নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার পৃথিবী

এভাবেই ভালোবাসা পুড়ে পুড়ে যায়..

রোদেলা

আমার আকাশ মেঘে ঢাকা \nজমতে থাকা আগুন ;\nহঠাত আলোর পরশ পেলেই \nঝরবে রোদের ফাগুণ।

রোদেলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বামী যখন নির্যাতিত।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৯


চলন্ত বাসে সোজা হয়ে বসে থাকাটাই বিরক্তিকর।এক হাতে ছাতা ,অন্য হাতে ভ্যানিটি ব্যাগ।তারমধ্যেই মোবাইল ফোন বাজতে থাকে,কেউ যখন একবার রিং হবার পর তাকে পর পর আবার ফোন করে তখন খুব রাগ হয়।বেশ ক’বার রিং হলেই বোঝা যায় ওই ব্যক্তি আমার ফোন ধরতে চাইছে না বা কোন কারনে ধরতে পারছেনা,তাকে কিছুটা সময় দেওয়া হোক।কিন্তু এইবার যে ফোন করেছে সে বোধ করি ওই সময়টুকু কিছুতেই দিতে চাইছেনা।
অগত্যা ফোন কানে দিয়ে বললাম –হ্যালো?
ওপাশে বিচলিত পুরুষ কন্ঠ-হ্যালো,আপা।আপনার ভাবী একটু কথা বলবে।আপনি যে নেত্রকোনা ডকিউমেন্টারী বানাতে গিয়েছিলেন সেখানে আপনার সাথে আমার পরিচ,উনাকে একটু ক্লীয়ার করেন আপা।
আমি যার-পর-নাই বিস্মিত-আমি কি ক্লীয়ার করবো ভাই, এইসব স্ক্রীপ্টের কাজ করতেতো আমাকে বহু জায়গায় যেতে হয়।এখানে ভাবীকে বলার কি আছে?
-আপা,আপনার ভাবীকে শুধু বলবেন –আপনার সাথে আমার আর কোন সম্পর্ক নাই।
এই বেলায় আমার হাসা উচিৎ নাকি কাঁদা উচিৎ ,কিছুই বুঝতে পারছিনা।ঘাড়ের কাছে কন্টাক্টর ক্যা ক্যা করছে ভাড়ার জন্য।আমি চোখ বড় করে তাকাতেই চলে গেল।এই ধরনের নড়বড়ে সম্পর্কের সাথে এর আগেও পরিচয় হয়েছে আমার ।একবার এক অপরিচিত মহিলা বলছে-আপা,আপনি আপনার ফেইস বুক থেকে আমার স্বামীকে ডিলিট করেন।শুনেই আমার মেজাজ খারাপ-সেটা ,আপনার স্বামীকে বলেন।আমার ফেইসবুকে কাকে রাখবো আর কাকে রাখবোনা তা কেবল আমি বুঝবো।
আবার অনুনয় বিনয়-আপা,প্লিজ আপনে করেন।ওকে বললে সে আর একটা আই ডি দিয়ে আপনাকে ফ্রেন্ড বানাতে চাইবে।
-বাহ ,ভালোইতো বোঝেন,তাহলে আপনি স্বামীকে ডিলিট করেন।
-না আপা,ও খুব ভালো জব করে।তার উপরে বাচ্চা নিয়ে এতো সিকিউর্ড জায়গায় আছি।আপনি খালি তার সঙ্গে কথা বইলেন না।
-আপনিতো বিরাট সমস্যার মধ্যে আছেন।সব মেয়েদের কে ফোন দিয়ে কি এই এক কথা বলছেন?
-জ্বী আপা,আমার স্বামীর সমস্ত ফ্রেইন্ড লিস্ট ধরে ,মেয়েদের নম্বর বের করে ফোন দিচ্ছি।
সেদিন থেকে তার স্বামীকে আমি ডিলিট নয় ব্লক করেছি।আমি কোন মানুষের বন্ধু হতে চাই ,কারো লক্ষ টাকায় কেনা স্বামী নামক সম্পত্তির না।
এবার নিজেকে খুব সংযত করলাম,যতোটা করা সম্ভব-দিন,ভাবীকে দিন কথা বলি।
এবার ওই পাশে জেলা জজ কোর্টের জাজের মতোন নারী কন্ঠ-আপনার নাম রোদেলা?
-জ্বী ভাবি,আপনি ভালো আছেন?
আমার প্রাণ প্রিয় ভাবী ওই পথে হাঁটলেন না।
-আপনি কি করেন?
-আমি একটা এন জি ও-তে কাজ করি আর টুকটাক লিখি।
-দু’মাস আগে আপনি নেত্রকোনা গিয়েছিলেন?
-জ্বী ভাবী,আমাকে অফিসের কাজে অনেক জায়গায় যেতে হয়।
-আপনি সকাল বেলা আমার স্বামীকে ফোন দিলেন কেন?
-জ্বী ভাবী,সকাল ৯ টার পর আমি আপনার স্বামীকে ফোন দিয়েছিলাম একটা অফিসিয়াল কাজে ,তার একটি এপয়েরমেন্ট নেওয়া দরকার ছিল।আর সকাল ৯ টার পর সমস্ত কার্যক্রম খোলা থাকে।আপনার স্বামী বাংলাদেশ এল জি ডি আর-এর একজন সন্মানিত উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।তার সাথে আমাদের অনেক গুরুত্বপূর্ন কাজ আছে।
