখেছেন।

একবার হয়েছে কী, নকল দাড়ি-গোঁফ লাগিয়ে সুকুমার তো দিব্যি সন্ন্যাসী ঠাকুর সেজে তাঁর এক বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে হাজির। উদ্দেশ্য বন্ধুকে একটু অবাক করে দেওয়া। কিন্তু হা কপাল নক করতেই দরজা খুলে দিলেন বন্ধুর মা। তাঁর আবার সন্ন্যাসী ঠাকুরে খুব ভক্তি। দরজা খুলেই লম্বা দাড়িওয়ালা সন্ন্যাসী দেখে তিনি ঢিপ হয়ে প্রণাম করলেন। অবস্থা দেখে সুকুমার তো ভ্যাবাচ্যাকা। আশীর্বাদ করবেন কী, উল্টো বাড়ির দিকে চোঁ চোঁ দৌড়। সন্ন্যাসীকে অমন তীরবেগে ছুটতে দেখে বন্ধুর মা তো অবাক!

শুধু দুষ্টুমি নয়, সুকুমার পড়াশোনাও করতেন নিয়মিত। বরাবরই ক্লাসে ভালো ফল করতেন। কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ১৯০৬ সালে রসায়ন ও পদার্থবিদ্যায় বি.এসসি.(অনার্স) করার পর সুকুমার বৃত্তি পেয়ে মুদ্রণবিদ্যায় উচ্চতর শিক্ষার জন্য ১৯১১ সালে বিলেতে যান। সেখানে তিনি আলোকচিত্র ও মুদ্রণ প্রযুক্তির ওপর পড়াশোনা করেন এবং কালক্রমে তিনি ভারতের অগ্রগামী আলোকচিত্রী ও লিথোগ্রাফার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। সুকুমার ইংলান্ডে পড়াকালীন, উপেন্দ্রকিশোর জমি ক্রয় করে, উন্নত-মানের রঙিন হাফটোন ব্লক তৈরি ও মুদ্রণক্ষম একটি ছাপাখানা স্থাপন করেছিলেন। তিনি একটি ছোটদের মাসিক পত্রিকা, 'সন্দেশ', এই সময় প্রকাশনা শুরু করেন। সুকুমারের বিলেত থেকে ফেরার অল্প কিছু দিনের মধ্যেই উপেন্দ্রকিশোরের মৃত্যু হয়। উপেন্দ্রকিশোর জীবিত থাকতে সুকুমারের লেখার সংখ্যা কম থাকলেও উপেন্দ্রকিশোরের মৃত্যুর পর 'সন্দেশ' পত্রিকা সম্পাদনার দায়িত্ব সুকুমার নিজের কাঁধে তুলে নেন। শুরু হয় বাংলা শিশু সাহিত্যের এক নতুন অধ্যায়। 'সন্দেশ' নামে মজার এক পত্রিকা, যেমন নাম তার তেমন গুণ। প্রতি মাসে মজার মজার ছড়া, গল্প, ছবিতে ভরে থাকত সন্দেশের হাঁড়ি। বাজারে আসামাত্র বিক্রিবাট্টা শেষ। পিতার মৃত্যুর পর আট বছর ধরে তিনি 'সন্দেশ' ও পারিবারিক ছাপাখানা পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর ছোটভাই এই কাজে তাঁর সহায়ক ছিলেন এবং পরিবারের অনেক সদস্য 'সন্দেশ'-এর জন্য নানাবিধ রচনা করে তাঁদের পাশে দাঁড়ান।

