নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অর্থনীতিবিদ

অর্থনীতিবিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জিমনেশিয়াম, আমার অভিজ্ঞতা

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৫৫


বাংলাদেশী জনগণের মতো স্বাস্থ্য বিষয়ে অসচেতন জাতি বোধহয় পৃথিবীতে আর দ্বিতীয়টি নেই। তাইতো 30 বছর পার হতে না হতেই ছেলেরা স্থূল শরীর, সযত্নে লালিত নাদুস নুদুস একটি পেট আর মুখে বয়সের ছাপ নিয়ে দিনাতিপাত করে।

2006 সাল। বাংলাদেশের আর দশটা ছেলের মতো আমিও চিমসানো চেস্ট আর এক বড় পেট নিয়ে দিন যাপন করছি। প্রচলিত ভাষায় যেটাকে ভুড়ি বলা হয়। মাথা থেকে দ্রুত উঠে যাচ্ছে চুল। চোখে মোটা লেন্সের চশমা। সব মিলিয়ে বয়স যেন দিন দিন ১০০ মিটার স্প্রিন্টে উসাইন বোল্টের গতিতে বেড়েই চলছে। চুল, চেহারা, স্বাস্থ্য সব কিছু নিয়ে যেন একটি ধ্বংস স্তুপে অবস্থান করছি।

পরিবর্তনের প্রতি আমার আগ্রহ সব সময়েরই। ভাবলাম এই অবস্থার পরিবর্তন হলে কেমন হয়? ছাইয়ের স্তুপ থেকে নিজেকে আবার তৈরি করবো নতুন করে। যেই ভাবা সেই কাজ। অবস্থার পরিবর্তনের জন্য অনেক কাজই করেছি তবে আজকে শরীর গঠন করার জন্য যা করেছি শুধু সেটাই উল্লেখ করবো। আমাদের বাসা থেকে অল্প একটু দূরেই হারুন জিম। সেখানে গিয়ে ভর্তি হলাম। প্রবল উৎসাহ নিয়ে সকাল-রাত দুই বার গিয়ে ব্যায়াম করছি। সকালে করছি পেটের ব্যায়াম আর রাতে করছি চেস্টের ব্যায়াম। ছেলেদের মধ্যে অনেক ভালো ভালো ফিগার দেখলাম। অনেকে আছে দীর্ঘ বছর ধরে ব্যায়াম করছে। দেখার মতো শরীর তৈরি করেছে। ব্যায়াম করতে গিয়ে বুঝলাম শরীর বানাতে গেলে যা লাগে সেটা হলো শুধুই ধৈর্য এবং ইন্সট্রাকটরের দেওয়া ইন্সট্রাকশন নিয়মিত অনুসরণ করা। তবে ইন্সট্রাকশনের ধরণ শরীরের গঠন অনুযায়ী ভিন্ন হয়। একজন ভালো ইন্সট্রাকটরের বৈশিষ্ট্য হলো তিনি কোন শরীর দেখেই বুঝতে পারেন, এই শরীরের জন্য উপযুক্ত ব্যায়াম কী হবে।

জিমে দীর্ঘ সময় দিয়ে আমার মনে হলো ব্যায়াম করার ক্ষেত্রে টিউমারের মতো ফোলা ফোলা পেশী বানানোটা গুরুত্বপূর্ণ নয় বরং শরীরের একটি সুন্দর আকৃতি দেওয়াটাই গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজগুলো সবচেয়ে উপকারী। জিমের মালিক তথা ইন্সট্রাকটর আমাকে প্রচুর ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ দিলেন। ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজগুলো নিয়মিত করার ফলে খুব শীঘ্রই শরীরে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করার এনার্জী বৃদ্ধি পেতে লাগলো।