আমার স্টার জলসার ভাবীজানের এই সব শোনার সময় নাই,উনি এখন জেরায় রত-আপনি কোথায় থাকেন?
-আবাসিক,মিরপুর ,ঢাকা নগরীতে।
(আমি যে মহা বিরক্ত হয়ে গেছি এটা তার উর্বর মস্তিষ্কে কোন ভাবেই যাচ্ছে না,সে স্বামীর পরকীয়ার গন্ধ খুঁজছে।)
-কে কে থাকে আপনার সাথে ?
-ভাবী আমার বাবা নেই,একটা মেয়ে আছে।মা –ভাই-ভাবী সবাই আছে।
এবার মহিলা উপযুক্ত জায়গায় হানা দিল-আপনার স্বামী কি করে?
-কি আর করবে ভাবী,চাকরী করে।(স্বামী আমার সঙ্গে থাকে না –এই কথা বললে সেতো পুরাই ১০০০ পর্বের সিকুয়েল বানায় ফেলবে।)
-আপনার বাসার ঠিকানা কি?
একজন ভদ্র মহিলা অনর্গল একজন অপিরিচিত মানুষকে প্রশ্ন করেই যাচ্ছে।এটাযে চরম অভদ্রতা তা সে বুঝতেও পারছে না।আমাদের এই দীর্ঘ কথোপকথনের এক জায়গাতেও স্বামী কল কেটে দেয় নি বা ফোন নিয়ে নেয় নি।এটাতেই বোঝা যাচ্ছে মহিলার স্বামীর অবস্থা খুবই আশংকাজনক।এই লোক মোটেও হামলে পড়া টাইপ না,গো বেচারা টাইপ।এরা ঘরের বাইরে সিংহের মতোন গর্জায় আর ঘরের ভেতর মিউ মিউ করে।অবশ্য কে কি করে তা নিয়ে আমার কোন দরকার নাই।শ্যামলী এসে গেছে ,আমাকে ফোন ছাড়তে হবে।
-ভাবী,আপনি আমার বাসার এড্রেসটা লিখেন।আমার চৌদ্দ গুষ্টি মিরপুরে থাকে।আপনি সবার বাসায় যান আর জনে জনে জিজ্ঞেস করেন-আপনার স্বামী আর আমার মধ্যে কোন লটর পটর আছে কিনা।ও আর একটা কথা ,স্বামী হচ্ছে গলায় রশি বাঁধা ছাগলের মতো।গলার রশি যদি একটু ঢিলা হয় তাহলে অন্য ক্ষেতের ঘাস খায়।রশি জোরে বাইন্ধ্যা রাখেন।
-হুম,বুঝছেন তাহলে।
আমি ফোন কেটে দিলাম।স্বামী যে ছাগলো না ,গরুও না-সে যে জ্বলজ্যান্ত মানুষ-তা বুঝেছি বলেই রশির সমস্ত বাঁধন বহু আগেই খুলে দিয়েছি।এই স্টার জলসারে তা বুঝায় লাভ নাই।
আমি অফিস ঢোকার পথে ভাবলাম –মাসে শ’খানেক লোকের সাথে আমার কাজ করতে হয়।তাহলে সবার মিসেস যদি একবার করে জিজ্ঞেস করে-আপনি আমার স্বামীকে ফোন দিয়েছেন কেন?তাহলে আমার প্রতিউত্তর কি দেওয়া উচিত।এমন বলতে পারি-আপনি একজন বেকার পুরুষ দেখে বিয়ে করে ফেলেন,তাহলে আর কেউ ফোন দিয়ে ডাকাডাকি করবে না।
আমি অফিসে বসে “বিবাহ” লিখে গুগল সার্চ দিলাম।আমার জানতে ইচ্ছে করছে –আসলে কোন পর্যায়ে গেলে একজন আর একজনের অধীন থাকতে বাধ্য হবে।
এক জায়গায় লেখা-“`বিবাহ` শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো মিলানো, একত্র করা কিংবা সহবাস। ইসলামী আইন অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট একজন নর ও নারীর একত্রিত হওয়ার চুক্তিকেই বিবাহ বলে।
ডি এফ মোল্লা তাঁর ‘মুসলিম আইনের মূলনীতি’ বইয়ে বিবাহের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেছেন “ বিবাহ বা নিকাহ এমন একটি চুক্তি যার উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য হলো বৈধভাবে সন্তান লাভ ও প্রতিপালন।
বিচারপতি মাহমুদ তাঁর ‘আঃ কাদির ও সালিসী মোকদ্দমার রায়ে বলেছেন, “ মুসলিম বিবাহ কেবল ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, একটি বিশুদ্ধ দেওয়ানী চুক্তি যার উদ্দেশ্য পারিবারিক জীবন যাপন ও বৈধ সন্তান দান।"
ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী বিবাহ করা সুন্নতে মোয়ক্কেদা। এর থেকে বিরত থাকা বা নিবৃত হওয়া পাপ বা অন্যায়। কারণ বিবাহ নৈতিক চরিত্র ও সতীত্বের হেফাজত করে, পারষ্পরিক ভালবাসা ও প্রশান্তি অর্জনে ভূমিকা রাখে এবং বংশ ধারা অব্যহত রাখে।“লিঙ্ক-https://www.facebook.com/tpv.maldives/posts/551895791533632
অতনু বর্মণ বিবাহবিডি ব্লগে লিখেছেন-আসলে বিয়ে হল অনেকটা তিন-পায়ে দৌড়ের সমগোত্রীয়। বাঁধা পা দু’টো একসঙ্গে আগে ফেলতে হয়। এক ছন্দে দৌড়তে পারলে দিব্যি দৌড়বে, কোনও ঝামেলা নেই। যে যার মতো দৌড়তে গেলেই হুমড়ি খাবে দু’জনেই। সুতরাং হয় নিয়ম মেনে পা ফেলে ছোটো, নয়তো দড়িটা খুলে ফেলে যে যার নিজের পথে হাঁটো।
আসলে আমার লেখার মূল লক্ষ্য মোটেও বিয়ে নিয়ে নয়,আমি আঘাত করতে চাইছি বিশ্বাস শব্দটিতে।যেই সম্পর্কে বিশ্বাস নেই সেটা স্বামী স্ত্রী হোক ,নয় তো বন্ধুত্বের হোক সেখানে এক ছাদের নীচে অবস্থান খুবি ঝুঁকিপূর্ন।এতে নিজেদের ক্ষতি তো আছেই পাশাপাশি আশে- পাশে যারা থাকে তারাও সমান ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
উপরের ঘটনাতে এই বিষয়টা ক্লীয়ার যে মামুন ভাই অফিস যেতে দেরী করেছিল বিধায় তার স্ত্রী ফোনের রিং শুনতে পেরেছিল।আমি আলোকপাত করছি সেখানে-ঘটনাটা ঘটছে বাড়িতে।অর্থাৎ বাড়িতে উপস্থিত বাবা-মা,এমন কি কাজের লোক তাদের এই ঘটনা নিবিষ্ট মনে দেখছে।আমি অনেক বাচ্চাদের দেখেছি নিজের বাবাকে অবহেলা করে কথা বলতে,এই শিক্ষা তারা পেয়েছে নিঃসন্দেহে মায়ের কাছ থেকে।
যখন স্বামী বা স্ত্রী লাগাম হীন ঝগড়ায় ব্যস্ত হয়ে যায় তখন মনেই থাকে না সামনে যে শিশুটি বসে হা করে গিলছে তা তাদের মস্তিষ্কে বিরাট চাপ সৃষ্টি করে।শিশুটি বড় হতে থাকে এবং তার আচরণ থেকে অনেক নেতি বাচক ব্যবহা্র উঠে আসে যা তার জীবনে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়।
হিন্দী চ্যানেলের আগ্রাসন নিয়ে কার কি মত আমি জানি না ,তবে আমার ধারণা খুবি নিম্নমানের।কি গ্রাম –কি শহর একটু ঢু মাড়লেই দেখা যাবে দুপুর কিংবা রাত ; কিছু নির্দিষ্ট সময় ঘরে ঘরে স্টার জলসা চলছে।বোঝে না সে বোঝে না-এই গানটা আমি যতো দূর জানতাম সিনেমার গান,তাই মহানন্দে বসলাম টিভির সামনে।এখন দেখছি-দু’টো টিন এজ ছেলে মেয়ে পর্দায় হাঁটা হাঁটি করছে।আমি সোহম আর মিমিকে খুঁজছি পর্দায়,পরে বুঝলাম এটা নাটক।নাটকের বিষয়বস্তু-পরকীয়া,বউ-শাশুরী-ননদের ঝগড়া,এ ওর পথের কাঁটা,সে তার পথের কাঁটা।
একদিন এমন হলো-আমার ছোট খালু চাবি দিয়ে দরজা খুলে ডাইনিং-এ বসে ভাত খেয়ে চলে গেল।আমার খালামনি বিকালে স্বামীকে কল দিয়ে বলছে-কি ব্যাপার,আজকে অফিসে নতুন মেয়ে আসছে নাকি?ভাত খেতেও এলা না?
ও পাশ থেকে ঠান্ডা উত্তর-তুমি নিজের ভাত আগে খাও ,তাওলেই বুঝবা তোমার প্লেটে বারা ভাত কম পরেছে কিনা।
সিরিয়ালের এতো জোর যে পেটের ক্ষুদাও তাতে নিবৃত হয় আর স্বামীতো খুঁটিতে বাঁধা ভ্যাঁ ভ্যাঁ করা একটা ছাগল।
(নারীবাদীরা আবার ভেবে বসবেন না,আমি পুরুষদের উস্কানী দিচ্ছি।নিদেন পক্ষে যেসব স্বামীরা প্রতিদিন নানা ভাবে নির্যাতিত হন তাদের হয়ে একটু সাফাই গাইছি-এই আর কি।এই নির্যাতনের কোন স্বাক্ষী প্রমাণ নেই,তাই ঝামেলাও নেই।গুগলে স্বামী নির্যাতিত লিখলেই কেবল স্ত্রীর উপর নৃশংসতার ছবি আসে,তাই বাধ্য হয়ে বিদেশী ছবি দিলাম।)