প্রেসিডেন্সী কলেজে পড়বার সময় তিনি 'ননসেন্স ক্লাব' নামে একটি সংঘ গড়ে তুলেছিলেন। এর মুখপাত্র ছিল 'সাড়ে বত্রিশ ভাজা ' নামের একটি পত্রিকা। সেখানেই তাঁর আবোল-তাবোল ছড়ার চর্চা শুরু। ক্লাবটি নানা কারণে ঝিমিয়ে পড়েছিল। পরবর্তীতে ইংল্যান্ড থেকে ফেরার পর 'মানডে ক্লাব ' নামে একই ধরণের আরেকটি ক্লাব খুলেছিলেন তিনি। সদস্যদের কোনো একজনের বাসায় প্রতি সোমবার বসত অধিবেশন। সোমবার মানে মানডে, সেটাকেই একটু পাল্টে নাম রাখলেন মণ্ডা ক্লাব। সুকুমার রায় মজার ছড়ার আকারে এই সাপ্তাহিক সভার কয়েকটি আমন্ত্রণপত্র করেছিলেন সেগুলোর বিষয়বস্তু ছিল মুখ্যত উপস্থিতির অনুরোধ এবং বিশেষ সভার ঘোষনা ইত্যাদি। মণ্ডা ক্লাবের সভাপতি সভা ডাকতেন কিভাবে তার একটা নমুনা,

সম্পাদক বেয়াকুব
কোথা যে দিয়েছে ডুব
এদিকেতে হায় হায়
ক্লাবটিতো যায় যায়
তাই বলি সোমবারে
মৎ গৃহে গড়পারে
দিলে সবে পদধূলি
ক্লাবটিরে ঠেলে তুলি
রকমারি পুঁথি কত
নিজ নিজ রুচি মত
আনিবেন সাথে সবে
কিছু কিছু পাঠ হবে
করজোড়ে বারবার
নিবেদিছে সুকুমার


মণ্ডা ক্লাব আর সন্দেশ নিয়ে ভালোই দিন কাটছিল সুকুমারের। এরই মধ্যে হঠাৎ রোগে ধরে বসল তাঁকে। কালাজ্বরে কাহিল হয়ে পড়লেন। ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে কালাজ্বরে (লেইশ্মানিয়াসিস) আক্রান্ত হয়ে মাত্র সাঁইত্রিশ বছর বয়সে সুকুমার রায় মৃত্যুবরণ করেন, সেই সময় এই রোগের কোনো চিকিৎসা ছিল না।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার সম্পর্কে লিখেছিলেন, ‘তার সুনিপুণ ছন্দের বিচিত্র ও সচ্ছল অসংলগ্নতা পদে পদে চমৎকৃতি আনে। তার স্বভাবের মধ্যে বৈজ্ঞানিক সংস্কৃতির গাম্ভীর্য ছিল। সে জন্যই তিনি তার বৈপরীত্য এমন খেলাচ্ছলে দেখতে পেরেছিলেন।’

কী না লিখেছেন তিনি এ স্বল্পায়ু জীবনে শিশুদের জন্য? তাঁর বহুমুখী প্রতিভার অনন্য প্রকাশ তাঁর অসাধারণ ননসেন্স ছড়াগুলিতে। তাঁর প্রথম ও একমাত্র ননসেন্স ছড়ার বই 'আবোল-তাবোল' শুধু বাংলা সাহিত্যে নয়, বরং বিশ্বসাহিত্যের অঙ্গনে নিজস্ব জায়গার দাবিদার। ছড়া, গল্প, কবিতা, ছবি আঁকা- সব বিষয়ে তার ছিল অসীম দক্ষতা যা আজও বাংলা শিশু সাহিত্যে মাইলফলক হয়ে আছে।

সুকুমার রায়ের লেখা আমাদের শৈশবে পাওয়া মজার খনি; দুরন্ত তার হাতছানি। আমি এখনও সুকুমার, উপেন্দ্রকিশোর পড়ি আর মুগ্ধ হই। সুকুমারের বাবা উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীও ছোটদের বিশেষ পছন্দের নাম। সত্যিকার অর্থেই বাংলা ভাষার রূপকথার রূপকার যদি বলা হয় উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীকে, সুকুমার রায় যেন সেই রূপকথারই প্রতিষ্ঠাতা।

সুকুমার রায় শুধু কি শৈশব, এই বুড়ো বেলাতেও ভীষণ প্রিয়। বড়ো হয়েও যারা ছোট, মানে শিশুদের মতোই সরল মনের মানুষ, তারাও নিশ্চয়ই হাততালি দিয়ে ওঠেন এমন আজব আজব সব নাম শুনে। আর যে সাপের চোখ নেই, শিং নেই, নোখ নেই, এমন সাপকে যিনি দুধ ভাত খাইয়ে পুষতে চান তাঁর মতো সরল মানুষ আর কে আছে এই পৃথিবীতে? এই খ্যাপাটে লোকটা সেই শৈশবে ঘাড়ে চেপে বসেছে সিন্দাবাদের ভুতের মতন, পাগলা দাশুর গোঁ নিয়ে- আর নামবে কি?

