নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রিফাত রিদম

রিফাত রিদম › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাসন্তী চাকমাঃ সাম্প্রদায়িকতার মুখোশধারী একজন নারী নেত্রী

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:০৭



তিন পার্বত্য জেলা তথা রাংগামাটি, খাগড়াছড়ি আর বান্দরবান জেলার আসন মিলে পার্বত্য চট্টগ্রামে একটি সংরক্ষিত নারী আসন বরাদ্দ আছে। এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার পর পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি থেকে সংরক্ষিত নারী আসনে এমপি হয়েছেন বাসন্তী চাকমা। বাসন্তী চাকমাকে অভিনন্দন। সেই সাথে ধিৎকার জানাই তাঁর সাম্প্রদায়িক মনোভাব আর অবিবেচকের মত কথাবার্তার জন্য।

একজন ব্যক্তি যখন জনপ্রতিনিধি হিসেবে কোন দায়িত্ব পান তখন কিন্তু তিনি নির্দিষ্ট কোন জাতি, বর্ণ, ধর্ম বা গোত্রের মুখপাত্র হিসেবে থাকেন না। তিনি হয়ে যান তার এলাকার সবার মুখপাত্র। সেই হিসেবে বাসন্তী চাকমা একজন চাকমা সম্প্রদায়ের ব্যক্তি হলেও তিনি যখন মহান সংসদে পার্বত্য চট্টগ্রামের সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করছে তখন কিন্তু তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল সম্প্রদায়েরই প্রতিনিধি। কিন্তু গতকাল (২৭ ফেব্রুয়ারি) মহান জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে তার প্রথম বক্তব্যে বাসন্তী চাকমা যে বক্তব্য প্রদান করেছেন তাতে একটা বিষয় সু-স্পষ্ট হয়েছে যে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ে এখনো সাম্প্রদায়িক মনোভাব পোষণ করে আছেন।

বাসন্তী চাকমা মহান সংসদে তার বক্তব্যে বলেছেন যে তাঁর যখন ১৬/১৭ বছর বয়স তখন পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্ত্রের ঝনঝনানি ছিলো। কিন্তু ঐ সময় যেই বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা নিজেদেরকে “শান্তিবাহিনী” নাম দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করছিলো তারাই যে এই অস্ত্রের ঝনঝনানির সৃষ্টি করেছিলো সে বিষয়টি তিনি সুকৌশলে এড়িয়ে যান। উপরন্তু তিনি শান্তিবাহিনীর সশস্ত্র সন্ত্রাসীদেরকে নিজের ভাই বলে আখ্যায়িত করেছেন। এ থেকে স্পষ্টতই প্রমাণিত হয় যে বাসন্তী চাকমা আজো সেই বর্বর শান্তিবাহিনীর মানসিকতা বয়ে বেড়াচ্ছেন।

বাসন্তী চাকমা তাঁর বক্তব্যে স্বীকার করেছেন যে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিবাহিনীর মধ্যে বিভেদের কারনে সন্তু গ্রুপ ও প্রীতি গ্রুপ নামে দুইটি গ্রুপের সৃষ্টি হয়েছিলো। ঐ দুই গ্রুপের অন্তর্কলহের কারনে বহু পাহাড়িকে প্রাণ দিতে হয়েছিলো। কিন্তু শান্তিবাহিনীর ঐ সন্ত্রাসীরা পার্বত্য চট্টগ্রামে যে হাজার হাজার বাংগালী আর নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যদের হত্যা করেছিলো সেই বিষয়টি তিনি সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে গিয়েছেন। কেন এই দ্বিমুখী আচরণ? এমন একজন দ্বিমুখী নেত্রীর কাছ থেকে পাহাড়ের উন্নয়ন আশা করা অসম্ভব।

বাসন্তী চাকমা তাঁর বক্তব্যে ১৯৮৬ সালের ০১ মে খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ির একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে বলেছেন যে ঐ দিন নাকি সেনাবাহিনী এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের বাংগালীরা মিলে “আল্লাহু আকবার” শ্লোগান দিয়ে পানছড়ির দুই তিন গ্রামের পাহাড়িদেরকে জবাই দিয়েছিলো। বাসন্তী চাকমার এই বক্তব্য অত্যন্ত সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক এবং সম্পূর্ণ মিথ্যা একটি বক্তব্য। কারণ, উনি তাঁর বক্তব্যের প্রথমে ১৯৮৬ সাল বললেও ঠিক একটু পরেই আবার বলেন সেটা নাকি ১৯৯৬ সালের ঘটনা। হয়তো উনি কারো শেখানো বুলি আওড়াতে গিয়ে দিন তারিখ গুলিয়ে ফেলেছিলেন। যাই হোক, ১৯৮৬ এবং ১৯৯৬ আমি দুটি সালকেই সঠিক বলে ধরে নিলাম। এরপর ঐ সময়ে সংঘটিত পার্বত্য চট্টগ্রামের ঘটনাবলী অনুসন্ধান করা শুরু করলাম। সরেজমিনে ঘুরে আর পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাস ঘেটে যে তথ্য পেলাম তাতে আমি সম্পূর্ণভাবে নিশ্চত হলাম যে বাসন্তী চাকমা মহান সংসদে দাঁড়িয়ে একটি মিথ্যা বিবৃতি দিয়েছেন।

