![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পাহাড়ের উপজাতি সন্ত্রাসীরা সব জায়গায় চাঁদাবাজি করে। যে কোন আর্থিক বিনিময়ে ভাগ বসায় ওরা। পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতিদেরকে আয়কর দিতে হয়না। সরকার এই পিছিয়ে পড়া সমাজ থেকে আয়কর নেয়না, তবে তাতে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজরা বসে নেই বিগত ৪০ বছর। একজন পাহাড়ী ১০০ টাকার উৎপাদিত পন্য বাজারে বিক্রি করলে ২০ টাকা দিতে হবে সন্ত্রাসীদের। বাঁশ ব্যবসা, কাঠ ব্যবসা, উন্নয়ন মূলক কাজ- সব ক্ষেত্রে সন্ত্রাসীদের এই চাঁদাবাজি। এমনকি ঢাকা হতে উৎপাদিত পন্য পার্বত্য চট্টগ্রামে ঢুকলে দিতে হবে চাঁদা। বছরে শত শত কোটি টাকার চাঁদাবাজি চলে এই পার্বত্য চট্টগ্রামে। কেউ স্বেচ্ছায় চাঁদা দেয়না। চাঁদা দেয় সন্ত্রাসীদের ভয়ে। আর স্থানীয় দল যথা জনসংহতি সমিতি, ইউপিডিএফ এলাকা ভাগ করে চাঁদাবাজি করছে। কি করে এত টাকা দিয়ে, সেটা পাহাড়ীদেরও প্রশ্ন।
জবাব একটাই। পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে জুম্মল্যান্ড করতে হলে, দল করতে, অস্ত্র কিনতে, সন্ত্রাসীদের লালন করতে টাকা দরকার। তাই এই চাঁদাবাজি। শত শত সন্ত্রাসীদের ভরনপোষন চলে এই চাঁদা দিয়ে। চাঁদার ভাগ পায় পাহাড়ী নেতৃত্ব। এলোমেলো চাঁদাবাজি নয়, অতি সুসংগঠিত চাঁদাবাজি কার্যক্রম। এটা এমনভাবে চলে যে, এটা সমাজ ব্যবস্থার সাথেই একীভূত হয়ে গেছে। যারাই চাঁদা দেন, তারা গোপনেই চাঁদা দেন। কখনই তা আইন শৃংখলা বাহিনী তো দুরে থাক, প্রতিবেশী কিংবা স্বজনদেরও বলেন না। তাই অলিখিত এই চাঁদাবাজি বন্ধ করা খুবই দুরুহ কাজ। কেউ চাঁদা না দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে কৃষি বা ব্যবসা করতে পারবে না। যারা চাঁদা দিতে অস্বীকার করেছে, মৃত্যু ছিল তাদের দূর্ভাগ্যজনক পরিনতি।
পাহাড়ী কিংবা বাংগালী- চাঁদা দিতে কেউ আগ্রহী নয়। তাই অস্ত্র দেখিয়ে চলে সেই অবৈধ চাঁদাবাজি। সন্ত্রাসীদের বাজেট ঘাটতি হলে তারা হয়ে উঠে আরও বেপরোয়া। চাঁদা আদায়কারীরা অনেক সময় চাঁদার টাকা মেরে দেয়। তার পরিনতিতে ঘটে পাহাড়ী হত্যাকান্ড। সেটা কেউ জানেনা বা জানলেও বলেনা। চাঁদাবাজদের অস্ত্র না থাকলে কেউ চাঁদা দিবেনা, তাই অস্ত্র কিনতে হয়। পাহাড়ে শান্তি এলে ওদের চাঁদাবাজি বন্ধ হবে, তখন টাকা পাবে কোথায়? তাই অশান্তি ধরে রাখার কৌশল অবলম্বন করে তারা।
জুম্মল্যান্ড, স্বায়েত্ত শাসন শুধু অশান্তি ধরে রাখার কৌশল মাত্র। প্রত্যেকটা সন্ত্রাসী দলের বাৎসরিক বাজেট আছে। সেই অনুযায়ী ট্যাক্স কালেক্টর নিয়োগ দেওয়া হয়, গনলাইন নতুন করে সাজানো হয়, খরচের খাত ধার্য করা হয়, নতুন নতুন খাত এবং ব্যক্তিকে চাঁদার আওতায় আনা হয়।
কিন্তু একটা বিষয় স্পষ্ট। চাঁদার ভাগ কোন দরিদ্র অসহায় পাহাড়ী পায়না, চাঁদা দিয়ে কোন উন্নয়নমূলক কাজ করেনা তারা, কোন গোষ্ঠীকে সহায়তা দেয়না। পুরোটাই নিজেরা উপভোগ করে। এগুলোই হল পাহাড়ে চাঁদাবাজির হিসাব।
*****পাহাড়িদের বিক্রি করা পণ্যের কমিশন যায় নেতাদের পকেটে।।এর সমাধান কি আছে? আরো জানতে নীচের ভিডিওটি দেখুনঃ
https://www.youtube.com/watch?v=LGdEUKq0sNc
©somewhere in net ltd.