জিমে অনেকেই প্রবল উৎসাহ আর আগ্রহ-উদ্দীপনা নিয়ে ব্যায়াম করা শুরু করে কিন্তু কিছুদিন যাওয়ার পর যখন দেখে হাতে হাতে ফল আসছে না অথবা শরীর ব্যাথা করে তখন অধিকাংশ ছেলেই ব্যায়াম ছেড়ে দেয়। ঋতিক রোশন বা সালমান খানের মতো বডি যে চাইলেই পাওয়া যায় না বা বানানো যায় না এটা যখন তারা বুঝতে পারে তখন তাদের মোহভঙ্গ হয় এবং ব্যায়াম ছেড়ে দেয়। বিশাল ভুড়ি নিয়ে প্রচুর লোককে আমি সাময়িক সময়ের জন্য ব্যায়াম করতে দেখেছি। কিছুদিন পরেই কষ্ট সহ্য করতে না পেরে তারা জিমে আসা ছেড়ে দেয়।

আমি ছাড়িনি। দাতে দাত চেপে জিমের ইন্সট্রাকশন মেনে চলার চেষ্টা করেছি। ইন্সট্রাকটর আস্তে আস্তে ব্যায়ামের সংখ্যা বাড়িয়ে দিলেন। এক বছর যাওয়ার পর তিনি ডাম্বেল এবং বারবেলের কিছু ব্যায়াম দিলেন। বিভিন্ন স্টাইলে বুকডন তথা পুশআপ দেখিয়ে দিলেন। বিভিন্ন স্টাইলে পুশআপ দেওয়ায় এক বছর পরে প্রতিদিন 500 করে বুকডন দেওয়া শুরু করলাম। দীর্ঘ দেড় বছর ব্যায়াম করার পর ফলাফল পেতে লাগলাম। শরীর আস্তে আস্তে একটি সুন্দর আকৃতি নিতে লাগলো। দুই বছর পরে 2008 সালে এসে জিমের নতুন ছেলেদের ঈর্ষাকাতর দৃষ্টি অনুভব করতে শুরু করলাম। অনেকেই এসে জিজ্ঞেস করতো কতদিন যাবত ব্যায়াম করছি। ইন্সট্রাকটরের নিকট থেকে ব্যায়াম সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম। মাঝে মাঝে ইন্সট্রাকটর অনুপস্থিত থাকলে আমাকে ইন্সট্রাকশনের দায়িত্ব দিয়ে যেতেন। 2008 এর মাঝামাঝি এসে দীর্ঘ আড়াই বছর পরে যখন ব্যায়াম ছাড়লাম তখন 30 ইঞ্চি কোমর আর 39 ইঞ্চি চেস্টের এক ফিগার নিয়ে বাড়ি ফিরলাম। আমার হয়তো খুব বেশি মাসল হয়নি তবে শরীরের আকার লাটিমের মতো হওয়াতে দেখতে ভালো লাগতো।

এক বছর ভালই চললো। ফিগার মোটামুটি অক্ষুন্ন থাকলো। তবে ব্যায়াম করে কখনো তা একদম ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়। একদম ছেড়ে দেওয়ার একটা মারাত্মক পাশ্ব প্রতিক্রিয়া আছে। হয় শরীর শুকিয়ে যায় নয়তো শরীর অতিরিক্ত মোটা হয়ে যায়। আমার ক্ষেত্রে দ্বিতীয়টি ঘটলো। এক বছর পরে বন্যার পানির মতো হু হু করে শরীর ভারী হওয়া শুরু করলো। পেটে চর্বি জমতে লাগলো। একটা সময় পরে স্বাস্থ্য এত বেড়ে গেল যে মনে হলো সব ভাইদের মধ্যে আমিই সবচেয়ে বড়। মাথায় আবার চুলও নাই। এ অবস্থায় 2013 সাল শুরু করলাম 87 কেজি ওজন আর 40 ইঞ্চি কোমর নিয়ে। বিতিকিচ্ছিরি অবস্থা। অথচ কেউ জানতেও পারলো না, 2008-09 সালে শার্টের নীচে কি মারাত্মক ফিগার নিয়েই না ঘুরে বেড়িয়েছি।

well, 2013 সালের শেষ দিক থেকে এই মধ্য বয়সে আবারো জিমে গিয়ে ব্যায়াম করা শুরু করেছি। ইতোমধ্যে কয়েক মাস পার হয়ে গেছে। অনিয়মিত করলেও টের পাচ্ছি জিমের জুনিয়র ছেলেপিলেরা আমার পেশল হাতের দিকে আবারো আড়চোখে তাকানো শুরু করেছে।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:০২

