![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলা ভাষায় এই রকম একটা প্রবাদ প্রচলিত রয়েছে। ঘরে চুরি হোক বা ডাকাতি হোক। সব দোষ ওই নন্দ ঘোষেরই- তা সে ঘরে উপস্থিত থাকুক বা না থাকুক। এই “ঘোষ” সাহেব খুব মজার মানুষ। ঘরে চুরি হওয়ার সময় ঘোষ সাহেব ঘরে থাকলে সে চোরের সাথের লোক হয়, আর যদি ঘরে উপস্থিত না থাকে তাহলে তার অনুপস্থিতি ই হয় চুরির একমাত্র কারণ। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী হল পার্বত্য চট্টগ্রাম এর “নন্দঘোষ”। ঘটনাস্থলে সে উপস্থিত থাকুক বা না থাকুক দোষ কিন্তু ওই সেনাবাহিনীরই।
গত ২২ অক্টোবর গভীর রাতে খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারায় বৌদ্ধ মূর্তি ভাঙার পরে যথারীতি সেনাবাহিনীকে আবার কাঠগড়ায় তোলে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল। এই মহলের কাজই হলো পার্বত্য চট্টগ্রামকে অশান্ত করা, সন্ত্রাসী কার্যকলাপে ইন্ধন দেয়া আর ঘটনার পর পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙালি আর সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে মিথ্যা প্রপাগান্ডার ফুলঝুরি ছুটানো। যারা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বৌদ্ধ মূর্তি ভাঙার দোষ চাপাচ্ছেন, তাদের উদ্দেশ্যে আমার কিছু প্রশ্ন আছে। আমি সাধারন একজন নাগরিক হয়ে যদি এই জিনিস বুঝি, আশা করি সকলেই বুঝবেন।
> এই মূর্তি ভেঙ্গে সেনাবাহিনীর কি লাভ?
> এই মন্দির কি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করা হত যে সেনাবাহিনী তা ভাঙবে?
> এই মন্দিরে কি অস্ত্র গোলা বারুদ লুকানো ছিল যে সেনাবাহিনী তা ভাঙবে?
আসলে সত্য কথা হল, উপজাতিরা সারা জীবন নিজেদের মধ্যে মারামারি করে নিজেদেরই স্বার্থহানী করছে। তপন জ্যোতি চাকমা, শক্তিমান চাকমা, মঞ্জু চাকমা... এদেরকে কারা মেরেছে? সেনাবাহিনী যেহেতু তাদেরকে মারে নাই, তাই এই বৌদ্ধ মূর্তি ভেঙ্গে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার মত কাজ করে সেনাবাহিনী নিজেদের জন্য বিপদ বয়ে আনবে বলে আমি বিশ্বাস করি না।
আমার মতে, এই মূর্তি ভাঙার জন্য সেনাবাহিনীকে দোষারোপ না করে উপজাতিদের উচিত তাদের নিজেদের ভুল গুলি খুজে বের করা। অযৌক্তিক ভাবে সেনাবাহিনীকে দোষারোপ করলে সাধারণ মানুষ ঠিকই বুঝে যাবে যে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনী আসলেই “নন্দঘোষ” এবং “যত দোষ নন্দ ঘোষ” ।
©somewhere in net ltd.