![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খাগড়াছড়ি গোলাগুলিতে ৭ জন নিহত, গুলিবৃদ্ধ সহ অাহত হয়েছে অন্তত ১০জন।
ঘটনার সূত্রপাত; ইউপিডিএফ মূল সংগঠন প্রসিত গ্রুপ থেকে বর্মা সহ কিছু নেতাকর্মী বিভিন্ন অজুহাত তুলে নিজেরাই বাঁচার তাগিদে অালাদা হয়ে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক নামক সংগঠন খুলে গত বছরের শেষদিকে। সংগঠনটি গঠনের মূহূর্ত্ব যাত্রার শুরু হইতে মূল ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপের কয়েকজন নেতাকর্মী কে হত্যা করে৷ শুরু করে একেরপর এক হত্যার মিশন। এতে তৈরি হয় সংঘাত। একপক্ষ একপক্ষের উপর টার্গেট করে নেমে পড়ে হত্যার মিশনে।
এরই সূত্রধরে গত মে মাসে রাঙামাটি নানিয়ারচরে উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট শক্তিমান চাকমা কে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করে ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপ। ঠিক একদিন পরে শক্তিমান চাকমার শেষকৃত্য যাওয়ার পথে ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপের সন্ত্রাসীরা অাবারো ব্রাশফায়ার করে সদ্য গঠিত গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফ এর প্রধান বর্মা কে সহ সেই যাত্রার ৫ জন কে হত্যা করে। এতে এক বাঙালী ড্রাইভারও নিহত হয়। কি অপরাধ ছিলো বাঙালী ড্রাইভারটির?? তাকে কেন হত্যা করা হলো? সেই মৃত্যুর মিছিলে ৬জন নিহত সহ ১০-১২ জন অাহত হয়। এডভোকেট শক্তিমান চাকমা জেএসএস সংস্কার এমএন লারমা গ্রুপের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ছিলেন।
১২ অাগস্ট ৪ ইউপিডিএফ সমর্থক কে অপহরণ করে গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফ বর্মা গ্রুপ ও জেএসএস সংস্কার এমএন লারমা’র গ্রুপ কর্তৃক। এমন অভিযোগ করে ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপ এর পক্ষ হইতে। ১৩ অাগস্ট খাগড়াছড়ি পানছড়ি সড়কে ইউপিডিএফ স্থানীয় জনসাধারণকে জিম্মি করে অস্ত্র সজ্জিত অবস্থায় রাস্তায় মুখোশ পড়ে বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভের মুখে অপহরণ কারীরা অপহৃত ৪জনকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। এই ধরণের ঘটনার অসংখ্য ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ভাইরাল হয়। ইউপিডিএফ খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার বাজারটি কয়েকমাস ধরে বন্ধ করে দিয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছে স্থানীয় জনগণ। হুমকির ভয়ে কেউ বাজারে যাচ্ছে না, প্রশাসন ও ব্যবস্থা নিতে ব্যার্থ।
ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপ ইদানিং সাধারণ জনগণ কে বাধ্য করে মিছিল সমাবেশে যোগদানে বাধ্য করছে এমন অভিযোগ সাধারণ মানুষের পাশাপাশি জেএসএস সংস্কার এমএন লারমা গ্রুপ ও গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফ বর্মা গ্রুপ দাবি করে অাসছে৷ পূর্বের নানিয়ারচর চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমাও বর্মা হত্যার প্রতিশোধ নিতে প্রস্তুত সংস্কার জেএসএস এমএন লারমা গ্রুপ ও গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফ বর্মা গ্রুপ। তাঁরই ধারাবাহিকতায় শনিবার ১৮ অাগস্ট সকালে খাগড়াছড়ি সদর স্বর্নিভর হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে উল্লেখিত গ্রুপ সমূহ এমনই ধারণা সকলের।