একাকী বালক বলেছেন: বিভিন্ন স্টাইলে পুশআপ দেওয়ায় এক বছর পরে প্রতিদিন 500 করে বুকডন দেওয়া শুরু করলাম।

>>> খাইছে এইডা কি শুনাইলেন ভাই। পায়ের ধুলা দেন একটু।

বেশীর ভাগেরই জিম ছাড়ার পর শরীল ফুইলা যায়। আমারও একই অবস্থা। জিমের চেয়ে আমার মনে হয় প্রতিদন ২ -৩ কিলো হাটা অনেক ভাল।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:৩৬

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: ভাই, দীর্ঘ বছর পরে আমার কাছেও সংখ্যাটা অনেক বেশি মনে হয়। তবে বিভিন্ন স্টাইলে পুশআপ দিলে এই সংখ্যাটা খুব বেশি নয়। সাধারণত পুশআপ দেওয়ার ক্ষেত্রে ফ্লোর পুশ আপ, স্টান্ড পুশ আপ, স্টান্ড ডিপ পুশ আপ, হাই ডিপ পুশ আপ, ক্লোজ বুক ডন ইত্যাদি স্টাইল ফলো করতাম। পাঁচটা স্টাইলে প্রতিটায় ১০০ করে দিলেই ৫০০ হয়ে যেতো। ৫০০ তো কমই, জিমে কিছু ছেলে ছিলো যারা মেশিনের মতো বুক ডন দিয়েই যেতো এবং কেউ কেউ প্রতিদিন ৭০০/৮০০ করে বুক ডন দিতো। সবই অভ্যাস।

ব্যক্তিগতভাবে হাঁটা বা জগিংকে আমিও পছন্দ করি। তবে ঢাকা শহরে আসলে সে রকম পরিবেশ না থাকায় শরীর কমানোর জন্য বাধ্য হয়ে আবার জিমের দ্বারস্থ হয়েছি।

আপনিও জিমে ব্যায়াম করেছেন নাকি? কী অবস্থা আপনার এখন?

২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:০৩

খেয়া ঘাট বলেছেন: ভেরী গুড জব।
" প্রতিদিন 500 করে বুকডন দেওয়া শুরু করলাম। " দারুন।

প্রতিদিন শুধু ৩০ মিনিট দৌড়ালে শরীরের কোনো উপকার হয়কিনা???

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:০৬

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার প্রশ্নের উত্তর একাকী বালক ভাই দিয়ে দিয়েছেন। তারপরও বলছি, প্রতিদিন শুধু ৩০ মিনিট যদি না পারেন, অন্তত ৫/১০/১৫ মিনিট দৌড়ালেও চলবে। তবে যাই করুন, নিয়মিত করবেন। এবং ৬ মাসের পূর্বে কোন ফলাফল আশা করবেন না।

৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:০৯

একাকী বালক বলেছেন: খেয়া ঘাট বলেছেন: প্রতিদিন শুধু ৩০ মিনিট দৌড়ালে শরীরের কোনো উপকার হয়কিনা???

>>> অবশ্যই হয়। যদি ঠিকমত খাবার খানে আর ডেইলি ৩০ মিনিট দৌড়ান তাহলে এমনিতেই শরীরের কাজে দিবে।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:০৭

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:২৫

খেয়া ঘাট বলেছেন: ধন্যবাদ একাকী বালক।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:০৮

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:৫৩

কস্কি বলেছেন: ৫০০ বুকডন ডেইলি!!!!! B:-) :-/ :-/ :-/

যদিও জিম সম্পর্কে একবারে ই বকলম ............ তারপরেও বলছি টুকটাক হাটাহািটতে পিচ্চকাল থেকে এখন অবধি দিব্যি আছি!!!! B-)

তবে ৩৫" এর আশেপাশে চেস্ট থাকলে মন্দ হতো না!!!! :!>

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:১১

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: সুস্থ থাকাটাই আসল। আপনি ভালো আছেন জেনে খুশী হলাম। চেস্ট কোন ব্যাপার না। শরীর ফিট থাকলেই ভালো আগেই বলেছি।