-

মন্তব্য ৫৮ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৫৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৯

জসিম বলেছেন: ভালো লিখেছেন.

সমস্যা আসলে সব জায়গাতেই আছে.

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৪

রোদেলা বলেছেন: ধন্যবাদ জসিম,সেটাই বলতে চাইছিলাম।

২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ব্যাতিক্রমি একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন ,
রাজা করিছে রাজ্য শাসন , রাজারে শাসিছে রানী ।
খাণ্ডারনি / জেন্থিপি রানী :P

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:২৪

রোদেলা বলেছেন: রাজা করিছে রাজ্য শাসন , রাজারে শাসিছে রানী ।

৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৭

পটল বলেছেন: সিরিয়ালের এতো জোর যে পেটের ক্ষুদাও তাতে নিবৃত হয় আর স্বামীতো খুঁটিতে বাঁধা ভ্যাঁ ভ্যাঁ করা একটা ছাগল।

টিভি সিরিয়ালগুলা আসলেই অনেক কাজের। একেবারে ডাইরেক্ট একশন। :P আপনি কিন্তু ভালো :D

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:২৫

রোদেলা বলেছেন: একেবারে ডাইরেক্ট একশন। B-)

৪| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৪

ক্রিবিণ বলেছেন: ভালোই...

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:২৫

রোদেলা বলেছেন: :) :)

৫| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৩১

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: ভাল বলেছেন ।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:২৬

রোদেলা বলেছেন: B-)

৬| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৩১

ধমনী বলেছেন: এই নির্যাতনের কোন স্বাক্ষী প্রমাণ নেই,তাই ঝামেলাও নেই।
- সুতরাং নারীবাদীদের বিশ্বাসে (নারীরা নির্যাতিতাই হয়, নির্যাতক হয় না) নাড়া দেয়ার সম্ভাবনাও নেই।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:২৭

রোদেলা বলেছেন: B-)

৭| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪৬

অগ্নি সারথি বলেছেন: ঘটনা আর বিশ্লেষন দুটোই বেশ ভাবাল কিছুক্ষন।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৩০

রোদেলা বলেছেন: ভাবুন,ভাবলে মস্তিষ্ককের কোষ সচল থাকে। ;)

৮| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৩৩

অর্থান্তর বলেছেন: ছেলেদের টাইট দেয়াটা জরুরী । :D

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৪২

রোদেলা বলেছেন: ছেলেদের টাইট দিতে হবে বউ নির্বাচনে :D

৯| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৪২

অর্থান্তর বলেছেন: আপু আপনি ছেলে না মে ? ছেলেদের পক্ষ নিচ্ছেন কেন ? আর স্টার জলসা দেখবো না তো যাবো কৈ ? বিনোদনের তো আর কোন জায়গাই নাই । বলবেন , কিভাবে সময় কাটাবো ? ঘড়ের মধ্যেই তো বন্দি , বাইরে যে কিছু করে জীবন এবং জীবিকার সন্ধান করবো সেই যোগ্যতাও নাই । স্বামীও যদি বিগড়ে যায় তাহলে তো সব কুল শেষ । এজন্যই তো স্বামী যাতে অন্য মের দিকে আকৃষ্ট না হয় , তাই প্রথম থেকেই টাইট দিয়ে রাখি । আর আপনি তাদেরকে উস্কানি দিয়ে আমাদের মতো নারীদের সর্বহারা করতে চান ? আমরা পথে পথে ঘুরি অথবা আরও কোন নিকৃষ্ট কাজ করি এটাই কি আপনার কাম্য ? বলেন ... সবাই তো আর আপনার মতো যোগ্যতা সম্পন্ন নারী না যে স্বামী ছাড়াও যে বাঁচতে পারবে । কিছু মনে করেন না আপু , নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি । :(

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৯

রোদেলা বলেছেন: প্রথমত আমি কেবলই একজন মানুষ।আর কোন মানুষকে টাইট দিয়ে রাখা যায় ,তা আমার জানা নেই।আমি একটি ম্যাজিকের গল্প জানি যেটা কেবল ভালোবাসায় ভরপুর।এবং এই ভালোবাসাই পারে কাউকে আটকে রাখতে ; অন্য কিছু নয়।এটা বইয়ের কথা না,বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি।
আর যে যোগ্যতার কথা বলছেন ,সে জায়গায় আসতে আমাকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে।আপনি ঘরে বসে নেট ব্রাউজ করছেন আর আমি বিয়ের পর ফোনে কথাই বলতে পারতাম না।মোবাইল ছিল আমার জন্যে নিষিদ্ধ এক যন্ত্র।আমার মনে হয় এই দীর্ঘ ১৫ বছরের ব্লগিং জীবনে আপনাকে আমি পাই নি।কিছু লিঙ্ক দিচ্ছি ,পারলে পড়ে দেখবেন।আপনার অবস্থা অনেক ভালো।আপ্নি ইচ্ছে করলেই ভালো কোন মুভি দেখতে পারেন।কেবল পড়া শোনা করলেই জীবন বদলে যায় তা ঠিক না।নিজের অবস্থান বদলাতে হলে নিজেকেই আগে পরিবর্তন করতে হয়।
http://www.somewhereinblog.net/blog/Rodela77/30075058
http://www.somewhereinblog.net/blog/Rodela77/30052357
http://www.somewhereinblog.net/blog/Rodela77/30025280

১০| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ভিন্ন প্রেক্ষাপট ও অভিজ্ঞতার আলোকে চমৎকার একটি মনস্তাত্ত্বিক ফিচার লিখেছেন। সেদিন আমার এক পরিচিত ভাইয়ের সাথে দুষ্টামি করছিলাম, ভাবিও ছিলেন। ভাইয়াকে বললাম, গত পরশু আপনাকে আর ভাবিকে দেখলাম গুলশান এভিনিউতে রিকশা দিয়ে যাচ্ছেন। সাথে সাথে ভাবী চোখ মুখ কুঁচকে, তীব্র সন্দেহের চোখে ভাইয়াকে জিজ্ঞেস করল, কি???? কে ছিলো সাথে? ছি ছি এইভাবে হাতে নাতে ধরা খাইলা?? লজ্জা হয় না তোমার?

