নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রিফাত রিদম

রিফাত রিদম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভুতের মুখে রাম নাম!!!

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৮

(আবু উবাইদা)

সন্ত্রাসী গিয়ে মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ করেছে যে, পাহাড়ে মানবাধিকার লংঙ্ঘন হচ্ছে-- এর চেয়ে রম্য রসিকতা আর কি হতে পারে???
সুতরাং এই থেকে খুব সহজেই বোঝা যায় যে পাহাড়ে মানবাধিকার কমিশন কার স্বার্থে কাজ করছে।
-
পাহাড়ি জনপদে উপজাতীয় সসস্ত্র সন্ত্রাসীদের নির্মমতায় নাভিশ্বাস উঠার উপক্রম। পার্বত্য সাধারন নাগরিক প্রতিনিয়ত পাহাড়ে উপজাতীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের নির্মূলে প্রশাসনের চিরুনী অভিযান দাবি করে আসছে। কিন্তু; সরকার ও তার প্রশাসন বরাবরই গণ দাবিকে কোন এক অদৃশ্য শক্তির ভয়ে এড়িয়ে চলছে। পার্বত্যবাসী প্রায়ই উপজাতীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসী বনাম প্রশাসনের "চোর-পুলিশ" খেলা প্রত্যক্ষ করছে।
তবে হ্যাঁ, সম্প্রতি রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর, বিলাইছড়ি, বাঘাইছড়ি এবং খাগড়াছড়ির সদর, দিঘিনালা, পানছড়ি, গুইমারা সহ বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েকটি মারাত্মক সশস্ত্র ঘটনা ও হত্যাকান্ড ঘটেছে। সাধারন জনমনে আতঙ্ক অতি মাত্রায় বাসা বেঁধেছে। এই প্রেক্ষাপটে প্রশাসন কিছুটা সোচ্চার। প্রশাসন সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের প্রতি নজর দিয়েছে যাতে করে জনআতঙ্কের প্রভাব আসছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে না পড়ে। তাই সন্ত্রাসীদের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে প্রশাসন কিছু কিছু নির্দিষ্ট জায়গায় নিশ্চিত জেনে অভিযান পরিচালনা করছে। এতে সাধারন পার্বত্যবাসী বিন্দুমাত্র হয়রানী হচ্ছে না। ইতিমধ্যে প্রশাসন বেশ কিছু অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে সমর্থ হয়েছে।
-
গত ১৬ সেপ্টেম্বর কথিত পার্বত্য জনপ্রতিনিধি হিসেবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাথে সাক্ষাত করেছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। কি আশ্চর্য? যেখানে সাধারন পার্বত্যবাসী মানবাধিকার কমিশনে আশ্রয় নিবে সেখানে আশ্রয় নিচ্ছে উপজাতীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। অবাক করার মতো বিষয় হলো যার নেতৃত্বে মানবাধিকার কমিশনের সাথে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা সাক্ষাৎ করে পার্বত্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে সেই ব্যক্তি অর্থাৎ লক্ষ্যিছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুপার জ্যোতি চাকমা গত বছর (২ জানুয়ারি, ২০১৭ ইং) তার সরকারি বাসভবনে অবৈধ অস্ত্রসহ গ্রেফতার হয়েছিলো। সুপার জ্যোতি চাকমা গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অবৈধ অস্ত্রের জোরে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলো। তিনি কিনা এখন প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন!!
-
পরিশেষে বলছি, উপজাতীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা থেমে নেই। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভয়ংকর নীল নকশা রয়েছে তাদের। এই নীল নকশা বাস্তবায়নে প্রধান প্রতিবন্ধকতা হলো পার্বত্য প্রশাসন। তাই যে কোন মূল্যে তারা পার্বত্য প্রশাসনকে বিতর্কিত করতে চাইছে। বিলাইছড়ির, লামা উপজেলার ধর্ষণ নাটক তাদের নীল নকশার বাস্তব রুপ। পরপর দুটি নাটকে প্রশাসনকে নাজেহাল করতে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে সন্ত্রাসীরা। এবার প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রশাসন অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের নামে তাদের হয়রানী করছে। অথচ এখন পর্যন্ত প্রশাসন সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমান ছাড়া একটিও অভিযান পরিচালনা করেনি। প্রতিটি অভিযানে হাতেনাতে সন্ত্রাসী গ্রেফতার নতুবা ফেলে যাওয়া অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। এতে কিভাবে সাধারন মানুষ হয়রানী হয়?
অর্থাৎ অবাধে সশস্ত্র কার্যক্রম পরিচালনা করতেই তারা প্রশাসনের বিরুদ্ধে কমিশনে মিথ্যাচার করেছে। আর কমিশন যদি তাদের প্রশ্রয় দেয় তাতে আমরা অবাক হবো না। বরংচ এটাকে বলবো স্বাভাবিক নিয়ম। বলতে পারবেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কবে কখন সাধারন নির্যাতিত পার্বত্যবাসীর পক্ষে কাজ করেছে? জানি, দেখাতে কিংবা বলতে পারবেন না। তাই উপজাতীয় সসস্ত্র সন্ত্রাসীদের রক্ষক কথিত মানবাধিকার কমিশন এটা এখন সুস্পষ্ট।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.