১৮ অাগস্ট শনিবার সকাল ৭ টার সময়ে ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপের সন্ত্রাসীরা কিছু নিরীহ লোকজন কে বাধ্য করে নিয়ে অাসে মিছিল করতে। ৮-৪৫ মিনিট নাগাদ ৫০-৬০ জনের মতো মানুষ জোগাড় করে সশস্ত্র অবস্থায় মিছিল শুরু করে স্বর্নিভর বাজার৷ ইউপিডিএফ মূল সংগঠন প্রসিত গ্রুপের কেন্দ্রীয় অফিস স্বর্নিভর বাজার অবস্থিত। মিছিল শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জেএসএস সংস্কার এমএন লারমা গ্রুপ ও গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফ বর্মা গ্রুপ মূল ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপের নেতাকর্মীদের লক্ষ করে অর্তকিত গুলিবর্ষণ করে। এইসময়ে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে বলে খাগড়াছড়ি সদর থানায় ওসি স্বীকার করে৷ ১ ঘন্টা ব্যাপী চলা বন্দুক যুদ্ধে ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপের ৭জন ঘটনার স্থানে নিহত হয়। অাহত হয় ৪জনের অধিক। স্বর্নিভর বাজার অবস্থিত পুলিশ বক্স লক্ষ করে সন্ত্রাসীরা কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। দেখা যায় দেয়ালে গুলির দাগ। সকাল বেলা গোলাগুলি বন্ধ হওয়ার পরে দুপুর ১২ টার সময়ে ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপ অাবার প্রতিবাদসরুপ লোকজন জড়ো করে পেড়াছড়া ব্রীজ দিয়ে মিছিল নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকলে দ্বিতীয় ধাপে জেএসএস সংস্কার এমএন লারমা গ্রুপ ও গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফ বর্মা গ্রুপ একত্রিত হয়ে অর্তকিত ভাবে গুলিবর্ষণ করে এতে ৪-৫ জন অাহত হয় মিছিলে। এই হচ্ছে ১৮ অাগস্ট শনিবার খাগড়াছড়ি সদরের স্বর্নিভর এলাকায় ঘটে যাওয়া ঘটনার সর্বশেষ খবর।
এইদিকে এসব ঘটনার জন্যে সাধারণ পাহাড়ি বাঙালি ভয়ে ঘর থেকে বাহিরে যেতে পারছেন না। নিরাপত্তাহীণতায় ভুগছে সাধারণ পাহাড়ি-বাঙালী৷ পুলিশ প্রশাসনের উপর অাস্তা রাখতে পারছেনা কেউ মানুষ নিরাপত্তা সংকটে৷ জেলা শহরে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা এসে গোলাগুলি করে৷ পুলিশ বক্সে গুলিবর্ষণ করার মতো সাহস দেখায়৷ এমন সব ঘটনায় ক্ষোভ জন্ম দিয়েছে সাধারণ মানুষের মনে। পাহাড়ে পুলিশ দিয়ে কিছু হবেনা তা বিগত দিনের পুলিশের ভূমিকায় অনেকটা পরিষ্কার। স্থানীয় ভাবে সেনাবাহিনী ক্যাম্প বৃদ্ধি ও সেনাবাহিনীর কার্যক্রম পরিচালনা করলে উপজাতীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কিছুটা হলেও নির্মূল হবে৷ অন্যথা এই অঞ্চলের পাহাড়ি বাঙালী জনগণ প্রতিনিয়ত খুন, গুম, অপহরণ, ধর্ষণের শিকার হবেই এবং পাহাড় এলাকা হবে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন৷
পার্বত্য চট্টগ্রাম অশান্তির জন্যে মূলত জেএসএস সন্তু লারমা ও ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপ বরাবরই দায়ী।
পাহাড়ের সকল সংঘাতময় পরিস্থিতির জন্ম দাতা জেএসএস সন্তু লারমা।