আমি তো পুরাই বেকুব হয়ে গেলাম। যতই বুঝাই, তিনি বুঝবেন না। বহু কষ্টে উনার হাতে পায়ে ধরে বুঝিয়েছি। মাঝে এমন মেজাজ খারাপ হয়েছিল, ভেবেছিলাম, আরো বানিয়ে বানিয়ে বলে আমার পরিচিত ঐ ভাইকে ঐ সন্দেহপ্রবন মহিলা থেকে মুক্তি দিই। X(( :P :P

যাইহোক, অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয়, এটা নারী পুরুষ সকলের জন্য প্রযোজ্য। পোস্টে প্লাস।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৪

রোদেলা বলেছেন: ভাই,আপনি দেখি ভুল জায়গায় ভুল কথা প্রকাশ করে ফেলেছেন। :D এমন অনেক ঘটনে দেখেছি -যারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রী করে এসেছে তারা বিয়ের পর পুরনো মেয়ে বন্ধুর সাথে লুকিয়ে দেখা করে।ক্লাশমেট দের মধ্যেই লিংগত পার্থক্য আমাকে খুব অবাক করে।যার পাশে বসে দীর্ঘ ৮ বছর ক্লাশ করলাম তাকে এক্ স্ময় পর করে দিতে হয়।কি অদ্ভূত।এই ব্যাপারটি পরস্পরের মধ্যে কোন শ্রদ্ধা বোধ আনে না,কেবল জাসুসী শেখায়।অনেক ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।

১১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:২২

মানবী বলেছেন: আমাদের দেশে অদ্ভুত ভাবে এধরনের সন্দেহ বাতিকের প্রবণতা বেশী!
এতে এক শ্রেনীর লম্পট পুরষের অবদান অস্বীকার করা যাবেনা যা মেয়েদের মনে সন্দেহের বীজ ঢুকিয়ে দিয়েছে, তবে সেই সাথে অতি মাত্রায় টিভি সিরিয়াল দেখাও হয়তো একটি ফ্যাক্টর। আমার ধারনা সাধারনত অটি নিরীহ ভদ্রলোকদের স্ত্রীরা সন্দেহপ্রবণ হয় আর লম্পট স্বামীগুলো চালাক চতুর, তারা স্ত্রীদের সন্দেহের অবকাশ দেয়না।

আপনার পোস্টটি পড়ে বাংলাদেশের অনেক ঘটনা মনে পড়লো।
স্বামী স্ত্রীর মাঝে হাজারো মনমালিন্য হতে পারে তবে সন্দেহের বীজ প্রবেশ করলে তা মনে হয় সবচেয়ে ভয়াবহ।
সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ রোদেলা।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৭

রোদেলা বলেছেন: খুব সঠিক কথা বলেছেন মানবী।গো বেচারা টাইপ লোকেদের বউ খুব জাঁদরেল হয়।আর যারা ভীষন চালাক তারা ঘর বাহির দাড়ুন সামলায়।
স্বামী স্ত্রীর মাঝে হাজারো মনমালিন্য হতে পারে তবে সন্দেহের বীজ প্রবেশ করলে তা মনে হয় সবচেয়ে ভয়াবহ।সহ মত।শুভেচ্ছা।

১২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৬

ডাঃ মারজান বলেছেন: অহেতুক সন্দেহ একটি রোগ।অনেকে নিজের অজান্তেই অনেক বড় বিপদ ডেকে আনেন। পারস্পরিক বিশ্বাস একটি সম্পর্কের মূল ভিত্তি। একটি ব্যতিক্রমী পোস্ট। ভালো লাগলো।অনেক ধন্যবাদ।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৮

রোদেলা বলেছেন: শুধুমাত্র সন্দেহের কারনেই সংসার ভেঙ্গে যায় আকাল।অনেক ধন্যবাদ ডাক্তার সাহেব পোস্টে মন্তব্য করার জন্য।

১৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:১২

রাতুল_শাহ বলেছেন: কি আর বলতাম বড় ভাই করে ইনকাম, মাস শেষে ভাবী পায় বেতন, হাত খরচের টাকাও ভাইকে মাঝে মধ্যে ধার করে চলতে হয়।

ভাবী চলে রিক্সায়, ভাব চলে বাসে ঝুলে ঝুলে।
ভাবীর মা হলো মা, কিনে দেয় শাড়ী,
ভাই আম্মার সাথে কথা বললে খায় সকাল-সন্ধ্যা ঝাড়ি।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৯

রোদেলা বলেছেন: ভাই আম্মার সাথে কথা বললে খায় সকাল-সন্ধ্যা ঝাড়ি ।ছড়া লিখেন ,ভালোই ছন্দ জানেন।এবার আপ্নের কপালে কি তাই ভাবেন।

১৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৯

মনজুর আহােমদ সুমন বলেছেন: স্বামী হচ্ছে গলায় রশি বাঁধা ছাগলের মতো।গলার রশি যদি একটু ঢিলা হয় তাহলে অন্য ক্ষেতের ঘাস খায়।রশি জোরে বাইন্ধ্যা রাখেন।
এই লোক মোটেও হামলে পড়া টাইপ না,গো বেচারা টাইপ।এরা ঘরের বাইরে সিংহের মতোন গর্জায় আর ঘরের ভেতর বউয়ের ভয়ে মিউ মিউ করে।

এরা কি পুরুষ ????