৬| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৭:৩৫

তারেক বলেছেন: বেশী কিছু না সপ্তাহে ৫ দিন ২০ মিনিট করে দৌড়রাবেন।

সব ধরনের তেলে ভাজা (পুরি ,সিঙ্গারা, সমচা,)জিনিস, ফাস্টফুড, চিনি জাতীয় জিনসি(চিনির চা,পায়েস,সেমাই,লাচ্ছা) একদম খাওয়া বাদ দেন।

গরুর মাংস মাসে ২ দিন। মুরগীর মাংস চলবে।

প্রচুর পানি খাবেন।

প্রচুর সবজি খাবেন।

ইনশা্ল্লাহ এক মাসেই রেজাল্ট। কিন্তু এর এই নিয়ম ছেড়ে দিলে হবে না। চালিয়ে যেতে হবে।সালমান খান বা শাহরুখ খান হবে পারবেন না , কিন্তু মেদবিহীন ,রোগমুক্ত সুন্দর একখানি দেহ পাবেন।

বিঃদ্রঃ ইহা আমার ব্যক্তি গত অভ্ঞিতা।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:১৩

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: আপনার পরামর্শটি ভালো লাগলো। খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে এরকম একটি রুটিন অনুসরণ করলে অবশ্যই উপকৃত হওয়া যাবে। ধন্যবাদ।

৭| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৬

আদম_ বলেছেন: লেখাটি আপনার সাবেক মারত্নক ফিগারের মতই আর্কষণীয় হয়েছে। ওজন বাড়ানোর কোন পলিসি জানেন?

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আসলে সেভাবে কোন নিয়মিত খাদ্য রুটিন অনুসরণ করা যায় না। ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে জিমে আমরা যে নির্দেশনা দিতাম তা হলো, আপনি যদি শুকনো বা রোগা হন তবে আগে যা খেতেন বর্তমানে তার দ্বিগুন খাবেন এবং জিমের ইন্সট্রাকশন নিয়মিত ফলো করবেন।

৮| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:২০

মামুন রশিদ বলেছেন: ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে শুরু করার কিছু দিন পরেই ছেড়ে দেই । শার্টের নীচে লুকিয়ে রাখতে পারি কই, দশাদই আকৃতির ভুড়ি প্রকাশ্যে দৃশ্যমান :(

আপনার অভিজ্ঞতা উৎসাহ দিচ্ছে, জানিনা এই উৎসাহ কয়দিন থাকবে ।

বেশ কয়েক মাস পর এলেন । ভালো থাকবেন ।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:০১

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: সত্যি কথা বলতে কি, দ্বিতীয় দফায় আমি যখন শুরু করি তখন আমারও এক প্রকান্ড ভুড়ি ছিল, যা শুধু শার্ট নয় বরং প্যান্টের বেল্ট ছিড়ে বেরিয়ে আসতে চাইত। বর্তমানে আমার ছয়মাস চলছে। এই ছয়মাসেই ভুড়ি অনেকখানি কমে গেছে। আসলে নিয়মিত হওয়াটাই আসল। চেষ্টা করুন। পারবেন।

প্রোফেশনাল লাইফ নিয়ে একটু ব্যস্ত ছিলাম। তাই নিয়মিত ব্লগে আসতে পারিনি। আপনিও ভাল থাকবেন। শুভ কামনা রইল।

৯| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:১২

আরিফ আরাফাত রুশো বলেছেন: ছবি দিতেন দেখতাম

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:০৪

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: না ভাই, ছবি দেই আর আমার এখনও বৃহৎ আকৃতির পেট দেখে হাসেন, তা হবে না। আরেকটু পেট কমাই, তারপর না হয় ছবি দিবো, জিমের উপকারিতা নিয়ে আরেকটি পোস্টে।