মন্তব্য ৬১ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৬১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫১

এহসান সাবির বলেছেন: সুপার পোস্ট।

এক গুচ্ছ ভালো লাগা।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৫

গোর্কি বলেছেন:
অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা। খুব শীঘ্রই পোস্ট আশা করছি। অফুরন্ত শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।

২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৯

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: মেগা পোষ্ট। প্রিয়তে। +++

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১০

গোর্কি বলেছেন:
প্রিয়তে নিয়েছেন জেনে ভীষণ প্রীত হলাম। অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।

৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৪

এম রাজু আহমেদ বলেছেন: আমারও ভীষণ প্রিয় লেখক এই রম্য যাদুকরটা।
আর পোস্টটার জন্য আপনাকে সাধুবাদ ।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২২

গোর্কি বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।

৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৫

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: দারুন পোস্ট ভাই। পড়ছিলাম আর নিজের সাথে মেলাচ্ছিলাম। অনেক অনেক ভালোলাগা রইলো। :)

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০০

গোর্কি বলেছেন:
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।

৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০০

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
ষোলা আনাই মিছে যে শৈশবকে ধারণ করতে শেখানো হয়। ও শৈবব- উপলব্ধির বিস্তৃত সৃজনভূমি হতেও পারে। আপনার লেখা পড়ে বেশ নষ্টালজিক হচ্ছিলেম। দিব্যি ভুলে বসেছি; কথা সত্য। মাঠ ঢুকেছে কম্পুটারে আর শিশুদের সুকোমল চিত্ত, বইয়ের ভারে ক্লান্ত। যে আনন্দ ফুলের বাসে/যে আনন্দ পাখির গানে তারাতো এসব পাচ্ছে না তাই শব্দ কল্প দ্রুমের খিদেও আসছে না।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে অমৃতের স্বাদ দেবার জন্য।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৬

গোর্কি বলেছেন:
একদম খাঁটি কথা বলেছেন। অমৃতের স্বাদ কিছুটা হলেও দিতে পেরেছি বলে ধন্য মনে করছি। সুচিন্তিত পাঠ প্রতিক্রিয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।

৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:১৩

কিরমানী লিটন বলেছেন: সযত্নের আঙিনায় নিয়ে গেলাম সুন্দরকে-প্রিয়র পাতায়।মুগ্ধ ভালোলাগায়-অভিবাদন আর শুভকামনা...

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২২

গোর্কি বলেছেন:
প্রিয় সিন্দুকে জমা করেছেন জেনে ভীষণ প্রীত হলাম। ভাললাগায় আর মুগ্ধতায় অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।

৭| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:১৮

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: উনার বহু লেখায় আমার পড়া।
আপনার পোস্ট পড়ছিলাম আর সেসব মনে পড়ছিল।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩০

গোর্কি বলেছেন:
জেনে খুব ভাল লাগল। অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।

৮| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৩৪

আজমান আন্দালিব বলেছেন: চমৎকার!

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৩

গোর্কি বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।

৯| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৭

ডাঃ মারজান বলেছেন: অসাধারণ এই পোস্টটি প্রিয়তে নিলাম। আমার ছোট বেলার কথা মনে পড়ে গেলো। সুকুমার রায়ের লেখা গুলো কখনও ভোলার নয়। পাগলা দাশুর কথা এখনও মনে পড়ে। ভালো থাকবেন। অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৭

গোর্কি বলেছেন:
প্রিয় সিন্দুকে জমা করেছেন জেনে ভীষণ প্রীত হলাম। ভাললাগায় আর মুগ্ধতায় অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।