০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫০

রোদেলা বলেছেন: কেনরে ভাই পুরুষ মানেই কি গর্জন?

১৫| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:০৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: ঐ মহিলার সাথে এতক্ষণ ভদ্রভাবে কথা বললেন কেমন করে! ছবিটা জোস হৈসে =p~

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫২

রোদেলা বলেছেন: ভাইরে আপনেই আমার দুঃ খ বুঝলেন।আমি যে কেমনে এই মহিলার সাথে এতোক্ষন কথা কইলাম তাও বাসে ভাবলেই গা শিউরায় ।।

১৬| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৪

মেহবুবা বলেছেন: ব্লগার অর্থান্তর এর মন্তব্য এ সহমত।
উল্টো ছবি অনেক আছে;

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৩

রোদেলা বলেছেন: ামিতো উলটো ছবি নিয়ে অনেক লিখি।আজ না হয় অন্য চিত্র আঁকলাম।লিঙ্ক গুলো পড়তে পারেন।

১৭| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৩

আর্টিফিসিয়াল বলেছেন: "আসলে বিয়ে হল অনেকটা তিন-পায়ে দৌড়ের সমগোত্রীয়। বাঁধা পা দু’টো একসঙ্গে আগে ফেলতে হয়। এক ছন্দে দৌড়তে পারলে দিব্যি দৌড়বে, কোনও ঝামেলা নেই। যে যার মতো দৌড়তে গেলেই হুমড়ি খাবে দু’জনেই। সুতরাং হয় নিয়ম মেনে পা ফেলে ছোটো, নয়তো দড়িটা খুলে ফেলে যে যার নিজের পথে হাঁটো।"

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৩

রোদেলা বলেছেন: :)

১৮| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪১

জেন রসি বলেছেন: সন্দেহ বড়ই ভয়াবহ রোগ।সেটা নারী পুরুষ সবার জন্যই যন্ত্রণাদায়ক। অতিনির্ভরশীলতা এবং আত্মবিশ্বাসের অভাবকেই এই রোগের মূল কারন বলে মনে হয়।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৪

রোদেলা বলেছেন: ১০০% সহমত।

১৯| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:২১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বইনগো ও বইন.. তুমি কুতায়!!!!!

আহা আহাহা !
পুরুষকুলের জীবনের কষ্ট কেউ বুঝলোনা! বুঝলেও তারে দাবায়া রাখতে চাইপা যায়..
আজ বইনে সেই কথাগুলান কি সুন্দর কইরা বইলা গেলায়! সকল পুরুষের এই লেখা বান্দাইয়া রাখা উচিত :)

যেই নারীরে ভালবাইসা বিয়ে করে- সেই যদি সেই পুরুষরে এইরাম করে- প্রাণে সয়!


সকল নির্যাতিত পুরুষের জণ্য সমবেদনা! আর লজ্জ্বা করি লুকায়া রাখিওনা। মনের কথা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলিয়া হইলেও জাতিকে জানাইয়া দাও। ঘরের আড়ালে এতদিন শুধু নারীই নির্যাতিত বলে ধারনা করা হইত.. একনও একটি নারী যদি মিথ্যা করেও কোন পুরুষের বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভীযোগ আনে পুরা সমাজ ঝাপাইয়া পড়ে পুরুষের উপর! নারীর জণ্য দরদে সকলেই বেকারার হইয়া যায়! অথচ স্তম্ভিত পুরুষ নির্বাক যাতনায় ভোগে! আদালতও নারীর স্বাক্ষ্যকেই বড় বেশি বড় করে দেখে!
####

আসলে যে বিশ্বাসের কথাটা বলেছেন সেটাই আসল। সেটাই যদি না থাকে সম্পর্কের নামে এই যন্ত্রনায় আটকে থাকার কোন মানে নেই। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই সামাজিক, অর্থনৈতিক দায়, ঠেকাতেই জোড়াতালি চলছে বহু সংসার!

বিশ্লেষনাত্ব লেখায় অনেক অনেক প্লাস।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:১২

রোদেলা বলেছেন: একনও একটি নারী যদি মিথ্যা করেও কোন পুরুষের বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভীযোগ আনে পুরা সমাজ ঝাপাইয়া পড়ে পুরুষের উপর!
এই জায়গাটাতে অনেকে ভুল বুঝতে পারে,ব্যাখ্যা দরকার।ুনেক সময় ক্রাইম পেট্রলে এমন সত্য ঘটনা ।আসে যেখানে মেয়েরা ছেলেদের এভাবে ফাসায়।সেটা দিল্লীতে আর মুম্বাইতে বেশি ঘটে তবে তা খুব সামান্য।
ভাইগো সমাজে নারীই বেশি নির্যাতিত তা কেবল পুরুষ নয়,নারী দ্বারাই সেই কাহিনী আর একদিন হবে।শুভেচ্ছা.।

২০| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩৭

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: তিক্ত অভিজ্ঞতা। আর যে সিরিয়ালের কথা বললেন,সেটা সত্যি।শহরে বুঝলাম বুর্জোয়া শ্রেণী এবং কিছুটা মধ্যবিত্ত টাইপ জীবনযাপন, কিন্তু এখন গ্রামে গেলেও দেখি অহরহ, টেলিভিশনে মোবাইলে নিয়েও দেখে।খুব বীভৎস লাগে...