এইদিকে পাহাড়ে একাদিক হত্যাযজ্ঞ সহ অসংখ্য খুন গুম হওয়ার স্বত্তেও জেএসএস সন্তু লারমা নীরব ভূমিকায় অবতীর্ণ। মনে হচ্ছে এসব হত্যাকান্ড নিয়ে তার কোন মাথা ব্যাথা নেই। টিভির পর্দায় বড়বড় লেকচার দিচ্ছি সরকার শান্তিচুক্তি পূর্নবাস্তবায়ন করছেনা। চুক্তি বাস্তবায়নে সরকার পক্ষ অান্তরিক নয়। চুক্তি বাস্তবায়ন না করলে অামরা অস্ত্র নিয়ে অাবার অাগের মতো জঙ্গলে ফিরে যাবো। অথচ পাহাড়ে দাবানল সৃষ্টি হওয়ার জন্যে অধ্যবতি পর্যন্ত এইব্যক্তিটি দায়ী। পার্বত্য অঞ্চলে সন্ত্রাস অস্ত্রধারী সেই নিজে তৈরি করেছে৷ সরকারের সঙ্গে শান্তিচুক্তি সাক্ষর করে সুযোগ সুবিধা ভোগ করেও অস্ত্র নীতি প্রত্যাহার করেনি৷ চুক্তির সময়ে সামান্য কিছু ভাঙা অস্ত্র জাম দিয়ে ভালো অস্ত্র সবগুলো রেখে দিয়ে পাহাড়ের সংঘাত জিইয়ে রেখেছে সেই। পার্বত্য শান্তিচুক্তি সহি করার মূহুর্ত সময়ে সন্তু লারমা ঘোষণা দিয়েই বলেছে পাহাড়ে অামি ব্যতিত অার কোন উপজাতীয় নেতাও দলপতি নেই। অামি যে চুক্তি সাক্ষর করবো এই চুক্তির বিরোধিতা করার মতো কোন নেতা জনতা নেই। পাহাড়ে স্থানীয় শান্তির লক্ষে অামরা অস্ত্র ছেড়ে সরকারের সাথে সমঝোতা চুক্তি সাক্ষর করিতেছি। এখন কথা হচ্ছে চুক্তি সাক্ষর হওয়ার পরে পাহাড়ে এসকল নেতাও অস্ত্রধারী এরা কারা?? কারা প্রসিত বিকাশ খিসা, সুধাসিন্ধু খিসা? কি কারণে পাহাড়ে মানুষ প্রতিনিয়ত জিম্মি হচ্ছে?? এসব প্রশ্ন গুলোর উত্তর পাহাড়ি বাঙালী জনসাধারণের কাছে এখন অজানা নয়। পার্বত্য শান্তিচুক্তি ছিলো ভাওতাবাজিও লোক দেখানো। পাহাড়ে পূর্বের মতো সকল হত্যাযজ্ঞ, চাঁদাবাজি, অপহরণ, অস্ত্র সংগ্রহ চলছে। যেসব অস্ত্র অাছে উপজাতীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী থেকে তা বাংলাদেশের অাইনশৃঙ্গালা রক্ষাকারী বাহিনী থেকেও নেই। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী পাহাড় থেকে বিপুলসংখ্যক সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করা হয়েছে। অার সেনাবাহিনীর অনুপস্থিতিতে পাহাড়ের সন্ত্রাসীরা অভয়ে অস্ত্রর স্বর্গরাজ্য করেছে। কিছুসংখ্যক সেনাবাহিনী পাহাড়ে চুক্তির শর্ত অনুসারে থাকলেও বর্তমানে এদের ক্ষমতা খর্ব করে অপারেশন বন্ধ করা হয়েছে। পার্বত্য জেলা পরিষদ গঠন ও পার্বত্য অাঞ্চলিক পরিষদ গঠন। সন্তু লারমা কে মন্ত্রী পদমর্যাদা দিয়ে চেয়ারম্যানের অাসনে বসিয়ে পুলিশ পটোকল দেওয়া, চীফ সার্কেল কে ক্ষমতা দেওয়া সহ শান্তিচুক্তি বেশিরভাগ ধারাই বাস্তবায়িত। সরকার শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন করছে না বলে মিথ্যা অভিযোগ তুলছে সন্তু লারমা কর্তৃক, এই মিথ্যা অভিযোগ এর কারণ হচ্ছে পাহাড়ে অরাজকতা সৃষ্টি সহ জুমল্যান্ড রাষ্ট্র তৈরি করার কাজ বাস্তবায়ন, চাঁদাবাজির টাকা দিয়ে অস্ত্র সংগ্রহ করে নিজেদের প্রস্তুত করার কৌশলগত দিক।