১০| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৪

ভোরের সূর্য বলেছেন: শরীর বানাতে গেলে যা লাগে সেটা হলো শুধুই ধৈর্য এবং ইন্সট্রাকটরের দেওয়া ইন্সট্রাকশন নিয়মিত অনুসরণ করা।
একদম ঠিক বলেছেন।বিশেষ করে এই মধ্য বয়সে সকাল বিকাল সময় করাটাই কস্টের। যেহেতু ব্যাবসা করি তাই সময় মেলানোটা কঠিক। সময় যে নাই তা বলবো না। কিন্তু দেখা গেল যখন আমার সময় হয় তখন জিম বা ব্যায়াম করা হয় না বা আলসেমি পেয়ে বসে। তবে হ্যা, প্রতিদিন যদি কিছু ফ্রি হ্যান্ড এক্সসারসাইজ করা যায় এবং সাথে সাথে খাবারটা মেইনটেইন করা যায় তাহলে কিছুটা সম্ভব। যদিও ফ্যাটি কিছু খাই না কিন্তু মনে হয় শাকসব্জি খেলে সেটাও গায়ে লেগে যায়।

একদম বাস্তব জীবনের কথা বলেছেন আপনি। আমার বাসার ড্রয়িং রুমে আমার স্টুডেন্ট লাইফের একটা ছবি আছে। অনেকেই দেখলে চিনতে পারেনা। প্রথমে মজা করে বলি যে আমার ছোট ভাইয়ের ছবি।আমারো ঠিক আপনার মতন অবস্থা। শুরু করতে হবে আপনার উৎসাহ পেয়ে।ধন্যবাদ আপনাকে।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:২০

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: আপনার মন্তব্য পেয়ে দারুন ভাল লাগছে।

আসলে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর খাবার বেছে খেলেও কেন যেন শরীর ভারী হতেই থাকে। সমস্যা হলো যা খাই তা বার্ন হয় না। আর দুঃখজনক হলো শরীরের আর কিছু না, শুধু পেটই বাড়তে থাকে। মানে চর্বি জমে আরকি। আর চর্বি থেকেই উৎপত্তি যত রোগ বালাইয়ের।

স্টুডেন্ট লাইফের ছবিগুলো দেখলে আমারও বুক ঠেলে দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে। নিজেকে নিজেই চিনতে পারিনা। ছিল মাথা ভর্তি চুল আর এখন মাথা ভর্তি টাক, দশাসই ভুড়ি, মুখে বয়সের বলিরেখা। এটাই বাস্তবতা।

আপনি হালকা কিছু এক্সারসাইজ দিয়ে আস্তে আস্তে শুরু করে দিন। এটার দরকার আছে। এক্সারসাইজ করতে করতে এক সময় অভ্যাস হয়ে গেলে আর ছাড়তে মন চাইবে না। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।

১১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১৯

বেলা শেষে বলেছেন: আমি ছাড়িনি। দাতে দাত চেপে জিমের ইন্সট্রাকশন মেনে চলার চেষ্টা করেছি। ইন্সট্রাকটর আস্তে আস্তে ব্যায়ামের সংখ্যা বাড়িয়ে দিলেন।
To much good for those peoples who want to learn. Thanks brother.

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:২৩

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: শরীরের একটি সুন্দর আকৃতি দিতে হলে অনেক পরিশ্রম করতে হয়। আলোচ্য পোস্টটিতে আমি সেটাই বুঝাতে চেয়েছি। পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

১২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৪০

বেলা শেষে বলেছেন: আমার দীরঘকালের ইচ্‌ছে ছিল একবার করে হলেও আমি প্রতিটি "Blog" দেখবো এবং পড়বো । আমার আশা সফল হবার পথে, আপনার পোষ্‌ট পড়তে পেরে আমি ধন্য. Salam & Respect to you...
অনেক অনেক ভালো থাকবেন।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:২০

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: আপনার ইচ্ছাটি মুগ্ধ করার মতো। কামনা করি যেন খুব শীঘ্রই সফলতা অর্জন করতে পারেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

১৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:২৫

সপ্নভঙ্গ-নির বলেছেন: ভাই আপনি কোন জিমে যান

০১ লা জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:২৯

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: টঙ্গী থানার অন্তর্গত একটি জিমে যেতাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.