১০| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


গোর্কি ভাইয়ের কাছ থেকে সুকুমার বন্দনা পেয়ে ভাল লাগছে খুব। নিঃসন্দেহে খুব ভাল একটা পোষ্ট।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩০

গোর্কি বলেছেন:
আপনাকে অনেক দিন বাদে দেখে খুব ভাল লাগছে। অনেক ধন্যবাদ ভাই। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।

১১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ভালো লাগলো তার সংক্ষিপ্ত জীবনি।
কোন ক্লাসে কি পড়েছিলাম তার ছড়া সেসব আমারও মনে পড়ছে না।
ভালো থাকুন

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫৭

গোর্কি বলেছেন:
কংক্রিটময় জীবন যুদ্ধে মনে রাখাটা বেশ কষ্টসাধ্য।
অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।

১২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৮

মেহবুবা বলেছেন: হিংসা হচ্ছে !
এক্ষুনি এটা আমার নামে কপি পেষ্ট করে দেব।
ভূমিকা অসাধারন ।
সব বয়সে সমান আবেদন এ সাহিত্যিকের লেখার।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৩

গোর্কি বলেছেন:
নির্দ্বিধায় করে দিন। কোনো সমস্যা নেই। পাঠ প্রতিক্রিয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।

১৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০১

মেহবুবা বলেছেন: Click This Link

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০১

গোর্কি বলেছেন:
যতবার পড়ি ততবারই মুগ্ধ হই।

১৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪২

হাসান মাহবুব বলেছেন: সুকুমার রায়... আমার শৈশবকে বর্ণিল করে তুলতে তার ছড়ার বই, পাগলা দাশু, পত্রিকায় ছাপানো লেখা সবকিছুই আমার শৈশবের বর্ণিল দিনগুলোর সাথে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িত। চমৎকার পোস্টে প্লাস।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০২

গোর্কি বলেছেন:
পাঠ প্রতিক্রিয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।

১৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪১

সুমন কর বলেছেন: কিছু জানা ছিল, বাকিগুলো জেনে ভালো।

চমৎকার একটি পোস্ট। খুব ভালো লাগল। +।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৩

গোর্কি বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।

১৬| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৩

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

//বাংলায় ননসেন্স রাইম এঁর মতো আর কি কেউ লিখেছেন?//

-নাহ।

সবার শৈশবই সুকুমারময়। অবশ্যই এখনকার খবর জানি না।

অসাধারণ একটি লেখা।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫১

গোর্কি বলেছেন: আমার আপন দুই ভাতিজা আংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করে। তাদের আলোকে এতটুকুই বলতে পারি, এখনকার অবস্থা ভীষণ দুর্বিষহ। পাঠ প্রতিক্রিয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।

১৭| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৭

মেহবুবা বলেছেন: "বুদ্ধিমান চাকর", সুকুমার রায়ের বাবা উপেন্দ্রকিশোর রায়ের লেখা।http://www.somewhereinblog.net/blog/MAHBOOBA01/28895667
বিস্মিত হই একই পরিবারে এমন প্রতিভার ভার।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪১

গোর্কি বলেছেন:
একদম খাঁটি কথা বলেছেন।

১৮| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৯

মেহবুবা বলেছেন: উপরের লিঙ্ক এখানে Click This Link

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪২

গোর্কি বলেছেন:
স্বর্গের অমৃত স্বাদ দেয়ার জন্য আবারও কৃতজ্ঞতা।

১৯| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৫৬

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: সুকুমার রায় বাংলা সাহিত্যে অবিস্মরণীয় এক নাম। চমৎকার লেখা। পোস্টে প্লাস।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৩

গোর্কি বলেছেন:
পাঠ প্রতিক্রিয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।

২০| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৫

আলোরিকা বলেছেন: 'হলদে সবুজ ওরাংওটাং ইটপাটকেল চিৎপটাং...কোনো মানে হয়?' -
মানে হয় ! - যাদের ঘাড়ে পাগলা দাশু গোঁ নিয়ে চেপেছে তাদের কাছে :)
অসাধারণ ! প্রিয়তে নিচ্ছি । অনেক অনেক শুভ কামনা ।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৯