প্রথমেই আসি ১৯৮৬ সালের ঘটনায়। ১৯৮৬ সালে পানছড়িতে একটি গণহত্যা হয়েছিলো ঠিকই তবে সেটা বাসন্তী চাকমার দেয়া তথ্য ০১ মে তারিখে নয়। সেটি হয়েছিলো ২৯ এপ্রিল দিবাগত রাত আনুমানিক ৯টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত সময়ে। স্থান ছিলো খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার লোগাং, চেঙ্গী, পানছড়ি, লতিবান, উল্টাছড়ি ৫টি ইউনিয়নের ২৪৫টি গ্রামে। ঐ দিন সেনাবাহিনী এবং বাংগালী মিলে কোন পাহাড়িকে “আল্লাহু আকবার” বলে জবাইও করেনি। বরং বাসন্তী চাকমার শান্তিবাহিনীর ভাইয়েরা ঐ এলাকার প্রত্যেকটি বাংগালী গ্রামে অগ্নিসংযোগসহ লুটতরাজ এবং নিরস্ত্র নিরীহ ৮৫৩ জনের অধিক বাংগালী নারী, শিশু, আবাল-বৃদ্ধ বনিতাকে হত্যা করে। বাংগালী নারীদেরকে পাকিস্তানী সেনাদের মত করে গণধর্ষণ ও পরে হত্যা করে। শান্তিবাহিনীর হামলায় ঐদিন আহত প্রায় ৫০০ জনের অধিক বাংগালী। ৬২৪০টি বাড়ি লুটতরাজ করে সম্পূর্ন ভাবে পুড়িয়ে দেয় বাসন্তী চাকমার ভাই শান্তিবাহিনীর হায়েনারা। হাত-পা বেঁধে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে, দা-দিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে জবাই করে, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে, বেয়নেট ও অন্যান্য দেশি অস্ত্র দিয়ে খুচিয়ে খুচিয়ে নানা ভাবে কষ্ট দিয়ে হত্যা করেছিল এই অসহায় মানুষ গুলোকে। প্রতিটি লাশকেই বিকৃত করে সেদিন চরম অমানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল বাসন্তী চাকমার ভাইয়েরা। ঘটনাটি স্বচক্ষে দেখা এবং বেচে যাওয়া কিছু কিছু সাক্ষী আজো আছে। ১৯৮৬ সালের ২৯ এপ্রিল ঐ রাতে খাগড়াছড়ি জেলাতে বাসন্তী চাকমার ভাই শান্তিবাহিনীরা আরো কয়েকটি গণহত্যা চালিয়েছিলো যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ দিঘীনালা গণহত্যা ও মাটিরাংগা গণহত্যা। এছাড়াও, কুমিল্লাটিলা, শুকনাছড়ি, দেওয়ান বাজার, সিংহপাড়া, তাইন্দং গণহত্যা (১৯৮৬ সালের ১৮ মে) এবং দিঘীনালা গণহত্যা (১৯৮৬ সালের ২ জুলাই) ঐ বছরেই সংঘটিত হয়েছিলো যেখানে বাসন্তী চাকমার ভাই বর্বর শান্তিবাহিনী বাংগালীদেরকে নির্বিচারে হত্যা করেছিলো।