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:১৫

রোদেলা বলেছেন: মানুষ কেন বিনোদন পায় না ,আমি বুঝি না।আমিতো আড্ডা দিলে এক রাত কেটে যায়।গল্প করার চেয়ে ব্যপক বিনোদন আর কিবা হতে পারে।ঘরে বসে টি ভি দেখাতো ব্যপক ঝামেলা।বর্ডারের দিকের গ্রামে ডিশ লাগে না।তারাতো ব্যপক বিনোদনের মধ্যে আছে।

২১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:০০

একলা চলো রে বলেছেন: ভালো লেখা। দৃষ্টিকোণ সুন্দর। একটা কমেন্টে ১৫ বছরের ব্লগিং জীবনের কথা বললেন, বিষয়টা বুঝলাম না। যাই হোক, মেয়েরা যদি শুধু একটু যুক্তি বুঝত এবং কম হিপোক্রেট হতো তাহলে পুরুষদের জন্য সুখী হওয়াটা সহজ হতো। তবে আপনার লেখা পড়ে আমার বিশ্বাস হচ্ছে না যে আপনি যে ভাল কথাগুলো বলছেন, সে গুলো নারী হিসেবে আপনি নিজে বিশ্বাস করেন। মেয়েরা যুক্তিবাদী প্রাণী নয় সেটা বুঝতে আমার কষ্ট পোহাতে হয়েছে। যদি ধরে নেই আপনি মন থেকেই কথাগুলো বলছেন, তাহলে বলতে হবে আপনার চিন্তা ধারা অনেক বেশি আলাদা এবং আপনার মতো নারী খুব বেশি নয়।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৭

রোদেলা বলেছেন: ধন্যবাদ ,আপনার নিকটা ভালো লাগলো।আসলে এই দেশে ব্লগিং শুরু হয় ২০০৫ থেকে।আমি প্রথম আরম্ভ করি ২০০৬ থেকে,এর আগে কয়েকটি বিদেশি লিঙ্কে লিখতাম তার নামো আজ মনে নেই।তবে তা বিচ্ছিন্ন ভাবে,তবে সামুতে ২০০৬ থেকে লেখা আরম্ভ করার পর এখন কেবল বিডি নিউজ ২৪-এর জার্নাল পাইজে লিখি।সব মিলিয়ে প্রায় ১৫ বছর হবে।আমি যা লিখি মন দিয়ে –প্রাণ দিয়ে বিশ্বাস করেই লিখি।হিপোক্রেটের আগে আপনি মেয়েরা শব্দটা ব্যবহার করেছেন-আমি তীব্রভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছি।এখানে উল্লেখ করা উচিত-গুগলে ব্রাউজ করে দেখেন এই কন্টেন্টে বাশির ভাগ নারীই অবহেলিত এবং নির্যাতিত।আমার চিন্তা ধারা একদমই আলাদা এই বিষয়ে আসলেও কোন সন্দেহ নেই।আমার দেওয়া লিঙ্ক পড়ে দেখতে পারেন।ভালো থাকবেন।

২২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:১৯

সাদরিল বলেছেন: অনেকদিন পর ভিন্ন চিন্তা উদ্রেক করে এমন কোন লেখা পেলাম। এই পোস্টে কমেন্ট করার জন্য মাস দুয়েক পর ব্লগে লগইন করা হলো। ফেসবুকে দেখলাম অনেকেই পুরুষজাতির পক্ষ থেকে আপনাকে সংগ্রামী লাল সালাম জানাতে শুরু করেছে। আপনার দেয়া ৫ নং কমেন্টের রিপ্লাই-এর প্রেক্ষিতে বলতে চাই, মানুষের বিনোদনের আসলেই অভাব, মেয়েদের তো আরো অভাব, আর এখন তো ছেলেমেয়ে কাউকেই রিক্রিয়েশনাল কার্যকলাপে পরিবার থেকে উতসাহিত করা হয় না। একুশে ইটিভিতে সাত চার দুই নামের একটি ধারাবাহিক নাটক হতো (নিতু ও তার বন্ধুরা উপন্যাস অবলম্বনে), কয়েকটি মেয়ে নিয়ে কাহিনী কিন্তু যেকোন বয়সের ছেলেমেয়ে সেটা দেখতে পারবে। এখন তো এরকম কিছু প্রায় হচ্ছেই না। সুস্থ বিনোদনের অভাবটাই জলসা জি বাংলা পূরণ করছে কিছু নেতিবাচক বিনোদন দিয়ে। জলসার উত্থানের পেছনে আমাদের সংস্কৃতিগত ব্যার্থতাও দায়ী। ভালো থাকবেন, বেশী বেশী ছেলেদের পক্ষ নিয়ে লিখবেন।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৪