তৎকালীন পার্বত্য শান্তিচুক্তি ছিলো সম্পূর্ণ ভূল। সরকার পার্বত্য অঞ্চলের বাঙালী জনগণ সহ স্থানীয় নেতাদের সাথে চুক্তি সাক্ষর লক্ষে কোন অালোচনা-পর্যালোচনা করেনি। নেয়নি কোন যুক্তি, পরামর্শ, খামখেয়ালিপনা এই চুক্তি কোন প্রকার শান্তির অাভাস, বার্তা দিতে পারেনি। উপরোক্ত চুক্তি হয়েছে দেশের সংবিধান বিরোধী। চুক্তির বেশিরভাগ শর্ত সংবিধানের সাথে সাংঘার্ষিক। ততটুকু তথাকথিত উপজাতীয় নেতা সন্তু লারমাও একই ভুল করেন। শান্তিচুক্তি সাক্ষর নিয়ে উপজাতীয় জনগণও সংগঠনের নেতা ও সশস্ত্র শাখার থেকে যুক্তি পরামর্শ, অালোচনা-পর্যালোচনা নেয়নি। যদি যুক্তি পরামর্শ সহ সবার সম্মতিক্রমে সরকার ও সন্তু লারমা পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি সাক্ষর করতো তাহলে পার্বত্য জনগণের ভিতরে ক্ষোভ জাতিগত উপলব্ধি ভেদাভেদ ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হতো না। সংগঠন টি বিভক্ত হতোনা। তৈরি হতোনা অশান্তি বীজ বপন। এই চুক্তির কোন ফল নেই। যে ফল অাছে সেই ফল সন্তু লারমাও তার সংগঠনের নেতাকর্মীরা ভোগ করতেছেন। পাহাড়ি বাঙালীর জন্য এই চুক্তি শান্তি বয়ে অানতে পারেনি। স্থাপন করতে পারেনি বিশ্বাস সম্প্রীতি বরং অশান্তি ধাবিত করতেছে প্রতিনিয়ত।
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকার তথাকথিত উপজাতীয় নেতাও ৪০হাজার বাঙালী হত্যাকারী গেরিলা শান্তিবাহিনীর প্রধান সন্তু লারমা সহ সংঘাত পরিহার পূর্বক উপজাতীয় জনসাধারণকে বাড়তি সুযোগ সুবিধা দিয়ে পার্বত্য শান্তিচুক্তি করে অান্তর্জাতিক ব্যক্তিবর্গের উপস্থিত রেখে। উক্ত চুক্তির ফলে সরকারও পাহাড়ের মানুষের ধারণা ছিলো পার্বত্য চট্টগ্রামের ২৪ বছরের চলা যুদ্ধ অবসান ও দীর্ঘদিনের হত্যাযজ্ঞ বন্ধ সহ শান্তিশৃঙ্খলা ফিরে অাসবে। দুঃখজনক বিষয় শান্তি ফিরে অাশা তো দূরে কথা চুক্তির পরে পাহাড়ে হত্যাযজ্ঞও উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের তান্ডব লিলাও তুলনামূলক ভাবে অারো বেগতিক গতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে৷ সাধারণ পাহাড়ি-বাঙালী জনসাধারণ তথাকথিত সন্তু লারমার শান্তিবাহিনীর হাতে নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হতে থাকে। তৎকালীন পার্বত্য জন সংহতি সমিতি জেএসএস প্রকাশ (শান্তিবাহিনী) সন্তু লারমার রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলো প্রসিত বিকাশ খিসা। প্রসিত বিকাশ খিসা সন্তু লারমাও সরকারের মধ্যকার হওয়া শান্তিচুক্তি মেনে নিতে পারেনি। পার্বত্য শান্তিচুক্তি না মেনে সন্তু লারমা থেকে অালাদা হয়ে শান্তিবাহিনীর কিছুসংখ্যক সদস্য ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পার্বত্য শান্তিচুক্তি বিরোধী হিসেবে ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপ নামক সন্ত্রাসী সংগঠন তৈরি করে ১৯৯৮ সালে৷ উপজাতীয়দের একটি পক্ষ কে ফুসলাইয়া প্রসিত বিকাশ খিসা শান্তিচুক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়৷ সন্তু লারমার জেএসএস শান্তিবাহিনীর অনেক সদস্য প্রসিত বিকাশ খিসার সাথে সহমত পোষণ করে ইউপিডিএফ গঠন করে৷ উপজাতিদের অধিকারের অাদায়ের জন্য ইউপিডিএফ গঠিত হলেও তারা অধিকার সূচক অান্দোলন করেনি৷ করেছে রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্র বাঙালি বিরোধী কার্যকলাপ। মেতেছে স্বজাতি হত্যায়। প্রতিপক্ষ ও সাধারণ পাহাড়ি-বাঙালী থেকে চাঁদা অাদায় সহ খুন, অপহরণ, ধর্ষণ চালিয়েছে ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপ পার্বত্য চট্টগ্রামে।
সন্তু লারমার জেএসএস ভেঙে সৃষ্টি হওয়া সংগঠন গুলোর নাম নিম্নে…..