এবার আসি ১৯৯৬ সালের ঘটনায়। ১৯৯৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর বাসন্তী চাকমার ভাই সশস্ত্র সংগঠন শান্তিবাহিনীর গেরিলারা রাঙ্গামাটি জেলার লংগদু উপজেলার পাকুয়াখালীতে ৩৫ জন নিরীহ বাঙ্গালী কাঠুরিয়াকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিলো। অবাক করার বিষয় হচ্ছে যে, শান্তিবাহিনী সেদিন এতগুলো মানুষকে হত্যা করতে একটি বুলেটও ব্যবহার করেনি। ৩৫ জনকেই জবাই করে তাদের মাথা শরীর থেকে আলাদা করে ফেলেছিলো বাসন্তী চাকমার ভাইয়েরা। অথচ বাসন্তী চাকমা মহান সংসদে দাঁড়িয়ে কি নির্বিকারভাবে ইতিহাস বিকৃতি করে বক্তব্য দিয়ে গেলেন!!! ধিৎকার জানাই এমন একজন নীচু মানসিকতার একজন নেত্রীকে।
শান্তিবাহিনীর অব্যাহত হুমকির মুখে প্রাণ বাঁচাতে উপজাতি বাসিন্দাদের একটি বড় অংশ শরণার্থী হয়ে ভারতে যেতে বাধ্য হয়। বাসন্তী চাকমা নিজেও নাকি প্রাণ বাঁচাতে বর্ডার পাড়ি দিয়ে ভারতে গিয়েছিলেন। যেই শান্তিবাহিনীকে উনি নিজের ভাই বলে সম্বোধন করেছেন তাদের ভয়ে কেন তিনি ভারতে গিয়েছিলেন সেটা বুঝতে পারলাম না।

বাসন্তী চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রামের বাংগালীদেরকে “বহিরাগত” এবং “সেটেলার” বলে আখ্যায়িত করেছেন। এ ধরনের সাম্প্রদায়িক টাইপের কথা বলে উনি কি পার্বত্য চট্টগ্রামের মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় অর্ধেক (৪৯%) বাংগালী জনগোষ্ঠীকে হেয় প্রতিপন্ন করলেন না? বাসন্তী চাকমা যাদেরকে “বহিরাগত” এবং “সেটেলার” বলছেন এই বাংগালীরাই এইদেশের মূল জনগোষ্ঠী। বরংচ, বাসন্তী চাকমার পূর্ব-পুরুষরাই এই দেশে “বহিরাগত” এবং “সেটেলার”।

ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, চাকমারা মঙ্গোলীয় জাতির একটি শাখা। বর্তমান মিয়ানমারের আরাকানে বসবাসকারী ডাইংনেট জাতিগোষ্ঠীকে চাকমাদের একটি শাখা হিসেবে গণ্য করা হয়। আনুমানিক ১৫৫০ খ্রিস্টাব্দের দিকে পর্তুগিজ মানচিত্র প্রণেতা লাভানহা অঙ্কিত বাংলার সর্বাপেক্ষা পুরাতন মানচিত্রে পার্বত্য চট্টগ্রামের এসব চাকমাদের সম্পর্কে উল্লেখ পাওয়া যায়। কর্ণফুলি নদীর তীর বরাবর চাকমাদের বসতি ছিল। চাকমাদের আরও আগের ইতিহাস সম্পর্কে দুটি তাত্ত্বিক অভিমত প্রচলিত। উভয় অভিমতে মনে করা হয়, চাকমারা বাইরে থেকে এসে তাদের বর্তমান আবাসভূমিত পার্বত্য চট্টগ্রামে বসতি স্থাপন করে। বিশেষজ্ঞের অভিমত অনুযায়ী, চাকমারা মূলত ছিল মধ্য মায়ানমার ও আরাকান এলাকার অধিবাসী।

এ অভিমতে বলা হয়, চাকমারা উত্তর ভারতের চম্পকনগর থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে অভিবাসী হিসেবে আসে। আঠারো শতকের শেষের দিকে কেবল পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলই নয় বরং আজকের চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার পাহাড়ি এলাকাগুলোতেও তাদের বিক্ষিপ্ত অবস্থান ছিল।

রাজা ভুবনমোহন রায় বিরচিত এবং বিপ্রদাশ বড়ুয়া সম্পাদিত ‘চাকমা রাজবংশের ইতিহাস’ নামক বইয়ে উল্লেখ করা আছে যে, ‘চাকমা ও বড়ুয়ারা দীর্ঘকাল চট্টগ্রাম ও আরাকানে বাস করলেও তাঁরা এখানকার আদি বাসিন্দা নন জানতে পারি। চাকমারা চম্পকনগর থেকে এসেছেন- সেই হারানো চম্পকনগরের সংখ্যা এক নয়, একাধিক- তাও জানতে পারি’।

বৃটিশ কর্ণেল প্রী (Colonel Phyree) চট্টগ্রামের বড়ুয়া ও চাকমাদের ব্রহ্ম ইতিহাসের ৪৭ নম্বর পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছেন যে, ‘বড়ুয়া ও চাকমাদের আকৃতিগত বৈশিষ্ট্যতার জন্য তাঁহারা দক্ষিণ বিহার অর্থাৎ মগধ হইতে আসিয়া থাকিবেন’।