গোর্কি বলেছেন:
অসম্ভব সুন্দর করে বলেছেন। প্রিয়তে নিয়েছেন জেনে ভীষণ প্রীত। পাঠ প্রতিক্রিয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।

২১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৫

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: উহ সুকুমার রায়! তাঁর কবিতার চেয়ে নাটক বেশি পড়েছি| কী লিখিয়ে তিনি! সত্যিই তাঁর পরশ কেউ না পেলে, তার জীবন ৩২ আনা মিছে

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৪

গোর্কি বলেছেন:
আমি যাই যেখানে / সুকুমার সমগ্র সঙ্গে। "তার জীবন ৩২ আনা মিছে" - চমৎকার বলেছেন।
পাঠ প্রতিক্রিয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।

২২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৩

আমিনুর রহমান বলেছেন:



শৈশবে যারা সুকুমারকে পায়নি তারা অনেক কিছু হারিয়েছে। আমিও এখনও হাতের কাছে পেলে উপেদ্রকিশোর আর সুকুমার ছাড়ি না। এক লাইন হলেও পড়ি :)

দারুণ পোষ্ট + এবং প্রিয়তে :)

১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৪৫

গোর্কি বলেছেন:
প্রিয়তে নিয়েছেন জেনে ভীষণ প্রীত। পাঠ প্রতিক্রিয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।

২৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩২

আরজু পনি বলেছেন:

আমি কন্যার সাথে এখনও পড়ে আগের মতো আনন্দই পাই ।

খুব সুন্দর শেয়ার ।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৮

গোর্কি বলেছেন:
জেনে খুব ভাল লাগল। পাঠ প্রতিক্রিয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।

২৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৮

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অসাধারন একটি পোস্ট। অনেক কিছু জানতে পারলাম।কিছুটা নস্টালজিয়ায়ও ভুগলাম। ধন্যবাদ।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৭

গোর্কি বলেছেন:
পাঠ প্রতিক্রিয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।

২৫| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০১

এহসান সাবির বলেছেন: ইংরেজী নতুন বছরের শুভেচ্ছা।

ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১০

গোর্কি বলেছেন:
আপনার জন্যও অগণিত শুভেচ্ছা। শুভকামনা সর্বক্ষণ।

২৬| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আমার শৈশবের হিরো। সুকুমার সমগ্র পড়েই আসলে বড় হওয়া, আমরা হ-য-ব-র-ল পড়েছি, অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড নয়। অনেক ধন্যবাদ সুপ্রিয় আপনাকে, চমৎকার পোস্টের জন্য।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৩

গোর্কি বলেছেন:
কিংবা হ্যারি পোর্টার পড়ে নয়। পাঠ প্রতিক্রিয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।

২৭| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১৪

এহসান সাবির বলেছেন: ফাগুনের শুভেচ্ছা রইল।

২৮| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৫

গোর্কি বলেছেন:
অসংখ্য ধন্যবাদ জানবেন সুহৃদ।

২৯| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৭

বিজন রয় বলেছেন: ভাল পোস্ট।
++++

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪০

গোর্কি বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

৩০| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:০৮

এহসান সাবির বলেছেন: দেরিতে হলেও বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা রইল :)

নতুন পোস্ট চাই।

০৩ রা মে, ২০১৬ রাত ১০:৪৯

গোর্কি বলেছেন:
শুভেচ্ছা সাদরে গৃহীত। অনেক ধন্যবাদ সুপ্রিয়। উচ্চ রক্তচাপজনিত রোগের কারণে ইদানিং খুব ক্লান্তি বোধ করি। তাই আর লেখালেখি হয়ে উঠছে না। তবে সাথে আছি। মাঝে মধ্যেই কথা হবে। সুন্দর এবং সুস্থ থাকুন।

৩১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:০২

বিজন রয় বলেছেন: আপনার খবর কি?
কোথায় হারালেন?
নতুন পোস্ট দিন।

৩২| ১৫ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৮

বিজন রয় বলেছেন: ব্লগে ফিরে আসুন, নতুন পোস্ট দিন।

৩৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:১৩

বিজন রয় বলেছেন: ফিরে আসুন,ফিরে আসুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.