জেএসএস সন্তু লারমা থেকে অালাদা হয়ে একটি অংশ ইউপিডিএফ গঠন করে প্রসিত খিসার নেতৃত্বে।
দ্বিতীয় অবস্থায় জেএসএস সন্তু লারমা থেকে অালাদা হয়ে একটি অংশ অাবার নতুন করে জেএসএস সংস্কার এমএন লারমা গ্রুপ নামে অারো একটি সংগঠন গঠন করে সুধাসিন্ধু খিসার নেতৃত্বে।
তৃতীয় সময় ইউপিডিএফ প্রসিত বিকাশ খিসা গ্রুপ থেকে একটি পক্ষ অালাদা হয়ে বর্মার নেতৃত্বে গঠন করে গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফ।
মূল সন্তু লারমার জেএসএস ভেঙে হয়েছে সর্বমোট ৪টি গ্রুপ।
এই ৪টি গ্রুপ মিলে পাহাড়ে করে চাঁদাবাজি, অপহরণ, খুন, গুম, ধর্ষণ সহ অহরহ নির্যাতন নিপীড়ন। অাগে পাহাড়ি বাঙালী চাঁদা দিতো এক গ্রুপ কে এখন চাঁদা দিতে হচ্ছে মোট ৪ গ্রুপ কে। উপজাতীয় নামধারী এসব সংগঠন জাতির অান্দোলনের দোহাই দিয়ে করে চাঁদাবাজি অপহরণ খুন গুম, অবৈধভাবে টাকা জোগাড় করে অাধুনিক বিশ্বের ভয়ংকর সব অস্ত্র সংগ্রহ করে নিজেদের মধ্যে গোলাগুলিতে লিপ্ত হয়। উপজাতীয় গ্রুপ গুলোর মধ্যে গোলাগুলি সংঘাত সৃষ্টি হওয়ার একমাত্র কারণ চাঁদাবাজির টাকা ভাগাভাগি, এলাকায় দখল বিস্তার, পদপদবী নিয়ে৷ জাতির অধিকারের জন্য এসব সংগঠন গুলো দুই চারটি কথা বলে কেবলমাত্র লোক দেখাতে। তাদের লক্ষ মূলত পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে অালাদা রাষ্ট্র গঠন করাও নিজেরা রাজত্ব করা৷ সাধারণ পাহাড়ি বাঙালী থেকে জোরপূর্বক অাদায় করা চাঁদার টাকা দিয়ে সন্তু লারমা- প্রসিত বিকাশ খিসারা অারামে খায়েশ মিটিয়ে রংমহল করে ঘুরিয়ে বেড়ায় দেশদেশান্তর।
উপজাতীয় জনগণের উচিৎ এইসকল সন্ত্রাসী সংগঠন গুলোকে বর্জন করা এবং এদের কার্যক্রম থেকে দূরে থাকা। পাহাড়ে প্রতিনিয়ত খুন হচ্ছে সাধারণ পাহাড়ি-বাঙালী। কিসের স্বার্থে চলে অপহরণ-খুন, গুম, চাঁদাবাজি?
এই বাস্তবিকই লেখা গুলো লেখার কারণে উপজাতীয় জনগণও সন্ত্রাসীরা অামাকে গালাগালি করবে এই ব্যাপারে অামি নিশ্চিত। এরই মধ্যে অামাদের বাঙালী একশ্রেণীর দালাল লিয়াজোঁ করে চলে উপজাতীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সহ তথাকথিত দাদার সঙ্গে। ওনাদের গালিগালাজ ও শুনতে হবে অামার।
মোঃ সোহেল রিগ্যান
সাধারন সম্পাদক, পার্বত্য বাঙালী ছাত্র ঐক্য পরিষদ।
(প্রকাশিতঃ একুশে জার্নাল, ২০ আগষ্ট ২০১৮)
©somewhere in net ltd.