![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"বাবা আমি না দাদুর বাড়ি এই জুতো দিয়ে অনেক্ষণ হেঁটেছি? আমার জুতোখানা অনেক সুন্দর না বাবা?"
"হ্যাঁ! হ্যাঁ!"
মৃদু লজ্জায় স্বল্প আওয়াজে বাবা উত্তর দিল। আমি পিছনে নীরবে হাঁটছি।
"বাবা আমি না এতবড় ইলিশ দেখেছি? কি বড়! বাবা আবার ইলিশ আনবে?"
বাবা মেয়েকে শক্ত করে ধরে রেখেছে। মেয়ের হাঁটা রাস্তায় টলমলিয়ে যাচ্ছে।
"বাবা এই পুকুরে কি মাছ থাকে?"
পাশের দিকে লম্বা হয়ে যাওয়া ড্রেনের দিকে তাকিয়ে বাবা নিচু গলায় উত্তর দিল,
"না! না! এটা তো ড্রেন"
"বাবা আমি এতে মাছ চাষ করব। হ্যাঁ? ঐ ইলিশটা!?"
বাবা নীরব। রাস্তায় আমি, একজন ভাগ্যবান বাবা আর এক কথাকুমারী ছাড়া আর কেউ নেই। সেই কথাকুমারী চারপাশের জগৎ টাকে কৌতূহলী চোখে দেখছে। সব তার জন্য নতুন। তার ভিতরে আলাদা পৃথিবী তৈরী হচ্ছে। সাথে বিভিন্ন প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে।
না আমি তার সবটুকু কথা শুনতে পাইনি। কি মমতায় বাবা মেয়েটির হাত ধরে হাঁটছিল আর কি বিশ্বাসে মেয়ে তার বাবাকে এত সব কথা জিজ্ঞেস করে যাচ্ছে — তার অল্পই দেখতে পেয়েছি।
সামনে কাছেই মোড় ছিল। তারা একমোড়ে চলে গেছে আর আমি আরেক।
এর কিছুক্ষণ পর পর্যন্ত ভাবনা একটাই ছিল।
এটাই কি বিশ্বের একমাত্র ভরসা আর ভালোবাসার সম্পর্ক? যাতে কোন খাদ নেই? যাতে মিথ্যে কুশল বিনিময় বা কুলাকুলির অভিনয় নেই? যাতে পিছুকথা নেই? লোহার প্রতি চুম্বক বা পরমাণুর কণা সমূহের পরস্পরের প্রতি আকর্ষণের চেয়েও কি এই ভালোবাসার শক্তি বেশি?
এই ভালোবাসাই কি আল্লাহ আমাদের ভালোবেসে নিজে পবিত্র হাতে তৈরী করেননি?
ভালোবাসার এই নির্ভুল দৃষ্টান্ত দেখার জন্যই বোধহয় তাঁর এই বিশ্বজগত সৃষ্টি করা!!!
©somewhere in net ltd.