রোদেলা বলেছেন: প্রথমে স্বাগতম আপনাকে ব্লগে আসার জন্য।আমার কাছে ভাই বিনোদনের বাহুল্য আছে বলেই মনে হয়,তাইতো এই প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা কোন কাজ দিলে হোমওয়ার্ক করার সময় পায় না।মোবাইলে কথা বলতে বলতে রাত ভোর হয়,আর চ্যাটিং করতে করতে বাস মিস হয়ে যায়।আমাদের সময় এতো কিছু ছিল না,আমরা বিনোদন বানিয়ে নিতাম।যাই হোক,এটা এক জনের কাছে এক এক রকম।আমাদের দেশে ভালো নাটক সিনেমা হয়,বিরতীহীন নাটক হয়।আমি নিজে একজন নাট্যকার,একঘন্টার নাটকে কোন বিজ্ঞাপন থাকে না।কিন্তু আমরা টিভি দেখতে বললে নানান অজুহাত খাড়া করি।ভালো সিনেমাও যে হচ্ছে না তা না,কেবল চোখ কান খোলা রাখতে হবে।এক গাড়িওয়ালাই পুরস্কার জিতে নিল সব ক্ষেত্রে ,কিন্তু আমরা কয়জন সে সিনেমা দেখতে গিয়েছি বলুন।আর হ্যাঁ,আমি বেশী বেশি মানুষের পক্ষে লিখবো,তা ছেলে হোক আর মেয়ে।অনেক ভালো থাকুন।

২৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:২০

সাদরিল বলেছেন: দুঃক্ষিত, ওতা ৫ নয়, ২০ নং কমেন্ট হবে

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৫

রোদেলা বলেছেন: সমস্যা নেই।

২৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:৩১

শুভ৭১ বলেছেন: ফেবুতে খবর পেয়ে একটু ঢু দিতে এলাম, এসে দেখি সব হাছা কথা,ঘটনা সত্য।একদিকে নারীবাদীদের আক্রমণ অন্যদিকে ঘড়ে এলেই স্টার জলসার প্যানপ্যানানি, পুরুষ তুই যাবি কই? হয় ছাগল হইয়া থাক নইলে বাড়ি ছার।।।।।।বাংলার আকাশে আজ সত্যিই রোদের আভা ছুঁয়ে দিয়েছেন রোদেলা আপু,আমার অনেক ফেভারিট একজন মানুষ (আপুর চেয়েও ভালো লাগে,আপুর পিচ্চিটাকে।।।।একদম কিউটের ডিব্বা একটা )।।।।।।।।শুভ হোক রৌদ্র রৌশনি,মুছে যাক কালো মেঘ।।।।।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:০৬

রোদেলা বলেছেন: ধন্যবাদ শুভ৭১।অনিন্দ সুন্দর মতামতের জন্য।কিন্তু এফ বিতে আপনার কি এই নিক,ঠিক মনে করতে পারছিনা।

২৫| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৮

সুমন কর বলেছেন: আপনার কথাগুলো পড়ে মজা পেলাম..... !:#P

১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:০০

রোদেলা বলেছেন: ধন্যবাদ ,এবার কিছু টাকা ছাড়েন।বিনা পয়সায় মজা নেওয়া যাবেনা :)

২৬| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৭

শুভ৭১ বলেছেন: আপু ফেবুতে আমার নিক Shad Ahmed shuvo।সেখানে থেকে শুভ টা ধার নিয়ে একটা ৭১ নম্বর লেজ লাগিয়ে দিয়েছি(আজকাল নাকি লেজ ও অনেক কথা বলে ☺ ☺ ☺)।।।।ভালো থাকবেন আপু।।

২৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৯

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার ভিন্ন আঙ্গিকের একটি মনস্তাত্ত্বিক লেখা। ধন্যবাদ







ভালো থাকবেন নিরন্তর।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:১২

রোদেলা বলেছেন: বহুদিন পর পেলাম দেশ প্রেমিক বাঙালী ।

২৮| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৩

গরল বলেছেন: সব মহিলা এক নয়, আমার বউ আমার ফেসবুকের বান্ধবীদের নিয়ে কিছু বলে না বা সুন্দরী মহিলাদের সাথে সেলফী তুললেও কিছু মনে করে না। অবশ্য ও কখনও হিন্দী সিরিয়াল দেখে না।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩০

রোদেলা বলেছেন: ভালো করে আগে পোস্ট পড়ুন।এখানে সব মহিলাদের কথা কোথাও লিখিনি আর স্টার জলসা দেখলেই কুটানামী করবে তা ঠিক না।এটা বিশেষ পরিস্থিতি নিয়ে লেখা যে কথাগুলো ছেলেরা বন্ধুদের বলতে লজ্জা পায়।ছেলেদেরকে ছোত বেলা থেকেই শেখানো হয়-কেঁদো না।কিন্তু সব মানুষের জীবনেই কান্না বা চিৎকার করা দরকার আছে।

২৯| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৭

সোমহেপি বলেছেন: আমারে যদি বউ এমন সন্দেহের উপর রাখতো কত না ভালো হত । তাওতো বুঝতাম কেউ আমারে ফিল করে ।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩২

রোদেলা বলেছেন: এটা অনেক গুরূত্বপুর্ন কথা বলসেন।অবশ্য অনেক ক্ষেত্রে ফিল না করে কেবল নিজের সম্পত্তি মনে করেও কেউ কেউ সন্দেহ করে।

৩০| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:২৯

গরল বলেছেন: দু;খিত, আমি আসলে একটু ফান করতে চেয়েছিলাম কিন্তু কথাটা সিরিয়াস হয়ে গেছে। আর আমি এর মধ্যে কুটনামীর কিছু দেখছি না তবে ইনসিকিউরিটি থাকতে পারে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.