আসামের ব্রহ্মপুত্রের তীরবর্তীতে চাকমা রাজ্যের রাজধানী ছিল চম্পক নগর। অনেকে বিশ্বাস করে চম্পকনগর ভারতের উত্তর-পশ্চিম প্রদেশ থেকে অনেক দূরে অবস্থিত এবং চাকমারা চন্দ্র বংশের ক্ষত্রীয়দের উত্তরসূরী কিন্তু তাদের চেহারার বা মুখমন্ডলের বৈশিষ্ট্য আর্যদের চেয়ে মঙ্গোলীয়দের সঙ্গে অধিক সাদৃশ্যপূর্ণ। সিংহভাগ চাকমাদের বিশ্বাস, তারা উচ্চ বর্ণের হিন্দুদের পরবর্তী বংশধর।

সার্বিক বিবেচনায় তাই বলা যায় যে, বাসন্তী চাকমারাই এই দেশে “বহিরাগত” এবং “সেটেলার”।

তিন পার্বত্য জেলার সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি হয়েও বাসন্তী চাকমা এই অঞ্চলের নারীদের উন্নয়ন সম্পর্কিত কোন কথা না বলে মেয়াদোত্তীর্ণ গাঁজা খেয়ে শান্তিবাহিনীর গুনগান আর সেনাবাহিনী ও বাংগালীদের সম্পর্কে বিষোদগার করে গিয়েছেন (যা ছিলো সম্পূর্ণ মিথ্যা)। অথচ, মিতালী চাকমা, রিমি চাকমা, জোসনা চাকমা, শুবলপুরি চাকমা, দীপা ত্রিপুরা, আয়না চাকমা, বালাতি ত্রিপুরা, বিশাখা চাকমার মত হাজার হাজার নির্যাতিতা ও খুন হওয়া নারীদেরকে নিয়ে একটি কথাও বলেননি। এইরকম একজন নারী নেত্রীর কাছ থেকে কিভাবে উন্নয়ন আশা করা যায়??!!!!

১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বংগবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে শান্তিচূক্তি স্বাক্ষরিত হবার পর সমগ্র পার্বত্য চট্টগ্রামে যখন শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের জোয়ার বইতে শুরু করেছে, ঠিক তখনই বাসন্তী চাকমার এই ধরনের উস্কানিমূলক ও সাম্প্রদায়িক বক্তব্য পার্বত্য চট্টগ্রামে আবারও অশান্তির পথ সৃষ্টির সুযোগ করে দিচ্ছে নয় কি? এমন সাম্প্রদায়িক মানসিকতার ও “শান্তিবাহিনী”র বোন বাসন্তী চাকমাকে অতি দ্রুত নিজেকে শুধরে নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল সম্প্রদায়ের জন্য কাজ করা উচিৎ। নতুবা তাকে নিজ দায়িত্ব থেকে অব্যহতি নেয়া উচিৎ। আমরা শান্তির পাহাড়ে এমন আশান্তি সৃষ্টিকারী বাসন্তী চাকমাকে চাইনা।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:১৮

মাহের ইসলাম বলেছেন: সুন্দর ভাবে তথ্য দিয়ে যুক্তিসংগত মতামত দিয়েছেন।

মুলত পাহাড়ের সকল সমস্যার উতপত্তি নেতাদের ভুলের কারনে।
নেতৃত্বের ভুলে সাধারন মানুষের জীবনে কেমন দুরদশা আসতে পারে, তার প্রকৃস্ট উদাহরণ হল পারবত্য চট্টগ্রাম।

দেশ বিভাগ, কাপ্তাই বাধের ক্ষতিপূরণ, ৭১ এর স্বাধিনতা যুদ্ধ, ৭২ এ শান্তি বাহিণির জন্ম - এমন অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার উদাহরণ দেয়া যাবে; যেখানে নেতাদের ব্যক্তি স্বার্থ আর রাজনৈতিক উচ্চাভিলাস সকলের জন্য দুরভোগ বয়ে এনেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় লেটেস্ট ট্রেন্ড হল মিথ্যাচার আর অপপ্রচার।
পাহাড়ের একটা গ্রুপ ঘৃনা, বিদ্দেষ আর মিথ্যাচারে অবলীলায় সামিল হয়েছেন।

একবারও ভেবে দেখছেন না, এতে খারাপ ছাড়া ভালো কিছু আগেও হয়নি, কখনই হবে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.